জ্বালানি সংকট সমাধানে আশ্বাস দিয়েছে ভারত
- প্রকাশের সময় : ০৭:৫৬:৪৩ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৪ সেপ্টেম্বর ২০২২
- / ৯৬ বার পঠিত
বাংলাদেশ ডেস্ক : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেছেন, ভারত সফরে যথেষ্ট আন্তরিকতা পেয়েছি, খালি হাতে আসিনি। জ্বালানি সংকট সমাধানে আশ্বাস দিয়েছে ভারত। ডিজেল আনার পাইপ লাইন ভারত তৈরি করে দিয়েছে। শিলিগুড়ি থেকে পাইপ লাইন দিয়ে দিনাজপুরে ডিজেল আসবে। বুধবার (১৪ সেপ্টেম্বর) বিকেলে ভারত সফর নিয়ে গণভবনে এক সংবাদ সম্মেলনে এসব কথা বলেন তিনি।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এবারের ভারত সফর বাংলাদেশ-ভারত সম্পর্কের নতুন দিগন্তের সূচনা করেছে। কুশিয়ারার পানি বণ্টনের চুক্তি আমাদের জন্য বড় অর্জন। তিনি আরও বলেন, এবারের সফরে বাংলাদেশ কী পেল এই প্রশ্ন আপেক্ষিক। বন্ধুপ্রতীম দেশ হিসেবে ভারত থেকে সব ধরনের সহযোগিতা পাওয়া যাচ্ছে। আমাদের পররাষ্ট্রনীতির মূল মন্ত্র হচ্ছে- সবার সঙ্গে বন্ধুত্ব, কারো সঙ্গে বৈরিতা নয়। এই নীতিমালা অনুসরণ করেই আমরা আন্তঃরাষ্ট্রীয় সুসম্পর্ক বজায় রেখে এগিয়ে যাচ্ছি।
সরকারপ্রধান বলেন, ১৯৬৫ সালে ভারত-পাকিস্তান যুদ্ধের পর সড়ক ও রেল যোগাযোগ বন্ধ ছিল। এসব সড়ক ও রেল যোগাযোগ বাংলাদেশ ও ভারতের মধ্যে একে একে খুলে যাচ্ছে।প্রধানমন্ত্রী বলেন, সফরের পুরো সময় জুড়ে আমরা ভারতের আন্তরিকতার বহিঃপ্রকাশ ও সৎ প্রতিবেশী হিসেবে সমতা ও শ্রদ্ধার ভিত্তিতে দু’দেশের সহযোগিতা অব্যাহত রাখার অঙ্গীকার লক্ষ্য করেছি।
এই সফরে সহযোগিতার যেসব ক্ষেত্র চিহ্নিত হয়েছে এবং বিদ্যমান সমস্যা সমাধানে যেসব সিদ্ধান্ত হয়েছে, তা বাস্তবায়ন করলে উভয় দেশের জনগণ উপকৃত হবে বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। প্রধানমন্ত্রী বলেন, কী পেলাম সেটা আপেক্ষিক। যদি প্রশ্ন করি, কী দিলাম? বাংলাদেশের প্রায় চারপাশ দিয়েই কিন্তু ভারত। (ভারত থেকে) একেবারে শূন্য হাতে এসেছি তা নয়। এটা আসলে মনের ব্যাপার। যেমন বাংলাদেশে এত কাজ করার পরেও বিএনপি বলে কিছুই করিনি।
বঙ্গবন্ধুর বায়োপিক সম্পর্কে এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, শুটিংয়ের পর এখন এডিটিং চলছে। ৭ই মার্চের ভাষণের দৃশ্য অভিনয় করে দেখালে মানুষের এটা নিতে একটু অসুবিধা হয়। কিন্তু কাউকে না কাউকেতো অভিনয় করতে হবে। এটা যখন সিনেমা একে সিনেমা হিসেবেই দেখতে হবে। অভিনেতারা আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করেছেন। এডিটিং শেষ হলে একটা ভালো সময় দেখে এটা আসবে।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, জাতির পিতা বাংলাদেশের পররাষ্ট্রনীতির মূল মন্ত্র দিয়ে গেছেন—তা হলো “সকলের সাথে বন্ধুত্ব, কারও সাথে বৈরিতা নয়”। এই নীতিমালা অনুসরণ করেই আমরা আন্তঃরাষ্ট্রীয় সু-সম্পর্ক বজায় রেখে এগিয়ে যাচ্ছি। বর্তমানে বিভিন্ন আন্তর্জাতিক ও আঞ্চলিক ঐক্য উন্নয়নে বাংলাদেশ অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ ও গৌরবময় ভূমিকা রাখছে। সূএ : ভোরের কাগজ
হককথা/এমউএ