নিউইয়র্ক ০৮:১৩ অপরাহ্ন, রবিবার, ২২ জুন ২০২৫, ৮ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

টিআইবি’র প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান সিইসির

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৮:৪৭:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জানুয়ারী ২০১৯
  • / ৫২১ বার পঠিত

 

ঢাকা ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সদ্য প্রকাশিত প্রতিবেদনকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, আমরা পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করছি। কারণ, ভোটের দিন গণমাধ্যম, নির্বাচনী কর্মকর্তা, নির্বাহী-বিচারিক হাকিম ও আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা কারও কাছ থেকে অনিয়মের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
বুধবার (১৬ জানুয়ারী) বিকেলে আগারগাঁওস্থ নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে (ইটিআই) এক অনুষ্ঠান শেষে সিইসি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন। ইসি ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত বলেও মন্তব্য করেছে টিআইবি। এ বিষয়ে সিইসি বলেন, এটা অসৌজন্যমূলক বক্তব্য। তাদের এভাবে কথাগুলো বলা ঠিক হয়নি। তবে আমরা এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেবো না।
উল্লেখ্য, ভোটের অনিয়ম নিয়ে গত মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারী) গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক সংস্থা টিআইবি। দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি ৫০টি আসনের মধ্যে অন্তত ৪১টি আসনে কোনো না কোনো অনিয়ম হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানায়। সংস্থাটি আরো জানায়, ৩৩টি আসনে ভোটের আগের রাতেই ব্যালেটে সিল মেরে বাক্সে ভরে রাখা হয়েছে। একইসাথে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে টিআইবি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা – ফাইল ছবি
সিইসি নূরুল হুদা বলেন, টিআইবি বলেছে গবেষণাটি গুণবাচক, মুখ্য তথ্যদাতার সাক্ষাৎকার ও পর্যবেক্ষণ, ক্ষেত্রবিশেষে সংখ্যাবাচক তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তথ্য নেয়া হয়েছে পরোক্ষ উৎস থেকে। এভাবে কোনো গবেষণা হয়?
তিনি দাবি করেন, ভোটের কারচুপির তথ্য নিলে অবশ্যই সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছ থেকে তথ্য নিতে হবে বা লিখিত কোনো ডকুমেন্ট থেকে তথ্য নিতে হবে। এসব করা হয়নি। কোন সোর্স থেকে কী প্রক্রিয়ায় তথ্য নিয়ে তারা বলছে, ভোটের আগের রাতে সিল মারা হয়েছে-এসব কিছু উল্লেখ নেই। কাজেই এটা কোনো গবেষণা হয়নি।
ঢাকা উত্তর সিটির নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে সিইসি বলেন, বিষয়টি নিয়ে কমিশনের সাথে বসতে হবে। আমরা তাড়াতাড়ি এ নির্বাচন করে ফেলব।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, মার্চে শুরু হওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মাঝেই এ নির্বাচন করা হবে। তবে এ বিষয়ে কমিশনে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এখানে পুনঃতফসিল করা হবে। বসতে হবে সবার সাথে। নির্বাচন তাড়াতাড়ি করে ফেলব। উপজেলা নির্বাচন এখানে প্রভাব ফেলবে না। (নয়া দিগন্ত)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

টিআইবি’র প্রতিবেদন প্রত্যাখ্যান সিইসির

প্রকাশের সময় : ০৮:৪৭:৪৮ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৬ জানুয়ারী ২০১৯

 

