নিউইয়র্ক ১২:০৬ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ১৮ অক্টোবর ২০২৪, ২ কার্তিক ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক চীন, রাশিয়া দিয়ে ঠিক হয় না

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৩৬:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩
  • / ১৬ বার পঠিত

সংগৃহীত ছবি

বাংলাদেশ ডেস্ক : রাশিয়া, চীন কিংবা অন্য কোনো দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বিবেচনায় নিয়ে ওয়াশিংটন ডিসি ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক নির্ধারণ করে না বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার। চলতি সপ্তাহে ঢাকায় বাসসকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। আফরিন আখতার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক চীন, রাশিয়া ও অন্য কোনো দেশের বিবেচনায় নির্ধারিত হয় না।’ তিনি বলেন, বহুমুখী ও বহুমাত্রিক সম্পর্কে আবদ্ধ ঢাকা ও ওয়াশিংটন ডিসির মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। যেমন—ঢাকা সম্প্রতি যে ইন্দো-প্যাসিফিক রূপরেখা (আইপিও) প্রকাশ করেছে, এর অনেক কিছুর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর কৌশলের (আইপিএস) অভিন্নতা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা ব্যাপকভাবে দুই দেশের নথিপত্র, আমাদের কৌশল ও আপনাদের (বাংলাদেশের) দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে অনেক মিল পেয়েছি। আমরা উভয়ে অবকাঠামো ও উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি গড়ে তোলার দিকে মনোনিবেশ করেছি।’

আফরিন আখতার জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যৌথ বিবৃতির কথা উল্লেখ করে ধন্যবাদ জানান। যৌথ বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদ লঙ্ঘন করে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের নিন্দা জানানো হয়। তিনি বলেন, ‘আমি শুধু রাশিয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্যের কথা বলতে চাই…আমরা সত্যিকার অর্থে ইতিবাচকভাবে একে স্বাগত জানাই।’ আফরিন বলেন, “বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক রূপরেখায় ‘সমুদ্র নিরাপত্তা’ বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য কোয়াড সদস্যদের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা এ বিষয়ে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার সুযোগ তৈরির চেষ্টা করব।” তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশে আইপিওর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যেখানে বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষ রপ্তানি গন্তব্য এবং বাংলাদেশে শীর্ষ বিনিয়োগকারী। সুতরাং আমরা আবারও আগামী বছরগুলোতে এটিই তৈরি করতে চাই।’

যুক্তরাষ্ট্র জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আফরিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে ‘জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্টের (জিএসওএমআইএ)’ অবশিষ্ট বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। এটি একটি আন্ত সরকার মৌলিক চুক্তি। এটি ব্যাপক সহযোগিতার সুযোগ তৈরি করবে। বিস্তারিত উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে (জিএসওএমআইএ) স্বাক্ষরিত হবে।’ জিএসওএমআইএ হলো যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য সরকারের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা সংক্রান্ত গোপন সামরিক তথ্য সুরক্ষার একটি পারস্পরিক আইনগত বাধ্যতামূলক চুক্তি।

আফরিন আখতার বলেন, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিতভাবে আলোচনা করেন। যুক্তরাষ্ট্র তার ইন্দো-প্যাসিফিক মেরিটাইম ডোমেইন অ্যাওয়ারনেস ইনিশিয়েটিভের (আইপিএমডিএ) অধীনে সমুদ্র এলাকায় একটি অভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার উন্নয়নের জন্য ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোতে রাডার প্রযুক্তি সরবরাহের পরিকল্পনা করেছে। র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার প্রশ্নে আফরিন বলেন, নিষেধাজ্ঞার পর ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে’ যাওয়া দেখে যুক্তরাষ্ট্র সন্তুষ্ট। তবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতিগত পরিবর্তন দেখতে হবে। আফরিন আখতার বলেন, বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং বিশেষ করে ‘কোথায় আইনটি প্রয়োগ করা হচ্ছে’, তা নিয়ে ওয়াশিংটন উদ্বিগ্ন। সূত্র : কালের কণ্ঠ

বেলী/হককথা

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ-যুক্তরাষ্ট্র সম্পর্ক চীন, রাশিয়া দিয়ে ঠিক হয় না

প্রকাশের সময় : ০৩:৩৬:০৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১৮ মে ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : রাশিয়া, চীন কিংবা অন্য কোনো দেশের সঙ্গে বাংলাদেশের সম্পর্ক বিবেচনায় নিয়ে ওয়াশিংটন ডিসি ঢাকার সঙ্গে সম্পর্ক নির্ধারণ করে না বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের ডেপুটি অ্যাসিস্ট্যান্ট সেক্রেটারি আফরিন আখতার। চলতি সপ্তাহে ঢাকায় বাসসকে দেওয়া একান্ত সাক্ষাৎকারে তিনি এ কথা বলেন। আফরিন আখতার বলেন, ‘যুক্তরাষ্ট্র-বাংলাদেশ সম্পর্ক চীন, রাশিয়া ও অন্য কোনো দেশের বিবেচনায় নির্ধারিত হয় না।’ তিনি বলেন, বহুমুখী ও বহুমাত্রিক সম্পর্কে আবদ্ধ ঢাকা ও ওয়াশিংটন ডিসির মধ্যে অনেক মিল রয়েছে। যেমন—ঢাকা সম্প্রতি যে ইন্দো-প্যাসিফিক রূপরেখা (আইপিও) প্রকাশ করেছে, এর অনেক কিছুর সঙ্গে যুক্তরাষ্ট্রের ভারত-প্রশান্ত মহাসাগর কৌশলের (আইপিএস) অভিন্নতা রয়েছে। যুক্তরাষ্ট্র কর্মকর্তা বলেন, ‘আমরা ব্যাপকভাবে দুই দেশের নথিপত্র, আমাদের কৌশল ও আপনাদের (বাংলাদেশের) দৃষ্টিভঙ্গির মধ্যে অনেক মিল পেয়েছি। আমরা উভয়ে অবকাঠামো ও উল্লেখযোগ্য উন্নয়ন প্রকল্পের মাধ্যমে এ অঞ্চলে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি গড়ে তোলার দিকে মনোনিবেশ করেছি।’

