নিউইয়র্ক ০১:৩৩ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২৮ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনের বিতর্ক পর্ব শেষ আজ : ডিজিটাল বৈষম্য অবসানের তাগিদ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৪:৪৮:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩
  • / ৯৫ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : সাউথ-সাউথ সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে জাতিসংঘের কাছে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন অভিজ্ঞতা বিনিময় করার তাগিদ দেয়া হয়েছে। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে ‘ই- কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশন’-এর মাধ্যমে ‘ডিজিটাল বৈষম্যমুক্ত বিশ্বের রূপকল্প’ শীর্ষক সাইড ইভেন্টে এ আহ্বান জানানো হয়।

সোমবার সাধারণ অধিবেশনের ৮তম দিন পার করে জাতিসংঘ। এদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করসহ বিশ্বের পাঁচটি দেশের পররাষ্ট্র ও ধর্মমন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নানা হিসাবনিকাশের মধ্য দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনের পর্দা নামে।

ওই সাইড ইভেন্টটি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও এটুআই-এর যৌথভাবে আয়োজন করে। গাম্বিয়া, উগান্ডা, ঘানা, সোমালিয়া, সাও টোমে অ্যান্ড প্রিন্সিপের মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, জাতিসংঘ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এবং এটুআই-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন। এ সময় ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সোমবার সকালে অনুষ্ঠিত হওয়া ওই ইভেন্টে বাংলাদেশের ডিজিটাল ব্যবস্থার উন্নয়ন, অন্তভুর্ক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের যাত্রার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, উন্নয়নশীল দেশে প্রযুক্তি হস্তান্তরের প্রয়োজনীয়তা, দেশসমূহের মধ্যে সহযোগিতা, সমাজের সব স্তরের মানুষের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা এবং ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে হবে। অন্যথায় দক্ষিণের দেশগুলোতে এই বৈষম্য আরো প্রকট হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইসিটি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি অনুবিভাগের মাধ্যমে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিশ্চিতকরণ ও প্রয়োজনীয় উদ্ভাবনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল ভিশন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। সুদৃঢ় অংশীদারত্ব, বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তি আত্মীকরণের মাধ্যমে ই-কোয়ালিটি সেন্টার ডিজিটাল বিভাজনমুক্ত মানবজাতি সৃজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী মোমেন। অনুষ্ঠানে ই-কোয়ালিটি সেন্টারের

কারিগরি ও ব্যবহারিক নানা দিক উপস্থাপন করা হয়। উপস্থিত বিভিন্ন দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা এই উদ্যোগের ব্যাপারে তাদের মতামত উপস্থাপন করেন। এ সময় তারা প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তিমূলক বণ্টন, উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমূহের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং নতুন ডিজিটাল বাস্তবতার চ্যালেঞ্জের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ লক্ষ্যে ই-কোয়ালিটি সেন্টার কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অতিথিরা। অনুষ্ঠানে ইন্টারন্যাশনাল আইসিটি ইনোভেশন ফ্যাসিলিটির বিজয়ী প্রকল্পগুলোতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পুরস্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের অংশগ্রহণে আরো একটি অনলাইন সেশন আয়োজন করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইসিটি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মুনতাসির মামুন এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা সেশনটিতে অংশ নেন।

বাংলাদেশের আয়োজকরা জানিয়েছেন, কোয়ালিটি সেন্টারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সাউথ-সাউথ সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিগত বিভাজন দূর করা। বাংলাদেশ সরকারের প্রতিষ্ঠিত এই সেন্টারটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার, গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্বের দেশগুলোর মাঝে প্রযুক্তিগত পার্থক্য দূরীকরণে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, বৈশ্বিক প্রযুক্তি হস্তান্তর, গবেষণা এবং অর্থনৈতিক সহায়তার মাধ্যমে সমতামূলক ডিজিটাল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করা।