ঢাকা ডেস্ক: একাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচন নিয়ে ট্রান্সপারেন্সি ইন্টারন্যাশনাল বাংলাদেশের (টিআইবি) সদ্য প্রকাশিত প্রতিবেদনকে ‘ভিত্তিহীন’ বলে মন্তব্য করেছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা। তিনি বলেন, আমরা পুরোপুরি প্রত্যাখ্যান করছি। কারণ, ভোটের দিন গণমাধ্যম, নির্বাচনী কর্মকর্তা, নির্বাহী-বিচারিক হাকিম ও আইন শৃঙ্খলার দায়িত্বে থাকা কারও কাছ থেকে অনিয়মের কোনো তথ্য পাওয়া যায়নি।
বুধবার (১৬ জানুয়ারী) বিকেলে আগারগাঁওস্থ নির্বাচনী প্রশিক্ষণ ইন্সটিটিউটে (ইটিআই) এক অনুষ্ঠান শেষে সিইসি সাংবাদিকদের বিভিন্ন প্রশ্নের জবাবে এই মন্তব্য করেন। ইসি ও আইন শৃঙ্খলাবাহিনীর ভূমিকা প্রশ্নবিদ্ধ ও বিতর্কিত বলেও মন্তব্য করেছে টিআইবি। এ বিষয়ে সিইসি বলেন, এটা অসৌজন্যমূলক বক্তব্য। তাদের এভাবে কথাগুলো বলা ঠিক হয়নি। তবে আমরা এ নিয়ে কোনো ব্যবস্থা নেবো না।
উল্লেখ্য, ভোটের অনিয়ম নিয়ে গত মঙ্গলবার (১৫ জানুয়ারী) গবেষণা প্রতিবেদনটি প্রকাশ করে আন্তর্জাতিক সংস্থা টিআইবি। দুর্নীতিবিরোধী সংস্থাটি ৫০টি আসনের মধ্যে অন্তত ৪১টি আসনে কোনো না কোনো অনিয়ম হয়েছে বলে প্রতিবেদনে জানায়। সংস্থাটি আরো জানায়, ৩৩টি আসনে ভোটের আগের রাতেই ব্যালেটে সিল মেরে বাক্সে ভরে রাখা হয়েছে। একইসাথে নির্বাচন কমিশনের ভূমিকা নিয়েও প্রশ্ন তোলে টিআইবি।

প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) কেএম নূরুল হুদা – ফাইল ছবি
সিইসি নূরুল হুদা বলেন, টিআইবি বলেছে গবেষণাটি গুণবাচক, মুখ্য তথ্যদাতার সাক্ষাৎকার ও পর্যবেক্ষণ, ক্ষেত্রবিশেষে সংখ্যাবাচক তথ্য সংগ্রহ ও বিশ্লেষণ করা হয়েছে। তথ্য নেয়া হয়েছে পরোক্ষ উৎস থেকে। এভাবে কোনো গবেষণা হয়?
তিনি দাবি করেন, ভোটের কারচুপির তথ্য নিলে অবশ্যই সহকারী প্রিসাইডিং কর্মকর্তার কাছ থেকে তথ্য নিতে হবে বা লিখিত কোনো ডকুমেন্ট থেকে তথ্য নিতে হবে। এসব করা হয়নি। কোন সোর্স থেকে কী প্রক্রিয়ায় তথ্য নিয়ে তারা বলছে, ভোটের আগের রাতে সিল মারা হয়েছে-এসব কিছু উল্লেখ নেই। কাজেই এটা কোনো গবেষণা হয়নি।
ঢাকা উত্তর সিটির নির্বাচন আয়োজনের ব্যাপারে সিইসি বলেন, বিষয়টি নিয়ে কমিশনের সাথে বসতে হবে। আমরা তাড়াতাড়ি এ নির্বাচন করে ফেলব।
সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে সিইসি বলেন, মার্চে শুরু হওয়া উপজেলা পরিষদ নির্বাচনের মাঝেই এ নির্বাচন করা হবে। তবে এ বিষয়ে কমিশনে বসে সিদ্ধান্ত নিতে হবে। এখানে পুনঃতফসিল করা হবে। বসতে হবে সবার সাথে। নির্বাচন তাড়াতাড়ি করে ফেলব। উপজেলা নির্বাচন এখানে প্রভাব ফেলবে না। (নয়া দিগন্ত)