শিক্ষা মন্ত্রী দীপু মনি বলেছেন, ডিজিটাল ভর্তির মাধ্যমে ভর্তি-বাণিজ্য, কোচিং বাণিজ্য বন্ধ হয়েছে। আমাদের অভিভাবকদের মধ্যে যে অসুস্থ প্রতিযোগীতা ছিল, যেসব অনৈতিক ভর্তি কোচিং ও অনাকাঙ্ক্ষিত তদবির ছিলো এখন আর এ সুযোগ নেই।খবর বাংলাদেশ জার্নাল
রোববার রাজধানীর জাতীয় শিক্ষা ব্যবস্থাপনা একাডেমী (নায়েমে) বেসরকারি মাধ্যমিক স্কুলে ডিজিটাল লটারি অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
শিক্ষা মন্ত্রী বলেন, আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থায় একটি বড় পরিবর্তন আনতে চাচ্ছি। আমরা কী শিখছি বিষয়টি এমন নয়, আমরা কীভাবে ও কি করে শিখছি এ বিষয়ও রয়েছে। এক্ষেত্রে শিক্ষা উপকরণেও পরিবর্তন আসবে। সে অনুযায়ী কাজ করছে সরকার। আমরা ২০৩০ সালের মধ্যে শিক্ষাব্যবস্থার বড় পরিবর্তন করতে চাই।
দীপু মনি বলেন, শিক্ষার সকল পর্যায়ে আমরা মানোন্নায়ন করবো। আমাদের শিক্ষা ব্যবস্থা অনেকক্ষেত্রে পরীক্ষা নির্ভর। মনে হয় পুরো প্রক্রিয়াটায় একটি সনদ পাবার জন্য শিক্ষার্থীরা লড়ছে। পুরো বিষয়টাই এমন যে কত নম্বর পেলাম। আসলে আমাদের মাইন্ডসেট এর বিষয়ে একটি সমস্যা আছে। আমরা এর থেকে ধীরে ধীরে বেরিয়ে আসছি।
ভর্তি নয় ভর্তি যুদ্ধ উল্লেখ করে তিনি বলেন, ডিজিটাল লটারির মাধ্যমে যে ভর্তি যুদ্ধ করতে হতো কোমলমতি শিক্ষার্থীদের তা থেকে আমরা বেরিয়ে এসেছি। আমাদের যেসব নেতিবাচক চর্চা রয়েছে তা থেকে বেরিয়ে এসে ইতিবাচক চর্চার চেষ্টা করছি।
সবচেয়ে ভাল নম্বর পাওয়া বাচ্চারা একটি স্কুলে, বাকি বাচ্চারা অন্যস্কুলে। এটাই ছিলো আমাদের অবস্থা। কিন্তু বিশ্বজুড়ে এখন মিক্স লেভেলের শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের বিষয়ে বিশেষজ্ঞরা অভিমত দিচ্ছেন। এরফলে দেশের নামকরা প্রতিষ্ঠানকেও এখন নতুন করে চ্যালেঞ্জ নিতে হবে।
দীপু মনি বলেন, শ্রেণিকক্ষের সাইজের পরিবর্তন, মিড ডে মিল, ও মেয়েদেরকে আয়রন খাওয়ানোর পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে সরকার। শিক্ষকদের বিষয়ে তিনি বলেন, শিক্ষক প্রশিক্ষণ এখন খুবই গুরুত্বপূর্ণ। এখন শিক্ষার্থীদের মূল্যায়নের বিষয়ে সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ অবদান রাখবেন শিক্ষকরা। এ বিষয়ে তাদের উপর আমাদের আস্থা ও বিশ্বাস রয়েছে।
অনুষ্ঠানে আরো উপস্থিত ছিলেন মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরের মহাপরিচালক সৈয়দ গোলাম ফারুক, শিক্ষামন্ত্রণালয়ের অতিরিক্ত সচিব ফৌজিয়া জাফরিন, ঢাকা শিক্ষাবোর্ডের চেয়ারম্যান নেহাল আহমেদ প্রমুখ।