অপপ্রচার বন্ধে প্রবাসীদের সতর্ক থাকতে হবে : এদিকে নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় গত রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি তাদের জন্মভূমির বিরুদ্ধে তথ্য ও পরিসংখ্যানসহ ভুল তথ্য ও অপপ্রচার প্রতিরোধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। নিউইয়র্কের কুইন্সে সেন্টার ফর নন-রেসিডেন্স বাংলাদেশিদের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা এবং অনিবাসী বাংলাদেশিদের মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত করতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূমিকার প্রশংসা করেন। এ সময় তিনি তাদের নিজ দেশের অর্জনগুলো তুলে ধরার আহ্বান জানান। ড. মোমেন বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও অভিন্ন মূল্যবোধ- উভয় ক্ষেত্রেই সুদৃঢ় সম্পর্কের ওপর জোর দেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসীদের বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে এবং উভয় দেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতিতে অবদান রাখতে অনুপ্রাণিত করেন। ড. মোমেন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে শীর্ষ অবদানকারী হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকা তুলে ধরে শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন।

ওই অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, সেন্টার ফর এনআরবির চেয়ারপারসন এম এস সেকিল চৌধুরী, ইউ এস অ্যাম্বাসেডর অব পিস, ইউ এন অ্যান্ড এক্সপার্ট ডব্লিউএইচও ড. সিমা কারেতনয়া নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদা প্রমুখ অংশ নেন। সোমবার নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে ‘বৃহত্তর সিলেট গণদাবি পরিষদ যুক্তরাষ্ট্র, ইনক’-এর নবনির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানেও অংশ নেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় তিনি সিলেটের উন্নয়নে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানান। সূত্র : ভোরের কাগজ

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

জাতিসংঘের ৭৮তম অধিবেশনের বিতর্ক পর্ব শেষ আজ : ডিজিটাল বৈষম্য অবসানের তাগিদ

প্রকাশের সময় : ০৪:৪৮:২৬ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : সাউথ-সাউথ সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশগুলোর মধ্যে ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে জাতিসংঘের কাছে আহ্বান জানিয়েছে বাংলাদেশ। একই সঙ্গে উন্নয়নশীল দেশগুলোতে প্রযুক্তি ও উদ্ভাবন অভিজ্ঞতা বিনিময় করার তাগিদ দেয়া হয়েছে। নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় গতকাল সোমবার জাতিসংঘ সদর দপ্তরে জাতিসংঘ সাধারণ পরিষদের ৭৮তম অধিবেশনে ‘ই- কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশন’-এর মাধ্যমে ‘ডিজিটাল বৈষম্যমুক্ত বিশ্বের রূপকল্প’ শীর্ষক সাইড ইভেন্টে এ আহ্বান জানানো হয়।

সোমবার সাধারণ অধিবেশনের ৮তম দিন পার করে জাতিসংঘ। এদিন দুপুর সাড়ে ১২টায় জাতিসংঘের মহাসচিব আন্তোনিও গুতেরেস ও ভারতের পররাষ্ট্রমন্ত্রী এস জয়শঙ্করসহ বিশ্বের পাঁচটি দেশের পররাষ্ট্র ও ধর্মমন্ত্রীদের সঙ্গে দ্বিপক্ষীয় বৈঠক অনুষ্ঠিত হয়। নানা হিসাবনিকাশের মধ্য দিয়ে গতকাল মঙ্গলবার জাতিসংঘের ৭৮তম সাধারণ অধিবেশনের পর্দা নামে।

