নিউইয়র্ক ০২:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলাদেশের সব কারাগারে বাড়ছে বন্দির চাপ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৪৯:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩
  • / ১১৭ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : দেশের সবকটি কারাগারে বন্দির চাপ ক্রমেই বাড়ছে। কোনো কোনো কারাগারে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণের চেয়েও বেশি বন্দি রয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে রাজনৈতিক মামলায় সম্পৃক্ত বন্দিরা। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রতিনিয়ত গ্রেফতার হচ্ছে অসংখ্য নেতাকর্মী। আর এতে হিমশিম খাচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষ।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, সারা দেশে ৬৮টি কারাগারে বন্দি ধারণ ক্ষমতা ৪২ হাজার ৮৬৬। কিন্তু বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) পর্যন্ত বন্দির সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৫ হাজার ৪৪২ জনে। সামনের দিনগুলোতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হলে বন্দির সংখ্যাও বাড়তে পারে। এই প্রেক্ষাপটে কারাগারগুলোতে আরও অন্তত ৪০ হাজার বন্দি রাখতে ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

কারা অধিদপ্তর জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ মামলার অনেক আসামি আদালত থেকে জামিন পাচ্ছেন। জামিনের আদেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের কারাগার থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকেই প্রতিদিন দুই থেকে আড়াইশ সাধারণ বন্দি জামিনে মুক্ত হচ্ছেন। সারা দেশে থেকে প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজারের বেশি আসামি জামিন পাচ্ছেন। এছাড়া যেসব কারাগারে বন্দির সংখ্যা তুলনামূলক কম, অন্য কারাগার থেকে সেসব কারাগারে বন্দি স্থানান্তর করা হচ্ছে। তারপরও বন্দির চাপ কমানো যাচ্ছে না। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক দলের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নেতাকর্মীকে নাশকতাসহ নানা মামলায় কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।

কারা সূত্র জানায়, ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী ঢাকা বিভাগের কারাগারগুলোতে বন্দির সংখ্যা অন্যান্য বিভাগের কারাগারগুলোর চেয়ে অনেক বেশি। মোট বন্দির এক-তৃতীয়াংশের বেশি রয়েছে এ বিভাগের কারাগারগুলোতে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়, কারাগারের চাপ সামলাতে গণগ্রেফতারের পরিবর্তে নতুন কৌশল অবলম্বন করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আন্দোলনকারী দলগুলোর মাঠ পর্যায়ের নেতাদের ভয়ের মধ্যে রাখছে। পাশাপাশি নীতিনির্ধারক ও জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতারে বেশি নজর দিচ্ছে। গত এক সপ্তাহে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের যেসব নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, মজিবর রহমান সরোয়ার, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মো. আমিনুল হকসহ অনেকে। জেলা পর্যায়ের যেসব নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে-দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল, গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন্নবী টিটুল, রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু, নড়াইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রমুখ। বিএনপির দাবি অনুযায়ী, গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত সারা দেশে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের প্রায় পাঁচ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ দিনের মধ্যে কারাগারগুলোতে সবচেয়ে কম বন্দি ছিল ২৭ অক্টোবর। এদিন দেশের সবগুলো কারাগারে মোট বন্দির সংখ্যা ছিল ৭৯ হাজার ৩৭২ জন। সবচেয়ে বেশি বন্দি ছিল ৩১ অক্টোবর। ওইদিনটি ছিল সারা দেশে বিএনপির ডাকা তিন দিনের অবরোধের প্রথম দিন। এদিন কারাগারগুলোতে বন্দির সংখ্যা ছিল ৮৪ হাজার ৯৪৮ জন। গত ২২ অক্টোবর কারাগারগুলোতে ৮২ হাজার ২২২ এবং ২৩ অক্টোবর ৮১ হাজার ৪০৭ জন বন্দি ছিল। ২৪ অক্টোবর কী পরিমাণ বন্দি ছিল তারা জানাতে পারেনি কারা কর্তৃপক্ষ। এছাড়া গত ২৫ অক্টোবর ৮১ হাজার ২৬২, ২৬ অক্টোবর ৮০ হাজার ৩৯৫, ২৮ অক্টোবর ৮০ হাজার ৯৭৮, ২৯ অক্টোবর ৮৩ হাজার ৩৪২ এবং ৩০ অক্টোবর কারাগারগুলোতে বন্দি ছিল ৮৩ হাজার ৮১৯ জন।

