নিউইয়র্ক ০২:১৭ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে রেজুলেশন

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:২০:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মার্চ ২০২১
  • / ৭৬ বার পঠিত

সালাহউদ্দিন আহমেদ: বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে (নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ) একটি রেজুলেশন উত্থাপিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের সংগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতার কথা উল্লেখ আছে। নিউইয়র্ক থেকে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাবনাময়ী ও আলোচিত কংগ্রেসওমান আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ সহ আরো দুই প্রতিনিধি পরিষদে গত ১৬ মার্চ রেজুলেশনটি উত্থাপন করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ১১৭তম কংগ্রেসের ফাস্ট সেশনে উত্থাপিত রেজুলেশনটি কংগ্রেসের অপর দুই সদস্য হলেন রাশিদা তাইয়্যিব (মিশিগান) ও জিমি গোমেজ (ক্যালিফোর্নিয়া)। এছাড়াও কংগ্রেসের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ার প্রবীণ কংগ্রেসম্যান গ্রেগরী মিক্স (নিউইয়র্ক) রেজুলেশনটির কো-স্পন্সর। রেজুলেশনটি চুড়ান্তভাবে গ্রহণের জন্য প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
ওয়াশিংটন ডিসিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। এছাড়াও কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে প্রস্তাবটি প্রকাশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে নিউইয়র্ক ষ্টেট, মিশিগান এবং নিউজার্সী অঙ্গরাজ্যের আইন সভায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস স্মরণে রেজুলেশন গৃহীত হয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের রাজধানী আলবেনীর ক্যাপিটাল হিলে অ্যাসেম্বলী ও সিনেট হাউজে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে। সর্বশেষ মুজিববর্ষ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে নিউজার্সী স্টেট সিনেট এবং জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে যৌথভাবে রেজ্যুলেশন গৃহীত হয়। গত ৫ মার্চ নিউজার্সী প্লেইন্সবরো সিটি কাউন্সিলের মেম্বার এবং যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরুন্নবী সহ বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের কাছে এই রেজুলেশনের কপি হস্তান্তর করেন নিউজার্সী স্টেট সিনেটর লিন্ডা এম গ্রিনস্টাইন।
ইউএস কংগ্রেসে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী স্মরণে উত্থাপিত রেজুলেশনটির শুরুতেই ১৯৪৭ সালের দেশভাগের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলা ১৯৫৪ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা, পরবর্তীতে ১৯৭০ এর নির্বাচন এবং নির্বাচনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ ছাড়াও ১৯৭১-এর দীর্ঘ ৯ মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা তুলে ধরা হয়েছে। রেজুলেশনে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং ৯ মাসের যুদ্ধে লাখো মানুষ শহীদ ও বাস্তুচ্যুত হয় এবং ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ভারতীয় ও বাংলাদেশী যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।
রেজুলেশনটিতে আরো উল্লেখ করা হয় যে, ১৯৭২ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারী তৎকালীন আমেরিকান সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য দেন এবং বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের সংগ্রাম……আমাদের অতীতের মহান স্মৃতি জাগ্রত করে। এবং স্বাধীনতাকামী মানুষের সাথে আমেরিকার জনগনের ভালবাসা রয়েছে।’
এছাড়াও রেজুলেশনটিতে বলা হয় যে, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারে গণহত্যার মুখে পালিয়ে আসা ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয় বাংলাদেশ।
রেজুলেশনটির মূল ৫টি প্রস্তাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী, বাংলাদেশীদের ঐতিহাসিক শিল্প-সংস্কৃতি-সমৃদ্ধি, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের সংগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতাপূর্ন অবদান, গণতান্ত্রিক শাসনের মূলনীতির প্রতি প্রতি বাংলাদেশের জনগণ অঙ্গীকারবদ্ধ এবং গণহত্যার মুখে মিয়ানমারে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবদানের কথা তুলে ধরা হয়েছে।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্র কংগ্রেসে রেজুলেশন

প্রকাশের সময় : ০২:২০:১৯ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ১৯ মার্চ ২০২১

