নিউইয়র্ক ০৬:৪৯ অপরাহ্ন, বুধবার, ১১ ডিসেম্বর ২০২৪, ২৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাচ্ছেন কাজী নজরুল

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:১৭:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪
  • / ২১ বার পঠিত

ঢাকা ডেস্ক: অবশেষে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তাকে বাংলাদেশের ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে ভূষিত করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ প্রস্তাবটি এনেছে। তবে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামের নাম সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়নি উপদেষ্টা পরিষদ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। যেখানে বলা হয়েছে, ১৯৮৭ সাল থেকে কাজী নজরুল ইসলামকে দেশের জাতীয় কবির মর্যাদা দেওয়া হলেও এ বিষয়ে রাষ্ট্রীয় কোনো স্বীকৃতি নেই। শুধু কবি কাজী নজরুল ইনস্টিটিউট আইনে জাতীয় কবি হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামের নাম লেখা আছে।
১৮৯৯ সালের ২৪ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে ১৯৭২ সালের ২৪ মে কাজী নজরুলকে সপরিবারে বাংলাদেশে আনা হয়। এরপর তার বাকি জীবন বাংলাদেশেই কাটে।
বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কাজী নজরুলকে সম্মানসূচক ডিলিট উপাধি দেয়। ১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে কাজী নজরুলকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। ১৯৭৬ সালের ২১ ফেব্রæয়ারী তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট মারা যান কাজী নজরুল। মারা যাওয়ার ৪৮ বছর পর এখন তাকে বাংলাদেশের জাতীয় কবির স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে।
কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি খিলখিল কাজী। ফাইল ছবি
যা বললেন নাতনি খিলখিল
কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি অবশেষে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বতী সরকার এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) আতাউর রহমান। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আজকে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ ব্যাপারে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং সেটি নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা অফিসিয়ালি এ ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে পারছি না। তার কারণ হলো, একটু ছোট্ট ব্যাপার আছে। যেটা আইন মন্ত্রণালয়ে সমাধান করলেই এ বিষয়ক গেজেট প্রকাশ করা হবে।’
রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হবে শুনে কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি খিলখিল কাজী সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরেই এ বিষয় দাবি জানিয়ে এসেছি। কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে সরকারকে জানানো হয়েছে। বর্তমান সরকারের উচ্চপর্যায়ের অনেকে আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন, এটা দ্রæত করা হবে। অবশেষে এটা হওয়ার খবরটি জেনে ভালো লাগছে।’

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পাচ্ছেন কাজী নজরুল

প্রকাশের সময় : ১২:১৭:০১ অপরাহ্ন, শনিবার, ৭ ডিসেম্বর ২০২৪

ঢাকা ডেস্ক: অবশেষে জাতীয় কবির রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি পেতে যাচ্ছেন বিদ্রোহী কবি কাজী নজরুল ইসলাম। তাকে বাংলাদেশের ‘জাতীয় কবি’ হিসেবে ভূষিত করে প্রজ্ঞাপন প্রকাশের প্রস্তাব অনুমোদন করা হয়েছে। বৃহস্পতিবার (৫ ডিসেম্বর) রাজধানীর তেজগাঁওয়ে অন্তর্র্বতী সরকারের প্রধান উপদেষ্টার কার্যালয়ে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয়। সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয় এ প্রস্তাবটি এনেছে। তবে বাংলাদেশের জাতীয় কবি হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামের নাম সংবিধানে অন্তর্ভুক্ত করার প্রস্তাব অনুমোদন দেয়নি উপদেষ্টা পরিষদ।
সংবাদ বিজ্ঞপ্তি দিয়ে এ তথ্য জানিয়েছে মন্ত্রিপরিষদ বিভাগ। যেখানে বলা হয়েছে, ১৯৮৭ সাল থেকে কাজী নজরুল ইসলামকে দেশের জাতীয় কবির মর্যাদা দেওয়া হলেও এ বিষয়ে রাষ্ট্রীয় কোনো স্বীকৃতি নেই। শুধু কবি কাজী নজরুল ইনস্টিটিউট আইনে জাতীয় কবি হিসেবে কাজী নজরুল ইসলামের নাম লেখা আছে।
১৮৯৯ সালের ২৪ মে ভারতের পশ্চিমবঙ্গের বর্ধমান জেলার আসানসোল মহকুমার চুরুলিয়া গ্রামে জন্মগ্রহণ করেন কাজী নজরুল ইসলাম। বাংলাদেশ স্বাধীন হওয়ার পর তৎকালীন রাষ্ট্রপতি শেখ মুজিবুর রহমানের উদ্যোগে ১৯৭২ সালের ২৪ মে কাজী নজরুলকে সপরিবারে বাংলাদেশে আনা হয়। এরপর তার বাকি জীবন বাংলাদেশেই কাটে।
বাংলা সাহিত্য ও সংস্কৃতিতে বিশেষ অবদানের স্বীকৃতি হিসেবে ১৯৭৪ সালের ৯ ডিসেম্বর ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয় কাজী নজরুলকে সম্মানসূচক ডিলিট উপাধি দেয়। ১৯৭৬ সালের জানুয়ারিতে কাজী নজরুলকে বাংলাদেশের নাগরিকত্ব দেওয়া হয়। ১৯৭৬ সালের ২১ ফেব্রæয়ারী তাকে একুশে পদকে ভূষিত করা হয়। ১৯৭৬ সালের ২৯ আগস্ট মারা যান কাজী নজরুল। মারা যাওয়ার ৪৮ বছর পর এখন তাকে বাংলাদেশের জাতীয় কবির স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে।
কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি খিলখিল কাজী। ফাইল ছবি
যা বললেন নাতনি খিলখিল
কাজী নজরুল ইসলামকে জাতীয় কবি অবশেষে রাষ্ট্রীয়ভাবে স্বীকৃতি দেওয়া হচ্ছে। অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বাধীন অন্তর্র্বতী সরকার এ বিষয়ে নীতিগত সিদ্ধান্ত নিয়েছে। বৃহস্পতিবার অনুষ্ঠিত উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ সিদ্ধান্ত হয় বলে জানিয়েছেন সংস্কৃতিবিষয়ক মন্ত্রণালয়ের সচিব (রুটিন দায়িত্ব) আতাউর রহমান। সংবাদমাধ্যমকে তিনি বলেন, ‘আজকে উপদেষ্টা পরিষদের বৈঠকে এ ব্যাপারে উপস্থাপন করা হয়েছে এবং সেটি নীতিগত সিদ্ধান্ত হয়েছে। আমরা অফিসিয়ালি এ ব্যাপারে এখনই কিছু বলতে পারছি না। তার কারণ হলো, একটু ছোট্ট ব্যাপার আছে। যেটা আইন মন্ত্রণালয়ে সমাধান করলেই এ বিষয়ক গেজেট প্রকাশ করা হবে।’
রাষ্ট্রীয় স্বীকৃতি দেওয়া হবে শুনে কাজী নজরুল ইসলামের নাতনি খিলখিল কাজী সংবাদমাধ্যমকে বলেছেন, ‘আমরা অনেক দিন ধরেই এ বিষয় দাবি জানিয়ে এসেছি। কবি নজরুল ইনস্টিটিউটের মাধ্যমে সরকারকে জানানো হয়েছে। বর্তমান সরকারের উচ্চপর্যায়ের অনেকে আমাদের আশ্বস্ত করেছিলেন, এটা দ্রæত করা হবে। অবশেষে এটা হওয়ার খবরটি জেনে ভালো লাগছে।’