নিউইয়র্ক ১২:১১ অপরাহ্ন, সোমবার, ০৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ২১ মাঘ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নির্বাচনি মাঠ শূন্য করতে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে নেমেছে সরকার

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৩৪:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০২৩
  • / ৬৭ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মানুষ যখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথের মিছিলে শরিক হচ্ছে-ঠিক সে সময় সরকার পুরোনো কায়দায় গুম, গ্রেফতার, নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে ২৮ জুলাইয়ের পর থেকে প্রতিদিনই গ্রেফতার ও নির্যাতন করা হচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী শূন্য করতে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে নেমেছে সরকার। রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এদিকে, নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিএনপি মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণের থানায় থানায় বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম এ ঘোষণা দেন।

গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন এগিয়ে আসায় সরকার নির্বাচনি মাঠ থেকে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিতাড়িত করার সব অপকৌশল নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার হবিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা গুলি, টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে বিএনপির শত শত নেতাকর্মীকে আহত করেছে। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় শত শত পুলিশ ও সাদা পোশাকধারী পুলিশ এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ঘিরে রেখেছে। দলীয় কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করেছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়কে ঘিরে এক ভয়ংকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে যা কোনো স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক আচরণ হতে পারে না। তিনি আরও বলেন, জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সরকার দেশের নিরীহ গণতন্ত্রকামী মানুষের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। নিজস্ব বাহিনী দিয়ে গুলি করে হত্যা, গুম-খুন করছে। এ থেকে বোঝা যায়-সরকার বিরোধী মতের আন্দোলনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে এ সরকারের বিদায় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি-সব অপকৌশল বন্ধ করে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে আসুন। অন্যথায় জনতার উত্তাল তরঙ্গের ন্যায় আন্দোলনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনা হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এর আগে ছাত্রদলের ছয় নেতাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে অস্ত্র দিয়ে নাটক সাজিয়ে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। কেন্দ্রের নির্দেশে তারা অস্ত্র সংগ্রহ করেছে বলে-ডিবির দাবিকে তিনি ডাহা মিথ্যা বলে অভিহিত করেন। অবিলম্বে তাদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। এ সময় শনিবার সারা দেশে পদযাত্রায় হামলা ও গ্রেফতার নেতাকর্মীদের তালিকা তিনি তুলে ধরেন।

মির্জা ফখরুল দাবি করেন-প্রতিদিনই সারা দেশে নেতাকর্মীদের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে, হামলা ও গ্রেফতার করা হচ্ছে। সরকারপ্রধানের নির্দেশে কিছু সংখ্যক অতি উৎসাহী দলবাজ পুলিশ কর্মকর্তা এমন বেআইনি কর্মকাণ্ড চালাতে মাঠপর্যায়ের সদস্যদের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে বিএনপিসহ বিরোধী মতের নেতাকর্মী, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে সাজা দেওয়া হচ্ছে। রাজনীতি থেকে তাদের বিতাড়িত করতে এবং তাদের কণ্ঠ স্তব্ধ করতে কৌশল গ্রহণ করেছে। জামিন লাভের পর নতুন আসামি বানিয়ে জেল গেটে অনেককে গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, আগামীতে দেশে কি হবে-সেটা সম্পূর্ণ সরকারের ওপর নির্ভর করছে। সরকার চাইলে সব দল মিলে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। আর একতরফা নির্বাচন হলে তো সংঘাত হতে পারে। তবে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকায় যে প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে-আমাদের কাছে সেটার কোনো সত্যতা নেই। কোনো বিশ্বাসযোগ্য সোর্স নেই। সূত্র : যুগান্তর
সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নির্বাচনি মাঠ শূন্য করতে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে নেমেছে সরকার

প্রকাশের সময় : ০২:৩৪:২৫ পূর্বাহ্ন, সোমবার, ২১ অগাস্ট ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেছেন, মানুষ যখন ঐক্যবদ্ধ হয়ে রাজপথের মিছিলে শরিক হচ্ছে-ঠিক সে সময় সরকার পুরোনো কায়দায় গুম, গ্রেফতার, নির্যাতনের মাত্রা বাড়িয়ে দিয়েছে। বিশেষ করে ২৮ জুলাইয়ের পর থেকে প্রতিদিনই গ্রেফতার ও নির্যাতন করা হচ্ছে। আগামী জাতীয় সংসদ নির্বাচনের মাঠ বিরোধীদলীয় নেতাকর্মী শূন্য করতে রাষ্ট্রীয় সন্ত্রাসে নেমেছে সরকার। রোববার এক সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন। এদিকে, নেতাকর্মীদের গ্রেফতারের প্রতিবাদে বিএনপি মঙ্গলবার ঢাকা মহানগর দক্ষিণের থানায় থানায় বিক্ষোভ সমাবেশের ঘোষণা দিয়েছে। নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক আবদুস সালাম এ ঘোষণা দেন।

