নিউইয়র্ক ০৪:৪৯ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২০ জুন ২০২৫, ৫ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন জিএম কাদের

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৩:২৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪
  • / ৯৪ বার পঠিত

জাতীয় সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতৃত্বের প্রশ্নে ফের সংকট দেখা দিয়েছে। দলের বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর নেতৃত্বাধীন জাপা আগামী ১২ অক্টোবর দলটির জাতীয় সম্মেনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করেছেন। বুধবার এ ঘোষণা দেন মুজিবুল হক চুন্নু। এর আগে পূর্ব ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী আগামী শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ১০টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে রওশন এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাপার জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। রওশনপন্থিদের এ সম্মেলনের কারণে জাতীয় পার্টিতে জিএম কাদের ‘চ্যালেঞ্জের মুখে’ পড়তে পারেন বলে দাবি করা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতোমধ্যে রওশনপন্থিরা তাদের সম্মেলনের প্রস্তুতি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এ সম্মেলন জাপার বাইরের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এ সম্মেলনে জাপার বিগত দিনের রেকর্ড ভঙ্গ করবে তৃণমূল নেতাদের উপস্থিতি। ‘রওশনপন্থিরা’ নির্বাচন কমিশনসহ আইন অঙ্গনের সংশ্লিষ্ট জায়গায় বোঝাতে চেষ্টা করবেন জাতীয় পার্টির বড় অংশ রওশনের পক্ষে। তাই রওশনের নেতৃত্বে চলবে লাঙল প্রতীকের জাতীয় পার্টি।

এর আগে জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জিএম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নুর নির্দেশ ছাড়া অন্য কারও ডাকে কোনো সম্মেলনে যোগ না দিতে দলের কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কারও কথায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্যও বলা হয়।

জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে অর্থাৎ রওশন এরশাদ চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার পর থেকেই জিএম কাদেরের সঙ্গে মতবিরোধের বিষয়টি দেখা দেয়। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে রওশনের দাবি না মানায় এটি চূড়ান্ত রূপ ধারণ করে। রওশনপন্থিদের চ্যালেঞ্জ- যে কোনো মূল্যে জিএম কাদের ও চুন্নুকে বাদ দিয়ে লাঙলের নেতৃত্ব যাবে তাদের হাতে।
রওশন এরশাদের দুই অনুসারী বলেন, জিএম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নুর স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়ে যারা প্রশ্ন করেছে, তাদের দল থেকে অব্যাহতি বা বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবুল হোসেন বাবলা, মশিউর রহমান রাঙ্গা, শফিকুল ইসলাম সেন্টুসহ ৩২ জন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে মনোনয়ন বঞ্চিত করা এবং মনোনয়ন দিয়ে খোঁজ না নেওয়ায় তৃণমূলে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দলের জাতীয় সম্মেলন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি পাওয়া সুনীল শুভ রায় বলেন, ‘দলের জাতীয় সম্মেলনের মেয়াদ শেষ হয়েছে ১৪ মাস আগে। কিন্তু সম্মেলন না করায় আমরা জাতীয় সম্মেলনের উদ্যোগ নিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি বিগত সময়ে যত সম্মেলন হয়েছে সব রেকর্ড ভেঙে এবার সারাদেশের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি হবে। আপনারা নিজেরা এসেই দেখুন, কী রকম সম্মেলন হয়।’

এ বিষয়ে বুধবার দুপুরে দলটির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে পার্টির প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যদের যৌথসভায় জিএম কাদের বলেন, ‘আগামী ১২ অক্টোবর জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত করার জন্য সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। অমার্জনীয় অপরাধ ছাড়া বহিষ্কৃতরা ক্ষমা চাইলে বিবেচনা করা হবে। তিনি বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জাতীয় পার্টির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। এর আগেই সব জেলা ও উপজেলার কাউন্সিল সম্পন্ন করতে হবে। জাতীয় পার্টির বর্ধিতসভা, ইফতার মাহফিল এবং বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ করা হবে।’

একই অনুষ্ঠানে মুজিবুল হক চুন্নু বহিষ্কৃত নেতা কাজী ফিরোজ রশীদ ও সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘আমাদের পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদের সঙ্গে আমাদের স্পর্শকাতর সম্পর্ক। তাই তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই। রওশন এরশাদের নাম ব্যবহার করে যারা অন্যায় করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘জাতীয় পার্টির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১২। এই দলের মার্কা লাঙল। তথাকথিত সম্মেলন যারা করছে, তারা ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছিল, সেই চিঠিকে নাকচ করা হয়েছে। আমাদের দলের বাইরে কেউ যদি মহাসম্মেলন করে সে বিষয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টির নামে ব্রাকেটে যদি কেউ মই মার্কা, আম মার্কা, জাম মার্কা, বেগুন মার্কা করে, তা হলে করতেই পারে। সে ব্যাপারে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।’

