ন্যায্য অর্থনীতির জন্য সম্মিলিত উদ্যোগের এখনই সময়, ধনী দেশগুলোকে প্রধানমন্ত্রী
- প্রকাশের সময় : ০৪:৩৯:২৫ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ১২ জানুয়ারী ২০২৩
- / ৩৫ বার পঠিত
করোনা মহামারি ও রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধের কারণে সৃষ্ট সংকটময় বৈশ্বিক অর্থনৈতিক পরিস্থিতি বিবেচনায় নিয়ে ‘ন্যায্য ও গ্রহণযোগ্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থা’ প্রতিষ্ঠায় সম্মিলিতভাবে কাজ করতে বিশ্বের ধনী দেশগুলোর প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। আজ বৃহস্পতিবার গণভবন থেকে ভারতের নয়াদিল্লিতে অনুষ্ঠিত ‘ভয়েস অব দ্য সাউথ সামিট ২০২৩’-এর উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে ভার্চুয়ালি যোগ দিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানান।
শীর্ষ ধনী দেশগুলোর জোট জি২০-এর সামনে ছয়টি প্রস্তাব রেখে প্রধানমন্ত্রী বলেন, টেকসই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি ও গ্লোবাল সাউথের (লাতিন আমেরিকা, এশিয়া, আফ্রিকা ও ওশেনিয়ার দেশগুলো) উন্নয়নের জন্য এগুলোর সম্মিলিত বাস্তবায়ন প্রয়োজন।
তিনি আরও বলেন, ‘বর্তমান বৈশ্বিক অর্থনীতিকে (রাশিয়া-ইউক্রেন যুদ্ধ এবং কোভিড-১৯ মহামারির প্রেক্ষাপট) বিবেচনায় নিয়ে একটি ন্যায্য ও গ্রহণযোগ্য অর্থনৈতিক ব্যবস্থার জন্য সম্মিলিতভাবে কাজ করার এখনই উপযুক্ত সময়।’
গুরুত্বপূর্ণ এই শীর্ষ সম্মেলনে বাংলাদেশকে অতিথি দেশ হিসেবে আমন্ত্রণ করায় ভারত সরকারকে ধন্যবাদ জানান প্রধানমন্ত্রী।
টেকসই বৈশ্বিক অর্থনৈতিক প্রবৃদ্ধি অর্জনের জন্য প্রস্তাবে শেখ হাসিনা বলেন, ‘প্রথমত, মানবতার বৃহত্তর স্বার্থে বিশ্বশান্তি ও স্থিতিশীলতা বজায় রাখতে হবে। দ্বিতীয়ত, একটি নতুন দৃষ্টান্ত প্রয়োজন, যা এসডিজির সমান্তরালে সামগ্রিকভাবে বৈষম্যকে মোকাবিলা করবে। তৃতীয়ত, স্বল্পোন্নত দেশ, জলবায়ু ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোসহ সবচেয়ে ঝুঁকিপূর্ণ দেশগুলোর জন্য বিশেষ অর্থায়নের প্রয়োজন, তাদের উত্তরণের সময় এটি পূরণ করতে হবে।’ চতুর্থ প্রস্তাব, সবার জন্য সমান সুযোগ নিশ্চিত করতে ‘ডিজিটাল ডিভাইডস’ সেতুবন্ধ রচনার প্রয়োজনীয়তার ওপর জোর দেন। তরুণ জনগোষ্ঠীর মধ্যে বিনিয়োগ করে চতুর্থ শিল্পবিপ্লবের সুবিধা নিন, যার জন্য অর্থায়ন ও প্রযুক্তি হস্তান্তর সমর্থন অত্যাবশ্যক, তিনি যোগ করেন।
পঞ্চম প্রস্তাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সব মানুষেরই ভালোভাবে জীবনযাপনের সমান অধিকার থাকা উচিত। বৈশ্বিক সম্প্রদায় জোরপূর্বক বাস্তুচ্যুত মিয়ানমারের নাগরিকদের প্রত্যাবর্তন নিশ্চিতের বিষয়টি যেন ভুলে না যান।’
প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, ‘এখানে অংশীদার, আন্তর্জাতিক আর্থিক প্রতিষ্ঠান, বেসরকারি খাত, থিংক-ট্যাংক এবং অন্যান্য স্টেকহোল্ডারের কাছ থেকে সমর্থন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ।’
প্রধানমন্ত্রী জি২০ প্রেসিডেন্ট হিসেবে দায়িত্ব গ্রহণের জন্য ভারতের প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এবং ভারত সরকারকে আন্তরিক অভিনন্দন জানিয়ে বলেন, ‘অন্তর্ভুক্তিমূলক উন্নয়নের বিষয়ে পরামর্শমূলক কার্যক্রমের মাধ্যমে জি২০ প্ল্যাটফর্মকে আরও অর্থবহ করার জন্য তাঁর দৃঢ় প্রতিশ্রুতিকে আমি গভীরভাবে উপলব্ধি করি।’