ওই সাইড ইভেন্টটি বাংলাদেশের পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় ও এটুআই-এর যৌথভাবে আয়োজন করে। গাম্বিয়া, উগান্ডা, ঘানা, সোমালিয়া, সাও টোমে অ্যান্ড প্রিন্সিপের মন্ত্রী ও ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, জাতিসংঘ সচিবালয়ের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা, জাতিসংঘে বাংলাদেশ স্থায়ী মিশন এবং এটুআই-এর ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা এতে অংশ নেন। এ সময় ই-কোয়ালিটি সেন্টার ফর ইনক্লুসিভ ইনোভেশনের উদ্বোধন করেন বাংলাদেশের পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন। সোমবার সকালে অনুষ্ঠিত হওয়া ওই ইভেন্টে বাংলাদেশের ডিজিটাল ব্যবস্থার উন্নয়ন, অন্তভুর্ক্তিমূলক প্রবৃদ্ধি এবং ডিজিটাল বাংলাদেশ থেকে স্মার্ট বাংলাদেশে উত্তরণের যাত্রার বিষয়টি তুলে ধরা হয়। পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, উন্নয়নশীল দেশে প্রযুক্তি হস্তান্তরের প্রয়োজনীয়তা, দেশসমূহের মধ্যে সহযোগিতা, সমাজের সব স্তরের মানুষের প্রযুক্তিগত উৎকর্ষতা এবং ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে হবে। অন্যথায় দক্ষিণের দেশগুলোতে এই বৈষম্য আরো প্রকট হবে।

পররাষ্ট্রমন্ত্রী মোমেন জানান, পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয় আইসিটি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি অনুবিভাগের মাধ্যমে প্রযুক্তির ক্ষেত্রে আন্তর্জাতিক সহযোগিতা নিশ্চিতকরণ ও প্রয়োজনীয় উদ্ভাবনমূলক কার্যক্রম পরিচালনা করে যাচ্ছে। যার মাধ্যমে বাংলাদেশ সরকারের ডিজিটাল ভিশন বাস্তবায়ন করা সম্ভব হবে। সুদৃঢ় অংশীদারত্ব, বিনিয়োগের সুযোগ সৃষ্টি এবং সর্বাধুনিক প্রযুক্তি আত্মীকরণের মাধ্যমে ই-কোয়ালিটি সেন্টার ডিজিটাল বিভাজনমুক্ত মানবজাতি সৃজনে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখবে বলে আশা প্রকাশ করেন মন্ত্রী মোমেন। অনুষ্ঠানে ই-কোয়ালিটি সেন্টারের

কারিগরি ও ব্যবহারিক নানা দিক উপস্থাপন করা হয়। উপস্থিত বিভিন্ন দেশের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা ও জাতিসংঘের বিভিন্ন সংস্থার প্রতিনিধিরা এই উদ্যোগের ব্যাপারে তাদের মতামত উপস্থাপন করেন। এ সময় তারা প্রযুক্তির অন্তর্ভুক্তিমূলক বণ্টন, উন্নত ও উন্নয়নশীল দেশসমূহের মধ্যে পারস্পরিক সহযোগিতা এবং নতুন ডিজিটাল বাস্তবতার চ্যালেঞ্জের ওপর গুরুত্বারোপ করেন। এ লক্ষ্যে ই-কোয়ালিটি সেন্টার কার্যকর ভূমিকা রাখবে বলে আশাবাদ ব্যক্ত করেন বিশ্বের বিভিন্ন দেশের অতিথিরা। অনুষ্ঠানে ইন্টারন্যাশনাল আইসিটি ইনোভেশন ফ্যাসিলিটির বিজয়ী প্রকল্পগুলোতে পররাষ্ট্রমন্ত্রী পুরস্কার বিতরণ করেন। অনুষ্ঠানে সমাপনী বক্তব্য রাখেন আইসিটি প্রতিমন্ত্রী জুনায়েদ আহমেদ পলক।

জাতিসংঘ সদর দপ্তরে অনুষ্ঠিত উদ্বোধনী অনুষ্ঠানের সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে যুক্তরাজ্যের বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের সদস্যদের অংশগ্রহণে আরো একটি অনলাইন সেশন আয়োজন করা হয়। পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ের আইসিটি এবং আন্তর্জাতিক বাণিজ্য, বিনিয়োগ ও প্রযুক্তি অনুবিভাগের মহাপরিচালক ড. সৈয়দ মুনতাসির মামুন এবং অন্যান্য কর্মকর্তারা সেশনটিতে অংশ নেন।

