নিউইয়র্ক ০৫:৩২ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২২ ডিসেম্বর ২০২৪, ৭ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

নারীকে ‘দুশ্চরিত্রা’ বলার ধারা বাতিল চেয়ে রিট

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৫২:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১
  • / ৩৬ বার পঠিত

ঢাকা ডেস্ক : ‘যৌন অপরাধের অভিযোগকারী নারী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্রা’, ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের এমন বিধানসহ দুটি ধারা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

আজ রবিবার (১৪ নভেম্বর) তিনটি সংগঠনের পক্ষে এ রিট করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী সারা হোসেন। সংগঠন তিনটি হলো- বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, আইন ও সালিশ কেন্দ্র ও নারীপক্ষ।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। আবেদনে ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের ১৫৫(৪) ও ১৪৬(৩) ধারা কেন অসাংবিধানিক ও বাতিল করা হবে না সেই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

সারা হোসেন বলেন, এ ধারাগুলোতে বলা আছে- একজন নারী যদি যৌন অপরাধের অভিযোগকারী হয় তাহলে আদালতে তার চরিত্র ও ইতিহাস নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা যায় ও জেরা করা যায়। অনেকদিন ধরে এগুলো বাতিলে আন্দোলন হয়েছে। এখন হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছি। আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে।

১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের ১৫৫(৪) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনও লোক যখন বলাৎকার কিংবা শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে ফৌজদারিতে সোপর্দ হন, তখন দেখানো যেতে পারে যে অভিযোগকারিণী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্রা।’

এই আইনের ১৪৬ (৩) ধারায় বলা হয়েছে, ‘তাহার চরিত্রের প্রতি আঘাত করে তার বিশ্বাস যোগ্যতা সম্পর্কে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করা যায়, যদিও এরূপ প্রশ্নের উত্তরের দ্বারা সে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনও অপরাধের সহিত জড়িত হতে পারে, কিংবা সে দণ্ড লাভের যোগ্য সাব্যস্ত হতে পারে, অথবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাহার দণ্ড লাভের যোগ্য সাব্যস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তথাপি অনুরূপ প্রশ্ন করা যাবে।’

এর আগে বলা হয়েছিল সাক্ষ্য আইনের ধারা সংশোধন করা হবে কিন্তু সেটি করা হয়নি বলে রিট আবেদন করা হয়।

এরই প্রেক্ষাপটে ‘যৌন অপরাধের অভিযোগকারী নারী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্রা’ ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের এমন বিধানসহ দুটি ধারা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

নারীকে ‘দুশ্চরিত্রা’ বলার ধারা বাতিল চেয়ে রিট

প্রকাশের সময় : ০৪:৫২:৫৪ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ১৪ নভেম্বর ২০২১

ঢাকা ডেস্ক : ‘যৌন অপরাধের অভিযোগকারী নারী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্রা’, ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের এমন বিধানসহ দুটি ধারা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।

আজ রবিবার (১৪ নভেম্বর) তিনটি সংগঠনের পক্ষে এ রিট করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন আইনজীবী সারা হোসেন। সংগঠন তিনটি হলো- বাংলাদেশ লিগ্যাল এইড অ্যান্ড সার্ভিসেস ট্রাস্ট, আইন ও সালিশ কেন্দ্র ও নারীপক্ষ।

বিচারপতি এম ইনায়েতুর রহিম ও বিচারপতি মো. মোস্তাফিজুর রহমানের সমন্বয়ে গঠিত হাইকোর্ট বেঞ্চে রিট আবেদনটি উপস্থাপন করেন ব্যারিস্টার সারা হোসেন। আবেদনে ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের ১৫৫(৪) ও ১৪৬(৩) ধারা কেন অসাংবিধানিক ও বাতিল করা হবে না সেই মর্মে রুল জারির আর্জি জানানো হয়েছে।

সারা হোসেন বলেন, এ ধারাগুলোতে বলা আছে- একজন নারী যদি যৌন অপরাধের অভিযোগকারী হয় তাহলে আদালতে তার চরিত্র ও ইতিহাস নিয়ে তাকে প্রশ্ন করা যায় ও জেরা করা যায়। অনেকদিন ধরে এগুলো বাতিলে আন্দোলন হয়েছে। এখন হাইকোর্টের শরণাপন্ন হয়েছি। আগামী সপ্তাহে শুনানি হতে পারে।

১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের ১৫৫(৪) ধারায় বলা হয়েছে, ‘কোনও লোক যখন বলাৎকার কিংবা শ্লীলতাহানির চেষ্টার অভিযোগে ফৌজদারিতে সোপর্দ হন, তখন দেখানো যেতে পারে যে অভিযোগকারিণী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্রা।’

এই আইনের ১৪৬ (৩) ধারায় বলা হয়েছে, ‘তাহার চরিত্রের প্রতি আঘাত করে তার বিশ্বাস যোগ্যতা সম্পর্কে অনিশ্চয়তা সৃষ্টি করা যায়, যদিও এরূপ প্রশ্নের উত্তরের দ্বারা সে প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে কোনও অপরাধের সহিত জড়িত হতে পারে, কিংবা সে দণ্ড লাভের যোগ্য সাব্যস্ত হতে পারে, অথবা প্রত্যক্ষ বা পরোক্ষভাবে তাহার দণ্ড লাভের যোগ্য সাব্যস্ত হওয়ার সম্ভাবনা থাকে, তথাপি অনুরূপ প্রশ্ন করা যাবে।’

এর আগে বলা হয়েছিল সাক্ষ্য আইনের ধারা সংশোধন করা হবে কিন্তু সেটি করা হয়নি বলে রিট আবেদন করা হয়।

এরই প্রেক্ষাপটে ‘যৌন অপরাধের অভিযোগকারী নারী সাধারণভাবে দুশ্চরিত্রা’ ১৮৭২ সালের সাক্ষ্য আইনের এমন বিধানসহ দুটি ধারা বাতিল চেয়ে হাইকোর্টে রিট করা হয়েছে।