নিউইয়র্ক ০৭:২০ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বিএনপির খুলনা গণসমাবেশকে ঘিরে উত্তেজনা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০১:১৬:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২
  • / ৯০ বার পঠিত

পূর্বঘোষণা অনুসারে আজ শনিবার (২২ অক্টোবর) খুলনা নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিএনপি গণসমাবেশ করবে। সমাবেশ দুপুর ২টা থেকে শুরু হয়ে চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। সমাবেশ সফল করতে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে দলটি। তবে সমাবেশ ঘিরে সরকারের বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ করেছে দলটি। অভিযোগ রয়েছে সরাসরি পুলিশের বিরুদ্ধেও। বিএনপি নেতারা বলছেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে কেউ উসকানি দিলে, কোনো অশান্তি হলে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে। আর সরকারদলীয় নেতারা বলছেন, তাদের কোনো আগ্রহ নেই বিএনপির সমাবেশ নিয়ে। তবে পুলিশ বলছে, কেউ আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে এ সমাবেশকে চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের পর স্মরণকালের সমাবেশ হিসেবে দেখতে চায় বিএনপি। তাই এটি সফল করতে মরিয়া তারা। বিএনপি নেতারা বলছেন, সরকার ভয় পেয়ে সমাবেশ ভণ্ডুল করার চক্রান্তে লিপ্ত। তাদের অভিযোগ, সরকারি দলের ক্যাডার ও পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের সমাবেশে না আসার জন্য ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে হয়রানি করছে। গতকাল শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর কেডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ে খুলনা বিভাগ বিএনপি আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সমাবেশের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

বিএনপি নেতারা বলেছেন, গত বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) রাত থেকে শুক্রবার পর্যন্ত খুলনাসহ এ বিভাগের কয়েকটি জেলা থেকে দলের শতাধিক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুধু খুলনা থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬০ জনকে। মাগুরা, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, মোড়েলগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সমাবেশে আসাকে কেন্দ্র করে আরো ৬০ জনকে আটক করা হয়েছে।

এদিকে সমাবেশকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল থেকেই খুলনার বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাস বন্ধ হয়ে যায়। অন্তত ১৮ রুটে বাস চলাচল করেনি। ঢাকার উদ্দেশেও কোনো বাস ছাড়েনি। খুলনা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে লঞ্চ চলাচল করলেও তা বন্ধ রাখা হয়। এর ফলে যাত্রীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। বিএনপির অভিযোগ, সরকার ও আওয়ামী লীগ সমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে এ ষড়যন্ত্র করেছে। শুক্রবার সকালে খুলনার সোনাডাঙ্গা ও সাতরাস্তার মোড় রয়েল চত্বর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেছে, কোনো বাস ছাড়েনি। যাত্রীরা অনেকেই বাসস্ট্যান্ডে এসে আবার ফিরে গেছে। খুলনা জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস মালিক সমিতি গত ১৯ অক্টোবরের ঘোষণা করে ২১-২২ অক্টোবর সব রুটে পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখা হবে। কারণ হিসেবে তারা জানায়, সড়ক-মহাসড়কে অবৈধভাবে চলাচলকারী নছিমন, করিমন, ইজিবাইক বন্ধের দাবিতে এ সিদ্ধান্ত। খুলনা লঞ্চঘাটের অবস্থাও ছিল একই রকম। শুক্রবার রাত থেকে কোনো লঞ্চ চলেনি।

এদিকে বিএনপির সমাবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন খুলনা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা। তিনি বলেন, সমাবেশ করা গণতান্ত্রিক অধিকার। সমাবেশ করতে কোনো অসুবিধা নেই। তবে যদি কেউ অশান্তি করে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। বিএনপির সমাবেশ নিয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভুঁইয়া জানিয়েছেন, নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তবে কোনো অশান্তি হলে কঠোর হাতে দমন করা হবে। সূএ :সাম্প্রতিক দেশকাল

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বিএনপির খুলনা গণসমাবেশকে ঘিরে উত্তেজনা

প্রকাশের সময় : ০১:১৬:১৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২২ অক্টোবর ২০২২

পূর্বঘোষণা অনুসারে আজ শনিবার (২২ অক্টোবর) খুলনা নগরীর সোনালী ব্যাংক চত্বরে বিএনপি গণসমাবেশ করবে। সমাবেশ দুপুর ২টা থেকে শুরু হয়ে চলবে বিকাল ৫টা পর্যন্ত। সমাবেশ সফল করতে ইতোমধ্যে সব প্রস্তুতি সম্পন্ন করেছে দলটি। তবে সমাবেশ ঘিরে সরকারের বিরুদ্ধে বেশকিছু অভিযোগ করেছে দলটি। অভিযোগ রয়েছে সরাসরি পুলিশের বিরুদ্ধেও। বিএনপি নেতারা বলছেন, সমাবেশকে কেন্দ্র করে কেউ উসকানি দিলে, কোনো অশান্তি হলে তার দায় সরকারকেই নিতে হবে। আর সরকারদলীয় নেতারা বলছেন, তাদের কোনো আগ্রহ নেই বিএনপির সমাবেশ নিয়ে। তবে পুলিশ বলছে, কেউ আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটানোর চেষ্টা করলে কঠোর ব্যবস্থা নেওয়া হবে।

