নিউইয়র্ক ১০:২৭ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

পবিত্র হজ্ব পালন শেষে দেশে ফিরেছেন খালেদা জিয়া : ঢাকায় বিমানবন্দরে নেতা-কর্মীদের ঢল, সংবর্ধনা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১০:৫৪:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬
  • / ৯৯০ বার পঠিত

ঢাকা: পবিত্র হজ্ব পালন শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের সিনিয়র নেতারা। এদিকে বিমান বন্দরের বাইরে খালেদা জিয়াকে সংবর্ধনা দেন দলের নেতাকর্মীরা। বিমানবন্দরে যেতে রাস্তায় রাস্তায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নেতা-কর্মীরা। এর আগে বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মদিনা আবদুল আজীজ বিমানবন্দর থেকে বেগম জিয়াকে বহনকারী বিমানটি ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়। সেখানে বেগম জিয়া ও বড় ছেলে তারেক রহমানসহ পরিবারের সদস্যদের বিদায় জানান সৌদি আরব বিএনপির কয়েকহাজার নেতা-কর্মী। পথিমধ্যে আবুধাবী বিমানবন্দরে ৩ ঘন্টা যাত্রা বিরতির পর খালেদা জিয়া এ্যামিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। অন্যদিকে তারেক রহমান তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশে চলে যান।
বৃহস্প্রতিবার দুপুরে বেগম খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত হলেও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ মাত্র কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে বিমানবন্দরের ভেতরে ঢুকতে দেয় পুলিশ। এদের মধ্যে ছিলেন মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল নোমান, মোহাম্মদ শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, আবদুল কাইয়ুম, মজিবুর রহমান সরোয়ার, খায়রুল কবির খোকন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আমীনুল ইসলাম, নুরে আরা সাফা, শামা ওবায়েদ, শিরিন সুলতানা, আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিরক সম্পাদক শফিউল বারি বাবু, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, মুনির হোসেন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, কাদের গনি চৌধুরী, চৌধুরী আবদুল্লাহ ফারুক, রাজীব আহসান।
বিমানবন্দরে ঢুকতে বাধার সমালোচনা করে মির্জা আব্বাস সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। তার নেত্রীকে দেশবাসী চেনেন, সরকারও চেনে, তারপরও সরকার আজকে যেভাবে বাধা দিল, এটা কোনো রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। আমরা কখনও সরকারের কাছ থেকে সম্মানজনক ব্যবহার পাইনি, এটা দুঃখজনক। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারই নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করেছে। তারা আশা করেন, নির্বাচন কমিশনসহ সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে সরকার নিরপেক্ষ রাখবে।
উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর হজ্ব পালনের উদ্দেশে সৌদি আরব যান বেগম খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার বড় ছেলে তারেক রহমান সপরিবারে এবং ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও পবিত্র হজ্ব পালন করেন। তারেক রহমান ও তার পরিবার যুক্তরাজ্য থেকে সৌদি আরবে গিয়ে মায়ের সঙ্গে হজ্বে যোগ দেয়।
বিমানবন্দরে নেতা-কর্মীদের ঢল: এদিকে পথে পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় নেতাকর্মীদের ঢল নামে। বিমানবন্দরে ঢুকতে না দিলেও হাজার হাজার নেতা-কর্মীর অবস্থান বিমানবন্দরের বাইরের সড়ক থেকে শুরু করে খিলক্ষেত পর্যন্ত চলে যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে বেগম জিয়া দেশে ফিরবেন এমন খবরে নেতা-কর্মীরা বিমানবন্দরের সামনের রাস্তায় এবং আশপাশের এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন। দুপুরের পর থেকেই বিমানবন্দর এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন দলের নেতা-কর্মীরা। ব্যানার-ফেস্টুন হাতে নিয়ে নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে অপেক্ষা করেন তারা।
নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, রাস্তায় রাস্তায় তারা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। অনেকের গাড়ি সার্চ করেছে পুলিশ। যারা এসেছেন তারা মূলত আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসেছেন।
দূর দূরান্ত থেকে যারা এসেছেন তারা অনেকেই সকাল থেকেই এসে পড়েন। তখন অবশ্য পুলিশ তেমন কিছু বলেনি। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর হতে থাকে। এরপরও বিমানবন্দরের আশপাশের এলাকায় অপেক্ষা করতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। কখন প্রিয় নেত্রী বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন। সংবর্ধনা দেবেন এবং একনজর দেখবেন। কিন্তু বিমানবন্দরের ভেতরে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রবেশ করতে না দেয়ায় সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে তারা আনন্দ মিছিল করেন।
বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বিকাল ৫টা ১৭ মিনিটে ভিআইপি সড়ক দিয়ে গোল চত্বরে এলে হাজার নেতা-কর্মী তুমুল করতালি দিয়ে তাদের নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানায়। বিমানবন্দর থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত বিএনপির কর্মীরা অবস্থান নেন। বেগম জিয়ার গাড়ি বনানীর কাকলীতে সন্ধ্যা ৬টায় পৌঁছে। এদিকে খালেদার ফেরার সময় বিমানবন্দরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের জড়ো হওয়ার কর্মসূচি থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক কড়াকড়ি ছিল সকাল থেকে। (দৈনিক সংগ্রাম)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

