নিউইয়র্ক ০৯:২৪ অপরাহ্ন, রবিবার, ২৩ ফেব্রুয়ারী ২০২৫, ১১ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

জিনিয়া ‘অপহরণকারী’ কে এই লোপা তালুকদার?

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:১৬:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০
  • / ১১৯ বার পঠিত

হককথা ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি এলাকা থেকে ফুল বিক্রেতা জিনিয়াকে (৯) ফুচকা খাইয়ে ও ঘোরাঘুরি করিয়ে অপহরণ করা হয়। ওই ঘটনায় নূর নাজমা আক্তার লোপা তালুকদার (৪২) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা রমনা বিভাগ। সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১টা দশ মিনিটে মিনিটে নারায়নগঞ্জ জেলা ফতুল্লা থানার আমতলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিম জিনিয়াকে উদ্ধারসহ অপহরণকারী লোপা তালুকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
কিন্তু কে এই লোপা তালুকদার? অনেকেরই পরিচিত এই লোপা। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ছবি রয়েছে এই লোপা তালুকদারের। মন্ত্রী এমপি, এমনকী খোদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও ছবি তুলে ফেলেছেন। তাই অনেকেই ‘লোপা’কে রিজেন্ট গ্রæপের সাহেদের ‘লেডি ভার্সন’ বলছেন।
লোপা নাকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় পরিচিত মুখ। অনেক বড় বড় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। সোশ্যাল নেট ওয়ার্কের মাধ্যমে ছবিসহ এসব খবর এখন ভেসে বেড়াচ্ছে। লোপা ফেসবুকেও সক্রিয়। তার ফেসবুক প্রোফাইল ঘেঁটে দেখা গেছে, তার পরিচয়ের বহর। লেখা রয়েছে অগ্নি টিভির ম্যানেজিং ডিরেক্টর, আওয়ামী পেশাজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র রিপোর্টার নবচেতনা, সিনিয়র রিপোর্টার, সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার মোহনা টিভি, ডিরেক্টর শীর্ষ টিভি, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, সাপ্তাহিক শীর্ষ সমাচার, বাংলাদেশ কবি পরিষদের কবি।
লোপা নিজেকে একজন সিনিয়র সাংবাদিক এবং আওয়ামী পেশাজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল। একজন নেটিজেন বলছেন, ‘অথচ এই নারীর নামে হত্যা, অপহরণ, মানব পাচারসহ বেশ কিছু মামলা ছিলো। কিন্তু এসব থাকা স্বত্বেও সে অবাধে সব জায়গায় বিচরণ করেছে। এরকম লোপা আছে সারা দেশজুরে। এদের দমাতে না পারলে যে পচন ধরেছে তা ভবিষ্যতে কোনও কিছু দিয়ে থামানো যাবে না। তাই শুদ্ধি অভিযানটা শুরু করা দরকার সমাজের সর্বত্র।’ (দৈনিক কালের কন্ঠ)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

জিনিয়া ‘অপহরণকারী’ কে এই লোপা তালুকদার?

প্রকাশের সময় : ০৭:১৬:২২ অপরাহ্ন, বুধবার, ৯ সেপ্টেম্বর ২০২০

হককথা ডেস্ক: ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় টিএসসি এলাকা থেকে ফুল বিক্রেতা জিনিয়াকে (৯) ফুচকা খাইয়ে ও ঘোরাঘুরি করিয়ে অপহরণ করা হয়। ওই ঘটনায় নূর নাজমা আক্তার লোপা তালুকদার (৪২) নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে ঢাকা মহানগর পুলিশের (ডিএমপি) গোয়েন্দা রমনা বিভাগ। সোমবার (৭ সেপ্টেম্বর) রাত ১টা দশ মিনিটে মিনিটে নারায়নগঞ্জ জেলা ফতুল্লা থানার আমতলা এলাকায় অভিযান পরিচালনা করে ভিকটিম জিনিয়াকে উদ্ধারসহ অপহরণকারী লোপা তালুকদারকে গ্রেপ্তার করা হয়। মঙ্গলবার দুপুরে ঢাকা মহানগর পুলিশের গোয়েন্দা বিভাগের যুগ্ম পুলিশ কমিশনার মো. মাহবুব আলম এক সংবাদ সম্মেলনে এসব তথ্য জানান।
কিন্তু কে এই লোপা তালুকদার? অনেকেরই পরিচিত এই লোপা। সমাজের সর্বস্তরের মানুষের সঙ্গে ছবি রয়েছে এই লোপা তালুকদারের। মন্ত্রী এমপি, এমনকী খোদ প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গেও ছবি তুলে ফেলেছেন। তাই অনেকেই ‘লোপা’কে রিজেন্ট গ্রæপের সাহেদের ‘লেডি ভার্সন’ বলছেন।
লোপা নাকি ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় এলাকা ও জাতীয় প্রেসক্লাব এলাকায় পরিচিত মুখ। অনেক বড় বড় সাংবাদিকদের সঙ্গে কথাবার্তা বলেন। সোশ্যাল নেট ওয়ার্কের মাধ্যমে ছবিসহ এসব খবর এখন ভেসে বেড়াচ্ছে। লোপা ফেসবুকেও সক্রিয়। তার ফেসবুক প্রোফাইল ঘেঁটে দেখা গেছে, তার পরিচয়ের বহর। লেখা রয়েছে অগ্নি টিভির ম্যানেজিং ডিরেক্টর, আওয়ামী পেশাজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক, সিনিয়র রিপোর্টার নবচেতনা, সিনিয়র রিপোর্টার, সিনিয়র ক্রাইম রিপোর্টার মোহনা টিভি, ডিরেক্টর শীর্ষ টিভি, ভারপ্রাপ্ত সম্পাদক, সাপ্তাহিক শীর্ষ সমাচার, বাংলাদেশ কবি পরিষদের কবি।
লোপা নিজেকে একজন সিনিয়র সাংবাদিক এবং আওয়ামী পেশাজীবী লীগের কেন্দ্রীয় কার্যনির্বাহী কমিটির সাধারণ সম্পাদক হিসেবে পরিচয় দিয়ে নানা অপকর্মে লিপ্ত ছিল। একজন নেটিজেন বলছেন, ‘অথচ এই নারীর নামে হত্যা, অপহরণ, মানব পাচারসহ বেশ কিছু মামলা ছিলো। কিন্তু এসব থাকা স্বত্বেও সে অবাধে সব জায়গায় বিচরণ করেছে। এরকম লোপা আছে সারা দেশজুরে। এদের দমাতে না পারলে যে পচন ধরেছে তা ভবিষ্যতে কোনও কিছু দিয়ে থামানো যাবে না। তাই শুদ্ধি অভিযানটা শুরু করা দরকার সমাজের সর্বত্র।’ (দৈনিক কালের কন্ঠ)