নিউইয়র্ক ১১:১৩ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৮ জুলাই ২০২৫, ১৩ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলাদেশে মিনিকেট-নাজিরশাইল নামে কোনো ধান নেই: খাদ্যমন্ত্রী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:৪৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২১
  • / ৩৫ বার পঠিত

ঢাকা ডেস্ক : মিনিকেট আর নাজিরশাইল নামে কোনো ধান নেই বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। অন্যান্য জাতের ধানকে এসব ধানের চাল বলে বিক্রি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। ইন্টারন্যাশনাল নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড উপলক্ষে এ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, মিনিকেট নামে ধান নেই। যে সরু চাল খাওয়া হচ্ছে তার মধ্যে জিরাশাইল ও শম্পা কাটারিই বেশি। এমনকি নাজিরশাইল নামেও কোনো ধান নেই। তারা মিনিকেট বলে চালাচ্ছে। ২৮-কেও মিনিকেট বলে চালায়, ২৯-কেও মিনিকেট বলে চালায়, আর আমরাও (জনগণ) মিনিকেটই খুঁজি।

এ সময় সবাইকে সাদা স্বচ্ছ চালের পরিবর্তে লাল চাল খাওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, বাজারে মিনিকেট বলে চাল বিক্রি হচ্ছে কিন্তু মিনিকেট ধান নেই। ২৯, ২৮ জাতের ধানকে মিনিকেট বলা হচ্ছে।

এ বিষয়ে একটি গবেষণা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওই গবেষণার ফলাফল আমরা বিভিন্ন জায়গায় জানিয়েছি। কৃষি মন্ত্রণালয়কেও চিঠি দিয়েছি।

গবেষণায় কী পেলেন জানতে চাইলে সচিব বলেন, ওখানে আমরা এটাই পেলাম, ধান যেটাই উৎপাদন করা হোক না কেন নাম মিনিকেট! এটা তাদের ব্র্যান্ড নাম।

তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করব ব্রান্ডিং যে নামেই করা হোক, মূল ধানের নাম যেন লেখা হয়। যদি গরুর মাংস বিক্রি করা হয় তাহলে লিখতে হবে গরু। মহিষের মাংসকে গরু লিখে বিক্রি করতে পারবেন না। সেই কাজ আমরা করছি।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশে মিনিকেট-নাজিরশাইল নামে কোনো ধান নেই: খাদ্যমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ০৫:৪৯:৪৮ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২০ ডিসেম্বর ২০২১

ঢাকা ডেস্ক : মিনিকেট আর নাজিরশাইল নামে কোনো ধান নেই বলে জানিয়েছেন খাদ্যমন্ত্রী সাধন চন্দ্র মজুমদার। অন্যান্য জাতের ধানকে এসব ধানের চাল বলে বিক্রি করা হচ্ছে বলেও জানান তিনি।

সোমবার (২০ ডিসেম্বর) সচিবালয়ে এক প্রেস ব্রিফিংয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি এ তথ্য জানান। ইন্টারন্যাশনাল নিউট্রিশন অলিম্পিয়াড উপলক্ষে এ ব্রিফিংয়ের আয়োজন করা হয়।
মন্ত্রী বলেন, মিনিকেট নামে ধান নেই। যে সরু চাল খাওয়া হচ্ছে তার মধ্যে জিরাশাইল ও শম্পা কাটারিই বেশি। এমনকি নাজিরশাইল নামেও কোনো ধান নেই। তারা মিনিকেট বলে চালাচ্ছে। ২৮-কেও মিনিকেট বলে চালায়, ২৯-কেও মিনিকেট বলে চালায়, আর আমরাও (জনগণ) মিনিকেটই খুঁজি।

এ সময় সবাইকে সাদা স্বচ্ছ চালের পরিবর্তে লাল চাল খাওয়ার জন্য আহ্বান জানান তিনি।

খাদ্য মন্ত্রণালয়ের সচিব মোছাম্মৎ নাজমানারা খানুম বলেন, বাজারে মিনিকেট বলে চাল বিক্রি হচ্ছে কিন্তু মিনিকেট ধান নেই। ২৯, ২৮ জাতের ধানকে মিনিকেট বলা হচ্ছে।

এ বিষয়ে একটি গবেষণা করা হয়েছে জানিয়ে তিনি বলেন, ওই গবেষণার ফলাফল আমরা বিভিন্ন জায়গায় জানিয়েছি। কৃষি মন্ত্রণালয়কেও চিঠি দিয়েছি।

গবেষণায় কী পেলেন জানতে চাইলে সচিব বলেন, ওখানে আমরা এটাই পেলাম, ধান যেটাই উৎপাদন করা হোক না কেন নাম মিনিকেট! এটা তাদের ব্র্যান্ড নাম।

তিনি বলেন, আমরা চেষ্টা করব ব্রান্ডিং যে নামেই করা হোক, মূল ধানের নাম যেন লেখা হয়। যদি গরুর মাংস বিক্রি করা হয় তাহলে লিখতে হবে গরু। মহিষের মাংসকে গরু লিখে বিক্রি করতে পারবেন না। সেই কাজ আমরা করছি।