নিউইয়র্ক ০২:০১ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

‘নির্বাচন নিয়ে আপনারাও বকবক করেন, বিদেশিদের দিয়েও করান’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৩৫:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৩
  • / ৭৭ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক :  বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের এখনো আট মাস বাকি। এখনই নির্বাচন প্রসঙ্গ সামনে নিয়ে আসায় সাংবাদিকদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা (গণমাধ্যমকর্মী) নিজেরা বকবক করেন, বিদেশিগুলারে দিয়ে বকবক করান।’ সোমবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তিন দেশ সফর নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় সাংবাদিকরা আগামী নির্বাচনের প্রসঙ্গ তোলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আট মাস পরে নির্বাচন। এগুলো নিয়ে এখনই হইচই। দেশে আর কোনো কাজ নাই? অনেক কিছু দেশে আছে। জলবায়ু, এমপ্লয়মেন্ট চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জের শেষ নেই। আপনারা এগুলো না বলে শুধু বকবক করেন নির্বাচন নিয়ে।

এটা খুবই দুঃখজনক।’ মন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছে খুব দুঃখজনক মনে হয়। আপনারা নিজেরা বকবক করেন, বিদেশিগুলারে দিয়ে বকবক করান।’ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় উল্লেখ করে মোমেন বলেন, আমরা চাই, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য যে ধরনের ইনস্টিটিউশন করা দরকার সেগুলো প্রতিষ্ঠিত করেছি। তবে সরকার শুধু চাইলে, নির্বাচন কমিশন চাইলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। এটা গ্যারান্টি দেয়া যাবে না। বিরোধী দল বিএনপি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় কিনা, সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রাখেন মোমেন। বলেন, আপনি বিএনপিকে জিজ্ঞেস করেন তারা কমিটেড কিনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে। সব দল যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কমিটমেন্ট দেয় তবেই সুন্দর ও স্বচ্ছ নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছ নির্বাচন দিতে প্রস্তুত। বাকিদের (রাজনৈতিক দলগুলো) দলে আনেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনে বিরোধী সহ সব দলের আন্তরিকতা ও ঐকান্তিকতা থাকতে হবে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য সব দলকে আসতে হবে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন এবং নির্বাচনের সময় কমিশনের হাতে সব ক্ষমতা ন্যস্ত থাকার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। শুধু স্বাধীন বললে ভুল হবে। প্রধানমন্ত্রী ওদের (নির্বাচন কমিশন) নিয়োগ দেন নাই। বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কমিটি তাদের নিয়োগ দিয়েছে। তারা খুব স্বাধীন। নির্বাচনের সময় সব দায়দায়িত্ব কমিশনের। তারা (নির্বাচন কমিশন) চাইলে যেকোনো অফিসার নির্বাচনের সময় সিভিল হোক আর সিকিউরিটি হোক সাসপেন্ড করতে পারে, টারমিনেট করতে পারে, ট্রান্সফার করতে পারে। এ সময় দেশের মানুষ বর্তমান সরকারকে আবারো ভোট দেবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। উল্লেখ্য, চলতি মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিনকেনের সঙ্গে ওয়াশিংটনে বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন স্বীকার করেন ব্লিনকেনের সঙ্গে তার আনুষ্ঠানিক আলোচনা ছাড়াও ওয়ান টু ওয়ান কথা হয়েছে। তবে সেখানে তাদের মধ্যে কী কথা হয়েছে তা তিনি প্রকাশ করেননি। তবে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের বিষয়ে যে ভিডিও বার্তা প্রকাশ পেয়েছে তাতে দেখা গেছে ব্লিনকেন বলছেন, বাংলাদেশে যাতে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে।

আরোও পড়ুন। গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে রাজনীতি, বঙ্গভবনে সাহাবুদ্দিন

ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন আরও বলেন, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন যাতে এ অঞ্চল এবং সারা বিশ্বের জন্য একটি জোরালো উদাহরণ তৈরি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বানে গিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিবিসি বলছে, মি. ব্লিনকেন এমন এক সময়ে এ কথা বললেন, যখন বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে আমেরিকা এবং পশ্চিমা দেশগুলোর জোরালো আগ্রহ তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠকে পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে আগামী নির্বাচন যাতে অবাধ এবং সুষ্ঠু হয় সে তাগিদ দেয়া হয়েছে। সমপ্রতি বাংলাদেশের মানবাধিকার ইস্যুতেও সমালোচনা করেছে আমেরিকা। ঢাকায় নিযুক্ত ‘নির্বাচন নিয়ে রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নানা তৎপরতা নিয়ে খোলাখুলিভাবে সমালোচনা করেছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও মন্ত্রীরা।

