নিউইয়র্ক ১০:৩৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৮ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নির্বাচনের আগে বাড়ছে আড়ি পাতার সক্ষমতা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৫:২৬:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩
  • / ২৫ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নজরদারি বৃদ্ধির নতুন পদ্ধতি চালু হচ্ছে নভেম্বর থেকে। এর মাধ্যমে ফোন ব্যবহারকারীর সুনির্দিষ্ট অবস্থান জানা সম্ভব হবে। মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে সরাসরি এই তথ্য সংগ্রহ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নির্বাচনের আগে এই ধরনের নজরদারি বৃদ্ধির উদ্যোগে উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা আশঙ্কা করছেন, বিরোধী মতের আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে আড়ি পাতার এই পদ্ধতি ব্যবহার করবে সরকার। তারা বলছেন, নাগরিকদের নিয়ন্ত্রণে নজরদারির এসব পদ্ধতি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, ব্যক্তি অধিকারের লঙ্ঘন।

বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের এলাকাভিত্তিক অবস্থান জানা যায়। নজরদারির আওতা আরও বাড়াতে ইন্টিগ্রেটেড লফুল ইন্টারসেপশন সিস্টেম (আইএলআইএস) ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০১৮ সালে। ওই বছরের মার্চে সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট অপারেটরগুলোকে এ-সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য অপরাধ ও অপরাধী শনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় উপাত্ত সংগ্রহে এই পদ্ধতি ব্যবহার করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা। ২০২২ সালের জুন মাসে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ফ্রান্সের ইন্টারসেকের কাছ থেকে ১৭২ কোটি টাকায় এ-সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করে।

একাধিক অপারেটর জানিয়েছে, তাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। নভেম্বর থেকে জিও লোকেশন শনাক্তকরণ পদ্ধতি চালু হবে। একজন অপারেটর প্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমকালকে বলেন, এখনকার পদ্ধতিতে একজন ব্যক্তি কোন এলাকায় আছেন তা জানা যায়। কিন্তু তিনি ওই এলাকার কোথায় অবস্থান করছেন, তা বলা সম্ভব হয় না। নতুন পদ্ধতিতে নির্দিষ্টভাবে বলা যাবে তিনি কোন ভবনের কোথায় অবস্থান করছেন।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন অনুসারে, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার স্বার্থে গ্রাহকের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও রেকর্ড করতে পারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। টেলিযোগাযোগ অপারেটররা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে। নতুন পদ্ধতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিজেরাই ব্যক্তির অবস্থান শনাক্ত করতে পারবে।

তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যক্তির অবস্থান সব দেশেই শনাক্ত করা হয়। কিন্তু সেখানে ব্যক্তির পরিচয় সাধারণত প্রকাশ করা হয় না। আর দুর্যোগ আর বিপদে এই পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশে আড়ি পাতা ও নজরদারির অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। নতুন নজরদারি ব্যক্তির নিরাপত্তাকে আরও বিঘ্নিত করবে।

সংবিধান বিশেষজ্ঞ শাহ্দীন মালিক বলেন, ব্যক্তির অবস্থান শনাক্তকরণ সমস্যা নয়, সমস্যা এর অপপ্রয়োগ নিয়ে। নাগরিকদের নিয়ন্ত্রণে এটি ব্যবহৃত হলে তা হবে সংবিধানের লঙ্ঘন। জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সমকালকে জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। সূত্র : সমকাল

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নির্বাচনের আগে বাড়ছে আড়ি পাতার সক্ষমতা

প্রকাশের সময় : ০৫:২৬:০১ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২৩ অক্টোবর ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : মোবাইল ফোনের মাধ্যমে নজরদারি বৃদ্ধির নতুন পদ্ধতি চালু হচ্ছে নভেম্বর থেকে। এর মাধ্যমে ফোন ব্যবহারকারীর সুনির্দিষ্ট অবস্থান জানা সম্ভব হবে। মোবাইল ও ইন্টারনেট সেবাদাতা প্রতিষ্ঠানগুলোর মাধ্যমে সরাসরি এই তথ্য সংগ্রহ করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। নির্বাচনের আগে এই ধরনের নজরদারি বৃদ্ধির উদ্যোগে উদ্বেগ জানিয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। তারা আশঙ্কা করছেন, বিরোধী মতের আন্দোলন নিয়ন্ত্রণে আড়ি পাতার এই পদ্ধতি ব্যবহার করবে সরকার। তারা বলছেন, নাগরিকদের নিয়ন্ত্রণে নজরদারির এসব পদ্ধতি সংবিধানের সঙ্গে সাংঘর্ষিক, ব্যক্তি অধিকারের লঙ্ঘন।

