নিউইয়র্ক ০৯:২০ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

বঙ্গভবন থেকে নিকুঞ্জে আবদুল হামিদ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:০৩:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৩৬ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : বাংলাদেশের ২২তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি দেশের ২১তম প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের স্থলাভিষিক্ত হলেন। মো. আবদুল হামিদ সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসাবে ৪১ দিন দায়িত্বপালনসহ টানা দুই মেয়াদে ১০ বছর ৪১ দিন প্রেসিডেন্টর দায়িত্ব পালনের পর অবসরে গেলেন। নতুন প্রেসিডেন্টকে দায়িত্ব হস্তান্তরের পর বঙ্গভবন ছেড়ে আবদুল হামিদ উঠেছেন রাজধানীর নিকুঞ্জের ৬ লেক ড্রাইভ রোডের তার নিজের বাড়িতে। গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী মো. সাহাবুদ্দিনকে প্রেসিডেন্টের পদে শপথ পাঠ করান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছোটবোন শেখ রেহানা ও মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ কয়েকশ› অতিথি এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

আরোও পড়ুন । গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে রাজনীতি, বঙ্গভবনে সাহাবুদ্দিন

বিদায় অনুষ্ঠান শুরুর আগে বঙ্গভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মো. আবদুল হামিদ বলেন, এখন আমি সাধারণ নাগরিক হিসেবে একটু ফ্রিলি মুভ করতে পারবো। এটাই আমার সবচেয়ে বড় আনন্দের। পরে এক বর্ণাঢ্য মোটর শোভাযাত্রায় বঙ্গভবন থেকে আবদুল হামিদকে বিদায় জানানো হয়। প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি সুসজ্জিত অশ্বারোহী দল বিদায়ী প্রেসিডেন্টকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করা হয়। বঙ্গভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বঙ্গভবন গেটে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ান। মাঝখান দিয়ে খোলা জিপে ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে তাঁকে বিদায় জানানো হয়। সেখান থেকে তাঁকে মোটর শোভাযাত্রায় নিকুঞ্জের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর দুপুর পৌনে ২টার দিকে বঙ্গভবন থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায় নেন মো. আবদুল হামিদ। তিনি রাজধানীর নিকুঞ্জের ৬ লেক ড্রাইভ রোডে তার নিজের বাড়িতে যান। প্রেসিডেন্ট তার বাসভবনে প্রবেশ করার পর ব্যালকনিতে আসেন এবং হাত নেড়ে সবাইকে অভিবাদন জানান। আবদুল হামিদের নিকুঞ্জের বাসায় নিরাপত্তা, আসবাবপত্র, সিসিটিভিসহ সব প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।

১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার দুই নম্বর সড়কে তিন কাঠা জমি পান আবদুল হামিদ। ২০০০ সালের শেষ দিকে সেখানে বাড়ির কাজ শুরু করেন। কয়েক বছর কাজ শেষে তৈরি হয় তিনতলা বাড়ি। প্রেসিডেন্টর প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেয়াদ শেষে নিকুঞ্জের বাসায় থাকবেন। তাকে সর্বোচ্চ সম্মান ও রাষ্ট্রীয় প্রটোকল অনুযায়ী নিকুঞ্জের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকায় এরইমধ্যে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেখানে বাইরের মানুষের প্রবেশাধিকার সীমিত করা হয়েছে।
সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