বাংলাদেশের আয়োজকরা জানিয়েছেন, কোয়ালিটি সেন্টারের প্রধান লক্ষ্য হচ্ছে সাউথ-সাউথ সহযোগিতার মাধ্যমে বিশ্বব্যাপী প্রযুক্তিগত বিভাজন দূর করা। বাংলাদেশ সরকারের প্রতিষ্ঠিত এই সেন্টারটি সর্বাধুনিক প্রযুক্তির সর্বোত্তম ব্যবহার, গবেষণা ও উদ্ভাবনের মাধ্যমে বিশ্বের দেশগুলোর মাঝে প্রযুক্তিগত পার্থক্য দূরীকরণে কার্যক্রম পরিচালনা করবে। এর উদ্দেশ্য হচ্ছে, বৈশ্বিক প্রযুক্তি হস্তান্তর, গবেষণা এবং অর্থনৈতিক সহায়তার মাধ্যমে সমতামূলক ডিজিটাল ভবিষ্যৎ বিনির্মাণ করা।

অপপ্রচার বন্ধে প্রবাসীদের সতর্ক থাকতে হবে : এদিকে নিউইয়র্কের স্থানীয় সময় গত রবিবার পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন প্রবাসী বাংলাদেশিদের প্রতি তাদের জন্মভূমির বিরুদ্ধে তথ্য ও পরিসংখ্যানসহ ভুল তথ্য ও অপপ্রচার প্রতিরোধে সতর্ক থাকার আহ্বান জানিয়েছেন। নিউইয়র্কের কুইন্সে সেন্টার ফর নন-রেসিডেন্স বাংলাদেশিদের উদ্যোগে আয়োজিত ‘জাতিসংঘের শান্তিরক্ষা এবং অনিবাসী বাংলাদেশিদের মাধ্যমে বাংলাদেশের ব্র্যান্ডিং’ শীর্ষক অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথির বক্তব্যে তিনি এ আহ্বান জানান। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বাংলাদেশকে বিশ্বের সঙ্গে সংযুক্ত করতে প্রবাসী বাংলাদেশিদের ভূমিকার প্রশংসা করেন। এ সময় তিনি তাদের নিজ দেশের অর্জনগুলো তুলে ধরার আহ্বান জানান। ড. মোমেন বাংলাদেশ ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের মধ্যে বাণিজ্য ও অভিন্ন মূল্যবোধ- উভয় ক্ষেত্রেই সুদৃঢ় সম্পর্কের ওপর জোর দেন। তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাসরত প্রবাসীদের বাংলাদেশের সঙ্গে সংযুক্ত থাকতে এবং উভয় দেশের আর্থসামাজিক অগ্রগতিতে অবদান রাখতে অনুপ্রাণিত করেন। ড. মোমেন জাতিসংঘ শান্তিরক্ষা কার্যক্রমে শীর্ষ অবদানকারী হিসেবে বাংলাদেশের ভূমিকা তুলে ধরে শান্তি ও নিরাপত্তার প্রতি বাংলাদেশের অঙ্গীকারের ওপর জোর দেন।

ওই অনুষ্ঠানে অন্যান্যের মধ্যে প্রধানমন্ত্রীর অর্থনৈতিক উপদেষ্টা ড. মশিউর রহমান, সেন্টার ফর এনআরবির চেয়ারপারসন এম এস সেকিল চৌধুরী, ইউ এস অ্যাম্বাসেডর অব পিস, ইউ এন অ্যান্ড এক্সপার্ট ডব্লিউএইচও ড. সিমা কারেতনয়া নিউইয়র্কে বাংলাদেশ কনস্যুলেটের কনসাল জেনারেল নাজমুল হুদা প্রমুখ অংশ নেন। সোমবার নিউইয়র্কের জ্যাকসন হাইটসে ‘বৃহত্তর সিলেট গণদাবি পরিষদ যুক্তরাষ্ট্র, ইনক’-এর নবনির্বাচিত কার্যকরী পরিষদের অভিষেক অনুষ্ঠানেও অংশ নেন পররাষ্ট্রমন্ত্রী। এ সময় তিনি সিলেটের উন্নয়নে সম্ভাব্য সব পদক্ষেপ নেয়া হয়েছে বলে জানান। সূত্র : ভোরের কাগজ