যুক্তরাষ্ট্রে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকের আগে আগে বাংলাদেশের সংসদে দেয়া বক্তৃতায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চাইলে যেকোনো দেশের ক্ষমতা উল্টাতে-পাল্টাতে পারে। তারা গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে এখানে এমন একটি সরকার আনতে চাচ্ছে, যাতে গণতান্ত্রিক কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। ওয়াশিংটনে সোমবার বৈঠকের আগে মি. ব্লিনকেন বলেন, দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং মানবাধিকার ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি বলেন। পরে এই বৈঠকের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলা ভাষাভাষী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন। সেখানে তার বক্তব্য বাংলাদেশের কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিয়েছেন, তার মধ্যে অন্যতম ছিল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। আমি বলেছি, অবশ্যই, এটা আমাদেরও উদ্দেশ্য। আমরাও একটা মডেল নির্বাচন চাই। এ ব্যাপারে আপনারাও সাহায্য করেন, যাতে আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন করতে পারি। বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য সাধারণ নির্বাচন দেখতে চায় বলে এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন পশ্চিমা দেশের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেয়া হয়েছে।
সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

‘নির্বাচন নিয়ে আপনারাও বকবক করেন, বিদেশিদের দিয়েও করান’

প্রকাশের সময় : ১২:৩৫:১৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৫ এপ্রিল ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক :  বাংলাদেশের জাতীয় নির্বাচনের এখনো আট মাস বাকি। এখনই নির্বাচন প্রসঙ্গ সামনে নিয়ে আসায় সাংবাদিকদের ওপর ক্ষোভ প্রকাশ করলেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে তিনি বলেন, ‘আপনারা (গণমাধ্যমকর্মী) নিজেরা বকবক করেন, বিদেশিগুলারে দিয়ে বকবক করান।’ সোমবার বিকালে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনার তিন দেশ সফর নিয়ে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আয়োজিত সংবাদ সম্মেলনে ব্রিফ করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় সাংবাদিকরা আগামী নির্বাচনের প্রসঙ্গ তোলেন। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, ‘আট মাস পরে নির্বাচন। এগুলো নিয়ে এখনই হইচই। দেশে আর কোনো কাজ নাই? অনেক কিছু দেশে আছে। জলবায়ু, এমপ্লয়মেন্ট চ্যালেঞ্জ। চ্যালেঞ্জের শেষ নেই। আপনারা এগুলো না বলে শুধু বকবক করেন নির্বাচন নিয়ে।

এটা খুবই দুঃখজনক।’ মন্ত্রী বলেন, ‘আমার কাছে খুব দুঃখজনক মনে হয়। আপনারা নিজেরা বকবক করেন, বিদেশিগুলারে দিয়ে বকবক করান।’ সরকার অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করতে চায় উল্লেখ করে মোমেন বলেন, আমরা চাই, একটি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য যে ধরনের ইনস্টিটিউশন করা দরকার সেগুলো প্রতিষ্ঠিত করেছি। তবে সরকার শুধু চাইলে, নির্বাচন কমিশন চাইলে অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন হবে না। এটা গ্যারান্টি দেয়া যাবে না। বিরোধী দল বিএনপি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন চায় কিনা, সাংবাদিকদের উদ্দেশ্যে প্রশ্ন রাখেন মোমেন। বলেন, আপনি বিএনপিকে জিজ্ঞেস করেন তারা কমিটেড কিনা অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের ব্যাপারে। সব দল যদি অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচনের কমিটমেন্ট দেয় তবেই সুন্দর ও স্বচ্ছ নির্বাচন হবে। নির্বাচন কমিশন স্বচ্ছ নির্বাচন দিতে প্রস্তুত। বাকিদের (রাজনৈতিক দলগুলো) দলে আনেন।

তিনি বলেন, নির্বাচনে বিরোধী সহ সব দলের আন্তরিকতা ও ঐকান্তিকতা থাকতে হবে। অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন করার জন্য সব দলকে আসতে হবে। নির্বাচন কমিশন স্বাধীন এবং নির্বাচনের সময় কমিশনের হাতে সব ক্ষমতা ন্যস্ত থাকার কথা উল্লেখ করে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন কমিশন স্বাধীন। শুধু স্বাধীন বললে ভুল হবে। প্রধানমন্ত্রী ওদের (নির্বাচন কমিশন) নিয়োগ দেন নাই। বিশেষ ব্যবস্থাপনায় কমিটি তাদের নিয়োগ দিয়েছে। তারা খুব স্বাধীন। নির্বাচনের সময় সব দায়দায়িত্ব কমিশনের। তারা (নির্বাচন কমিশন) চাইলে যেকোনো অফিসার নির্বাচনের সময় সিভিল হোক আর সিকিউরিটি হোক সাসপেন্ড করতে পারে, টারমিনেট করতে পারে, ট্রান্সফার করতে পারে। এ সময় দেশের মানুষ বর্তমান সরকারকে আবারো ভোট দেবে বলে দৃঢ় আশাবাদ ব্যক্ত করেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। উল্লেখ্য, চলতি মাসে মার্কিন পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্টনি জে ব্লিনকেনের সঙ্গে ওয়াশিংটনে বৈঠক করেছেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. একে আব্দুল মোমেন। সংবাদ সম্মেলনে এক প্রশ্নের জবাবে মোমেন স্বীকার করেন ব্লিনকেনের সঙ্গে তার আনুষ্ঠানিক আলোচনা ছাড়াও ওয়ান টু ওয়ান কথা হয়েছে। তবে সেখানে তাদের মধ্যে কী কথা হয়েছে তা তিনি প্রকাশ করেননি। তবে আনুষ্ঠানিক বৈঠকের বিষয়ে যে ভিডিও বার্তা প্রকাশ পেয়েছে তাতে দেখা গেছে ব্লিনকেন বলছেন, বাংলাদেশে যাতে একটি অবাধ ও নিরপেক্ষ নির্বাচন হয় সেজন্য যুক্তরাষ্ট্রের পাশাপাশি সারা বিশ্ব তাকিয়ে আছে।