সূত্র জানায়, ঢাকা বিভাগের ১৭টি কারাগারে মোট বন্দি ধারণ ক্ষমতা ১৩ হাজার ৩২২ জন। কিন্তু বর্তমানে (বৃহস্পতিবার) এখানে বন্দি আছে ৩০ হাজার ৩১৫ জন। এই ১৭টি কারাগারে পুরষ বন্দি ধারণ ক্ষমতা ১২ হাজার ৭৩১ জন। বর্তমানে আছেন ২৯ হাজার ২৪৫ জন। অন্যদিকে নারী বন্দির ধারণ ক্ষমতা ৫৯১ জন। আছেন এক হাজার ৭০ জন। এই বিভাগের কারাগারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বন্দি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। এই কারাগারে বন্দির ধারণ ক্ষমতা চার হাজার ৫৯০ জন। বর্তমানে বন্দি রয়েছেন ১১ হাজার ১৬৮ জন। চাপ সামলাতে এখান থেকে প্রতিদিন দুই থেকে তিনশ বন্দি কাশিমপুর কারাগারে স্থানান্তর করা হচ্ছে। অন্যদিকে ঢাকা বিভাগের সবচেয়ে কম বন্দি রয়েছে মাদারীপুর জেলা কারাগারে। এখানে বন্দির সংখ্যা মাত্র ৩৫২ জন। এখানকার ধারণ ক্ষমতা ৫০৭ জন।

কারাগারগুলোতে বন্দির চাপের বিষয়ে জানতে চাইলে কারা অধিদপ্তরের এআইজি মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া শুক্রবার যুগান্তরকে বলেন, আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী আমাদের কারাগারগুলোতে যে পরিমাণ বন্দির থাকার কথা তার চেয়ে দ্বিগুণ বন্দি আছে। আমরা যে প্রক্রিয়ায় বন্দি ব্যবস্থাপনা করি, সে অনুযায়ী আরও একগুণ বন্দি এলেও চাপ সামলাতে পারব। তিনি আরও বলেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কারাগারগুলোয় এক লাখের বেশি বন্দি ছিল। একটু কষ্ট হলেও আমাদের ব্যবস্থাপনা ছিল। গতবারের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার আরও ভালো প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কারা কর্মকর্তা বলেন, জেল কোর্ড অনুযায়ী একজন বন্দির জন্য ৩৬ ফুট জায়গা প্রয়োজন। ওই জায়গায় দুজন বন্দি রাখতে হচ্ছে। প্রয়োজনে আরও একজন রাখা যাবে। তিনি বলেন, আমরা বন্দিদের কোনো খাট বা চৌকি দিই না। কারণ একটি খাট বা চৌকিতে অনেক জায়গা নষ্ট হয়। আর সেখানে একজনের বেশি রাখা যায় না। আর ফ্লোরিং করলে একজনের জায়গায় দুই-তিনজনকে রাখা যায়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বন্দিদের খাবারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া আছে। পর্যাপ্ত কম্বলও আছে। সূত্র : যুগান্তর

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশের সব কারাগারে বাড়ছে বন্দির চাপ

প্রকাশের সময় : ০৪:৪৯:০৫ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৪ নভেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : দেশের সবকটি কারাগারে বন্দির চাপ ক্রমেই বাড়ছে। কোনো কোনো কারাগারে ধারণ ক্ষমতার দ্বিগুণের চেয়েও বেশি বন্দি রয়েছে। এর সঙ্গে যুক্ত হচ্ছে রাজনৈতিক মামলায় সম্পৃক্ত বন্দিরা। চলমান রাজনৈতিক অস্থিরতায় প্রতিনিয়ত গ্রেফতার হচ্ছে অসংখ্য নেতাকর্মী। আর এতে হিমশিম খাচ্ছে কারা কর্তৃপক্ষ।

প্রাপ্ত তথ্যে জানা যায়, সারা দেশে ৬৮টি কারাগারে বন্দি ধারণ ক্ষমতা ৪২ হাজার ৮৬৬। কিন্তু বৃহস্পতিবার (২ নভেম্বর) পর্যন্ত বন্দির সংখ্যা দাঁড়ায় ৮৫ হাজার ৪৪২ জনে। সামনের দিনগুলোতে রাজনৈতিক পরিস্থিতি আরও ঘোলাটে হলে বন্দির সংখ্যাও বাড়তে পারে। এই প্রেক্ষাপটে কারাগারগুলোতে আরও অন্তত ৪০ হাজার বন্দি রাখতে ব্যবস্থাপনার প্রস্তুতি নেওয়া হচ্ছে বলে কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে।

