নিউইয়র্ক ০১:৪৫ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত ৪৬ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০২:৫৬:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩
  • / ৫৯ বার পঠিত

ছবি : সংগৃহীত

বাংলাদেশ ডেস্ক : বাংলাদেশ-আফগানিস্তনসহ বিশ্বের ৪৬টি দেশকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা (ইউএনসিটিএডি)। মঙ্গলবার প্রকাশিত এই তালিকার ৩৩ দেশই আফ্রিকার। এছাড়া এশিয়ার ৯টি দেশ রয়েছে এই তালিকায়।

ইউএনসিটিএডি ২০২৩ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব দেশের অগ্রাধিকারমূলক বাজার অ্যাক্সেস, সহায়তা, বিশেষ প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং অন্যান্য ছাড়ের মধ্যে প্রযুক্তিতে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অগ্রাধিকার প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে। খবর আনাদুলু এজেন্সির

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর একটি বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ আফ্রিকা অঞ্চলের, তাদের মধ্যে নয়টি এশিয়ার, তিনটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং একটি ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের।

এখন পর্যন্ত ছয়টি দেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নতি হয়েছে। সেগুলো হলো- বতসোয়ানা (ডিসেম্বর ১৯৯৪), কাবো ভার্দে (ডিসেম্বর ২০০৭), মালদ্বীপ (জানুয়ারি ২০১১), সামোয়া (জানুয়ারি ২০১৪), নিরক্ষীয় গিনি (জুন ২০১৭) এবং ভানুয়াতু (ডিসেম্বর ২০২০)।

ইউএনসিটিএডি জানিয়েছে, স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে ঋণ পরিষেবা ২০২১ সালে ২৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এটি আগের বছরের ২০ বিলিয়ন ডলার থেকে ৩৭ শতাংশ বেশি।

জাতিসংঘের সংস্থাটি বলছে, ‘স্বল্পোন্নত দেশগুলো শুধু স্বাস্থ্য বা শিক্ষার চেয়ে ঋণ পরিষেবাতে বেশি ব্যয় করছে না। বরং গড়ে তারা স্বাস্থ্যের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ ঋণ ব্যয় করছে। একাধিক বৈশ্বিক সংকট, জলবায়ু জরুরি অবস্থা, ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝা, পণ্যের উপর নির্ভরশীলতা এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে বিদেশী বিনিয়োগ হ্রাস তাদের অর্থব্যবস্থাকে চাপে ফেলেছে। এসব বিষয়গুলো কম কার্বন পরিবর্তনসহ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোর দিকে তাদের অগ্রগতি বিপন্ন করে তুলেছে।’

জাতিসংঘের সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তা জলবায়ু সংক্রান্ত উদ্বেগের বাইরে বৃহত্তর অর্থনৈতিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে। এই দেশগুলোর ঋণ সংকটের একটি দীর্ঘস্থায়ী, বহুপাক্ষিক সমাধান জরুরি। তাদের প্রয়োজন উন্নয়ন এবং জলবায়ু অর্থায়ন।

স্বল্পোন্নত দেশগুলো হলো-

আফ্রিকা (৩৩) : অ্যাঙ্গোলা, বেনিন, বুরকিনা ফাসো, বুরুন্ডি, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, চাদ, কোমোরোস, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, জিবুতি, ইরিত্রিয়া, ইথিওপিয়া, গাম্বিয়া, গিনি, গিনি-বিসাউ, লেসোথো, লাইবেরিয়া, মাদাগাস্কার, মালাউই মালি, মৌরিতানিয়া, মোজাম্বিক, নাইজার, রুয়ান্ডা, সাও টোমে এবং প্রিন্সিপে, সেনেগাল, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, সুদান, টোগো, উগান্ডা, ইউনাইটেড রিপাবলিক অফ তানজানিয়া এবং জাম্বিয়া।

এশিয়া (৯) : আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, কম্বোডিয়া, লাও পিপলস ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক, মিয়ানমার, নেপাল, তিমুর-লেস্তে এবং ইয়েমেন।

ক্যারিবিয়ান অঞ্চল (২) : হাইতি।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল (৩) : কিরিবাতি, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ এবং টুভালু।

হককথা/নাছরিন

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

জাতিসংঘের স্বল্পোন্নত ৪৬ দেশের তালিকায় বাংলাদেশ

প্রকাশের সময় : ০২:৫৬:৫১ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৯ নভেম্বর ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : বাংলাদেশ-আফগানিস্তনসহ বিশ্বের ৪৬টি দেশকে স্বল্পোন্নত দেশ হিসেবে তালিকাভুক্ত করেছে জাতিসংঘের বাণিজ্য ও উন্নয়ন সংস্থা (ইউএনসিটিএডি)। মঙ্গলবার প্রকাশিত এই তালিকার ৩৩ দেশই আফ্রিকার। এছাড়া এশিয়ার ৯টি দেশ রয়েছে এই তালিকায়।

