নিউইয়র্ক ০২:২২ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সম্মেলন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:১৮:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ১১৭ বার পঠিত

ছবি: বা থেকে এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ,এডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার

ঢাকা ডেস্ক: বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সম্মেলন এডভোকেট জসিম উদ্দীন সরকারের সভাপতিত্বে ও এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিনিধি সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন বার থেকে আইনজীবীগণ অংশগ্রহণ করেন। প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত আমীরে জামায়াত ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নূরুল ইসলাম বুলবুল ও আবদুর রহমান মুসা। সম্মেলনে বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিলের ২০২৪-২০২৬ সেশনের জন্য কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সেক্রেটারী জেনারেল নির্বাচিত হন যথাক্রমে এডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার ও এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।

সম্মেলনে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআন মাজীদে ঘোষণা করেছেন- তোমরা ইনসাফ কায়েম কর, মানুষের মধ্যে কল্যাণ প্রতিষ্ঠা কর, যাতে তারা উপকৃত হয়। নিকট আত্মীয়দের সহযোগিতা কর এবং অশ্লীল ও মন্দ কাজ হতে বিরত থাক। এটি মুসলিম উম্মাহর জন্য ফরজ। এ দায়িত্ব বোধ থেকেই বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিল দেশে আইনের শাসন, ন্যায় বিচার, মানবাধিকার ও আইনাঙ্গণে সুষ্ঠু পরিবেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। অন্যায়, জুলুম-নির্যাতন ও অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোই একজন আইনজীবীর নৈতিক দায়িত্ব।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছিল এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে, জনগণ ভোট দিতে পারবে। যাকে খুশি তাকে ভোট দিবে। কিন্তু বর্তমানে দেশে কোন ভোটাধিকার নেই। ঘোষণাপত্রের সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের নেতৃবৃন্দ স্বাধীনতার পর ক্ষমতা গ্রহণ করে গণতন্ত্রের পিঠে ছুরিকাঘাত করে বাকশাল কায়েম করেছিল। বিগত ১৫ বছর যাবত বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার দেশের গণতন্ত্র ও আইনের শাসনকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সকল সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে সবচেয়ে দুঃশাসনের ও জুলুমের শিকার হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বিচারের নামে প্রহসন করে শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। নেতা-কর্মীদের দীর্ঘদিন যাবত কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় কারান্তরীণ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়নি। এমনকি তাঁর জানাযা আদায়ে বাধা প্রদান ও জানাযায় আগত মুসল্লিদের উপর হামলা করে আহত ও গ্রেফতার করা হয়েছে। কয়েক হাজার নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা ও সাজানো মামলা দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমান শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। আর এজন্য অবশ্যই কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে যার রূপকার ছিলেন মরহুম অধ্যাপক গোলাম আযম (রহ:)। এর মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করে দেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তিনি আইনজীবীদেরকে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান। বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিলের প্রতিনিধি সম্মেলনে আইনাঙ্গণে বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পর নিম্নোক্ত প্রস্তাব গৃহীত হয়।

‘বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিল দেশে আইনের শাসন, ন্যায় বিচার, মানবাধিকার ও আইনাঙ্গণের সুষ্ঠু পরিবেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই লইয়ার্স কাউন্সিল সারাদেশের আইনজীবীদের মধ্যে সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছে। লইয়ার্স কাউন্সিলের প্রতিনিধিগণ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, কুমিল্লা, সাতক্ষীরা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, কক্সবাজার, নীলফামারী, দিনাজপুর, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন বার এসোসিয়েশনের নির্বাচনে বিজয় অর্জন করে আইনজীবীদের প্রতিনিধি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। লইয়ার্স কাউন্সিলের উদ্যোগে তার স্বাভাবিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে প্রতিনিধি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। এই সম্মেলনে দুইজন সম্মানিত বিচারপতি অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার জন্য সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছিলেন। সারাদেশের আইনজীবীগণ তাদের পেশাগত দায়িত্বের অংশ হিসেবে উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করছিলেন। লইয়ার্স কাউন্সিলের পক্ষ থেকে সকল নিয়ম-কানুন ও প্রচলিত পদ্ধতি অনুসরণ করে সুপ্রিম কোর্ট বারের শফিউর রহমান মিলনায়তনটি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকারের দলীয় লোকেরা সম্মেলন অনুষ্ঠানে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এর মাধ্যমে তারা প্রমাণ করেছে যে, তারা সংবিধান, গণতন্ত্র ও নাগরিক অধিকারে বিশ্বাস করে না।

বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিল উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গণে বেশ কিছু দিন যাবৎ ঐ একই গোষ্ঠী অসহিষ্ণু পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। তারা পরিকল্পিতভাবে সঙ্ঘাতমুখর পরিবেশ তৈরি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। অতীতে কোনো দিনও এমনকি বৃটিশ, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের সেনা শাসন আমলেও দেশের আদালত অঙ্গণের পরিবেশ কলুষিত হয়নি। বিচারকগণ আইনের ভিত্তিতে বিচারাঙ্গণে বিচার কার্য পরিচালনা করে আসছিলেন। কিন্তু আজ বাংলাদেশের বিচারাঙ্গণের সেই পরিবেশ ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিল একটি দায়িত্বশীল সংগঠন হিসেবে বিচারাঙ্গণে বিচারের সুষ্ঠু পরিবেশ প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। তাই সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে সুপ্রিম কোর্ট তথা আইনাঙ্গণে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে ৯ সেপ্টেম্বরের প্রতিনিধি সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। যারা সম্মেলনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে তাদের অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক ভূমিকার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছে এই প্রতিনিধি সম্মেলন। সেই সাথে বর্তমান জালেম সরকারের অন্যায়, অনৈতিক ও অগণতান্ত্রিক আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিল সারাদেশের আইনজীবীগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছে।’

সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে নব-নির্বাচিত সভাপতি এডভোকেট জসিম উদ্দীন সরকার বলেন, বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিল আইনজীবীদের একটি দায়িত্বশীল সংগঠন। আইনজীবীদের যোগ্যতা ও দক্ষতা বিকাশের পাশাপাশি আইনাঙ্গণের সুষ্ঠু পরিবেশ ও আইনজীবীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। আগামী দিনেও নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় আইনজীবীদের অধিকার আদায়ের সকল আন্দোলন অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

বেলী/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সম্মেলন

প্রকাশের সময় : ০৪:১৮:২২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১০ সেপ্টেম্বর ২০২৩

ঢাকা ডেস্ক: বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিলের কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি সম্মেলন এডভোকেট জসিম উদ্দীন সরকারের সভাপতিত্বে ও এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দের সঞ্চালনায় ভার্চুয়াল মাধ্যমে শনিবার (৯ সেপ্টেম্বর) অনুষ্ঠিত হয়। প্রতিনিধি সম্মেলনে দেশের বিভিন্ন বার থেকে আইনজীবীগণ অংশগ্রহণ করেন। প্রতিনিধি সম্মেলনে প্রধান অতিথি ছিলেন ভারপ্রাপ্ত আমীরে জামায়াত ও সাবেক এমপি অধ্যাপক মুজিবুর রহমান। শুভেচ্ছা বক্তব্য রাখেন নূরুল ইসলাম বুলবুল ও আবদুর রহমান মুসা। সম্মেলনে বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিলের ২০২৪-২০২৬ সেশনের জন্য কেন্দ্রীয় সভাপতি ও সেক্রেটারী জেনারেল নির্বাচিত হন যথাক্রমে এডভোকেট জসিম উদ্দিন সরকার ও এডভোকেট মতিউর রহমান আকন্দ।

সম্মেলনে অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, মহান আল্লাহ রাব্বুল আলামীন পবিত্র কুরআন মাজীদে ঘোষণা করেছেন- তোমরা ইনসাফ কায়েম কর, মানুষের মধ্যে কল্যাণ প্রতিষ্ঠা কর, যাতে তারা উপকৃত হয়। নিকট আত্মীয়দের সহযোগিতা কর এবং অশ্লীল ও মন্দ কাজ হতে বিরত থাক। এটি মুসলিম উম্মাহর জন্য ফরজ। এ দায়িত্ব বোধ থেকেই বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিল দেশে আইনের শাসন, ন্যায় বিচার, মানবাধিকার ও আইনাঙ্গণে সুষ্ঠু পরিবেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। অন্যায়, জুলুম-নির্যাতন ও অবিচারের বিরুদ্ধে দাঁড়ানোই একজন আইনজীবীর নৈতিক দায়িত্ব।

