নিউইয়র্ক ০৮:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শহীদের ইন্তেকাল

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:২৭:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১
  • / ৩৪ বার পঠিত

হককথা রিপোর্ট: টাঙ্গাইলের কৃতি সন্তান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রিন্সিপ্যাল খন্দকার এনামুল করিম শহীদ (৭১) আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। মঙ্গলবার ৬ জুলাই (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ সময় রাত ১০ টা ২৫ মিনিটের দিকে ঢাকাস্থ ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি হৃদরোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, চার ছেলে, নাতি-নাতনী আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুণাগ্রাহী রেখে গেছেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় হলেও তিনি নিজ পরিবার নিয়ে পৌর শহরের থানাপাড়া বসবাস করতেন।
প্রিন্সিপ্যাল খন্দকার এনামুল করিম শহীদ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার এলাসিন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল এবং টাঙ্গাইলের ‘লর্ড ব্যাডেন পাউয়েল’ খ্যাত সাবেক জেলা স্কাউট লিডার, লৌহজং নদী রক্ষা আন্দোলন ও পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন।
নামাজে জানাজা

প্রিন্সিপ্যাল এনামুল করীম শহীদ ১৯৭০ সালে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে পড়াকালীন ছাত্র ইউনিয়নের সাথে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি এই কলেজের জিএস নির্বাচিত হন এবং তৎকালীন গণআন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মজলুম জননেতা খ্যাত মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর অনুসারী এই ছাত্রনেতা ছিলেন অসীম সাহসী। সত্তরের নির্বাচনে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের এমপি রফিক হত্যাকান্ডের জন্য তৎকালীন ইয়াহিয়া সরকার তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করে। কিন্তু এক বছর না পেরোতেই জেল থেকে তিনি মুক্ত হন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি বামপন্থীদের সাথে যুদ্ধে অংশ নেন। পরবর্তীতে তাঁর সুদৃঢ় নেতৃত্বে এবং সাংগঠনিক দক্ষতার গুণেই দেশব্যাপী ছাত্রদলের বিকাশ ঘটে।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানে রাজনীতিতে বিশ্বাসী এনামুল করীম শহীদ সমাজবিজ্ঞানের ছাত্র ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জসীমউদ্দীন হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। ১৯৭৯ সালে ঢাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে নির্বাচন করে প্রতিদ্ব›িদ্ব মাহমুদুর রহমান মান্না’র কাছে পরাজিত হন এবং সেই সময়ে ঢাকসু’র অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে সর্বিক সহায়তা দান করেন।
প্রেসিডেন্ট জিয়ার মৃত্যুর পরে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ক্ষমতায় এলে প্রিন্সিপ্যাল শহীদ এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে কারাবন্দী বন্দী হন এবং পরবর্তীতে মুক্তি পান।
তিনি এরশাদ সরকারের আমল থেকেই সহায়-সম্বল উজাড় করে টাঙ্গাইলের ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে প্রিয় নেতা ‘মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী’ নামে কলেজ প্রতিষ্ঠা করে সেখানেই অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বেশ কয়েক বছর হলো অবসরে গিয়ে তিনি টাঙ্গাইল শহরের থানাপাড়ার বাসায় বসবাস করছিলেন।
নামাজে জানাজা: মরহুম প্রিন্সিপ্যাল এনামুল করীম শহীদের নামাজে জানাজা পরদিন বুধবার (৭ জুলাই) বাদ জোহর টাঙ্গাইল বেবিস্ট্যান্ড মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। করোনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সর্বস্তরের বিপুল সংখ্যক টাঙ্গাইলবাসী জানাজায় অংশ নেন। তার মরদেহ টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবর স্থানে দাফন করা হয়।
এদিকে টাঙ্গাইল সহ দেশ ও প্রবাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ প্রিন্সিপ্যাল এনামুল করীম শহীদেও মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে তার বিদেহী আতœার মাগফেরাত কামনা করেছেন।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি শহীদের ইন্তেকাল

প্রকাশের সময় : ১২:২৭:২৮ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৮ জুলাই ২০২১

