নিউইয়র্ক ০৬:০৩ অপরাহ্ন, শনিবার, ১৪ জুন ২০২৫, ৩১ জ্যৈষ্ঠ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বাংলাদেশের বিস্ময়ে যুক্তরাষ্ট্রও বিস্মিত

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:১৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২
  • / ৮৫ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের বিস্ময় দেখে যুক্তরাষ্ট্রও বিস্মিত বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
গতকাল শুক্রবার (১৭ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সাক্ষাৎকারভিত্তিক নতুন অনুষ্ঠান ‘অ্যামটকে’ যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, র‌্যাবের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগের বিষয়গুলো যুক্তরাষ্ট্র দেশ কয়েক বছর ধরেই আলোচনা করে আসছিলো। ২০১৮ সালেই আমরা র‌্যাবকে প্রশিক্ষণ দেওয়া বন্ধ করেছিলাম। কারণ, মানবাধিকার নিয়ে আমাদের উদ্বেগ ছিল। বেশ কয়েক বছর ধরেই আমরা আমাদের মানবাধিকার প্রতিবেদনে এসব উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বৈঠকেও আমরা এসব তুলে ধরেছি। ফলে নিষেধাজ্ঞাটা বিস্ময় হিসেবে এলেও আমাদের যে উদ্বেগ ছিল, সেটি নিয়ে তো বিস্ময় থাকার কথা নয়। তাদের এই বিস্ময় দেখে আমরাও প্রায় বিস্মিত।
তবে র‌্যাবের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দুই দেশের বিস্তৃত সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন পিটার হাস। ওই সাক্ষাৎকারভিত্তিক অনুষ্ঠানে তিনি বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, নির্বাচন, ভবিষ্যৎ সম্পর্কসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের প্রশ্নকর্তা দুই দেশের নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানতে চাইলে পিটার হাস বলেন, ‘আমার মনে হয়, লোকজন র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞার ওপর খুব বেশি মাত্রায় মনোযোগ দিচ্ছেন। তারা চলমান অন্যান্য সহযোগিতার বিষয়গুলো এড়িয়ে যাচ্ছেন। আমরা আইন প্রয়োগ, সন্ত্রাসবাদ দমন ও সামুদ্রিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা করি। এসব বিষয়ে আমাদের গভীর ও দীর্ঘস্থায়ী সহযোগিতা রয়েছে। আমরা বিচার বিভাগ, আইনজীবী ও পুলিশের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকি। এই যে এত প্রশিক্ষণ ও অংশীদারিত্ব আমরা করছি, সামনের দিনগুলোতে তা চালিয়ে যেতে এবং আরো গভীর করতে আমরা খুবই আগ্রহী।’
তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক যে, র‌্যাবের ওপর গত ডিসেম্বরে আমরা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি। তার পর থেকেই আমরা অনেকবার শুনেছি যে, বাংলাদেশ এতে কত অবাক হয়েছে। কারণ, ‘
আলাপচারিতায় বাংলাদেশের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করতে চাই যে, নির্দিষ্ট কোনো দল বা ফোরামের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো পক্ষপাতিত্ব নেই। এটা যুক্তরাষ্ট্রের কাজও নয়। তবে বাংলাদেশের মানুষ যা দেখতে চায়, আমরাও তা দেখতে চাই। সেটি হচ্ছে, আন্তর্জাতিক মানের একটি নির্বাচন হবে, যেখানে বাংলাদেশের মানুষ তাদের পরবর্তী নেতাদের বেছে নিতে পারবে একটি অবাধ, প্রতিযোগিতামূলক, সহিংসতাবিহীন ও দমন-নিপীড়নমুক্ত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। শুনতে সহজ শোনালেও আমি বুঝি, এটা আসলে ততটা সোজা নয়।’ খবর সাম্প্রতিক দেশকাল
হককথা/এমউএ

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বাংলাদেশের বিস্ময়ে যুক্তরাষ্ট্রও বিস্মিত

প্রকাশের সময় : ০২:১৮:৪৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ১৮ জুন ২০২২