বর্তমানে মোবাইল ফোন ব্যবহারকারীদের এলাকাভিত্তিক অবস্থান জানা যায়। নজরদারির আওতা আরও বাড়াতে ইন্টিগ্রেটেড লফুল ইন্টারসেপশন সিস্টেম (আইএলআইএস) ব্যবহারের উদ্যোগ নেওয়া হয় ২০১৮ সালে। ওই বছরের মার্চে সংশ্লিষ্ট মোবাইল ফোন ও ইন্টারনেট অপারেটরগুলোকে এ-সংক্রান্ত চিঠি দেওয়া হয়। এতে বলা হয়, জনসাধারণের নিরাপত্তার জন্য অপরাধ ও অপরাধী শনাক্তকরণে প্রয়োজনীয় উপাত্ত সংগ্রহে এই পদ্ধতি ব্যবহার করবে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী ও গোয়েন্দা সংস্থা। ২০২২ সালের জুন মাসে সরকারি ক্রয়সংক্রান্ত মন্ত্রিসভা কমিটি ফ্রান্সের ইন্টারসেকের কাছ থেকে ১৭২ কোটি টাকায় এ-সংক্রান্ত যন্ত্রপাতি কেনার প্রস্তাব অনুমোদন করে।

একাধিক অপারেটর জানিয়েছে, তাদের প্রস্তুতি প্রায় শেষ। নভেম্বর থেকে জিও লোকেশন শনাক্তকরণ পদ্ধতি চালু হবে। একজন অপারেটর প্রতিনিধি নাম প্রকাশ না করার শর্তে সমকালকে বলেন, এখনকার পদ্ধতিতে একজন ব্যক্তি কোন এলাকায় আছেন তা জানা যায়। কিন্তু তিনি ওই এলাকার কোথায় অবস্থান করছেন, তা বলা সম্ভব হয় না। নতুন পদ্ধতিতে নির্দিষ্টভাবে বলা যাবে তিনি কোন ভবনের কোথায় অবস্থান করছেন।

বাংলাদেশ টেলিযোগাযোগ আইন অনুসারে, রাষ্ট্রের নিরাপত্তা বা জনশৃঙ্খলার স্বার্থে গ্রাহকের তথ্য-উপাত্ত সংগ্রহ ও রেকর্ড করতে পারে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী। টেলিযোগাযোগ অপারেটররা আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর নির্দেশনা অনুযায়ী কাজ করে। নতুন পদ্ধতিতে আইনশৃঙ্খলা বাহিনী নিজেরাই ব্যক্তির অবস্থান শনাক্ত করতে পারবে।

তথ্যপ্রযুক্তি বিশেষজ্ঞ সুমন আহমেদ সাবির বলেন, প্রযুক্তির ব্যবহারের মাধ্যমে ব্যক্তির অবস্থান সব দেশেই শনাক্ত করা হয়। কিন্তু সেখানে ব্যক্তির পরিচয় সাধারণত প্রকাশ করা হয় না। আর দুর্যোগ আর বিপদে এই পদ্ধতির সাহায্য নেওয়া হয়। কিন্তু বাংলাদেশে আড়ি পাতা ও নজরদারির অপব্যবহারের অভিযোগ রয়েছে। নতুন নজরদারি ব্যক্তির নিরাপত্তাকে আরও বিঘ্নিত করবে।

সংবিধান বিশেষজ্ঞ শাহ্দীন মালিক বলেন, ব্যক্তির অবস্থান শনাক্তকরণ সমস্যা নয়, সমস্যা এর অপপ্রয়োগ নিয়ে। নাগরিকদের নিয়ন্ত্রণে এটি ব্যবহৃত হলে তা হবে সংবিধানের লঙ্ঘন। জানতে চাইলে ডাক ও টেলিযোগাযোগমন্ত্রী মোস্তাফা জব্বার সমকালকে জানান, এ বিষয়ে তিনি কিছু জানেন না। সূত্র : সমকাল