নিউইয়র্ক ০৮:০৬ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলাদেশে আড়িপাতা : ফোনালাপ গোপনে রেকর্ড করে ফাঁস করা কি অপরাধ?

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:২৬:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০২০
  • / ১৩৩ বার পঠিত

সাইয়েদা আক্তার, ঢাকা: বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কয়েকজনের টেলিফোন আলাপ ফাঁস হবার ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ ফোন আলাপ ফাঁস হবার ঘটনা গত রাতের (২২ অক্টোবর)। এতে শোনা যাচ্ছে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের সঙ্গে সাংবাদিক আব্দুর রব মজুমদারের কথোপকথন। এর আগে গত কয়েক বছরে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ফোন কল, এরপর বিএনপি নেতা তারেক রহমান ও শমসের মবিন চৌধুরী, সাদেক হোসেন খোকা ও মাহমুদুর রহমান মান্না, মাহি বি চৌধুরী ও মাহমুদুর রহমান মান্না, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী- এরকম বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের টেলিফোন কথোপকথন ফাঁস হয়েছে।
এসব ফোনালাপ ফাঁসের উৎস কি? আইন কি বলে?
ফোন আলাপ ফাঁসের উৎস সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য জানা যায়না। কিন্তু ফোনে আড়ি পাতা এবং ফোনালাপ প্রকাশ নিয়ে বাংলাদেশের আইনে সুস্পষ্ট কিছু আইনে উল্লেখ নেই- বলছেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়–য়া ।
ফোনে আড়িপাতা এবং ফোনালাপ প্রকাশ নিয়ে বাংলাদেশের আইনে অস্পষ্টতা আছে
‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইনে একটি ধারা আছে যেখানে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা সংস্থা যদি প্রয়োজন মনে করে, তদন্তের স্বার্থে বা মামলার স্বার্থে হতে পারে, তাহলে টেলিফোন সেবা দাতা সংস্থা তাদের সব রকমের তথ্য দিতে বাধ্য থাকবে’- বলেন তিনি। ‘কিন্তু তারা যে কারো ফোনে আড়ি পাততে পারবে- এমন কোন সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা বা ক্ষমতা দিয়ে কোন আইনি বিধান নেই। বরং উল্টোটা আছে। যেকোন নাগরিকের ব্যক্তিগত যোগাযোগের গোপনীয়তার নিশ্চয়তা দিচ্ছে বাংলাদেশের সংবিধান।’
২০০১ সালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন পাস হয়, পরবর্তীতে ২০১০ সালে সেই আইনটি সংশোধন করা হয়। এ আইনে ফোনে আড়ি পাতাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করা হয়েছে। তবে, গোয়েন্দা সংস্থা, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা, তদন্ত সংস্থার মতো সরকারি সংস্থাগুলোর বাইরে যে কোন ব্যক্তির কথোপকথন আড়ি পেতে রেকর্ড করলে বা প্রচার করলে দুই বছর কারাদন্ড এবং পাঁচ কোটি টাকা অর্থদন্ডের বিধান রয়েছে।
কিন্তু সরকারি সংস্থাগুলো তদন্তের স্বার্থে বা রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে কোন নাগরিকের ফোনে আড়ি পাততে চাইলে কি তাদের কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়? মিঃ বড়–য়া বলেছেন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, জন শৃঙ্খলা এসব বিষয়ে যেকোন কর্মকর্তাকে সরকারের অনুমতি নিতে হয়, কিন্তু যেহেতু আইনে এ বিষয়ে পরিষ্কার কিছু বলা নেই, সে কারণে অনেক সময়ই বিষয়গুলো নিয়ে কড়াকড়ি তেমন থাকেনা। তবে, নির্দিষ্ট কোন নাগরিকের কর্মকান্ড যদি রাষ্ট্রের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বা হুমকি না হয়, তাহলে আদালতের নির্দেশনা ছাড়া কারো ফোনে কেউ বৈধভাবে আড়ি পাততে পারবে না।
ফোন ট্যাপিংএর জন্য বহু রকমের প্রযুক্তি আছে
কিভাবে ফাঁস হয় ফোনালাপ?
