ঢাকা ডেস্ক : ফেনী-২ আসনের সাবেক সংসদ সদস্য ও আওয়ামী লীগের উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য জয়নাল হাজারীর দ্বিতীয় জানাজা সম্পন্ন হয়েছে। এ সময় আওয়ামী লীগের নেতাকর্মীসহ লাখো মুসল্লি অংশ নেন।
মঙ্গলবার বিকেল ৫টার দিকে ফেনী সরকারি পাইলট মাঠে তার জানাজা হয়। ইমামতি করেন ফেনী জহিরিয়া মসজিদের খতিব মাওলানা মুফতি ইলিয়াস।
এর আগে সকাল ১০টায় জাতীয় মসজিদ বায়তুল মোকাররমে তার প্রথম জানাজা অনুষ্ঠিত হয়। শ্রদ্ধা নিবেদনের পর জয়নাল হাজারীকে শেষ বিদায় জানায় ঢাকাবাসী।
এরপর দুপুর আড়াইটার দিকে ফেনী পৌর শহরের মাস্টারপাড়া হাজারী বাড়িতে পৌছায় জয়নাল হাজারীর মরদেহ বহনকারী গাড়ি।
বার্ধক্যজনিত নানা রোগে ভুগে জয়নাল হাজারী কয়েকদিন যাবত রাজধানীর ল্যাবএইড হাসপাতালে ভর্তি ছিলেন। বেশ কিছুদিন ধরে হৃদরোগ বিশেষজ্ঞ সোহরাবুজ্জামানের তত্ত্বাবধানে ছিলেন। এ অবস্থায় সোমবার বিকেল ৫টা ২৫ মিনিটে তিনি মারা যান।
তার মৃত্যুতে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাসহ আওয়ামী লীগ ও বিভিন্ন সংগঠন শোক জানিয়েছে।
১৯৪৫ সালে জন্ম নেওয়া জয়নাল হাজারী আজীবন আওয়ামী লীগেই যুক্ত ছিলেন। ১৯৮৪ থেকে ২০০৪ সাল পর্যন্ত দুই দশক ফেনী জেলা আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ছিলেন তিনি।
ফেনী-২ (ফেনী সদর) আসন থেকে ১৯৮৬, ১৯৯১ এবং ১৯৯৬ সালে তিন বার সংসদ সদস্য নির্বাচিত হন তিনি। হাজারী ১৯৯৬ সালে নির্বাচিত হবার পর, ১৯৯৬ থেকে ২০০১ সাল পর্যন্ত ফেনীতে সন্ত্রাসের শিকার হয়ে প্রায় ১২০ জন রাজনৈতিক নেতা-কর্মীর মৃত্যু হয়। এই প্রেক্ষাপটের পেছেনে হাজারীকে সন্দেহ করা হয় এবং ২০০১ সালে তৎকালীন তত্ত্বাবধায়ক সরকারের আমলে ১৬ আগস্ট রাতে হাজারীর বাসভবনে অভিযান চালায় যৌথ বাহিনী। এরপরই তিনি আত্মগোপনে চলে যান।
এপ্রিল, ২০০৪ সালে দল থেকে বহিষ্কৃত ঘোষণা করা হয় হাজারীকে। চার বছর পর ২০০৯ সালে জাতীয় সংসদ নির্বাচন আওয়ামী লীগ পুনরায় ক্ষমতায় আসার পর তিনি ভারত থেকে দেশে ফিরে আসেন এবং আদালতে আত্মসমর্পণ করেন।খবর বাংলাদেশ জার্নাল