হককথা রিপোর্ট: টাঙ্গাইলের কৃতি সন্তান, বাংলাদেশ জাতীয়তাবাদী ছাত্রদলের প্রতিষ্ঠাতা সভাপতি প্রিন্সিপ্যাল খন্দকার এনামুল করিম শহীদ (৭১) আর নেই। ইন্নালিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাহি রাজিউন। মঙ্গলবার ৬ জুলাই (মঙ্গলবার) বাংলাদেশ সময় রাত ১০ টা ২৫ মিনিটের দিকে ঢাকাস্থ ইবনে সিনা হাসপাতালে চিকিৎসাধীন অবস্থায় তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন। তিনি হৃদরোগে ভুগছিলেন। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, চার ছেলে, নাতি-নাতনী আত্মীয় স্বজনসহ অসংখ্য গুণাগ্রাহী রেখে গেছেন। তার বাড়ি টাঙ্গাইলের নাগরপুর উপজেলায় হলেও তিনি নিজ পরিবার নিয়ে পৌর শহরের থানাপাড়া বসবাস করতেন।
প্রিন্সিপ্যাল খন্দকার এনামুল করিম শহীদ টাঙ্গাইলের দেলদুয়ার উপজেলার এলাসিন মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী ডিগ্রি কলেজের প্রতিষ্ঠাতা প্রিন্সিপাল এবং টাঙ্গাইলের ‘লর্ড ব্যাডেন পাউয়েল’ খ্যাত সাবেক জেলা স্কাউট লিডার, লৌহজং নদী রক্ষা আন্দোলন ও পরিবেশ রক্ষা আন্দোলনের সভাপতিসহ বিভিন্ন সংগঠনের সাথে জড়িত ছিলেন।
নামাজে জানাজা

প্রিন্সিপ্যাল এনামুল করীম শহীদ ১৯৭০ সালে পাবনা এডওয়ার্ড কলেজে পড়াকালীন ছাত্র ইউনিয়নের সাথে যুক্ত ছিলেন। পরবর্তীতে তিনি এই কলেজের জিএস নির্বাচিত হন এবং তৎকালীন গণআন্দোলনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করেন। মজলুম জননেতা খ্যাত মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানীর অনুসারী এই ছাত্রনেতা ছিলেন অসীম সাহসী। সত্তরের নির্বাচনে নির্বাচিত আওয়ামী লীগের এমপি রফিক হত্যাকান্ডের জন্য তৎকালীন ইয়াহিয়া সরকার তাকে যাবজ্জীবন কারাদন্ডে দন্ডিত করে। কিন্তু এক বছর না পেরোতেই জেল থেকে তিনি মুক্ত হন ও মহান মুক্তিযুদ্ধে যোগ দেন। মুক্তিযুদ্ধে তিনি বামপন্থীদের সাথে যুদ্ধে অংশ নেন। পরবর্তীতে তাঁর সুদৃঢ় নেতৃত্বে এবং সাংগঠনিক দক্ষতার গুণেই দেশব্যাপী ছাত্রদলের বিকাশ ঘটে।
শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানে রাজনীতিতে বিশ্বাসী এনামুল করীম শহীদ সমাজবিজ্ঞানের ছাত্র ছাড়াও ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের জসীমউদ্দীন হলের আবাসিক ছাত্র ছিলেন। ১৯৭৯ সালে ঢাকসু নির্বাচনে ভিপি পদে নির্বাচন করে প্রতিদ্ব›িদ্ব মাহমুদুর রহমান মান্না’র কাছে পরাজিত হন এবং সেই সময়ে ঢাকসু’র অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনে সর্বিক সহায়তা দান করেন।
প্রেসিডেন্ট জিয়ার মৃত্যুর পরে হুসেইন মুহাম্মদ এরশাদ ক্ষমতায় এলে প্রিন্সিপ্যাল শহীদ এরশাদ বিরোধী আন্দোলনে কারাবন্দী বন্দী হন এবং পরবর্তীতে মুক্তি পান।
তিনি এরশাদ সরকারের আমল থেকেই সহায়-সম্বল উজাড় করে টাঙ্গাইলের ধলেশ্বরী নদীর পাড়ে প্রিয় নেতা ‘মওলানা আব্দুল হামিদ খান ভাসানী’ নামে কলেজ প্রতিষ্ঠা করে সেখানেই অধ্যক্ষ হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। বেশ কয়েক বছর হলো অবসরে গিয়ে তিনি টাঙ্গাইল শহরের থানাপাড়ার বাসায় বসবাস করছিলেন।
নামাজে জানাজা: মরহুম প্রিন্সিপ্যাল এনামুল করীম শহীদের নামাজে জানাজা পরদিন বুধবার (৭ জুলাই) বাদ জোহর টাঙ্গাইল বেবিস্ট্যান্ড মসজিদে অনুষ্ঠিত হয়। করোনায় স্বাস্থ্যবিধি মেনে সর্বস্তরের বিপুল সংখ্যক টাঙ্গাইলবাসী জানাজায় অংশ নেন। তার মরদেহ টাঙ্গাইল কেন্দ্রীয় কবর স্থানে দাফন করা হয়।
এদিকে টাঙ্গাইল সহ দেশ ও প্রবাসের বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ প্রিন্সিপ্যাল এনামুল করীম শহীদেও মৃত্যুতে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে তার বিদেহী আতœার মাগফেরাত কামনা করেছেন।