নিউইয়র্ক ০৫:০৭ অপরাহ্ন, রবিবার, ০৩ অগাস্ট ২০২৫, ১৯ শ্রাবণ ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ডিএনএ নমুনার রেজাল্ট পেলেই হারিছ চৌধুরীর প্রকৃত পরিচয় শনাক্ত হবে: সিআইডি প্রধান

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৬:৫৭:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ মার্চ ২০২২
  • / ৩৫ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর পরিচয় শনাক্তের বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান এ কেএম হাফিজ আক্তার। তিনি বলেছেন, ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার রেজাল্ট পেলেই হারিছ চৌধুরীর প্রকৃত পরিচয় শনাক্ত হবে। জানা যাবে মাহমুদুর রহমান নামে মারা যাওয়া ব্যক্তি হারিছ চৌধুরী কিনা। আজ রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে প্রয়াত পিতার পরিচয় বিতর্কের অবসান ঘটাতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য হারিছ চৌধুরীর লাশ কবর থেকে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। এজন্য সোমবার (১৪ই মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন লন্ডন প্রবাসী মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা চৌধুরী। একই ধরনের চিঠি দেয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং সিআইডি প্রধানের কাছেও।
সূত্র জানায়, ওই চিঠিতে সামিরা চৌধুরী লিখেছেন, তাঁর প্রয়াত পিতা হারিছ চৌধুরীর আসল পরিচয়ের বিষয়টি পরিবারের পাশাপাশি বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। অতএব, বাংলাদেশের আইন বিভাগ যদি ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে প্রয়াত পিতার পরিচয় নিশ্চিত করতে চায় তাহলে তাঁদের কোনো আপত্তি নেই। প্রয়োজনে কবর থেকে মৃতদেহ তুলেও ডিএনএ-র নমুনা সংগ্রহ করতে পারে কর্তৃপক্ষ।
চিঠিতে প্রয়াত পিতার দেহাবশেষ তাঁদের দর্পণনগরের গ্রামে নির্দিষ্ট কবরস্থানে দাফনের ব্যবস্থা করার আবেদনও জানান সামিরা।
জানা গেছে, দীর্ঘ ১১ বছর রাজধানীর পান্থপথে একটি ভাড়া বাসায় মাহমুদুর রহমান ছদ্মনামে বসবাস করে আসছিলেন হারিছ চৌধুরী।
২০২১ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। ৪ঠা সেপ্টেম্বর মাহমুদুর রহমান নামেই সাভারের বিরুলিয়ার কমলাপুর খাতামুন্নাবিয়্যান মাদ্রাসার পাশে তাকে দাফন করা হয়। গত ৬ই মার্চ দৈনিক মানবজমিনে ‘হারিছ নয়, মাহমুদুর রহমান মারা গেছেন’ এই শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়। খবর মানবজমিন
হককথা/এমউএ

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ডিএনএ নমুনার রেজাল্ট পেলেই হারিছ চৌধুরীর প্রকৃত পরিচয় শনাক্ত হবে: সিআইডি প্রধান

প্রকাশের সময় : ০৬:৫৭:৪২ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৬ মার্চ ২০২২

বাংলাদেশ ডেস্ক : সাবেক প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়ার রাজনৈতিক সচিব হারিছ চৌধুরীর পরিচয় শনাক্তের বিষয়ে তদন্ত চলছে বলে জানিয়েছেন গোয়েন্দা পুলিশের প্রধান এ কেএম হাফিজ আক্তার। তিনি বলেছেন, ডিএনএ নমুনা পরীক্ষার রেজাল্ট পেলেই হারিছ চৌধুরীর প্রকৃত পরিচয় শনাক্ত হবে। জানা যাবে মাহমুদুর রহমান নামে মারা যাওয়া ব্যক্তি হারিছ চৌধুরী কিনা। আজ রাজধানীর মিন্টো রোডে ডিবি কার্যালয়ে এক সাংবাদিক সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
এদিকে প্রয়াত পিতার পরিচয় বিতর্কের অবসান ঘটাতে ডিএনএ পরীক্ষার জন্য হারিছ চৌধুরীর লাশ কবর থেকে তোলার উদ্যোগ নিয়েছেন তার পরিবারের সদস্যরা। এজন্য সোমবার (১৪ই মার্চ) প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বরাবর চিঠি পাঠিয়েছেন লন্ডন প্রবাসী মেয়ে ব্যারিস্টার সামিরা চৌধুরী। একই ধরনের চিঠি দেয়া হয়েছে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল, স্বরাষ্ট্র সচিব এবং সিআইডি প্রধানের কাছেও।
সূত্র জানায়, ওই চিঠিতে সামিরা চৌধুরী লিখেছেন, তাঁর প্রয়াত পিতা হারিছ চৌধুরীর আসল পরিচয়ের বিষয়টি পরিবারের পাশাপাশি বাংলাদেশের আইন প্রয়োগকারী কর্তৃপক্ষের জন্যও গুরুত্বপূর্ণ। অতএব, বাংলাদেশের আইন বিভাগ যদি ডিএনএ টেস্টের মাধ্যমে প্রয়াত পিতার পরিচয় নিশ্চিত করতে চায় তাহলে তাঁদের কোনো আপত্তি নেই। প্রয়োজনে কবর থেকে মৃতদেহ তুলেও ডিএনএ-র নমুনা সংগ্রহ করতে পারে কর্তৃপক্ষ।
চিঠিতে প্রয়াত পিতার দেহাবশেষ তাঁদের দর্পণনগরের গ্রামে নির্দিষ্ট কবরস্থানে দাফনের ব্যবস্থা করার আবেদনও জানান সামিরা।
জানা গেছে, দীর্ঘ ১১ বছর রাজধানীর পান্থপথে একটি ভাড়া বাসায় মাহমুদুর রহমান ছদ্মনামে বসবাস করে আসছিলেন হারিছ চৌধুরী।
২০২১ সালের ৩রা সেপ্টেম্বর রাজধানীর এভারকেয়ার হাসপাতালে করোনা আক্রান্ত হয়ে মারা যান তিনি। ৪ঠা সেপ্টেম্বর মাহমুদুর রহমান নামেই সাভারের বিরুলিয়ার কমলাপুর খাতামুন্নাবিয়্যান মাদ্রাসার পাশে তাকে দাফন করা হয়। গত ৬ই মার্চ দৈনিক মানবজমিনে ‘হারিছ নয়, মাহমুদুর রহমান মারা গেছেন’ এই শিরোনামে একটি অনুসন্ধানী রিপোর্ট প্রকাশিত হয়। এরপর বিষয়টি নিয়ে সারা দেশে তোলপাড় শুরু হয়। খবর মানবজমিন
হককথা/এমউএ