ইউএনসিটিএডি ২০২৩ সালের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, এসব দেশের অগ্রাধিকারমূলক বাজার অ্যাক্সেস, সহায়তা, বিশেষ প্রযুক্তিগত সহায়তা এবং অন্যান্য ছাড়ের মধ্যে প্রযুক্তিতে সক্ষমতা বৃদ্ধিতে অগ্রাধিকার প্রয়োজন বলে জানানো হয়েছে। খবর আনাদুলু এজেন্সির

প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর একটি বিশাল সংখ্যাগরিষ্ঠ অংশ আফ্রিকা অঞ্চলের, তাদের মধ্যে নয়টি এশিয়ার, তিনটি প্রশান্ত মহাসাগরীয় এবং একটি ক্যারিবিয়ান অঞ্চলের।

এখন পর্যন্ত ছয়টি দেশ স্বল্পোন্নত দেশ থেকে উন্নতি হয়েছে। সেগুলো হলো- বতসোয়ানা (ডিসেম্বর ১৯৯৪), কাবো ভার্দে (ডিসেম্বর ২০০৭), মালদ্বীপ (জানুয়ারি ২০১১), সামোয়া (জানুয়ারি ২০১৪), নিরক্ষীয় গিনি (জুন ২০১৭) এবং ভানুয়াতু (ডিসেম্বর ২০২০)।

ইউএনসিটিএডি জানিয়েছে, স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে ঋণ পরিষেবা ২০২১ সালে ২৭ বিলিয়ন ডলারে উন্নীত হয়েছে। এটি আগের বছরের ২০ বিলিয়ন ডলার থেকে ৩৭ শতাংশ বেশি।

জাতিসংঘের সংস্থাটি বলছে, ‘স্বল্পোন্নত দেশগুলো শুধু স্বাস্থ্য বা শিক্ষার চেয়ে ঋণ পরিষেবাতে বেশি ব্যয় করছে না। বরং গড়ে তারা স্বাস্থ্যের তুলনায় প্রায় দ্বিগুণ ঋণ ব্যয় করছে। একাধিক বৈশ্বিক সংকট, জলবায়ু জরুরি অবস্থা, ক্রমবর্ধমান ঋণের বোঝা, পণ্যের উপর নির্ভরশীলতা এবং স্বল্পোন্নত দেশগুলোতে বিদেশী বিনিয়োগ হ্রাস তাদের অর্থব্যবস্থাকে চাপে ফেলেছে। এসব বিষয়গুলো কম কার্বন পরিবর্তনসহ টেকসই উন্নয়ন লক্ষ্যগুলোর দিকে তাদের অগ্রগতি বিপন্ন করে তুলেছে।’

জাতিসংঘের সংস্থাটি উল্লেখ করেছে, স্বল্পোন্নত দেশগুলোর জন্য অর্থায়নের প্রয়োজনীয়তা জলবায়ু সংক্রান্ত উদ্বেগের বাইরে বৃহত্তর অর্থনৈতিক ও সামাজিক চ্যালেঞ্জগুলোকে অন্তর্ভুক্ত করে। এই দেশগুলোর ঋণ সংকটের একটি দীর্ঘস্থায়ী, বহুপাক্ষিক সমাধান জরুরি। তাদের প্রয়োজন উন্নয়ন এবং জলবায়ু অর্থায়ন।

স্বল্পোন্নত দেশগুলো হলো-

আফ্রিকা (৩৩) : অ্যাঙ্গোলা, বেনিন, বুরকিনা ফাসো, বুরুন্ডি, মধ্য আফ্রিকান প্রজাতন্ত্র, চাদ, কোমোরোস, কঙ্গো গণতান্ত্রিক প্রজাতন্ত্র, জিবুতি, ইরিত্রিয়া, ইথিওপিয়া, গাম্বিয়া, গিনি, গিনি-বিসাউ, লেসোথো, লাইবেরিয়া, মাদাগাস্কার, মালাউই মালি, মৌরিতানিয়া, মোজাম্বিক, নাইজার, রুয়ান্ডা, সাও টোমে এবং প্রিন্সিপে, সেনেগাল, সিয়েরা লিওন, সোমালিয়া, দক্ষিণ সুদান, সুদান, টোগো, উগান্ডা, ইউনাইটেড রিপাবলিক অফ তানজানিয়া এবং জাম্বিয়া।

এশিয়া (৯) : আফগানিস্তান, বাংলাদেশ, ভুটান, কম্বোডিয়া, লাও পিপলস ডেমোক্রেটিক রিপাবলিক, মিয়ানমার, নেপাল, তিমুর-লেস্তে এবং ইয়েমেন।

ক্যারিবিয়ান অঞ্চল (২) : হাইতি।

প্রশান্ত মহাসাগরীয় অঞ্চল (৩) : কিরিবাতি, সলোমন দ্বীপপুঞ্জ এবং টুভালু।

হককথা/নাছরিন