আপনার মন্তব্য লিখুন

About Author Information

পবিত্র হজ্ব পালন শেষে দেশে ফিরেছেন খালেদা জিয়া : ঢাকায় বিমানবন্দরে নেতা-কর্মীদের ঢল, সংবর্ধনা

প্রকাশের সময় : ১০:৫৪:২৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৫ সেপ্টেম্বর ২০১৬

ঢাকা: পবিত্র হজ্ব পালন শেষে দেশে ফিরেছেন বিএনপি চেয়ারপার্সন সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বৃহস্পতিবার (২২ সেপ্টেম্বর) বিকেল ৫টা ১০ মিনিটে এমিরেটস এয়ারলাইন্সের একটি বিমানে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দরে অবতরণ করেন তিনি। সেখানে তাকে অভ্যর্থনা জানান বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ দলের সিনিয়র নেতারা। এদিকে বিমান বন্দরের বাইরে খালেদা জিয়াকে সংবর্ধনা দেন দলের নেতাকর্মীরা। বিমানবন্দরে যেতে রাস্তায় রাস্তায় আইনশৃঙ্খলাবাহিনী বাধা দিয়েছে বলে অভিযোগ করেছেন নেতা-কর্মীরা। এর আগে বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে ৪টার দিকে মদিনা আবদুল আজীজ বিমানবন্দর থেকে বেগম জিয়াকে বহনকারী বিমানটি ঢাকার উদ্দেশে রওয়ানা হয়। সেখানে বেগম জিয়া ও বড় ছেলে তারেক রহমানসহ পরিবারের সদস্যদের বিদায় জানান সৌদি আরব বিএনপির কয়েকহাজার নেতা-কর্মী। পথিমধ্যে আবুধাবী বিমানবন্দরে ৩ ঘন্টা যাত্রা বিরতির পর খালেদা জিয়া এ্যামিরেটস এয়ারলাইন্সের ফ্লাইটে ঢাকার উদ্দেশ্যে রওয়ানা হন। অন্যদিকে তারেক রহমান তার পরিবারের সদস্যদের নিয়ে লন্ডনের উদ্দেশে চলে যান।
বৃহস্প্রতিবার দুপুরে বেগম খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে বিপুলসংখ্যক নেতা-কর্মী উপস্থিত হলেও বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ মাত্র কয়েকজন সিনিয়র নেতাকে বিমানবন্দরের ভেতরে ঢুকতে দেয় পুলিশ। এদের মধ্যে ছিলেন মির্জা আব্বাস, আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী, আবদুল্লাহ আল নোমান, মোহাম্মদ শাহজাহান, আবদুল আউয়াল মিন্টু, এ জেড এম জাহিদ হোসেন, নিতাই রায় চৌধুরী, শাহজাহান ওমর, আবদুল কাইয়ুম, মজিবুর রহমান সরোয়ার, খায়রুল কবির খোকন, মাসুদ আহমেদ তালুকদার, আমীনুল ইসলাম, নুরে আরা সাফা, শামা ওবায়েদ, শিরিন সুলতানা, আবদুস সালাম আজাদ, স্বেচ্ছাসেবক দলের সাংগঠনিরক সম্পাদক শফিউল বারি বাবু, তাইফুল ইসলাম টিপু, বেলাল আহমেদ, মুনির হোসেন, শহিদুল ইসলাম বাবুল, কাদের গনি চৌধুরী, চৌধুরী আবদুল্লাহ ফারুক, রাজীব আহসান।
বিমানবন্দরে ঢুকতে বাধার সমালোচনা করে মির্জা আব্বাস সাংবাদিকদের বলেন, বিএনপি একটি বৃহৎ গণতান্ত্রিক রাজনৈতিক দল। তার নেত্রীকে দেশবাসী চেনেন, সরকারও চেনে, তারপরও সরকার আজকে যেভাবে বাধা দিল, এটা কোনো রাজনৈতিক শিষ্টাচারের মধ্যে পড়ে না। আমরা কখনও সরকারের কাছ থেকে সম্মানজনক ব্যবহার পাইনি, এটা দুঃখজনক। অন্য এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারই নির্বাচন কমিশনকে বিতর্কিত করেছে। তারা আশা করেন, নির্বাচন কমিশনসহ সব সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানকে সরকার নিরপেক্ষ রাখবে।