এ পর্যন্ত যতগুলো ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে, সেসবের কোন উৎস জানা যায় না। কিন্তু কিভাবে একজন নাগরিকের ফোনে আড়ি পাতা যায়?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের সহকারী অধ্যাপক রিজভী শাহরিয়ার বলছেন, সেলফোন স্পাইং বা সেলফোন সার্ভেইলেন্স বা নজরদারির মাধ্যমে ফোন ট্র্যাক করা, কথোপকথন রেকর্ড করা এমনকি টেক্সট মেসেজও পড়া যায়।
‘এটি সরকারি সংস্থা যেমন পুলিশ বা সামরিক বাহিনী বৈধভাবেই করতে পারে, সেজন্য স্টিং রে ডিভাইস নামে কিছু যন্ত্র আছে, সেগুলো ব্যবহার করা হয়। আবার ব্যক্তি পর্যাযয়ে সেটি করতে চাইলে সেলফোন স্পাইং সফটওয়্যার ইনস্টল করে দিলে, দূর থেকেও ফোন ট্র্যাক করা, কথোপকথন রেকর্ড করা এমনকি টেক্সট মেসেজ পড়া সম্ভব।’ এছাড়া বাগিং নামের আরেকটি পদ্ধতি আছে, যাতে মোবাইলে রিঙ্গিং ফিচারকে ডিজেবল করে দিয়ে মাইক্রোফোনের অ্যাকসেস নেয়া। এর ফলে ঐ মোবাইল ফোন দিয়ে যত কথা হবে, যত টেক্সট মেসেজ পাঠানো হবে, সবই অপর পক্ষের কাছে চলে আসবে।
ফোনে আড়িপাতা ঠেকানো যাবে কিভাবে?
অধ্যাপক রিজভী শাহরিয়ার বলছেন- ‘যদি দেখেন আপনার স্মার্টফোনটি হঠাৎই কোন কারণ ছাড়াই স্প্রিংপিং মোড থেকে অ্যালাইভ হয়ে উঠছে, কিংবা হয়তো সিপিইউ থেকে চার্জ নিচ্ছিল, হঠাৎ দেখা গেল ফোন গরম হয়ে গেছে, তাহলে বুঝতে হবে আপনার ফোনটি হয়ত কম্প্রোমাইজ অর্থাৎ সেটিতে কেউ স্পাইয়িং সফটওয়্যার ইনস্টল করেছে। সেক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে ফোনের ব্যাটারি খুলে ফেলতে হবে, এবং নতুন করে রিস্টার্ট দিতে হবে।’
অধ্যাপক শাহরিয়ার বলছেন, সাবধান থাকার জন্য নিজের ফোন অন্য কারো হাতে না দেয়া এবং পাসওয়ার্ড জাতীয় তথ্য অন্য কারো সাথে শেয়ার না করাই উচিত। এছাড়া, মাইক্রোফোন বা ক্যামেরা অ্যাকসেস নিয়ন্ত্রনের জন্য এক ধরণের সুইচ পাওয়া যায় সেটি ফোনের হার্ডওয়্যারে সংযুক্ত করা যেতে পারে। আর, কোন ফোনালাপ কোন সূত্র থেকে ফাঁস হয়েছে, সেটি অনুসন্ধান করা সম্ভব, বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী স্টিং রে ডিভাইস ব্যবহার করে সেটি বের করতে পারে। তবে কেউ যদি মনে করেন ফোনালাপ ফাঁসের জন্য তার অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে সেক্ষেত্রে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হতে পারেন। (বিবিসি বাংলা)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশে আড়িপাতা : ফোনালাপ গোপনে রেকর্ড করে ফাঁস করা কি অপরাধ?