কারা অধিদপ্তর জানায়, সাম্প্রতিক সময়ে তুলনামূলক কম গুরুত্বপূর্ণ মামলার অনেক আসামি আদালত থেকে জামিন পাচ্ছেন। জামিনের আদেশ পাওয়ার সঙ্গে সঙ্গে তাদের কারাগার থেকে ছাড়পত্র দেওয়া হচ্ছে। ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগার থেকেই প্রতিদিন দুই থেকে আড়াইশ সাধারণ বন্দি জামিনে মুক্ত হচ্ছেন। সারা দেশে থেকে প্রতিদিন গড়ে দেড় হাজারের বেশি আসামি জামিন পাচ্ছেন। এছাড়া যেসব কারাগারে বন্দির সংখ্যা তুলনামূলক কম, অন্য কারাগার থেকে সেসব কারাগারে বন্দি স্থানান্তর করা হচ্ছে। তারপরও বন্দির চাপ কমানো যাচ্ছে না। কারণ সাম্প্রতিক সময়ে রাজনৈতিক দলের উল্লেখযোগ্যসংখ্যক নেতাকর্মীকে নাশকতাসহ নানা মামলায় কারাগারে পাঠানো হচ্ছে।

কারা সূত্র জানায়, ধারণ ক্ষমতা অনুযায়ী ঢাকা বিভাগের কারাগারগুলোতে বন্দির সংখ্যা অন্যান্য বিভাগের কারাগারগুলোর চেয়ে অনেক বেশি। মোট বন্দির এক-তৃতীয়াংশের বেশি রয়েছে এ বিভাগের কারাগারগুলোতে।

সংশ্লিষ্ট সূত্র আরও জানায়, কারাগারের চাপ সামলাতে গণগ্রেফতারের পরিবর্তে নতুন কৌশল অবলম্বন করছে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। আন্দোলনকারী দলগুলোর মাঠ পর্যায়ের নেতাদের ভয়ের মধ্যে রাখছে। পাশাপাশি নীতিনির্ধারক ও জেলা পর্যায়ের শীর্ষ নেতাদের গ্রেফতারে বেশি নজর দিচ্ছে। গত এক সপ্তাহে বিএনপির শীর্ষ পর্যায়ের যেসব নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হলো-দলটির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর, স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাস, আমির খসরু মাহমুদ চৌধুরী, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, খায়রুল কবির খোকন, মজিবর রহমান সরোয়ার, ঢাকা মহানগর উত্তর বিএনপির সদস্য সচিব মো. আমিনুল হকসহ অনেকে। জেলা পর্যায়ের যেসব নেতাকে গ্রেফতার করা হয়েছে তাদের মধ্যে রয়েছে-দিনাজপুর জেলা বিএনপির সভাপতি মোফাজ্জল হোসেন দুলাল, গাইবান্ধা জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মাহমুদুন্নবী টিটুল, রংপুর মহানগর বিএনপির আহ্বায়ক শামসুজ্জামান সামু, নড়াইল জেলা বিএনপির সাধারণ সম্পাদক মনিরুল ইসলাম প্রমুখ। বিএনপির দাবি অনুযায়ী, গত ২৮ অক্টোবরের পর থেকে এ পর্যন্ত সারা দেশে বিএনপি ও এর অঙ্গ-সহযোগী সংগঠনের প্রায় পাঁচ হাজার নেতাকর্মীকে গ্রেফতার করা হয়েছে।

