নিউইয়র্ক ১২:৫১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নিরপেক্ষ কমিশনের মাধ্যমে শাপলা চত্বরে হতাহতের সংখ্যা প্রকাশের দাবি

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩৯:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৫৯ বার পঠিত

নিরপেক্ষ কমিশনের মাধ্যমে শাপলা চত্বরে হতাহতের সংখ্যা প্রকাশের দাবি জানিয়েছে ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী জাতীয় কমিটিছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ডেস্ক : স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিশনের মাধ্যমে ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরের ঘটনায় হতাহতের সঠিক সংখ্যা প্রকাশের দাবি জানিয়েছে ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী জাতীয় কমিটি। ওই ঘটনায় হতাহতের তালিকা প্রকাশ করায় মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিনের কারাদণ্ডাদেশের ঘটনাটি অত্যন্ত বৈরী ও বিদ্বেষপ্রসূত বলে মনে করে এই কমিটি।

কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আকমল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হাসিবুর রহমান গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, শাপলা চত্বরের ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে পুলিশি তদন্তের বাইরে একটি কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয়তা এখনো বিদ্যমান। ১০ বছর পার হলেও সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি। বরং হতাহতের সংখ্যা নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি করেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পুলিশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দেশি–বিদেশি মানবাধিকার সংগঠন, গণমাধ্যম ও হেফাজতে ইসলাম নিজেদের সূত্রে তথ্য সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে হতাহতের পৃথক সংখ্যা জানিয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা অধিকারও নিজস্ব তদন্ত ও তথ্য সংগ্রহের ভিত্তিতে ওই রাতে নিহত ব্যক্তিদের সংখ্যা প্রকাশ করে। উল্লিখিত সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনগুলোর সংখ্যার মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে।

কমিটি বিবৃতিতে বলেছে, সরকার শুরু থেকেই হতাহতের সংখ্যার গরমিলের সুরাহা করেনি। আবার অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের বর্ণিত সংখ্যা নিয়েও কোনো প্রশ্ন তোলেনি। কেবল অধিকারের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠন ৫ মের ঘটনা যার যার স্বার্থে ব্যবহার করছে। সরকার যে রাজনৈতিক স্বার্থেই ওই ঘটনাকে ব্যবহার করছে, আদিলুর ও নাসিরের কারাদণ্ডাদেশ তারই উদাহরণ।

ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় কমিটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা মনে করি, এসবের দ্বারা জাতীয় স্বার্থ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও হচ্ছে। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ন করার অজুহাত হিসেবে সুপরিকল্পিতভাবে শাপলা চত্বরে সংঘটিত ঘটনাটিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দ্বারা যেকোনো পরিস্থিতিতে, এমনকি একজন নাগরিকের মৃত্যু হলেও সে বিষয়ে তদন্ত করা ও তা প্রকাশ করা সরকারের কর্তব্য। শাপলা চত্বরে সংঘটিত ঘটনার ক্ষেত্রেও এই মানদণ্ডের ব্যত্যয় ঘটার কোনো অবকাশ নেই।’ সূত্র : প্রথম আলো

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নিরপেক্ষ কমিশনের মাধ্যমে শাপলা চত্বরে হতাহতের সংখ্যা প্রকাশের দাবি

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৯:৩১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৮ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : স্বাধীন ও নিরপেক্ষ কমিশনের মাধ্যমে ২০১৩ সালের ৫ মে মতিঝিলের শাপলা চত্বরের ঘটনায় হতাহতের সঠিক সংখ্যা প্রকাশের দাবি জানিয়েছে ফ্যাসিবাদ ও সাম্রাজ্যবাদবিরোধী জাতীয় কমিটি। ওই ঘটনায় হতাহতের তালিকা প্রকাশ করায় মানবাধিকার সংস্থা অধিকারের সম্পাদক আদিলুর রহমান খান ও পরিচালক এ এস এম নাসির উদ্দিনের কারাদণ্ডাদেশের ঘটনাটি অত্যন্ত বৈরী ও বিদ্বেষপ্রসূত বলে মনে করে এই কমিটি।

কমিটির সভাপতি অধ্যাপক আকমল হোসেন ও সাধারণ সম্পাদক হাসিবুর রহমান গণমাধ্যমে পাঠানো এক বিবৃতিতে এই দাবি জানিয়েছেন। তাঁরা বলেছেন, শাপলা চত্বরের ঘটনার গুরুত্ব বিবেচনা করে পুলিশি তদন্তের বাইরে একটি কমিশন গঠনের প্রয়োজনীয়তা এখনো বিদ্যমান। ১০ বছর পার হলেও সরকার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নেয়নি। বরং হতাহতের সংখ্যা নিয়ে ধূম্রজাল সৃষ্টি করেছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, পুলিশ, স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়, দেশি–বিদেশি মানবাধিকার সংগঠন, গণমাধ্যম ও হেফাজতে ইসলাম নিজেদের সূত্রে তথ্য সংগ্রহ করে তার ভিত্তিতে হতাহতের পৃথক সংখ্যা জানিয়েছে। মানবাধিকার সংস্থা অধিকারও নিজস্ব তদন্ত ও তথ্য সংগ্রহের ভিত্তিতে ওই রাতে নিহত ব্যক্তিদের সংখ্যা প্রকাশ করে। উল্লিখিত সরকারি ও বেসরকারি সংগঠনগুলোর সংখ্যার মধ্যে ভিন্নতা রয়েছে।

কমিটি বিবৃতিতে বলেছে, সরকার শুরু থেকেই হতাহতের সংখ্যার গরমিলের সুরাহা করেনি। আবার অন্য কোনো প্রতিষ্ঠান ও সংগঠনের বর্ণিত সংখ্যা নিয়েও কোনো প্রশ্ন তোলেনি। কেবল অধিকারের দুই কর্মকর্তার বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা গ্রহণ করে কারাদণ্ডাদেশ দিয়েছে।

বিবৃতিতে আরও বলা হয়েছে, বাংলাদেশের সরকার, বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও সংগঠন এবং জাতীয় ও আন্তর্জাতিক সংগঠন ৫ মের ঘটনা যার যার স্বার্থে ব্যবহার করছে। সরকার যে রাজনৈতিক স্বার্থেই ওই ঘটনাকে ব্যবহার করছে, আদিলুর ও নাসিরের কারাদণ্ডাদেশ তারই উদাহরণ।

ফ্যাসিবাদবিরোধী জাতীয় কমিটি বিবৃতিতে বলেছে, ‘আমরা মনে করি, এসবের দ্বারা জাতীয় স্বার্থ নানাভাবে ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে ও হচ্ছে। জনগণের গণতান্ত্রিক অধিকার ক্ষুণ্ন করার অজুহাত হিসেবে সুপরিকল্পিতভাবে শাপলা চত্বরে সংঘটিত ঘটনাটিকে ব্যবহার করা হচ্ছে। রাষ্ট্রীয় বাহিনীর দ্বারা যেকোনো পরিস্থিতিতে, এমনকি একজন নাগরিকের মৃত্যু হলেও সে বিষয়ে তদন্ত করা ও তা প্রকাশ করা সরকারের কর্তব্য। শাপলা চত্বরে সংঘটিত ঘটনার ক্ষেত্রেও এই মানদণ্ডের ব্যত্যয় ঘটার কোনো অবকাশ নেই।’ সূত্র : প্রথম আলো