সালাহউদ্দিন আহমেদ: বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের কংগ্রেসে (নিম্নকক্ষ প্রতিনিধি পরিষদ) একটি রেজুলেশন উত্থাপিত হয়েছে। এতে বাংলাদেশের স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের সংগ্রামে বীর মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতার কথা উল্লেখ আছে। নিউইয়র্ক থেকে দ্বিতীয়বারের মতো নির্বাচিত যুক্তরাষ্ট্রের সম্ভাবনাময়ী ও আলোচিত কংগ্রেসওমান আলেক্সান্দ্রিয়া ওকাসিও-কর্টেজ সহ আরো দুই প্রতিনিধি পরিষদে গত ১৬ মার্চ রেজুলেশনটি উত্থাপন করেন। যুক্তরাষ্ট্রের ১১৭তম কংগ্রেসের ফাস্ট সেশনে উত্থাপিত রেজুলেশনটি কংগ্রেসের অপর দুই সদস্য হলেন রাশিদা তাইয়্যিব (মিশিগান) ও জিমি গোমেজ (ক্যালিফোর্নিয়া)। এছাড়াও কংগ্রেসের ফরেন অ্যাফেয়ার্স কমিটির চেয়ার প্রবীণ কংগ্রেসম্যান গ্রেগরী মিক্স (নিউইয়র্ক) রেজুলেশনটির কো-স্পন্সর। রেজুলেশনটি চুড়ান্তভাবে গ্রহণের জন্য প্রতিনিধি পরিষদের পররাষ্ট্রবিষয়ক কমিটিতে পাঠানো হয়েছে।
ওয়াশিংটন ডিসিস্থ বাংলাদেশ দূতাবাস সূত্রে এই তথ্য জানা গেছে। এছাড়াও কংগ্রেসের ওয়েবসাইটে প্রস্তাবটি প্রকাশ করা হয়েছে। উল্লেখ্য, ইতিপূর্বে নিউইয়র্ক ষ্টেট, মিশিগান এবং নিউজার্সী অঙ্গরাজ্যের আইন সভায় বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস স্মরণে রেজুলেশন গৃহীত হয়েছে। বিগত কয়েক বছর ধরে নিউইয়র্ক অঙ্গরাজ্যের রাজধানী আলবেনীর ক্যাপিটাল হিলে অ্যাসেম্বলী ও সিনেট হাউজে বাংলাদেশের স্বাধীনতা দিবস উদযাপিত হয়ে আসছে। সর্বশেষ মুজিববর্ষ এবং বাংলাদেশের স্বাধীনতার সুবর্ণজয়ন্তী উপলক্ষে নিউজার্সী স্টেট সিনেট এবং জেনারেল অ্যাসেম্বলিতে যৌথভাবে রেজ্যুলেশন গৃহীত হয়। গত ৫ মার্চ নিউজার্সী প্লেইন্সবরো সিটি কাউন্সিলের মেম্বার এবং যুক্তরাষ্ট্র বঙ্গবন্ধু পরিষদের সভাপতি একুশে পদকপ্রাপ্ত বীর মুক্তিযোদ্ধা ড. নূরুন্নবী সহ বাংলাদেশী কমিউনিটির নেতৃবৃন্দের কাছে এই রেজুলেশনের কপি হস্তান্তর করেন নিউজার্সী স্টেট সিনেটর লিন্ডা এম গ্রিনস্টাইন।
ইউএস কংগ্রেসে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী স্মরণে উত্থাপিত রেজুলেশনটির শুরুতেই ১৯৪৭ সালের দেশভাগের প্রসঙ্গ তুলে ধরে বলা ১৯৫৪ পাকিস্তান প্রতিষ্ঠা, পরবর্তীতে ১৯৭০ এর নির্বাচন এবং নির্বাচনে তৎকালীন পূর্ব পাকিস্তানের সংখ্যাগরিষ্ঠতা লাভ ছাড়াও ১৯৭১-এর দীর্ঘ ৯ মাসের মহান মুক্তিযুদ্ধের কথা তুলে ধরা হয়েছে। রেজুলেশনে বলা হয়, ১৯৭১ সালের ২৬ মার্চ শেখ মুজিবুর রহমান বাংলাদেশের স্বাধীনতা ঘোষণা করেন এবং ৯ মাসের যুদ্ধে লাখো মানুষ শহীদ ও বাস্তুচ্যুত হয় এবং ১৯৭১ সালের ডিসেম্বরে পাকিস্তানী সেনাবাহিনী ভারতীয় ও বাংলাদেশী যৌথবাহিনীর কাছে আত্মসমর্পণ করে।
রেজুলেশনটিতে আরো উল্লেখ করা হয় যে, ১৯৭২ সালের ১৪ ফেব্রæয়ারী তৎকালীন আমেরিকান সিনেটর এডওয়ার্ড কেনেডি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ে বক্তব্য দেন এবং বলেন, ‘বাংলাদেশের মানুষের সংগ্রাম……আমাদের অতীতের মহান স্মৃতি জাগ্রত করে। এবং স্বাধীনতাকামী মানুষের সাথে আমেরিকার জনগনের ভালবাসা রয়েছে।’
এছাড়াও রেজুলেশনটিতে বলা হয় যে, ২০১৭ সালের আগস্টে মিয়ানমারে গণহত্যার মুখে পালিয়ে আসা ৭ লাখের বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দেয় বাংলাদেশ।
রেজুলেশনটির মূল ৫টি প্রস্তাবে বাংলাদেশের স্বাধীনতার ৫০তম বার্ষিকী, বাংলাদেশীদের ঐতিহাসিক শিল্প-সংস্কৃতি-সমৃদ্ধি, স্বাধীনতা ও গণতন্ত্রের সংগ্রামে মুক্তিযোদ্ধাদের সাহসিকতাপূর্ন অবদান, গণতান্ত্রিক শাসনের মূলনীতির প্রতি প্রতি বাংলাদেশের জনগণ অঙ্গীকারবদ্ধ এবং গণহত্যার মুখে মিয়ানমারে পালিয়ে আসা রোহিঙ্গা শরণার্থীদের আশ্রয় দেওয়ার ক্ষেত্রে বাংলাদেশের অবদানের কথা তুলে ধরা হয়েছে।