প্রকাশের সময় : ০২:২৬:১৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৮ অক্টোবর ২০২০

সাইয়েদা আক্তার, ঢাকা: বাংলাদেশে সাম্প্রতিক সময়ে বিরোধী রাজনৈতিক নেতৃবৃন্দের কয়েকজনের টেলিফোন আলাপ ফাঁস হবার ঘটনা ঘটেছে। সর্বশেষ ফোন আলাপ ফাঁস হবার ঘটনা গত রাতের (২২ অক্টোবর)। এতে শোনা যাচ্ছে তত্ত¡াবধায়ক সরকারের সাবেক উপদেষ্টা ব্যারিস্টার মইনুল হোসেনের সঙ্গে সাংবাদিক আব্দুর রব মজুমদারের কথোপকথন। এর আগে গত কয়েক বছরে বিএনপি চেয়ারপার্সন খালেদা জিয়াকে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার দেয়া ফোন কল, এরপর বিএনপি নেতা তারেক রহমান ও শমসের মবিন চৌধুরী, সাদেক হোসেন খোকা ও মাহমুদুর রহমান মান্না, মাহি বি চৌধুরী ও মাহমুদুর রহমান মান্না, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী- এরকম বেশ কয়েকজন রাজনৈতিক ব্যক্তিত্বের টেলিফোন কথোপকথন ফাঁস হয়েছে।
এসব ফোনালাপ ফাঁসের উৎস কি? আইন কি বলে?
ফোন আলাপ ফাঁসের উৎস সম্পর্কে আনুষ্ঠানিক কোন বক্তব্য জানা যায়না। কিন্তু ফোনে আড়ি পাতা এবং ফোনালাপ প্রকাশ নিয়ে বাংলাদেশের আইনে সুস্পষ্ট কিছু আইনে উল্লেখ নেই- বলছেন আইনজীবী জ্যোতির্ময় বড়–য়া ।
ফোনে আড়িপাতা এবং ফোনালাপ প্রকাশ নিয়ে বাংলাদেশের আইনে অস্পষ্টতা আছে
‘বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইনে একটি ধারা আছে যেখানে বলা হয়েছে, নিরাপত্তা সংস্থা যদি প্রয়োজন মনে করে, তদন্তের স্বার্থে বা মামলার স্বার্থে হতে পারে, তাহলে টেলিফোন সেবা দাতা সংস্থা তাদের সব রকমের তথ্য দিতে বাধ্য থাকবে’- বলেন তিনি। ‘কিন্তু তারা যে কারো ফোনে আড়ি পাততে পারবে- এমন কোন সুস্পষ্ট দিকনির্দেশনা বা ক্ষমতা দিয়ে কোন আইনি বিধান নেই। বরং উল্টোটা আছে। যেকোন নাগরিকের ব্যক্তিগত যোগাযোগের গোপনীয়তার নিশ্চয়তা দিচ্ছে বাংলাদেশের সংবিধান।’
২০০১ সালে বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন পাস হয়, পরবর্তীতে ২০১০ সালে সেই আইনটি সংশোধন করা হয়। এ আইনে ফোনে আড়ি পাতাকে শাস্তিযোগ্য অপরাধ করা হয়েছে। তবে, গোয়েন্দা সংস্থা, আইন শৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী, জাতীয় নিরাপত্তা সংস্থা, তদন্ত সংস্থার মতো সরকারি সংস্থাগুলোর বাইরে যে কোন ব্যক্তির কথোপকথন আড়ি পেতে রেকর্ড করলে বা প্রচার করলে দুই বছর কারাদন্ড এবং পাঁচ কোটি টাকা অর্থদন্ডের বিধান রয়েছে।
কিন্তু সরকারি সংস্থাগুলো তদন্তের স্বার্থে বা রাষ্ট্রীয় প্রয়োজনে কোন নাগরিকের ফোনে আড়ি পাততে চাইলে কি তাদের কর্তৃপক্ষের অনুমতি নিতে হয়? মিঃ বড়–য়া বলেছেন, রাষ্ট্রীয় নিরাপত্তা, জন শৃঙ্খলা এসব বিষয়ে যেকোন কর্মকর্তাকে সরকারের অনুমতি নিতে হয়, কিন্তু যেহেতু আইনে এ বিষয়ে পরিষ্কার কিছু বলা নেই, সে কারণে অনেক সময়ই বিষয়গুলো নিয়ে কড়াকড়ি তেমন থাকেনা। তবে, নির্দিষ্ট কোন নাগরিকের কর্মকান্ড যদি রাষ্ট্রের জন্য মারাত্মক ক্ষতিকর বা হুমকি না হয়, তাহলে আদালতের নির্দেশনা ছাড়া কারো ফোনে কেউ বৈধভাবে আড়ি পাততে পারবে না।
ফোন ট্যাপিংএর জন্য বহু রকমের প্রযুক্তি আছে
কিভাবে ফাঁস হয় ফোনালাপ?
