নিউইয়র্ক ০৯:১০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক রাহাত খান আর নেই

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:২১:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অগাস্ট ২০২০
  • / ৭০ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: কথাশিল্পী, ছোটগল্প, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও উপন্যাসের নিপুণ কারিগর, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত সাংবাদিক রাহাত খান আর নেই। শুক্রবার (২৮ আগষ্ট) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় রাজধানী ঢাকার ইস্কাটনের নিজ বাসবভনে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে রাহাত খানের স্ত্রী অপর্ণা খান নিজ ফেসবুকে তাঁর মৃত্যুর খবর জানান। সর্বশেষ তিনি দৈনিক ‘প্রতিদিনের সংবাদ’ পত্রিকার সম্পাদক-এর দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এদিকে, রাহাত খানের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন। পৃথক পৃথক শোক বার্তায় তাঁরা শোকসন্তপ্ত পরিবারেরপ্র্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
ঢাকা থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, গত ২০ জুলাই রাহাত খানকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগের দিন বাসায় খাট থেকে নামতে গিয়ে কোমরে ব্যথা পান তিনি। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে এক্স-রে করা হলে পাঁজরে গভীর ক্ষত ধরা পড়ে। এর পাশাপাশি তার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে জরুরি ভিত্তিতে তাকে বারডেম হাসপাতালের আইসিউতে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে তিনি বাসায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।
শুক্রবার রাতেই তার মরদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়। শনিবার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে। দাফনের আগে রাহাত খানের মরদেহ জাতীয় প্রেসক্লাব, বাংলা একাডেমি ও শহীদ মিনারে নেয়া হতে পারে বলে অপর্ণা খান প্রতিদিন সংবাদ-কে জানিয়েছেন। ইতিপূর্বে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। রাহাত খান দীর্ঘদিন থেকে হৃদরোগ, কিডনি, ডায়াবেটিস রোগসহ শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। এছাড়া করোনার কারণে তিনি সার্বক্ষণিক বাসাতেই অবস্থান করছিলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ আলী জানান, শনিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে সাংবাদিক রাহাত খানের নামাজে জানাজা শেষে তাঁর শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী ঢাকায় বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য রাহাত খান ১৯৪০ সালের ১৮ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার পূর্ব জাওয়ার গ্রামের খান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। শিক্ষা জীবন শেষ করে রাহাত খান কিছুদিন জোট পারচেজ ও বীমা কোম্পানিতে চাকরি করে ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজে যোগদান করেন। তারপর একে একে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনা করেছেন। পরবর্তীতে সাংবাদিকতা আর লেখা-লেখিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬৯ সালে দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় তার সাংবাদিকতা জীবনের হাতেখড়ি। পরে তিনি দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় যোগদান করেন। ২০০৯ সাল থেকে তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের সহকারী ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৩ সালে তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় দৈনিক বর্তমান পত্রিকা। বর্তমানে তিনি দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)’র পরিচালনা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান। ছিলেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক। পরবর্তীতে তিনি প্রতিদিনের সংবাদ-এর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিতি এই পদেই ছিলেন। রাহাত খান প্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য পুরষ্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে: বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৭৩), সুহৃদ সাহিত্য পুরস্কার (১৯৭৫), সুফী মোতাহার হোসেন পুরস্কার (১৯৭৯), আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি পুরস্কার (১৯৮০), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৮২), ত্রয়ী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৮) এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক (১৯৯৬)।
১৯৭২ সালে তার প্রথম গল্পগ্রন্থ অনিশ্চিত লোকালয় প্রকাশিত হয়। তার পরবর্তী উপন্যাস ও গল্পগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- অমল ধবল চাকরি, ছায়াদম্পতি, শহর, হে শূন্যতা, হে অনন্তের পাখি, মধ্য মাঠের খেলোয়াড়, এক প্রিয়দর্শিনী, মন্ত্রিসভার পতন, দুই নারী, কোলাহল ইত্যাদি। বর্ণাঢ্য সাংবাদিকতা জীবনে রাহাত খান কথাশিল্প, ছোটগল্প, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও উপন্যাসের নিপুণ কারিগর হয়ে উঠেছেন। তিনি কথাসাহিত্যিক হিসেবে সমাদৃত হলেও কর্মসূত্রে রাহাত খান আপাদমস্তক সাংবাদিক ছিলেন।
শোক প্রকাশ: প্রখ্যাত সাংবাদিক রাহাত খানের মৃত্যুতে এক শোক বিবৃতিতে বিএফইউজের (একাংশ) সভাপতি মোল্লা জালাল ও মহাসচিব শাবান মাহমুদ গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে বলেছেন, রাহাত খান সাংবাদিকতা ও সাহিত্যে অসাধারণ অবদান রেখেছেন। তিনি দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনে পেশাগত অবস্থান থেকে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। নেতৃবৃন্দ মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
এছাড়াও রাহাত খানের ইন্তেকালে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি ডা. ওয়াজেদ এ খান ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম। সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা ও টাইম টেলিভিশন পরিবারের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করেছেন সম্পাদক/সিইও আবু তাহের। আরো শোক প্রকাষ করেছেন নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং হককথা.কম ও বার্তা সংস্থা ইউএনএ’র সম্পাদক এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ।