এদিকে এ সমাবেশকে চট্টগ্রাম ও ময়মনসিংহের পর স্মরণকালের সমাবেশ হিসেবে দেখতে চায় বিএনপি। তাই এটি সফল করতে মরিয়া তারা। বিএনপি নেতারা বলছেন, সরকার ভয় পেয়ে সমাবেশ ভণ্ডুল করার চক্রান্তে লিপ্ত। তাদের অভিযোগ, সরকারি দলের ক্যাডার ও পুলিশ বিএনপি নেতাকর্মীদের সমাবেশে না আসার জন্য ভয়ভীতি দেখাচ্ছে। বাড়ি বাড়ি গিয়ে হয়রানি করছে। গতকাল শুক্রবার (২১ অক্টোবর) বেলা সাড়ে ১১টায় নগরীর কেডি ঘোষ রোডের দলীয় কার্যালয়ে খুলনা বিভাগ বিএনপি আয়োজিত এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সমাবেশের বিস্তারিত তুলে ধরা হয়।

বিএনপি নেতারা বলেছেন, গত বৃহস্পতিবার (২০ অক্টোবর) রাত থেকে শুক্রবার পর্যন্ত খুলনাসহ এ বিভাগের কয়েকটি জেলা থেকে দলের শতাধিক নেতাকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। শুধু খুলনা থেকেই গ্রেপ্তার করা হয়েছে ৬০ জনকে। মাগুরা, যশোর, সাতক্ষীরা, বাগেরহাট, মোড়েলগঞ্জসহ বিভিন্ন এলাকা থেকে সমাবেশে আসাকে কেন্দ্র করে আরো ৬০ জনকে আটক করা হয়েছে।

এদিকে সমাবেশকে কেন্দ্র করে শুক্রবার সকাল থেকেই খুলনার বিভিন্ন রুটে চলাচলকারী বাস বন্ধ হয়ে যায়। অন্তত ১৮ রুটে বাস চলাচল করেনি। ঢাকার উদ্দেশেও কোনো বাস ছাড়েনি। খুলনা থেকে দক্ষিণাঞ্চলের বিভিন্ন রুটে লঞ্চ চলাচল করলেও তা বন্ধ রাখা হয়। এর ফলে যাত্রীদের চরম ভোগান্তির শিকার হতে হয়। বিএনপির অভিযোগ, সরকার ও আওয়ামী লীগ সমাবেশ বাধাগ্রস্ত করতে এ ষড়যন্ত্র করেছে। শুক্রবার সকালে খুলনার সোনাডাঙ্গা ও সাতরাস্তার মোড় রয়েল চত্বর বাসস্ট্যান্ডে গিয়ে দেখা গেছে, কোনো বাস ছাড়েনি। যাত্রীরা অনেকেই বাসস্ট্যান্ডে এসে আবার ফিরে গেছে। খুলনা জেলা বাস মিনিবাস কোচ মাইক্রোবাস মালিক সমিতি গত ১৯ অক্টোবরের ঘোষণা করে ২১-২২ অক্টোবর সব রুটে পরিবহন চলাচল বন্ধ রাখা হবে। কারণ হিসেবে তারা জানায়, সড়ক-মহাসড়কে অবৈধভাবে চলাচলকারী নছিমন, করিমন, ইজিবাইক বন্ধের দাবিতে এ সিদ্ধান্ত। খুলনা লঞ্চঘাটের অবস্থাও ছিল একই রকম। শুক্রবার রাত থেকে কোনো লঞ্চ চলেনি।

এদিকে বিএনপির সমাবেশ নিয়ে আওয়ামী লীগের কোনো আগ্রহ নেই বলে জানিয়েছেন খুলনা নগর আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক এমডিএ বাবুল রানা। তিনি বলেন, সমাবেশ করা গণতান্ত্রিক অধিকার। সমাবেশ করতে কোনো অসুবিধা নেই। তবে যদি কেউ অশান্তি করে তাকে ছাড় দেওয়া হবে না। বিএনপির সমাবেশ নিয়ে খুলনা মেট্রোপলিটন পুলিশের কমিশনার মো. মাসুদুর রহমান ভুঁইয়া জানিয়েছেন, নিরাপত্তা দেওয়া হবে। তবে কোনো অশান্তি হলে কঠোর হাতে দমন করা হবে। সূএ :সাম্প্রতিক দেশকাল