নিউইয়র্ক ১২:৩৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুধু আমাদের নয়, এটা বিশ্ব ঐতিহ্য’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:২০:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪
  • / ৬৮ বার পঠিত

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ শুধু আমাদের নয়, এটি বিশ্ব ঐতিহ্য বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিশ্বে স্বাধীনতার জন্য এ যাবৎ যারা ভাষণ দিয়েছেন, তাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ ৭ মার্চের ভাষণ। ৭ মার্চের ভাষণ শুধু বাঙালিকে উদ্বুদ্ধই করেনি বিজয় এনে দিয়েছে। ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্য। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ৭ মার্চের ভাষণের দিনটি স্মরণ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই ভাষণে তিনি বাঙালির দীর্ঘদিনের লালিত স্বাধীনতা অর্জনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতাকামী লাখো জনতার উদ্দেশে দেওয়া তার কালজয়ী ভাষণে বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। মুক্তিযুদ্ধকালে বজ্রকণ্ঠের এই ভাষণ রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনুপ্রাণিত করে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধে পরাজিত করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্ব মানচিত্রে স্থান করে নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ।

দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ শুধু গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নয় মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ও এনে দিয়েছে। ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলা হয়েছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ইতিহাসকে মুছে ফেলা যায় না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার নামটা মুছে ফেলা হয়েছিল। কোনো ছবি দেখানো যেত না। ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ। ‘জয় বাংলা’স্লোগান নিষিদ্ধ। যে স্লোগান দিয়ে লাখো শহীদ রক্ত দিয়েছে, তার সব নিষিদ্ধ। এমনকি ইতিহাস লিখতে গেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাম আসবে…একটা বইয়ে অনেক ছবি। আমার এখনও মনে আছে। তার মাঝখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ছবি। সেটা একটা কাগজ দিয়ে ঢেকে আঙুল দিয়ে চেপে ধরে দেখানো হচ্ছে টেলিভিশনে, কিন্তু ওই ছবিটা দেখানো যাবে না। নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’

সরকারপ্রধান আরও বলেন, “ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না। সত্যকে কখনও মিথ্যা দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না। আজকে সেটাই প্রমাণ হয়েছে। সেই ৭ মার্চের ভাষণ আজকে আন্তর্জাতিক প্রামাণ্য দলিলে স্থান পেয়েছে। ‘জয় বাংলা’স্লোগান আজকে আমাদের জাতীয় স্লোগান।’ সূত্র : ঢাকা মেইল।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

‘বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণ শুধু আমাদের নয়, এটা বিশ্ব ঐতিহ্য’

প্রকাশের সময় : ০৪:২০:০৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ শুধু আমাদের নয়, এটি বিশ্ব ঐতিহ্য বলে মন্তব্য করেছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, বিশ্বে স্বাধীনতার জন্য এ যাবৎ যারা ভাষণ দিয়েছেন, তাদের মধ্যে সর্বশ্রেষ্ঠ ভাষণ ৭ মার্চের ভাষণ। ৭ মার্চের ভাষণ শুধু বাঙালিকে উদ্বুদ্ধই করেনি বিজয় এনে দিয়েছে। ৭ মার্চের ভাষণ বিশ্ব ঐতিহ্য। বৃহস্পতিবার (৭ মার্চ) রাজধানীর ওসমানী স্মৃতি মিলনায়তনে ১৯৭১ সালে বঙ্গবন্ধুর দেওয়া ৭ মার্চের ভাষণের দিনটি স্মরণ উপলক্ষে আয়োজিত আলোচনা সভায় এসব কথা বলেন প্রধানমন্ত্রী।

১৯৭১ সালের ৭ মার্চ তৎকালীন রেসকোর্স ময়দানে (বর্তমানে সোহরাওয়ার্দী উদ্যান) ঐতিহাসিক ভাষণ দিয়েছিলেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমান। সেই ভাষণে তিনি বাঙালির দীর্ঘদিনের লালিত স্বাধীনতা অর্জনে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীর বিরুদ্ধে লড়াই চালিয়ে যাওয়ার আহ্বান জানিয়েছিলেন।

বঙ্গবন্ধু স্বাধীনতাকামী লাখো জনতার উদ্দেশে দেওয়া তার কালজয়ী ভাষণে বলেছিলেন, ‘এবারের সংগ্রাম আমাদের মুক্তির সংগ্রাম, এবারের সংগ্রাম স্বাধীনতার সংগ্রাম।’ বঙ্গবন্ধুর ৭ মার্চের ভাষণের পর বাঙালি স্বাধীনতা অর্জনের জন্য মহান মুক্তিযুদ্ধের প্রস্তুতি গ্রহণ করে। মুক্তিযুদ্ধকালে বজ্রকণ্ঠের এই ভাষণ রণাঙ্গনের মুক্তিযোদ্ধাদের শত্রুর বিরুদ্ধে লড়াইয়ে অনুপ্রাণিত করে। পাকিস্তানি হানাদার বাহিনীকে নয় মাসের সশস্ত্র যুদ্ধে পরাজিত করে ১৯৭১ সালের ১৬ ডিসেম্বর বিশ্ব মানচিত্রে স্থান করে নেয় স্বাধীন বাংলাদেশ।

দিবসটি উপলক্ষে আয়োজিত এক আলোচনা সভায় প্রধানমন্ত্রী বলেন, বঙ্গবন্ধুর ঐতিহাসিক ৭ মার্চের ভাষণ শুধু গেরিলা যুদ্ধের প্রস্তুতি নয় মুক্তিযুদ্ধে বিজয়ও এনে দিয়েছে। ইতিহাস থেকে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের নাম মুছে ফেলা হয়েছিল উল্লেখ করে শেখ হাসিনা বলেন, ইতিহাসকে মুছে ফেলা যায় না।

প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘জাতির পিতার নামটা মুছে ফেলা হয়েছিল। কোনো ছবি দেখানো যেত না। ৭ মার্চের ভাষণ নিষিদ্ধ। ‘জয় বাংলা’স্লোগান নিষিদ্ধ। যে স্লোগান দিয়ে লাখো শহীদ রক্ত দিয়েছে, তার সব নিষিদ্ধ। এমনকি ইতিহাস লিখতে গেলে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের নাম আসবে…একটা বইয়ে অনেক ছবি। আমার এখনও মনে আছে। তার মাঝখানে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবের ছবি। সেটা একটা কাগজ দিয়ে ঢেকে আঙুল দিয়ে চেপে ধরে দেখানো হচ্ছে টেলিভিশনে, কিন্তু ওই ছবিটা দেখানো যাবে না। নিষিদ্ধ করা হয়েছে।’

সরকারপ্রধান আরও বলেন, “ইতিহাস মুছে ফেলা যায় না। সত্যকে কখনও মিথ্যা দিয়ে ঢেকে রাখা যায় না। আজকে সেটাই প্রমাণ হয়েছে। সেই ৭ মার্চের ভাষণ আজকে আন্তর্জাতিক প্রামাণ্য দলিলে স্থান পেয়েছে। ‘জয় বাংলা’স্লোগান আজকে আমাদের জাতীয় স্লোগান।’ সূত্র : ঢাকা মেইল।