উল্লেখ্য, গত ৭ সেপ্টেম্বর হজ্ব পালনের উদ্দেশে সৌদি আরব যান বেগম খালেদা জিয়া। খালেদা জিয়ার সঙ্গে তার বড় ছেলে তারেক রহমান সপরিবারে এবং ছোট ছেলে মরহুম আরাফাত রহমান কোকোর স্ত্রী ও পবিত্র হজ্ব পালন করেন। তারেক রহমান ও তার পরিবার যুক্তরাজ্য থেকে সৌদি আরবে গিয়ে মায়ের সঙ্গে হজ্বে যোগ দেয়।
বিমানবন্দরে নেতা-কর্মীদের ঢল: এদিকে পথে পথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর বাধা উপেক্ষা করে বিএনপি চেয়ারপার্সন বেগম খালেদা জিয়াকে অভ্যর্থনা জানাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর এলাকায় নেতাকর্মীদের ঢল নামে। বিমানবন্দরে ঢুকতে না দিলেও হাজার হাজার নেতা-কর্মীর অবস্থান বিমানবন্দরের বাইরের সড়ক থেকে শুরু করে খিলক্ষেত পর্যন্ত চলে যায়। বৃহস্পতিবার বিকেলে বেগম জিয়া দেশে ফিরবেন এমন খবরে নেতা-কর্মীরা বিমানবন্দরের সামনের রাস্তায় এবং আশপাশের এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন। দুপুরের পর থেকেই বিমানবন্দর এলাকায় জড়ো হতে শুরু করেন দলের নেতা-কর্মীরা। ব্যানার-ফেস্টুন হাতে নিয়ে নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানাতে অপেক্ষা করেন তারা।
নেতা-কর্মীদের অভিযোগ, রাস্তায় রাস্তায় তারা আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর বাধার সম্মুখীন হয়েছেন। অনেকের গাড়ি সার্চ করেছে পুলিশ। যারা এসেছেন তারা মূলত আইনশৃঙ্খলাবাহিনীর সদস্যদের চোখ ফাঁকি দিয়ে এসেছেন।
দূর দূরান্ত থেকে যারা এসেছেন তারা অনেকেই সকাল থেকেই এসে পড়েন। তখন অবশ্য পুলিশ তেমন কিছু বলেনি। কিন্তু বেলা বাড়ার সাথে সাথে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কঠোর হতে থাকে। এরপরও বিমানবন্দরের আশপাশের এলাকায় অপেক্ষা করতে থাকেন নেতা-কর্মীরা। কখন প্রিয় নেত্রী বিমানবন্দরে অবতরণ করবেন। সংবর্ধনা দেবেন এবং একনজর দেখবেন। কিন্তু বিমানবন্দরের ভেতরে দলীয় নেতাকর্মীদের প্রবেশ করতে না দেয়ায় সামনের সড়কে অবস্থান নিয়ে তারা আনন্দ মিছিল করেন।
বিমানবন্দর থেকে বের হয়ে খালেদা জিয়ার গাড়িবহর বিকাল ৫টা ১৭ মিনিটে ভিআইপি সড়ক দিয়ে গোল চত্বরে এলে হাজার নেতা-কর্মী তুমুল করতালি দিয়ে তাদের নেত্রীকে শুভেচ্ছা জানায়। বিমানবন্দর থেকে খিলক্ষেত পর্যন্ত বিএনপির কর্মীরা অবস্থান নেন। বেগম জিয়ার গাড়ি বনানীর কাকলীতে সন্ধ্যা ৬টায় পৌঁছে। এদিকে খালেদার ফেরার সময় বিমানবন্দরে বিএনপি নেতা-কর্মীদের জড়ো হওয়ার কর্মসূচি থাকায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর ব্যাপক কড়াকড়ি ছিল সকাল থেকে। (দৈনিক সংগ্রাম)