আরোও পড়ুন। গুরুত্বপূর্ণ বাঁকে রাজনীতি, বঙ্গভবনে সাহাবুদ্দিন

ওয়াশিংটনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেনের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠকের সূচনা বক্তব্যে যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রী অ্যান্থনি ব্লিনকেন আরও বলেন, বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন যাতে এ অঞ্চল এবং সারা বিশ্বের জন্য একটি জোরালো উদাহরণ তৈরি করতে পারে। যুক্তরাষ্ট্রে পররাষ্ট্রমন্ত্রীর আহ্বানে গিয়েছেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী। বিবিসি বলছে, মি. ব্লিনকেন এমন এক সময়ে এ কথা বললেন, যখন বাংলাদেশের আগামী নির্বাচন নিয়ে আমেরিকা এবং পশ্চিমা দেশগুলোর জোরালো আগ্রহ তৈরি হয়েছে। বাংলাদেশের সঙ্গে বিভিন্ন পর্যায়ে বৈঠকে পশ্চিমা দেশগুলোর পক্ষ থেকে আগামী নির্বাচন যাতে অবাধ এবং সুষ্ঠু হয় সে তাগিদ দেয়া হয়েছে। সমপ্রতি বাংলাদেশের মানবাধিকার ইস্যুতেও সমালোচনা করেছে আমেরিকা। ঢাকায় নিযুক্ত ‘নির্বাচন নিয়ে রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের নানা তৎপরতা নিয়ে খোলাখুলিভাবে সমালোচনা করেছেন ক্ষমতাসীন দলের নেতা ও মন্ত্রীরা।

যুক্তরাষ্ট্রে দুই দেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর মধ্যে বৈঠকের আগে আগে বাংলাদেশের সংসদে দেয়া বক্তৃতায় বাংলাদেশের প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র চাইলে যেকোনো দেশের ক্ষমতা উল্টাতে-পাল্টাতে পারে। তারা গণতন্ত্রকে বাদ দিয়ে এখানে এমন একটি সরকার আনতে চাচ্ছে, যাতে গণতান্ত্রিক কোনো অস্তিত্ব থাকবে না। ওয়াশিংটনে সোমবার বৈঠকের আগে মি. ব্লিনকেন বলেন, দুই দেশের মধ্যে অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি এবং মানবাধিকার ইস্যুসহ বিভিন্ন বিষয়ে সম্পর্ক আরও জোরদার করতে যুক্তরাষ্ট্র কাজ করে যাচ্ছে বলে তিনি বলেন। পরে এই বৈঠকের বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্রে বাংলা ভাষাভাষী সাংবাদিকদের সঙ্গে কথা বলেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন। সেখানে তার বক্তব্য বাংলাদেশের কয়েকটি গণমাধ্যমে প্রকাশিত হয়েছে।

আব্দুল মোমেন সাংবাদিকদের বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্রে পররাষ্ট্রমন্ত্রী যে বিষয়গুলোতে গুরুত্ব দিয়েছেন, তার মধ্যে অন্যতম ছিল অবাধ ও সুষ্ঠু নির্বাচন। আমি বলেছি, অবশ্যই, এটা আমাদেরও উদ্দেশ্য। আমরাও একটা মডেল নির্বাচন চাই। এ ব্যাপারে আপনারাও সাহায্য করেন, যাতে আমরা একটি অবাধ, সুষ্ঠু ও স্বচ্ছ নির্বাচন করতে পারি। বাংলাদেশে সব দলের অংশগ্রহণে সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য সাধারণ নির্বাচন দেখতে চায় বলে এর আগেও একাধিকবার বিভিন্ন পশ্চিমা দেশের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেয়া হয়েছে।
সুমি/হককথা