ধর্ষণ মামলায় স্ত্রীসহ আগাম জামিন পেলেন বড় মনির

- প্রকাশের সময় : ০৬:৪৫:০৭ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মে ২০২৩
- / ৫৩ বার পঠিত
বাংলাদেশ ডেস্ক : টাঙ্গাইল শহর আওয়ামী লীগের সহ-সভাপতি ও জেলা বাস-মিনিবাস মালিক সমিতির মহাসচিব গোলাম কিবরিয়া বড় মনির ধর্ষণ মামলায় হাইকোর্ট থেকে চার সপ্তাহের আগাম জামিন পেয়েছেন। আজ মঙ্গলবার (১৮ এপ্রিল) দুপুরে বিচারপতি ইকবাল কবির ও বিচারপতি এ কে এম রবিউল হাসানের হাইকোর্ট বেঞ্চ তার জামিন আবেদন মঞ্জুর করেন। এছাড়া বড় মনিরের স্ত্রী নিগার আফতাবকেও আগাম জামিন দিয়েছেন হাইকোর্ট।এর আগে, গত রবিবার (১৬ এপ্রিল) গোলাম কিবরিয়া বড় মনির ও তার স্ত্রী হাইকোর্টে আগাম জামিনের আবেদন করেন।
তাদের আইনজীবী মো. এহসান হাবিব জানান, উচ্চ আদালত চার সপ্তাহের আগাম জামিন দিয়েছেন। চার সপ্তাহ শেষ হওয়ার আগেই তাদের টাঙ্গাইল নারী ও শিশু নির্যাতন দমন ট্রাইব্যুনালে আত্মসমর্পণ করতে হবে। শুনানিতে গোলাম কিবরিয়া মনিরের পক্ষে অংশ নেন সুপ্রিম কোর্ট বার অ্যাসোসিয়েশনের সভাপতি মমতাজ উদ্দিন ফকির, সাবেক সহ-সভাপতি শহিদুল ইসলামসহ বেশ কয়েক জন আইনজীবী।
জানা যায়, গত ৫ এপ্রিল রাতে এক কিশোরী বাদী হয়ে গোলাম কিবরিয়া বড় মনির নামে ধর্ষণের অভিযোগে মামলা দায়ের করে। মামলায় বলা হয়, ধর্ষণের ফলে ওই কিশোরী (১৭) এখন অন্তঃসত্ত্বা। মামলায় গোলাম কিবরিয়া বড় মনির পাশাপাশি তার স্ত্রী নিগার আফতাবকেও আসামি করা হয়েছে।
মামলায় অভিযোগ করা হয়েছে, বড় মনির তাদের আত্মীয় এবং পূর্ব পরিচিত। হোয়াটস অ্যাপে তাদের কথা হতো। ওই কিশোরীর ভাইয়ের সঙ্গে জমি নিয়ে সমস্যা হয়। এ কথা বড় মনিরকে জানানোর পর তিনি সমস্যা সমাধান করে দেওয়ার আশ্বাস দেন। বড় মনির পরে গত ১৭ ডিসেম্বর ওই কিশোরীকে শহরের আদালত পাড়ায় নিজের বাড়ির পাশে একটি ১০তলা ভবনের চতুর্থ তলার ফ্লাটে যেতে বলেন। সেখানে যাওয়ার পর মেয়েটিকে শারীরিক সম্পর্কের প্রস্তাব দেন তিনি। তাতে রাজি না হওয়ায় মেয়েটির মোবাইল ফোন ছিনিয়ে নিয়ে তাকে একটি কক্ষে আটকে রাখা হয়।
প্রায় তিন ঘণ্টা পর বড় মনির কক্ষে ঢুকে মেয়েটিকে ধর্ষণ করেন এবং সে ছবি তুলে রাখেন। ধর্ষণ শেষে কাউকে এ কথা জানাতে নিষেধ করেন এবং কাউকে জানালে মেরে ফেলার হুমকি দেন তিনি। তারপর ছবি প্রকাশের ভয় দেখিয়ে প্রায়ই মেয়েটিকে ধর্ষণ করতেন বড় মনির। মামলায় আরও উল্লেখ করা হয়েছে, এ ধর্ষণের কারণে মেয়েটি অন্তঃসত্ত্বা হয়ে পড়ে। এ কথা জানালে বড় মনির তাকে গর্ভপাত করার জন্য চাপ দিতে থাকেন।
কিন্তু সন্তান নষ্ট করতে রাজি না হওয়ায় গত ২৯ মার্চ রাত ৮ টার দিকে বড় মনির মেয়েটিকে আদালত পাড়ায় তার শ্বশুরবাড়িতে তুলে নিয়ে যান। সেখানে গর্ভের সন্তান নষ্ট করার জন্য চাপ সৃষ্টি করেন।তাতে রাজি না হওয়ায় ওই বাসার একটি কক্ষে তালাবদ্ধ করে রাখা হয় মেয়েটিকে। পরে তাকে সেখানে আবার ধর্ষণ করেন বড় মনির। ধর্ষণের পর বড় মনিরের স্ত্রী তাকে মারপিট করলে মেয়েটি অসুস্থ হয়ে পড়ে। পরে রাত ৩ টার দিকে বাসায় পৌঁছে দেওয়া হয় তাকে। তারপর থেকে মেয়েটিকে নানা হুমকি দেওয়া হতো। শারীরিক ও মানসিকভাবে অসুস্থ থাকায় মামলা করতে দেরি হয়েছে বলে মামলায় উল্লেখ করেছে ভিকটিম। প্রসঙ্গত, বড় মনি টাঙ্গাইল-২ (গোপালপুর-ভূঞাপুর) আসনের আওয়ামী লীগ দলীয় সংসদ সদস্য তানভীর হাসান ছোট মনিরের ভাই।
সুমি/হককথা