আফরিন আখতার জাপানের প্রধানমন্ত্রী ফুমিও কিশিদার সঙ্গে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার যৌথ বিবৃতির কথা উল্লেখ করে ধন্যবাদ জানান। যৌথ বিবৃতিতে আন্তর্জাতিক আইন ও জাতিসংঘ সনদ লঙ্ঘন করে ইউক্রেনে রুশ আগ্রাসনের নিন্দা জানানো হয়। তিনি বলেন, ‘আমি শুধু রাশিয়া সম্পর্কে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার সাম্প্রতিক বক্তব্যের কথা বলতে চাই…আমরা সত্যিকার অর্থে ইতিবাচকভাবে একে স্বাগত জানাই।’ আফরিন বলেন, “বাংলাদেশের ইন্দো-প্যাসিফিক রূপরেখায় ‘সমুদ্র নিরাপত্তা’ বিষয়ে জোর দেওয়া হয়েছে, যা যুক্তরাষ্ট্র ও অন্য কোয়াড সদস্যদের কাছেও গুরুত্বপূর্ণ। তাই আমরা এ বিষয়ে সহযোগিতা অব্যাহত রাখার সুযোগ তৈরির চেষ্টা করব।” তিনি বলেন, ‘অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি বাংলাদেশে আইপিওর গুরুত্বপূর্ণ উপাদান, যেখানে বাংলাদেশের জন্য যুক্তরাষ্ট্র শীর্ষ রপ্তানি গন্তব্য এবং বাংলাদেশে শীর্ষ বিনিয়োগকারী। সুতরাং আমরা আবারও আগামী বছরগুলোতে এটিই তৈরি করতে চাই।’

যুক্তরাষ্ট্র জ্যেষ্ঠ কর্মকর্তা আফরিন বলেন, যুক্তরাষ্ট্র বর্তমানে ‘জেনারেল সিকিউরিটি অব মিলিটারি ইনফরমেশন অ্যাগ্রিমেন্টের (জিএসওএমআইএ)’ অবশিষ্ট বিষয় নিয়ে বাংলাদেশ সরকারের সঙ্গে নিবিড়ভাবে কাজ করছে। এটি একটি আন্ত সরকার মৌলিক চুক্তি। এটি ব্যাপক সহযোগিতার সুযোগ তৈরি করবে। বিস্তারিত উল্লেখ না করে তিনি বলেন, ‘আমরা আশা করছি, আগামী কয়েক মাসের মধ্যে (জিএসওএমআইএ) স্বাক্ষরিত হবে।’ জিএসওএমআইএ হলো যুক্তরাষ্ট্র ও অন্যান্য সরকারের মধ্যে নিরাপত্তা সহযোগিতা সংক্রান্ত গোপন সামরিক তথ্য সুরক্ষার একটি পারস্পরিক আইনগত বাধ্যতামূলক চুক্তি।

আফরিন আখতার বলেন, ঢাকায় যুক্তরাষ্ট্র দূতাবাসের প্রতিরক্ষা অ্যাটাশে নিরাপত্তা সহযোগিতা নিয়ে বাংলাদেশের সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষের সঙ্গে নিয়মিতভাবে আলোচনা করেন। যুক্তরাষ্ট্র তার ইন্দো-প্যাসিফিক মেরিটাইম ডোমেইন অ্যাওয়ারনেস ইনিশিয়েটিভের (আইপিএমডিএ) অধীনে সমুদ্র এলাকায় একটি অভিন্ন কার্যক্রম পরিচালনার উন্নয়নের জন্য ইন্দো-প্যাসিফিক অঞ্চলের দেশগুলোতে রাডার প্রযুক্তি সরবরাহের পরিকল্পনা করেছে। র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহার প্রশ্নে আফরিন বলেন, নিষেধাজ্ঞার পর ‘বিচারবহির্ভূত হত্যা উল্লেখযোগ্যভাবে কমে’ যাওয়া দেখে যুক্তরাষ্ট্র সন্তুষ্ট। তবে নিষেধাজ্ঞা প্রত্যাহারের জন্য দীর্ঘমেয়াদি পদ্ধতিগত পরিবর্তন দেখতে হবে। আফরিন আখতার বলেন, বাংলাদেশের ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন এবং বিশেষ করে ‘কোথায় আইনটি প্রয়োগ করা হচ্ছে’, তা নিয়ে ওয়াশিংটন উদ্বিগ্ন। সূত্র : কালের কণ্ঠ

বেলী/হককথা