এ পর্যন্ত যতগুলো ফোনালাপ ফাঁস হয়েছে, সেসবের কোন উৎস জানা যায় না। কিন্তু কিভাবে একজন নাগরিকের ফোনে আড়ি পাতা যায়?
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের তথ্যপ্রযুক্তি ইন্সটিটিউটের সহকারী অধ্যাপক রিজভী শাহরিয়ার বলছেন, সেলফোন স্পাইং বা সেলফোন সার্ভেইলেন্স বা নজরদারির মাধ্যমে ফোন ট্র্যাক করা, কথোপকথন রেকর্ড করা এমনকি টেক্সট মেসেজও পড়া যায়।
‘এটি সরকারি সংস্থা যেমন পুলিশ বা সামরিক বাহিনী বৈধভাবেই করতে পারে, সেজন্য স্টিং রে ডিভাইস নামে কিছু যন্ত্র আছে, সেগুলো ব্যবহার করা হয়। আবার ব্যক্তি পর্যাযয়ে সেটি করতে চাইলে সেলফোন স্পাইং সফটওয়্যার ইনস্টল করে দিলে, দূর থেকেও ফোন ট্র্যাক করা, কথোপকথন রেকর্ড করা এমনকি টেক্সট মেসেজ পড়া সম্ভব।’ এছাড়া বাগিং নামের আরেকটি পদ্ধতি আছে, যাতে মোবাইলে রিঙ্গিং ফিচারকে ডিজেবল করে দিয়ে মাইক্রোফোনের অ্যাকসেস নেয়া। এর ফলে ঐ মোবাইল ফোন দিয়ে যত কথা হবে, যত টেক্সট মেসেজ পাঠানো হবে, সবই অপর পক্ষের কাছে চলে আসবে।
ফোনে আড়িপাতা ঠেকানো যাবে কিভাবে?
অধ্যাপক রিজভী শাহরিয়ার বলছেন- ‘যদি দেখেন আপনার স্মার্টফোনটি হঠাৎই কোন কারণ ছাড়াই স্প্রিংপিং মোড থেকে অ্যালাইভ হয়ে উঠছে, কিংবা হয়তো সিপিইউ থেকে চার্জ নিচ্ছিল, হঠাৎ দেখা গেল ফোন গরম হয়ে গেছে, তাহলে বুঝতে হবে আপনার ফোনটি হয়ত কম্প্রোমাইজ অর্থাৎ সেটিতে কেউ স্পাইয়িং সফটওয়্যার ইনস্টল করেছে। সেক্ষেত্রে সঙ্গে সঙ্গে ফোনের ব্যাটারি খুলে ফেলতে হবে, এবং নতুন করে রিস্টার্ট দিতে হবে।’
অধ্যাপক শাহরিয়ার বলছেন, সাবধান থাকার জন্য নিজের ফোন অন্য কারো হাতে না দেয়া এবং পাসওয়ার্ড জাতীয় তথ্য অন্য কারো সাথে শেয়ার না করাই উচিত। এছাড়া, মাইক্রোফোন বা ক্যামেরা অ্যাকসেস নিয়ন্ত্রনের জন্য এক ধরণের সুইচ পাওয়া যায় সেটি ফোনের হার্ডওয়্যারে সংযুক্ত করা যেতে পারে। আর, কোন ফোনালাপ কোন সূত্র থেকে ফাঁস হয়েছে, সেটি অনুসন্ধান করা সম্ভব, বলে মনে করেন বিশেষজ্ঞরা। এজন্য আইনশৃঙ্খলা বাহিনী স্টিং রে ডিভাইস ব্যবহার করে সেটি বের করতে পারে। তবে কেউ যদি মনে করেন ফোনালাপ ফাঁসের জন্য তার অধিকার লঙ্ঘিত হয়েছে সেক্ষেত্রে তিনি আদালতের শরণাপন্ন হতে পারেন। (বিবিসি বাংলা)