নিউইয়র্ক ০৯:১৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলাদেশের ২১তম প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা’র শপথ গ্রহণ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৪৮:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০১৫
  • / ২৬৫১ বার পঠিত

ঢাকা: বাংলাদেশের ২১তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এস কে সিনহা)। ১৭ জানুয়ারী শনিবার বেলা এগারটার দিকে বঙ্গভবনে তাকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, সদ্য বিদায়ী প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন, সাবেক প্রধান বিচারপতিগণ, মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, প্রতিমন্ত্রীবৃন্দ, সুপ্রীম কোর্টের বিচারকগণ, তিন বাহিনী প্রধান সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা।
সংক্ষিপ্ত জীবনী: প্রয়াত ললিত মোহন সিনহা ও ধনবতী সিনহার পুত্র বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জের আলীনগর ইউনিয়নের তিলকপুর গ্রামে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এলএলবি পাস করার পর ১৯৭৪ সালে সিলেট জেলা জজ আদালতে এডভোকেট হিসেবে কাজ শুরু করেন। সেখানে দু’জন বিশিষ্ট আইনজীবীর তত্ত্বাবধানে কাজ করেন। এরপর ১৯৭৮ সালে হাইকোর্টে এবং ১৯৯০ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী পেশায় আতœনিয়োগ করেন। ১৯৯৯ সালের ২৪ অক্টোবর তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০১ সালের ২৪ অক্টোবর তার চাকরি স্থায়ী হয়। হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগপ্রাপ্তির পূর্ব পর্যন্ত তিনি উচ্চতর আদালতে প্রখ্যাত আইনজীবী এস আর পালের তত্ত্বাবধানে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালের ১৬ আগস্ট তাকে আপিল বিভাগে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। বিচারপতি এস কে সিনহা বর্তমানে জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনেরও চেয়ারম্যান। গত ১২ জানুয়াী সোমবার প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এস কে সিনহা। তিনি ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারী পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন।
বিচারপতি সিনহা বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির প্রতিনিধি হিসেবে ২০০২ সালে লক্ষেণৗতে অনুষ্ঠিত বিশ্বের প্রধান বিচারপতিগণের তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেন। তিনি ২০০৬ সালে কোরিয়ার সিউলে বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিগণের বিচার প্রশিক্ষণ এবং ২০১০ সালে কোরিয়ায় বিচার বিভাগীয় উন্নয়ন কর্মসূচিতে যোগ দেন।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

বাংলাদেশের ২১তম প্রধান বিচারপতি এস কে সিনহা’র শপথ গ্রহণ

প্রকাশের সময় : ১১:৪৮:১৭ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৭ জানুয়ারী ২০১৫

ঢাকা: বাংলাদেশের ২১তম প্রধান বিচারপতি হিসেবে শপথ নিয়েছেন বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহা (এস কে সিনহা)। ১৭ জানুয়ারী শনিবার বেলা এগারটার দিকে বঙ্গভবনে তাকে শপথ পড়ান রাষ্ট্রপতি মোহাম্মদ আবদুল হামিদ। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, স্পিকার ড. শিরিন শারমিন চৌধুরী, সদ্য বিদায়ী প্রধান বিচারপতি মোজাম্মেল হোসেন, সাবেক প্রধান বিচারপতিগণ, মন্ত্রিসভার সদস্যবৃন্দ, জাতীয় সংসদে বিরোধী দলীয় নেতা রওশন এরশাদ, প্রধানমন্ত্রীর উপদেষ্টাগণ, প্রতিমন্ত্রীবৃন্দ, সুপ্রীম কোর্টের বিচারকগণ, তিন বাহিনী প্রধান সহ বিশিষ্ট ব্যক্তিবর্গ এসময় উপস্থিত ছিলেন। শপথ অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মোশাররাফ হোসাইন ভূঁইঞা।
সংক্ষিপ্ত জীবনী: প্রয়াত ললিত মোহন সিনহা ও ধনবতী সিনহার পুত্র বিচারপতি সুরেন্দ্র কুমার সিনহার বাড়ি মৌলভীবাজার জেলার কমলগঞ্জের আলীনগর ইউনিয়নের তিলকপুর গ্রামে। তিনি চট্টগ্রাম বিশ্ববিদ্যালয়ের অধীনে এলএলবি পাস করার পর ১৯৭৪ সালে সিলেট জেলা জজ আদালতে এডভোকেট হিসেবে কাজ শুরু করেন। সেখানে দু’জন বিশিষ্ট আইনজীবীর তত্ত্বাবধানে কাজ করেন। এরপর ১৯৭৮ সালে হাইকোর্টে এবং ১৯৯০ সালে আপিল বিভাগে আইনজীবী পেশায় আতœনিয়োগ করেন। ১৯৯৯ সালের ২৪ অক্টোবর তিনি হাইকোর্ট বিভাগের অতিরিক্ত বিচারক হিসেবে নিয়োগ পান। ২০০১ সালের ২৪ অক্টোবর তার চাকরি স্থায়ী হয়। হাইকোর্ট বিভাগে নিয়োগপ্রাপ্তির পূর্ব পর্যন্ত তিনি উচ্চতর আদালতে প্রখ্যাত আইনজীবী এস আর পালের তত্ত্বাবধানে পেশাগত দায়িত্ব পালন করেন। ২০০৯ সালের ১৬ আগস্ট তাকে আপিল বিভাগে বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ দেয়া হয়। বিচারপতি এস কে সিনহা বর্তমানে জুডিসিয়াল সার্ভিস কমিশনেরও চেয়ারম্যান। গত ১২ জানুয়াী সোমবার প্রধান বিচারপতি হিসেবে নিয়োগ পান সুপ্রীম কোর্টের আপিল বিভাগের জ্যেষ্ঠ বিচারপতি এস কে সিনহা। তিনি ২০১৮ সালের ৩১ জানুয়ারী পর্যন্ত দায়িত্বে থাকবেন।
বিচারপতি সিনহা বাংলাদেশের প্রধান বিচারপতির প্রতিনিধি হিসেবে ২০০২ সালে লক্ষেণৗতে অনুষ্ঠিত বিশ্বের প্রধান বিচারপতিগণের তৃতীয় আন্তর্জাতিক সম্মেলনে যোগ দেন। তিনি ২০০৬ সালে কোরিয়ার সিউলে বাংলাদেশের জ্যেষ্ঠ বিচারপতিগণের বিচার প্রশিক্ষণ এবং ২০১০ সালে কোরিয়ায় বিচার বিভাগীয় উন্নয়ন কর্মসূচিতে যোগ দেন।