নিউইয়র্ক ০৭:৪২ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ জুন ২০২৫, ১০ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর, হাজী সেলিমের ছেলের বিরুদ্ধে মামলা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:৫৪:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অক্টোবর ২০২০
  • / ৯৫ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: রাজধানী ঢাকার কলাবাগান এলাকায় গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ এরফান সেলিমের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ধানমন্ডি থানার অফিসার ইনচার্জ ইকরাম আলী মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সোমবার (২৬ অক্টোবর) ভোরে (বাংলাদেশ সময়) মামলাটি এন্ট্রি করা হয়। মারধরের শিকার নোবাহিনীর ওই কর্মকর্তা হলেন মো. ওয়াসিফ আহমেদ খান। তিনি লেফটেন্যান্ট পদমর্যাদার।
জানা গেছে, রোববার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির কলাবাগান সিগন্যালের পাশে ‘সংসদ সদস্য’ স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি থেকে নেমে ওই কর্মকর্তাকে মারধর করা হয়। পরে জনরোষের মধ্যে গাড়িটি ফেলে এর নম্বরপ্লেট ভেঙে চলে যান হাজী সেলিমের ছেলে ও তার বডিগার্ডরা। গাড়ির নম্বর- ঢাকা মেট্টো- ঘ ১১-৫৭৩৬। ওই সময় প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানিয়েছিলেন, মারধর করা ব্যক্তি হাজী সেলিমের ছেলে ও তার বডিগার্ড। অভিযুক্তরা ওয়াসিফ আহমেদ খানের স্ত্রীর গায়েও হাত দেয়ার চেষ্টা চালান। এ ঘটনায় রাতেই ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন মো. ওয়াসিফ আহমেদ খান।
এদিকে, ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এতে ওয়াসিফ আহমেদকে রক্তাক্ত দেখা যায়। ভিডিওতে দাবি করা হয়, মারধর করে তার দাঁত ভেঙে ফেলা হয়েছে। ঘটনাটি দেশ ও প্রবাসে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।
হাজী সেলিমের বাসায় অভিযান, ছেলে এরফান গ্রেপ্তার
অপরদিকে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যার হুমকির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় হাজী সেলিম এমপি’র ছেলে মোহাম্মদ এরফান সেলিমকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এরফান ছাড়াও আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে র‌্যাবের একটি দল হাজী সেলিমের বাসা ঘিরে তল্লাশি শুরু করে। র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, শুধু রোববারের ঘটনা নয় সাম্প্রাতিক কিছু বিষয় নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে ম্যাজিস্ট্রেট কেন এমন প্রশ্নের বিষয়ে তিনি বলেন, কোথায় অভিযান চালাতে গেলে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে করতে হয়। সেজন্য ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে এসেছেন। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে। (সূত্র: দৈনিক মানবজমিন)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর, হাজী সেলিমের ছেলের বিরুদ্ধে মামলা

প্রকাশের সময় : ০৩:৫৪:১৮ অপরাহ্ন, সোমবার, ২৬ অক্টোবর ২০২০

হককথা ডেস্ক: রাজধানী ঢাকার কলাবাগান এলাকায় গাড়ি থেকে নেমে নৌবাহিনীর এক কর্মকর্তাকে মারধরের অভিযোগে ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের (ডিএসসিসি) ৩০ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর ও ঢাকা-৭ আসনের এমপি হাজী সেলিমের ছেলে মোহাম্মদ এরফান সেলিমের বিরুদ্ধে মামলা হয়েছে। ধানমন্ডি থানার অফিসার ইনচার্জ ইকরাম আলী মিয়া বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। তিনি বলেন, সোমবার (২৬ অক্টোবর) ভোরে (বাংলাদেশ সময়) মামলাটি এন্ট্রি করা হয়। মারধরের শিকার নোবাহিনীর ওই কর্মকর্তা হলেন মো. ওয়াসিফ আহমেদ খান। তিনি লেফটেন্যান্ট পদমর্যাদার।
জানা গেছে, রোববার রাতে রাজধানীর ধানমন্ডির কলাবাগান সিগন্যালের পাশে ‘সংসদ সদস্য’ স্টিকার লাগানো একটি গাড়ি থেকে নেমে ওই কর্মকর্তাকে মারধর করা হয়। পরে জনরোষের মধ্যে গাড়িটি ফেলে এর নম্বরপ্লেট ভেঙে চলে যান হাজী সেলিমের ছেলে ও তার বডিগার্ডরা। গাড়ির নম্বর- ঢাকা মেট্টো- ঘ ১১-৫৭৩৬। ওই সময় প্রত্যক্ষদর্শী ও পুলিশ জানিয়েছিলেন, মারধর করা ব্যক্তি হাজী সেলিমের ছেলে ও তার বডিগার্ড। অভিযুক্তরা ওয়াসিফ আহমেদ খানের স্ত্রীর গায়েও হাত দেয়ার চেষ্টা চালান। এ ঘটনায় রাতেই ধানমন্ডি থানায় একটি সাধারণ ডায়েরি (জিডি) করেন মো. ওয়াসিফ আহমেদ খান।
এদিকে, ঘটনার পর সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি ভিডিও ছড়িয়ে পড়ে। এতে ওয়াসিফ আহমেদকে রক্তাক্ত দেখা যায়। ভিডিওতে দাবি করা হয়, মারধর করে তার দাঁত ভেঙে ফেলা হয়েছে। ঘটনাটি দেশ ও প্রবাসে ব্যাপক প্রতিক্রিয়ার সৃষ্টি করেছে।
হাজী সেলিমের বাসায় অভিযান, ছেলে এরফান গ্রেপ্তার
অপরদিকে নৌবাহিনীর কর্মকর্তাকে মারধর ও হত্যার হুমকির ঘটনায় দায়ের করা মামলায় হাজী সেলিম এমপি’র ছেলে মোহাম্মদ এরফান সেলিমকে গ্রেপ্তার করেছে র‌্যাব। এরফান ছাড়াও আরও দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। এর আগে র‌্যাবের একটি দল হাজী সেলিমের বাসা ঘিরে তল্লাশি শুরু করে। র‌্যাবের নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট সারোয়ার আলম এ অভিযানের নেতৃত্ব দেন।
র‌্যাবের আইন ও গণমাধ্যম শাখার মুখপাত্র লেফটেন্যান্ট কর্নেল আশিক বিল্লাহ ঘটনাস্থলে উপস্থিত সাংবাদিকদের বলেন, শুধু রোববারের ঘটনা নয় সাম্প্রাতিক কিছু বিষয় নিয়ে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ ও অভিযান পরিচালনা করা হচ্ছে। ঘটনাস্থলে ম্যাজিস্ট্রেট কেন এমন প্রশ্নের বিষয়ে তিনি বলেন, কোথায় অভিযান চালাতে গেলে ম্যাজিস্ট্রেটের উপস্থিতিতে করতে হয়। সেজন্য ম্যাজিস্ট্রেট ঘটনাস্থলে এসেছেন। অভিযান শেষে বিস্তারিত জানানো হবে। (সূত্র: দৈনিক মানবজমিন)