দলের দুগ্রুপেরই দ্বন্দ্বের সমাপ্তি কোথায় হতে পারে, তা জানতে চাইলে নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের লেখক অ্যাডভোকেট এবিএম রিয়াজুল কবীর কাওছার বলেন, ‘একই দলে দুগ্রুপ হয়ে যদি আলাদা আলাদা সম্মেলন করেন তা হলে উভয়পক্ষের রেজুলেশনসহ নির্বাচন কমিশনে ডাকা হবে। তখন নির্বাচন কমিশন বিষয়টি যাচাই-বাছাই শেষে তাদের সিদ্ধান্ত নেবেন।’

জিএম কাদেরের সঙ্গে বৈঠক পিটার হাসের
বাংলাদেশে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। এ সময় দলটির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাশরুর মাওলা উপস্থিত ছিলেন। জানতে চাইলে মাশরুর মাওলা আমাদের সময়কে বলেন, বুধবার বিকাল ৩-৪টার দিকে আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের বাসায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান। এ সময় আমি সঙ্গে ছিলাম। কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে মাশরুর মাওলা বলেন, সৌজন্য সাক্ষাৎ। সূত্র : আমাদের সময়।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

চ্যালেঞ্জের মুখে পড়তে পারেন জিএম কাদের

প্রকাশের সময় : ০৩:২৪:৪৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৭ মার্চ ২০২৪

জাতীয় সংসদে বিরোধী দল জাতীয় পার্টির (জাপা) নেতৃত্বের প্রশ্নে ফের সংকট দেখা দিয়েছে। দলের বর্তমান চেয়ারম্যান গোলাম মোহাম্মদ কাদের (জিএম কাদের) ও মহাসচিব মুজিবুল হক চুন্নুর নেতৃত্বাধীন জাপা আগামী ১২ অক্টোবর দলটির জাতীয় সম্মেনের সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করেছেন। বুধবার এ ঘোষণা দেন মুজিবুল হক চুন্নু। এর আগে পূর্ব ঘোষিত তারিখ অনুযায়ী আগামী শনিবার (৯ মার্চ) সকাল ১০টায় রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার ইনস্টিটিউশন প্রাঙ্গণে রওশন এরশাদের নেতৃত্বাধীন জাপার জাতীয় সম্মেলন অনুষ্ঠিত হবে। রওশনপন্থিদের এ সম্মেলনের কারণে জাতীয় পার্টিতে জিএম কাদের ‘চ্যালেঞ্জের মুখে’ পড়তে পারেন বলে দাবি করা হচ্ছে।

খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ইতোমধ্যে রওশনপন্থিরা তাদের সম্মেলনের প্রস্তুতি কার্যক্রম চালিয়ে যাচ্ছেন। এ সম্মেলন জাপার বাইরের বিভিন্ন রাজনৈতিক দল ও বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষকে আমন্ত্রণ জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে। সংশ্লিষ্টরা আশা করছেন, এ সম্মেলনে জাপার বিগত দিনের রেকর্ড ভঙ্গ করবে তৃণমূল নেতাদের উপস্থিতি। ‘রওশনপন্থিরা’ নির্বাচন কমিশনসহ আইন অঙ্গনের সংশ্লিষ্ট জায়গায় বোঝাতে চেষ্টা করবেন জাতীয় পার্টির বড় অংশ রওশনের পক্ষে। তাই রওশনের নেতৃত্বে চলবে লাঙল প্রতীকের জাতীয় পার্টি।

এর আগে জাতীয় পার্টির যুগ্ম দপ্তর সম্পাদক মাহমুদ আলম স্বাক্ষরিত সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জিএম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নুর নির্দেশ ছাড়া অন্য কারও ডাকে কোনো সম্মেলনে যোগ না দিতে দলের কেন্দ্রীয়, জেলা ও উপজেলার নেতাকর্মীকে নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি কারও কথায় বিভ্রান্ত না হওয়ার জন্যও বলা হয়।

জানা গেছে, দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনের আগে অর্থাৎ রওশন এরশাদ চিকিৎসার জন্য দেশের বাইরে যাওয়ার পর থেকেই জিএম কাদেরের সঙ্গে মতবিরোধের বিষয়টি দেখা দেয়। দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচনে রওশনের দাবি না মানায় এটি চূড়ান্ত রূপ ধারণ করে। রওশনপন্থিদের চ্যালেঞ্জ- যে কোনো মূল্যে জিএম কাদের ও চুন্নুকে বাদ দিয়ে লাঙলের নেতৃত্ব যাবে তাদের হাতে।
রওশন এরশাদের দুই অনুসারী বলেন, জিএম কাদের ও মুজিবুল হক চুন্নুর স্বেচ্ছাচারিতার বিষয়ে যারা প্রশ্ন করেছে, তাদের দল থেকে অব্যাহতি বা বহিষ্কার করা হয়েছে। এর মধ্যে অন্তত কাজী ফিরোজ রশীদ, সৈয়দ আবুল হোসেন বাবলা, মশিউর রহমান রাঙ্গা, শফিকুল ইসলাম সেন্টুসহ ৩২ জন গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে বাদ দেওয়া হয়েছে। পাশাপাশি দ্বাদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনে গুরুত্বপূর্ণ নেতাকে মনোনয়ন বঞ্চিত করা এবং মনোনয়ন দিয়ে খোঁজ না নেওয়ায় তৃণমূলে ক্ষোভ বিরাজ করছে। এই ক্ষোভের বহিঃপ্রকাশ দলের জাতীয় সম্মেলন।

