নিউইয়র্ক ০৩:৫৪ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ০৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৯ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

দু’দেশের অভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে: ডেরেক শোলে

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৩৬:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩
  • / ৩০ বার পঠিত

যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সিলর ডেরেক এইচ শোলে। ছবি: সংগৃহীত

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের অভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সিলর ডেরেক এইচ শোলে। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্ককে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তার দিক থেকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়। এজন্য আমি বাংলাদেশে এসেছি। বুধবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব এসব কথা বলেন।

ডেরেক শোলে বলেন, ৫১ বছরে গড়ে ওঠা শক্তিশালী অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্কের বিষয়ে আমরা আশাবাদী। একটি খুব দৃঢ় অংশীদারিত্বের ৫১ বছর হয়েছে। আমরা আগামী ৫১ বছর এবং তারপরেও একসঙ্গে কাজ করছে চাই। অভিন্ন চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি আমাদের একই রকমের অনেক সম্ভাবনাও রয়েছে। সেসব বিষয় নিয়ে আজ আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের অর্থনীতি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সাহায্য করতে যুক্তরাষ্ট্র ক্রমাগত কাজ করছে। এ সমস্যার মূল উৎস মিয়ানমারে। এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি (ডেরেক এইচ শোলে) এসেছেন আমাদের দুই দেশের সম্পর্ককে আরও ভালো করার জন্য, আরও শক্তিশালী করার জন্য। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো, আমরা এই সম্পর্ককে আরও অনেক সামনে নিয়ে যেতে চাই। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সবচেয়ে বড় ইনভেস্টর—।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আমাদের সাহায্য করেছে এবং করে যাচ্ছে। তারা আমাদের সঙ্গে একমত যে, রোহিঙ্গাদের জীবনমানের উন্নয়ন করতে হবে। তাদের অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। তাদের হৃদয়ে একটা আশা দিতে হবে। এসব বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে কাজ করছে। এক্ষেত্রে আমাদের আলোচনা খুব ভালো হয়েছে। ড. মোমেন বলেন, আমি খুব খুশি যে তারা এসেছেন, এবং তিনি একা আসেননি, তার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অনেককে নিয়ে এসেছেন। এটা আমাদের জন্য সৌভাগ্য। এর আগে গণভবনে প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ডেরেক শোলের নেতৃত্বে ‍যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। সূত্রঃ সমকাল পত্রিকা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

দু’দেশের অভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনা নিয়ে আলোচনা হয়েছে: ডেরেক শোলে

প্রকাশের সময় : ১১:৩৬:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৫ ফেব্রুয়ারী ২০২৩

বাংলাদেশ ও যুক্তরাষ্ট্রের অভিন্ন চ্যালেঞ্জ ও সম্ভাবনার বিষয়গুলো নিয়ে আলোচনা হয়েছে বলে জানিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্রমন্ত্রীর উপদেষ্টা ও পররাষ্ট্র দপ্তরের কাউন্সিলর ডেরেক এইচ শোলে। তিনি বলেছেন, যুক্তরাষ্ট্র বাংলাদেশের সঙ্গে তার সম্পর্ককে ক্রমবর্ধমান রাজনৈতিক, অর্থনৈতিক ও নিরাপত্তার দিক থেকে যথেষ্ট গুরুত্ব দেয়। এজন্য আমি বাংলাদেশে এসেছি। বুধবার দুপুরে পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে পররাষ্ট্রমন্ত্রী এ কে আব্দুল মোমেনের সঙ্গে বৈঠকের পর সাংবাদিকদের তিনি এসব এসব কথা বলেন।

ডেরেক শোলে বলেন, ৫১ বছরে গড়ে ওঠা শক্তিশালী অংশীদারিত্বের ভিত্তিতে বাংলাদেশের সঙ্গে ভবিষ্যৎ সম্পর্কের বিষয়ে আমরা আশাবাদী। একটি খুব দৃঢ় অংশীদারিত্বের ৫১ বছর হয়েছে। আমরা আগামী ৫১ বছর এবং তারপরেও একসঙ্গে কাজ করছে চাই। অভিন্ন চ্যালেঞ্জের পাশাপাশি আমাদের একই রকমের অনেক সম্ভাবনাও রয়েছে। সেসব বিষয় নিয়ে আজ আলোচনা হয়েছে। দুই দেশের অর্থনীতি ও নিরাপত্তার ক্ষেত্রে সহযোগিতা বাড়াতে আগ্রহী যুক্তরাষ্ট্র।

রোহিঙ্গা ইস্যুতে তিনি বলেন, বাংলাদেশ ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে আশ্রয় দিয়েছে। এজন্য বাংলাদেশ সরকার ও জনগণকে ধন্যবাদ জানাচ্ছি। রোহিঙ্গা সংকট মোকাবিলায় বাংলাদেশকে সাহায্য করতে যুক্তরাষ্ট্র ক্রমাগত কাজ করছে। এ সমস্যার মূল উৎস মিয়ানমারে। এর আগে পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তিনি (ডেরেক এইচ শোলে) এসেছেন আমাদের দুই দেশের সম্পর্ককে আরও ভালো করার জন্য, আরও শক্তিশালী করার জন্য। যুক্তরাষ্ট্রের সঙ্গে আমাদের সম্পর্ক ভালো, আমরা এই সম্পর্ককে আরও অনেক সামনে নিয়ে যেতে চাই। যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সবচেয়ে বড় ইনভেস্টর—।

তিনি বলেন, যুক্তরাষ্ট্র রোহিঙ্গাদের বিষয়ে আমাদের সাহায্য করেছে এবং করে যাচ্ছে। তারা আমাদের সঙ্গে একমত যে, রোহিঙ্গাদের জীবনমানের উন্নয়ন করতে হবে। তাদের অবস্থার পরিবর্তন করতে হবে। তাদের হৃদয়ে একটা আশা দিতে হবে। এসব বিষয়ে যুক্তরাষ্ট্র আমাদের সঙ্গে কাজ করছে। এক্ষেত্রে আমাদের আলোচনা খুব ভালো হয়েছে। ড. মোমেন বলেন, আমি খুব খুশি যে তারা এসেছেন, এবং তিনি একা আসেননি, তার সঙ্গে গুরুত্বপূর্ণ অনেককে নিয়ে এসেছেন। এটা আমাদের জন্য সৌভাগ্য। এর আগে গণভবনে প্রধানন্ত্রী শেখ হাসিনার সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ করেন ডেরেক শোলের নেতৃত্বে ‍যুক্তরাষ্ট্র প্রতিনিধিদলের সদস্যরা। সূত্রঃ সমকাল পত্রিকা