গুলশান কার্যালয়ে সংবাদ সম্মেলনে মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, জাতীয় সংসদ নির্বাচন এগিয়ে আসায় সরকার নির্বাচনি মাঠ থেকে বিরোধী দলের নেতাকর্মীদের বিতাড়িত করার সব অপকৌশল নিয়েছে। এরই ধারাবাহিকতায় শনিবার হবিগঞ্জ, নারায়ণগঞ্জসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে পুলিশ ও আওয়ামী সন্ত্রাসীরা গুলি, টিয়ার শেল নিক্ষেপ করে বিএনপির শত শত নেতাকর্মীকে আহত করেছে। সন্ধ্যা থেকে গভীর রাত পর্যন্ত নয়াপল্টনের বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় শত শত পুলিশ ও সাদা পোশাকধারী পুলিশ এবং আওয়ামী সন্ত্রাসীরা ঘিরে রেখেছে। দলীয় কার্যালয় থেকে বের হওয়ার পর ঢাকা মহানগরীর দক্ষিণের ভারপ্রাপ্ত সদস্য সচিব তানভীর আহমেদ রবিনসহ বেশ কয়েকজন নেতাকর্মীকে বিনা ওয়ারেন্টে গ্রেফতার করেছে।

বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়কে ঘিরে এক ভয়ংকর পরিবেশ সৃষ্টি করেছে যা কোনো স্বাভাবিক গণতান্ত্রিক আচরণ হতে পারে না। তিনি আরও বলেন, জনবিচ্ছিন্ন হয়ে সরকার দেশের নিরীহ গণতন্ত্রকামী মানুষের ওপর নির্যাতন চালাচ্ছে। নিজস্ব বাহিনী দিয়ে গুলি করে হত্যা, গুম-খুন করছে। এ থেকে বোঝা যায়-সরকার বিরোধী মতের আন্দোলনে দিশেহারা হয়ে পড়েছে। জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে এ সরকারের বিদায় এখন সময়ের ব্যাপার মাত্র। সরকারকে আহ্বান জানাচ্ছি-সব অপকৌশল বন্ধ করে, নির্দলীয় নিরপেক্ষ সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে গণতান্ত্রিক ধারায় ফিরে আসুন। অন্যথায় জনতার উত্তাল তরঙ্গের ন্যায় আন্দোলনের মাধ্যমে গণতান্ত্রিক অধিকার ফিরিয়ে আনা হবে।

মির্জা ফখরুল বলেন, এর আগে ছাত্রদলের ছয় নেতাকে তুলে নিয়ে যাওয়া হয়। তাদের কোনো খোঁজ পাওয়া যাচ্ছিল না। পরে গোয়েন্দা কার্যালয়ে নিয়ে অস্ত্র দিয়ে নাটক সাজিয়ে তাদের গ্রেফতার দেখানো হয়। কেন্দ্রের নির্দেশে তারা অস্ত্র সংগ্রহ করেছে বলে-ডিবির দাবিকে তিনি ডাহা মিথ্যা বলে অভিহিত করেন। অবিলম্বে তাদের মুক্তি ও মিথ্যা মামলা প্রত্যাহারের দাবি জানান। এ সময় শনিবার সারা দেশে পদযাত্রায় হামলা ও গ্রেফতার নেতাকর্মীদের তালিকা তিনি তুলে ধরেন।

মির্জা ফখরুল দাবি করেন-প্রতিদিনই সারা দেশে নেতাকর্মীদের নামে মামলা দেওয়া হচ্ছে, হামলা ও গ্রেফতার করা হচ্ছে। সরকারপ্রধানের নির্দেশে কিছু সংখ্যক অতি উৎসাহী দলবাজ পুলিশ কর্মকর্তা এমন বেআইনি কর্মকাণ্ড চালাতে মাঠপর্যায়ের সদস্যদের ওপর চাপ অব্যাহত রেখেছে। এছাড়া বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে বিএনপিসহ বিরোধী মতের নেতাকর্মী, বুদ্ধিজীবী, সাংবাদিকসহ বিভিন্ন পেশার মানুষকে সাজা দেওয়া হচ্ছে। রাজনীতি থেকে তাদের বিতাড়িত করতে এবং তাদের কণ্ঠ স্তব্ধ করতে কৌশল গ্রহণ করেছে। জামিন লাভের পর নতুন আসামি বানিয়ে জেল গেটে অনেককে গ্রেফতার দেখানো হচ্ছে।

এক প্রশ্নের উত্তরে মির্জা ফখরুল বলেন, আগামীতে দেশে কি হবে-সেটা সম্পূর্ণ সরকারের ওপর নির্ভর করছে। সরকার চাইলে সব দল মিলে অবাধ ও শান্তিপূর্ণ নির্বাচন হবে। আর একতরফা নির্বাচন হলে তো সংঘাত হতে পারে। তবে আমরা শান্তিপূর্ণভাবে আমাদের কর্মসূচি চালিয়ে যাব। অপর এক প্রশ্নের উত্তরে তিনি বলেন, ভারতের আনন্দবাজার পত্রিকায় যে প্রতিবেদন ছাপা হয়েছে-আমাদের কাছে সেটার কোনো সত্যতা নেই। কোনো বিশ্বাসযোগ্য সোর্স নেই। সূত্র : যুগান্তর
সুমি/হককথা