 

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

প্রখ্যাত সাংবাদিক ও কথাসাহিত্যিক রাহাত খান আর নেই

প্রকাশের সময় : ১০:২১:৫৫ অপরাহ্ন, শুক্রবার, ২৮ অগাস্ট ২০২০

হককথা ডেস্ক: কথাশিল্পী, ছোটগল্প, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও উপন্যাসের নিপুণ কারিগর, একুশে পদকপ্রাপ্ত প্রখ্যাত সাংবাদিক রাহাত খান আর নেই। শুক্রবার (২৮ আগষ্ট) বাংলাদেশ সময় রাত সাড়ে ৮টায় রাজধানী ঢাকার ইস্কাটনের নিজ বাসবভনে তিনি শেষ নি:শ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্না লিল্লাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজিউন)। তার বয়স হয়েছিল ৭৯ বছর। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ অসংখ্য আত্মীয় স্বজন ও গুণগ্রাহী রেখে গেছেন। শুক্রবার রাত সোয়া ৯টার দিকে রাহাত খানের স্ত্রী অপর্ণা খান নিজ ফেসবুকে তাঁর মৃত্যুর খবর জানান। সর্বশেষ তিনি দৈনিক ‘প্রতিদিনের সংবাদ’ পত্রিকার সম্পাদক-এর দায়িত্ব পালন করছিলেন।
এদিকে, রাহাত খানের মৃত্যুতে রাষ্ট্রপতি মো. আবদুল হামিদ ও প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা শোক প্রকাশ করেছেন। পৃথক পৃথক শোক বার্তায় তাঁরা শোকসন্তপ্ত পরিবারেরপ্র্রতি সমবেদনা জ্ঞাপন করেছেন।
ঢাকা থেকে প্রাপ্ত খবরে জানা গেছে, গত ২০ জুলাই রাহাত খানকে গুরুতর অসুস্থ অবস্থায় রাজধানীর বারডেম হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। এর আগের দিন বাসায় খাট থেকে নামতে গিয়ে কোমরে ব্যথা পান তিনি। এরপর চিকিৎসকের পরামর্শে এক্স-রে করা হলে পাঁজরে গভীর ক্ষত ধরা পড়ে। এর পাশাপাশি তার শ্বাসকষ্ট দেখা দিলে জরুরি ভিত্তিতে তাকে বারডেম হাসপাতালের আইসিউতে ভর্তি করা হয়। পরবর্তীতে তিনি বাসায় চিকিৎসাধীন ছিলেন।
শুক্রবার রাতেই তার মরদেহ বারডেম হাসপাতালের হিমাগারে রাখা হয়। শনিবার বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে তার মরদেহ দাফন করা হবে। দাফনের আগে রাহাত খানের মরদেহ জাতীয় প্রেসক্লাব, বাংলা একাডেমি ও শহীদ মিনারে নেয়া হতে পারে বলে অপর্ণা খান প্রতিদিন সংবাদ-কে জানিয়েছেন। ইতিপূর্বে অসুস্থ হয়ে হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন তিনি। রাহাত খান দীর্ঘদিন থেকে হৃদরোগ, কিডনি, ডায়াবেটিস রোগসহ শারীরিক নানা জটিলতায় ভুগছিলেন। এছাড়া করোনার কারণে তিনি সার্বক্ষণিক বাসাতেই অবস্থান করছিলেন।
জাতীয় প্রেসক্লাবের সাবেক যুগ্ম সম্পাদক আশরাফ আলী জানান, শনিবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাব প্রাঙ্গণে সাংবাদিক রাহাত খানের নামাজে জানাজা শেষে তাঁর শেষ ইচ্ছে অনুযায়ী ঢাকায় বুদ্ধিজীবী কবরস্থানে দাফন করা হবে।