কারা অধিদপ্তর সূত্রে জানা গেছে, গত ১০ দিনের মধ্যে কারাগারগুলোতে সবচেয়ে কম বন্দি ছিল ২৭ অক্টোবর। এদিন দেশের সবগুলো কারাগারে মোট বন্দির সংখ্যা ছিল ৭৯ হাজার ৩৭২ জন। সবচেয়ে বেশি বন্দি ছিল ৩১ অক্টোবর। ওইদিনটি ছিল সারা দেশে বিএনপির ডাকা তিন দিনের অবরোধের প্রথম দিন। এদিন কারাগারগুলোতে বন্দির সংখ্যা ছিল ৮৪ হাজার ৯৪৮ জন। গত ২২ অক্টোবর কারাগারগুলোতে ৮২ হাজার ২২২ এবং ২৩ অক্টোবর ৮১ হাজার ৪০৭ জন বন্দি ছিল। ২৪ অক্টোবর কী পরিমাণ বন্দি ছিল তারা জানাতে পারেনি কারা কর্তৃপক্ষ। এছাড়া গত ২৫ অক্টোবর ৮১ হাজার ২৬২, ২৬ অক্টোবর ৮০ হাজার ৩৯৫, ২৮ অক্টোবর ৮০ হাজার ৯৭৮, ২৯ অক্টোবর ৮৩ হাজার ৩৪২ এবং ৩০ অক্টোবর কারাগারগুলোতে বন্দি ছিল ৮৩ হাজার ৮১৯ জন।

সূত্র জানায়, ঢাকা বিভাগের ১৭টি কারাগারে মোট বন্দি ধারণ ক্ষমতা ১৩ হাজার ৩২২ জন। কিন্তু বর্তমানে (বৃহস্পতিবার) এখানে বন্দি আছে ৩০ হাজার ৩১৫ জন। এই ১৭টি কারাগারে পুরষ বন্দি ধারণ ক্ষমতা ১২ হাজার ৭৩১ জন। বর্তমানে আছেন ২৯ হাজার ২৪৫ জন। অন্যদিকে নারী বন্দির ধারণ ক্ষমতা ৫৯১ জন। আছেন এক হাজার ৭০ জন। এই বিভাগের কারাগারগুলোর মধ্যে সবচেয়ে বেশি বন্দি ঢাকা কেন্দ্রীয় কারাগারে। এই কারাগারে বন্দির ধারণ ক্ষমতা চার হাজার ৫৯০ জন। বর্তমানে বন্দি রয়েছেন ১১ হাজার ১৬৮ জন। চাপ সামলাতে এখান থেকে প্রতিদিন দুই থেকে তিনশ বন্দি কাশিমপুর কারাগারে স্থানান্তর করা হচ্ছে। অন্যদিকে ঢাকা বিভাগের সবচেয়ে কম বন্দি রয়েছে মাদারীপুর জেলা কারাগারে। এখানে বন্দির সংখ্যা মাত্র ৩৫২ জন। এখানকার ধারণ ক্ষমতা ৫০৭ জন।

কারাগারগুলোতে বন্দির চাপের বিষয়ে জানতে চাইলে কারা অধিদপ্তরের এআইজি মাইন উদ্দিন ভূঁইয়া শুক্রবার যুগান্তরকে বলেন, আন্তর্জাতিক স্ট্যান্ডার্ড অনুযায়ী আমাদের কারাগারগুলোতে যে পরিমাণ বন্দির থাকার কথা তার চেয়ে দ্বিগুণ বন্দি আছে। আমরা যে প্রক্রিয়ায় বন্দি ব্যবস্থাপনা করি, সে অনুযায়ী আরও একগুণ বন্দি এলেও চাপ সামলাতে পারব। তিনি আরও বলেন, গত জাতীয় সংসদ নির্বাচনের আগে কারাগারগুলোয় এক লাখের বেশি বন্দি ছিল। একটু কষ্ট হলেও আমাদের ব্যবস্থাপনা ছিল। গতবারের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে এবার আরও ভালো প্রস্তুতি নেওয়া হয়েছে।

নাম প্রকাশ না করার শর্তে এক কারা কর্মকর্তা বলেন, জেল কোর্ড অনুযায়ী একজন বন্দির জন্য ৩৬ ফুট জায়গা প্রয়োজন। ওই জায়গায় দুজন বন্দি রাখতে হচ্ছে। প্রয়োজনে আরও একজন রাখা যাবে। তিনি বলেন, আমরা বন্দিদের কোনো খাট বা চৌকি দিই না। কারণ একটি খাট বা চৌকিতে অনেক জায়গা নষ্ট হয়। আর সেখানে একজনের বেশি রাখা যায় না। আর ফ্লোরিং করলে একজনের জায়গায় দুই-তিনজনকে রাখা যায়। এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, বন্দিদের খাবারের জন্য সরকারের পক্ষ থেকে পর্যাপ্ত বরাদ্দ দেওয়া আছে। পর্যাপ্ত কম্বলও আছে। সূত্র : যুগান্তর