বঙ্গভবন থেকে নিকুঞ্জে আবদুল হামিদ

প্রকাশের সময় : ০২:০৩:২০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : বাংলাদেশের ২২তম প্রেসিডেন্ট হিসেবে শপথ নিয়েছেন মো. সাহাবুদ্দিন। তিনি দেশের ২১তম প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদের স্থলাভিষিক্ত হলেন। মো. আবদুল হামিদ সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. জিল্লুর রহমানের মৃত্যুর পর ভারপ্রাপ্ত প্রেসিডেন্ট হিসাবে ৪১ দিন দায়িত্বপালনসহ টানা দুই মেয়াদে ১০ বছর ৪১ দিন প্রেসিডেন্টর দায়িত্ব পালনের পর অবসরে গেলেন। নতুন প্রেসিডেন্টকে দায়িত্ব হস্তান্তরের পর বঙ্গভবন ছেড়ে আবদুল হামিদ উঠেছেন রাজধানীর নিকুঞ্জের ৬ লেক ড্রাইভ রোডের তার নিজের বাড়িতে। গতকাল সোমবার সকাল ১১টায় বঙ্গভবনের দরবার হলে জাতীয় সংসদের স্পিকার ড. শিরীন শারমিন চৌধুরী মো. সাহাবুদ্দিনকে প্রেসিডেন্টের পদে শপথ পাঠ করান। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা, তার ছোটবোন শেখ রেহানা ও মন্ত্রিপরিষদ সদস্যসহ কয়েকশ› অতিথি এ অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন। অনুষ্ঠান পরিচালনা করেন মন্ত্রিপরিষদ সচিব মো. মাহবুব হোসেন।

আরোও পড়ুন । গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে রাজনীতি, বঙ্গভবনে সাহাবুদ্দিন

বিদায় অনুষ্ঠান শুরুর আগে বঙ্গভবনে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে মো. আবদুল হামিদ বলেন, এখন আমি সাধারণ নাগরিক হিসেবে একটু ফ্রিলি মুভ করতে পারবো। এটাই আমার সবচেয়ে বড় আনন্দের। পরে এক বর্ণাঢ্য মোটর শোভাযাত্রায় বঙ্গভবন থেকে আবদুল হামিদকে বিদায় জানানো হয়। প্রেসিডেন্ট গার্ড রেজিমেন্টের (পিজিআর) একটি সুসজ্জিত অশ্বারোহী দল বিদায়ী প্রেসিডেন্টকে ‘গার্ড অব অনার’ প্রদান করা হয়। বঙ্গভবনের কর্মকর্তা-কর্মচারীরা বঙ্গভবন গেটে সারিবদ্ধভাবে দাঁড়ান। মাঝখান দিয়ে খোলা জিপে ছিলেন সাবেক প্রেসিডেন্ট মো. আবদুল হামিদ। ফুলের পাপড়ি ছিটিয়ে তাঁকে বিদায় জানানো হয়। সেখান থেকে তাঁকে মোটর শোভাযাত্রায় নিকুঞ্জের বাসভবনে নিয়ে যাওয়া হয়। এরপর দুপুর পৌনে ২টার দিকে বঙ্গভবন থেকে আনুষ্ঠানিক বিদায় নেন মো. আবদুল হামিদ। তিনি রাজধানীর নিকুঞ্জের ৬ লেক ড্রাইভ রোডে তার নিজের বাড়িতে যান। প্রেসিডেন্ট তার বাসভবনে প্রবেশ করার পর ব্যালকনিতে আসেন এবং হাত নেড়ে সবাইকে অভিবাদন জানান। আবদুল হামিদের নিকুঞ্জের বাসায় নিরাপত্তা, আসবাবপত্র, সিসিটিভিসহ সব প্রস্তুতি রাখা হয়েছে।

১৯৯৬ সালে সংসদ সদস্য নির্বাচিত হওয়ার পর নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকার দুই নম্বর সড়কে তিন কাঠা জমি পান আবদুল হামিদ। ২০০০ সালের শেষ দিকে সেখানে বাড়ির কাজ শুরু করেন। কয়েক বছর কাজ শেষে তৈরি হয় তিনতলা বাড়ি। প্রেসিডেন্টর প্রেস সচিব জয়নাল আবেদীন সাংবাদিকদের বলেন, প্রেসিডেন্ট আবদুল হামিদ মেয়াদ শেষে নিকুঞ্জের বাসায় থাকবেন। তাকে সর্বোচ্চ সম্মান ও রাষ্ট্রীয় প্রটোকল অনুযায়ী নিকুঞ্জের বাসায় নিয়ে যাওয়া হয়। নিকুঞ্জ-১ আবাসিক এলাকায় এরইমধ্যে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। সেখানে বাইরের মানুষের প্রবেশাধিকার সীমিত করা হয়েছে।
সুমি/হককথা