তিনি আরও বলেন, বাংলাদেশের স্বাধীনতার ঘোষণাপত্রে বলা হয়েছিল এদেশে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠা হবে, জনগণ ভোট দিতে পারবে। যাকে খুশি তাকে ভোট দিবে। কিন্তু বর্তমানে দেশে কোন ভোটাধিকার নেই। ঘোষণাপত্রের সাথে বাস্তবতার কোন মিল নেই। বর্তমান ক্ষমতাসীন দলের নেতৃবৃন্দ স্বাধীনতার পর ক্ষমতা গ্রহণ করে গণতন্ত্রের পিঠে ছুরিকাঘাত করে বাকশাল কায়েম করেছিল। বিগত ১৫ বছর যাবত বর্তমান ক্ষমতাসীন সরকার দেশের গণতন্ত্র ও আইনের শাসনকে ভূলুণ্ঠিত করেছে। মানুষের মত প্রকাশের স্বাধীনতা এবং সকল সাংবিধানিক অধিকার কেড়ে নিয়েছে।

অধ্যাপক মুজিবুর রহমান বলেন, বর্তমান সরকারের আমলে সবচেয়ে দুঃশাসনের ও জুলুমের শিকার হয়েছে বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী। বিচারের নামে প্রহসন করে শীর্ষ নেতৃবৃন্দকে ফাঁসি দেয়া হয়েছে। নেতা-কর্মীদের দীর্ঘদিন যাবত কারাগারে আটক রাখা হয়েছে। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় কারান্তরীণ আল্লামা দেলাওয়ার হোসাইন সাঈদীকে যথাযথ চিকিৎসা দেয়া হয়নি। এমনকি তাঁর জানাযা আদায়ে বাধা প্রদান ও জানাযায় আগত মুসল্লিদের উপর হামলা করে আহত ও গ্রেফতার করা হয়েছে। কয়েক হাজার নেতাকর্মীর নামে মিথ্যা ও সাজানো মামলা দেয়া হয়েছে।

তিনি বলেন, বর্তমান শ্বাসরুদ্ধকর পরিস্থিতি থেকে উত্তরণের জন্য প্রয়োজন একটি অবাধ, সুষ্ঠু, নিরপেক্ষ এবং অংশগ্রহণমূলক নির্বাচন। আর এজন্য অবশ্যই কেয়ারটেকার সরকার প্রতিষ্ঠা করতে হবে যার রূপকার ছিলেন মরহুম অধ্যাপক গোলাম আযম (রহ:)। এর মাধ্যমে জনগণের সরকার প্রতিষ্ঠা করে দেশে শান্তি ও শৃঙ্খলা ফিরিয়ে আনা সম্ভব। তিনি আইনজীবীদেরকে মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার সংগ্রামে ঐক্যবদ্ধভাবে অংশগ্রহণ করার আহ্বান জানান। বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিলের প্রতিনিধি সম্মেলনে আইনাঙ্গণে বিদ্যমান পরিস্থিতি নিয়ে বিস্তারিত আলোচনার পর নিম্নোক্ত প্রস্তাব গৃহীত হয়।

‘বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিল দেশে আইনের শাসন, ন্যায় বিচার, মানবাধিকার ও আইনাঙ্গণের সুষ্ঠু পরিবেশ প্রতিষ্ঠার লক্ষ্যে কাজ করে যাচ্ছে। ইতোমধ্যেই লইয়ার্স কাউন্সিল সারাদেশের আইনজীবীদের মধ্যে সাড়া জাগাতে সক্ষম হয়েছে। লইয়ার্স কাউন্সিলের প্রতিনিধিগণ বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট, ঢাকা, চট্টগ্রাম, রাজশাহী, খুলনা, সিলেট, কুমিল্লা, সাতক্ষীরা, বগুড়া, সিরাজগঞ্জ, কক্সবাজার, নীলফামারী, দিনাজপুর, লক্ষ্মীপুর, চাঁদপুরসহ দেশের বিভিন্ন বার এসোসিয়েশনের নির্বাচনে বিজয় অর্জন করে আইনজীবীদের প্রতিনিধি হিসেবে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে আসছে। লইয়ার্স কাউন্সিলের উদ্যোগে তার স্বাভাবিক কার্যক্রমের অংশ হিসেবে ৯ সেপ্টেম্বর শনিবার বাংলাদেশ সুপ্রিম কোর্ট বার মিলনায়তনে প্রতিনিধি সম্মেলনের আয়োজন করা হয়েছিল। এই সম্মেলনে দুইজন সম্মানিত বিচারপতি অতিথি হিসেবে উপস্থিত থাকার জন্য সদয় সম্মতি জ্ঞাপন করেছিলেন। সারাদেশের আইনজীবীগণ তাদের পেশাগত দায়িত্বের অংশ হিসেবে উৎসাহ-উদ্দীপনার সাথে সম্মেলনে অংশগ্রহণ করার প্রস্তুতি গ্রহণ করছিলেন। লইয়ার্স কাউন্সিলের পক্ষ থেকে সকল নিয়ম-কানুন ও প্রচলিত পদ্ধতি অনুসরণ করে সুপ্রিম কোর্ট বারের শফিউর রহমান মিলনায়তনটি ভাড়া নেওয়া হয়েছিল। কিন্তু বর্তমান অগণতান্ত্রিক সরকারের দলীয় লোকেরা সম্মেলন অনুষ্ঠানে নানা প্রতিবন্ধকতা সৃষ্টি করে। এর মাধ্যমে তারা প্রমাণ করেছে যে, তারা সংবিধান, গণতন্ত্র ও নাগরিক অধিকারে বিশ্বাস করে না।

বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিল উদ্বেগের সাথে লক্ষ্য করছে যে, দেশের সর্বোচ্চ আদালত সুপ্রিম কোর্ট অঙ্গণে বেশ কিছু দিন যাবৎ ঐ একই গোষ্ঠী অসহিষ্ণু পরিবেশ তৈরি করে রেখেছে। তারা পরিকল্পিতভাবে সঙ্ঘাতমুখর পরিবেশ তৈরি করে ঘোলা পানিতে মাছ শিকার করতে চায়। অতীতে কোনো দিনও এমনকি বৃটিশ, পাকিস্তান এবং বাংলাদেশের সেনা শাসন আমলেও দেশের আদালত অঙ্গণের পরিবেশ কলুষিত হয়নি। বিচারকগণ আইনের ভিত্তিতে বিচারাঙ্গণে বিচার কার্য পরিচালনা করে আসছিলেন। কিন্তু আজ বাংলাদেশের বিচারাঙ্গণের সেই পরিবেশ ধ্বংস করে দেয়া হয়েছে। বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিল একটি দায়িত্বশীল সংগঠন হিসেবে বিচারাঙ্গণে বিচারের সুষ্ঠু পরিবেশ প্রতিষ্ঠায় বদ্ধপরিকর। তাই সামগ্রিক দিক বিবেচনা করে সুপ্রিম কোর্ট তথা আইনাঙ্গণে শান্তিপূর্ণ পরিবেশ বজায় রাখার স্বার্থে ৯ সেপ্টেম্বরের প্রতিনিধি সম্মেলন স্থগিত ঘোষণা করা হয়েছে। যারা সম্মেলনে প্রতিবন্ধকতা তৈরি করেছে তাদের অগণতান্ত্রিক ও অসাংবিধানিক ভূমিকার তীব্র নিন্দা ও প্রতিবাদ জ্ঞাপন করছে এই প্রতিনিধি সম্মেলন। সেই সাথে বর্তমান জালেম সরকারের অন্যায়, অনৈতিক ও অগণতান্ত্রিক আচরণের বিরুদ্ধে প্রতিবাদে সোচ্চার হওয়ার জন্য বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিল সারাদেশের আইনজীবীগণের প্রতি উদাত্ত আহ্বান জানাচ্ছে।’

সম্মেলনে সভাপতির বক্তব্যে নব-নির্বাচিত সভাপতি এডভোকেট জসিম উদ্দীন সরকার বলেন, বাংলাদেশ লইয়ার্স কাউন্সিল আইনজীবীদের একটি দায়িত্বশীল সংগঠন। আইনজীবীদের যোগ্যতা ও দক্ষতা বিকাশের পাশাপাশি আইনাঙ্গণের সুষ্ঠু পরিবেশ ও আইনজীবীদের ন্যায্য অধিকার প্রতিষ্ঠার আন্দোলনে নেতৃত্ব দিয়ে আসছে। আগামী দিনেও নিয়মতান্ত্রিক পন্থায় আইনজীবীদের অধিকার আদায়ের সকল আন্দোলন অব্যাহত থাকবে, ইনশাআল্লাহ। -প্রেস বিজ্ঞপ্তি।

বেলী/হককথা