নিউইয়র্ক ০৪:৫৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২২ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

‘নির্বাচনকালীন সরকার প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:১৪:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩
  • / ৪৬ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : নির্বাচনকালীন সরকার প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বামপন্থী দলগুলোর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। আজ মঙ্গলবার কালের কণ্ঠকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তারা এ কথা বলেন। তারা বলেন, সরকার দ্রুত বাস্তবতা বুঝে আন্দোলনরত বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠনের মাধ্যমে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করবে। এ বিষয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়নি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনগুলো আপেক্ষিক অর্থে সুষ্ঠু। তবে সেখানে কালো টাকা ও পেশিশক্তির প্রভাব এবং সাম্প্রদায়িকতা ছিল। এই কারণে নির্বাচনকালে দলনিরপেক্ষ তদারকি সরকারের প্রস্তাব করেছি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে নিয়ে সরকার গঠিত হলে তা হবে মহাজোটের সরকার। সেই সরকারের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে দলনিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচনকালীন তদারকি সরকার গঠন করতে হবে।’

গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার হলে তা হবে আওয়ামী লীগ ও তার মিত্রদের সরকার। যেটা বিরোধী দল ও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। আমরা চাই, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার। আর প্রধান দাবি হচ্ছে, নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ। ক্ষমতায় থেকে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করে লাভ নেই। আর এই প্রস্তাব ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগেও দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বিরোধী দল ও জনগণ তা গ্রহণ করেনি।’তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যই শেষ কথা নয়। বিরোধী দলের আন্দোলনের পাশাপাশি সরকারের মধ্যেও নির্বাচনকালীন সরকারের পক্ষে চাপ রয়েছে। নিশ্চয়ই সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে জনগণ ও আন্তর্জাতিক মহলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনকালীণ সরকার হবে। অন্যথায় রাজপথে আন্দোলনের মধ্যমে সংকটের সমাধান হবে।

বাম গণতন্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতা ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘প্রথমত প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি। দ্বিতীয়ত আমরা যে নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলেছি, সেটা হবে নির্দলীয় তদারকি সরকার। কারণ কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়, এটা বাংলাদেশে প্রমাণিত। আর সংসদে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা কোনো না কোনো দলের। ফলে তাদের নিয়ে গঠিত সরকার হবে আমাদের দাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই প্রকৃতপক্ষে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনকলীন সরকার চাইলে আন্দোলনকারী শক্তির সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।’সূত্র : কালের কন্ঠ
সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

‘নির্বাচনকালীন সরকার প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয়’

প্রকাশের সময় : ১১:১৪:২৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৬ মে ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : নির্বাচনকালীন সরকার প্রশ্নে প্রধানমন্ত্রীর বক্তব্য গ্রহণযোগ্য নয় বলে মন্তব্য করেছেন বামপন্থী দলগুলোর শীর্ষ নেতৃবৃন্দ। আজ মঙ্গলবার কালের কণ্ঠকে দেওয়া প্রতিক্রিয়ায় তারা এ কথা বলেন। তারা বলেন, সরকার দ্রুত বাস্তবতা বুঝে আন্দোলনরত বিরোধী দলগুলোর সঙ্গে আলোচনা সাপেক্ষে নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার গঠনের মাধ্যমে নির্বাচনের সুষ্ঠু পরিবেশ নিশ্চিত করবে। এ বিষয়ে বাম গণতান্ত্রিক জোটের সমন্বয়ক ও বাংলাদেশের সমাজতান্ত্রিক দলের (বাসদ) সাধারণ সম্পাদক বজলুর রশীদ ফিরোজ বলেন, ‘স্বাধীন বাংলাদেশে দলীয় সরকারের অধীনে কোনো নির্বাচনই সুষ্ঠু ও গ্রহণযোগ্য হয়নি।

তত্ত্বাবধায়ক সরকারের অধীনে নির্বাচনগুলো আপেক্ষিক অর্থে সুষ্ঠু। তবে সেখানে কালো টাকা ও পেশিশক্তির প্রভাব এবং সাম্প্রদায়িকতা ছিল। এই কারণে নির্বাচনকালে দলনিরপেক্ষ তদারকি সরকারের প্রস্তাব করেছি। কিন্তু প্রধানমন্ত্রীর প্রস্তাব অনুযায়ী সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে নিয়ে সরকার গঠিত হলে তা হবে মহাজোটের সরকার। সেই সরকারের অধীনে কোনোভাবেই সুষ্ঠু নির্বাচন সম্ভব নয়। তাই সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে দলনিরপেক্ষ ব্যক্তিদের নিয়ে নির্বাচনকালীন তদারকি সরকার গঠন করতে হবে।’

গণতন্ত্র মঞ্চের কেন্দ্রীয় নেতা ও বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, ‘সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলগুলোকে নিয়ে নির্বাচনকালীন সরকার হলে তা হবে আওয়ামী লীগ ও তার মিত্রদের সরকার। যেটা বিরোধী দল ও জনগণের কাছে গ্রহণযোগ্য হবে না। আমরা চাই, নির্বাচনকালীন নিরপেক্ষ সরকার। আর প্রধান দাবি হচ্ছে, নির্বাচনের আগে ক্ষমতাসীন সরকারের পদত্যাগ। ক্ষমতায় থেকে নির্বাচনকালীন সরকার গঠন করে লাভ নেই। আর এই প্রস্তাব ২০১৪ সালের নির্বাচনের আগেও দিয়েছিলেন প্রধানমন্ত্রী। কিন্তু বিরোধী দল ও জনগণ তা গ্রহণ করেনি।’তিনি আরো বলেন, প্রধানমন্ত্রীর ওই বক্তব্যই শেষ কথা নয়। বিরোধী দলের আন্দোলনের পাশাপাশি সরকারের মধ্যেও নির্বাচনকালীন সরকারের পক্ষে চাপ রয়েছে। নিশ্চয়ই সুষ্ঠু নির্বাচনের স্বার্থে আলাপ-আলোচনার মাধ্যমে জনগণ ও আন্তর্জাতিক মহলের কাছে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনকালীণ সরকার হবে। অন্যথায় রাজপথে আন্দোলনের মধ্যমে সংকটের সমাধান হবে।

বাম গণতন্ত্রিক জোটের কেন্দ্রীয় নেতা ও বাংলাদেশের কমিউনিস্ট পার্টির সাধারণ সম্পাদক রুহিন হোসেন প্রিন্স বলেন, ‘প্রথমত প্রধানমন্ত্রী বিষয়টি নিয়ে সুনির্দিষ্ট করে কিছু বলেননি। দ্বিতীয়ত আমরা যে নির্বাচনকালীন সরকারের কথা বলেছি, সেটা হবে নির্দলীয় তদারকি সরকার। কারণ কোনো দলীয় সরকারের অধীনে নিরপেক্ষ নির্বাচন সম্ভব নয়, এটা বাংলাদেশে প্রমাণিত। আর সংসদে নির্বাচিত সংসদ সদস্যরা কোনো না কোনো দলের। ফলে তাদের নিয়ে গঠিত সরকার হবে আমাদের দাবির সঙ্গে সাংঘর্ষিক। তাই প্রকৃতপক্ষে গ্রহণযোগ্য নির্বাচনকলীন সরকার চাইলে আন্দোলনকারী শক্তির সঙ্গে আলোচনা করতে হবে।’সূত্র : কালের কন্ঠ
সুমি/হককথা