বাংলাদেশ ডেস্ক : র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞায় বাংলাদেশের বিস্ময় দেখে যুক্তরাষ্ট্রও বিস্মিত বলে মন্তব্য করেছেন ঢাকায় নিযুক্ত যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত পিটার হাস।
গতকাল শুক্রবার (১৭ জুন) যুক্তরাষ্ট্রের দূতাবাসের সাক্ষাৎকারভিত্তিক নতুন অনুষ্ঠান ‘অ্যামটকে’ যুক্তরাষ্ট্রের রাষ্ট্রদূত এসব কথা বলেন।
সাক্ষাৎকারে তিনি বলেন, র‌্যাবের কর্মকাণ্ড নিয়ে উদ্বেগের বিষয়গুলো যুক্তরাষ্ট্র দেশ কয়েক বছর ধরেই আলোচনা করে আসছিলো। ২০১৮ সালেই আমরা র‌্যাবকে প্রশিক্ষণ দেওয়া বন্ধ করেছিলাম। কারণ, মানবাধিকার নিয়ে আমাদের উদ্বেগ ছিল। বেশ কয়েক বছর ধরেই আমরা আমাদের মানবাধিকার প্রতিবেদনে এসব উদ্বেগ প্রকাশ করেছি। বিভিন্ন দ্বিপক্ষীয় বৈঠকেও আমরা এসব তুলে ধরেছি। ফলে নিষেধাজ্ঞাটা বিস্ময় হিসেবে এলেও আমাদের যে উদ্বেগ ছিল, সেটি নিয়ে তো বিস্ময় থাকার কথা নয়। তাদের এই বিস্ময় দেখে আমরাও প্রায় বিস্মিত।
তবে র‌্যাবের ওপর এই নিষেধাজ্ঞা দুই দেশের বিস্তৃত সম্পর্কে কোনো প্রভাব ফেলবে না বলে মনে করেন পিটার হাস। ওই সাক্ষাৎকারভিত্তিক অনুষ্ঠানে তিনি বাংলাদেশের গণতন্ত্র, মানবাধিকার, নির্বাচন, ভবিষ্যৎ সম্পর্কসহ নানা বিষয়ে কথা বলেন।
অনুষ্ঠানের প্রশ্নকর্তা দুই দেশের নিরাপত্তা সহযোগিতা এবং র‌্যাবের ওপর নিষেধাজ্ঞার বিষয়ে জানতে চাইলে পিটার হাস বলেন, ‘আমার মনে হয়, লোকজন র‌্যাবের নিষেধাজ্ঞার ওপর খুব বেশি মাত্রায় মনোযোগ দিচ্ছেন। তারা চলমান অন্যান্য সহযোগিতার বিষয়গুলো এড়িয়ে যাচ্ছেন। আমরা আইন প্রয়োগ, সন্ত্রাসবাদ দমন ও সামুদ্রিক নিরাপত্তার ক্ষেত্রে পারস্পরিক সহযোগিতা করি। এসব বিষয়ে আমাদের গভীর ও দীর্ঘস্থায়ী সহযোগিতা রয়েছে। আমরা বিচার বিভাগ, আইনজীবী ও পুলিশের জন্য প্রশিক্ষণের ব্যবস্থা করে থাকি। এই যে এত প্রশিক্ষণ ও অংশীদারিত্ব আমরা করছি, সামনের দিনগুলোতে তা চালিয়ে যেতে এবং আরো গভীর করতে আমরা খুবই আগ্রহী।’
তিনি বলেন, ‘এটা ঠিক যে, র‌্যাবের ওপর গত ডিসেম্বরে আমরা নিষেধাজ্ঞা দিয়েছি। তার পর থেকেই আমরা অনেকবার শুনেছি যে, বাংলাদেশ এতে কত অবাক হয়েছে। কারণ, ‘
আলাপচারিতায় বাংলাদেশের পরবর্তী জাতীয় নির্বাচন নিয়ে যুক্তরাষ্ট্রের প্রত্যাশার বিষয়ে জানতে চাওয়া হলে রাষ্ট্রদূত বলেন, ‘আমি স্পষ্ট করতে চাই যে, নির্দিষ্ট কোনো দল বা ফোরামের প্রতি যুক্তরাষ্ট্রের কোনো পক্ষপাতিত্ব নেই। এটা যুক্তরাষ্ট্রের কাজও নয়। তবে বাংলাদেশের মানুষ যা দেখতে চায়, আমরাও তা দেখতে চাই। সেটি হচ্ছে, আন্তর্জাতিক মানের একটি নির্বাচন হবে, যেখানে বাংলাদেশের মানুষ তাদের পরবর্তী নেতাদের বেছে নিতে পারবে একটি অবাধ, প্রতিযোগিতামূলক, সহিংসতাবিহীন ও দমন-নিপীড়নমুক্ত নির্বাচনের মধ্য দিয়ে। শুনতে সহজ শোনালেও আমি বুঝি, এটা আসলে ততটা সোজা নয়।’ খবর সাম্প্রতিক দেশকাল
হককথা/এমউএ