জাতীয় প্রেস ক্লাবের সিনিয়র সদস্য রাহাত খান ১৯৪০ সালের ১৮ ডিসেম্বর কিশোরগঞ্জের তাড়াইল উপজেলার পূর্ব জাওয়ার গ্রামের খান পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। ১৯৬১ সালে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় থেকে বাংলায় স্নাতক ডিগ্রি লাভ করেন। শিক্ষা জীবন শেষ করে রাহাত খান কিছুদিন জোট পারচেজ ও বীমা কোম্পানিতে চাকরি করে ময়মনসিংহের নাসিরাবাদ কলেজে যোগদান করেন। তারপর একে একে জগন্নাথ বিশ্ববিদ্যালয় কলেজ, চট্টগ্রাম সরকারি কলেজসহ বিভিন্ন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানে অধ্যাপনা করেছেন। পরবর্তীতে সাংবাদিকতা আর লেখা-লেখিতে জড়িয়ে পড়েন। ১৯৬৯ সালে দৈনিক সংবাদ পত্রিকায় তার সাংবাদিকতা জীবনের হাতেখড়ি। পরে তিনি দৈনিক ইত্তেফাক পত্রিকায় যোগদান করেন। ২০০৯ সাল থেকে তিনি দৈনিক ইত্তেফাকের সহকারী ও ভারপ্রাপ্ত সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। ২০১৩ সালে তার সম্পাদনায় প্রকাশিত হয় দৈনিক বর্তমান পত্রিকা। বর্তমানে তিনি দৈনিক প্রতিদিনের সংবাদ পত্রিকার সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করছেন। এছাড়াও তিনি বাংলাদেশ সংবাদ সংস্থা (বাসস)’র পরিচালনা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান। ছিলেন বৃহত্তর ময়মনসিংহ সাংবাদিক ফোরাম, ঢাকার প্রতিষ্ঠাতা আহবায়ক। পরবর্তীতে তিনি প্রতিদিনের সংবাদ-এর সম্পাদক হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণ করেন এবং জীবনের শেষ দিন পর্যন্ত তিতি এই পদেই ছিলেন। রাহাত খান প্রাপ্ত উল্লেখযোগ্য পুরষ্কারগুলোর মধ্যে রয়েছে: বাংলা একাডেমি সাহিত্য পুরস্কার (১৯৭৩), সুহৃদ সাহিত্য পুরস্কার (১৯৭৫), সুফী মোতাহার হোসেন পুরস্কার (১৯৭৯), আবুল মনসুর আহমদ স্মৃতি পুরস্কার (১৯৮০), হুমায়ুন কাদির স্মৃতি পুরস্কার (১৯৮২), ত্রয়ী সাহিত্য পুরস্কার (১৯৮৮) এবং বাংলাদেশ সরকার কর্তৃক প্রদত্ত দ্বিতীয় সর্বোচ্চ বেসামরিক রাষ্ট্রীয় সম্মাননা একুশে পদক (১৯৯৬)।
১৯৭২ সালে তার প্রথম গল্পগ্রন্থ অনিশ্চিত লোকালয় প্রকাশিত হয়। তার পরবর্তী উপন্যাস ও গল্পগ্রন্থের মধ্যে উল্লেখযোগ্য হচ্ছে- অমল ধবল চাকরি, ছায়াদম্পতি, শহর, হে শূন্যতা, হে অনন্তের পাখি, মধ্য মাঠের খেলোয়াড়, এক প্রিয়দর্শিনী, মন্ত্রিসভার পতন, দুই নারী, কোলাহল ইত্যাদি। বর্ণাঢ্য সাংবাদিকতা জীবনে রাহাত খান কথাশিল্প, ছোটগল্প, প্রবন্ধ-নিবন্ধ ও উপন্যাসের নিপুণ কারিগর হয়ে উঠেছেন। তিনি কথাসাহিত্যিক হিসেবে সমাদৃত হলেও কর্মসূত্রে রাহাত খান আপাদমস্তক সাংবাদিক ছিলেন।
শোক প্রকাশ: প্রখ্যাত সাংবাদিক রাহাত খানের মৃত্যুতে এক শোক বিবৃতিতে বিএফইউজের (একাংশ) সভাপতি মোল্লা জালাল ও মহাসচিব শাবান মাহমুদ গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করে বলেছেন, রাহাত খান সাংবাদিকতা ও সাহিত্যে অসাধারণ অবদান রেখেছেন। তিনি দেশের প্রতিটি গণতান্ত্রিক ও প্রগতিশীল আন্দোলনে পেশাগত অবস্থান থেকে সক্রিয় ভূমিকা রেখেছেন। নেতৃবৃন্দ মরহুমের আত্মার শান্তি কামনা ও শোক সন্তপ্ত পরিবারের প্রতি গভীর সমবেদনা জ্ঞাপন করেন।
এছাড়াও রাহাত খানের ইন্তেকালে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সভাপতি ডা. ওয়াজেদ এ খান ও সাধারণ সম্পাদক মনোয়ারুল ইসলাম। সাপ্তাহিক বাংলা পত্রিকা ও টাইম টেলিভিশন পরিবারের পক্ষ থেকে শোক প্রকাশ করেছেন সম্পাদক/সিইও আবু তাহের। আরো শোক প্রকাষ করেছেন নিউইয়র্ক বাংলাদেশ প্রেসক্লাবের সাবেক সাধারণ সম্পাদক এবং হককথা.কম ও বার্তা সংস্থা ইউএনএ’র সম্পাদক এবিএম সালাহউদ্দিন আহমেদ।