এ বিষয়ে জানতে চাইলে জাতীয় পার্টি থেকে অব্যাহতি পাওয়া সুনীল শুভ রায় বলেন, ‘দলের জাতীয় সম্মেলনের মেয়াদ শেষ হয়েছে ১৪ মাস আগে। কিন্তু সম্মেলন না করায় আমরা জাতীয় সম্মেলনের উদ্যোগ নিয়েছি।’ তিনি বলেন, ‘আমি মনে করি বিগত সময়ে যত সম্মেলন হয়েছে সব রেকর্ড ভেঙে এবার সারাদেশের নেতাকর্মীদের উপস্থিতি হবে। আপনারা নিজেরা এসেই দেখুন, কী রকম সম্মেলন হয়।’

এ বিষয়ে বুধবার দুপুরে দলটির চেয়ারম্যানের বনানী কার্যালয়ে পার্টির প্রেসিডিয়াম ও সংসদ সদস্যদের যৌথসভায় জিএম কাদের বলেন, ‘আগামী ১২ অক্টোবর জাতীয় পার্টির কেন্দ্রীয় কাউন্সিল অনুষ্ঠিত করার জন্য সম্ভাব্য তারিখ নির্ধারণ করা হয়েছে। অমার্জনীয় অপরাধ ছাড়া বহিষ্কৃতরা ক্ষমা চাইলে বিবেচনা করা হবে। তিনি বলেন, ‘নির্ধারিত সময়ের মধ্যেই জাতীয় পার্টির কাউন্সিল অনুষ্ঠিত হবে। এর আগেই সব জেলা ও উপজেলার কাউন্সিল সম্পন্ন করতে হবে। জাতীয় পার্টির বর্ধিতসভা, ইফতার মাহফিল এবং বিভাগীয় পর্যায়ে সমাবেশ করা হবে।’

একই অনুষ্ঠানে মুজিবুল হক চুন্নু বহিষ্কৃত নেতা কাজী ফিরোজ রশীদ ও সৈয়দ আবু হোসেন বাবলাকে অব্যাহতি দেওয়ার প্রসঙ্গ তুলে বলেন, ‘আমাদের পৃষ্ঠপোষক বেগম রওশন এরশাদের সঙ্গে আমাদের স্পর্শকাতর সম্পর্ক। তাই তার বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়ার সুযোগ নেই। রওশন এরশাদের নাম ব্যবহার করে যারা অন্যায় করেছে, তাদের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়া হয়েছে।’ এক প্রশ্নের জবাবে মুজিবুল হক চুন্নু বলেন, ‘জাতীয় পার্টির রেজিস্ট্রেশন নম্বর ১২। এই দলের মার্কা লাঙল। তথাকথিত সম্মেলন যারা করছে, তারা ইতোমধ্যে নির্বাচন কমিশনে চিঠি দিয়েছিল, সেই চিঠিকে নাকচ করা হয়েছে। আমাদের দলের বাইরে কেউ যদি মহাসম্মেলন করে সে বিষয়ে আমাদের বলার কিছু নেই। তিনি বলেন, ‘জাতীয় পার্টির নামে ব্রাকেটে যদি কেউ মই মার্কা, আম মার্কা, জাম মার্কা, বেগুন মার্কা করে, তা হলে করতেই পারে। সে ব্যাপারে আমাদের কোনো বক্তব্য নেই।’

দলের দুগ্রুপেরই দ্বন্দ্বের সমাপ্তি কোথায় হতে পারে, তা জানতে চাইলে নির্বাচন ও নির্বাচন কমিশনসংক্রান্ত গুরুত্বপূর্ণ গ্রন্থের লেখক অ্যাডভোকেট এবিএম রিয়াজুল কবীর কাওছার বলেন, ‘একই দলে দুগ্রুপ হয়ে যদি আলাদা আলাদা সম্মেলন করেন তা হলে উভয়পক্ষের রেজুলেশনসহ নির্বাচন কমিশনে ডাকা হবে। তখন নির্বাচন কমিশন বিষয়টি যাচাই-বাছাই শেষে তাদের সিদ্ধান্ত নেবেন।’

জিএম কাদেরের সঙ্গে বৈঠক পিটার হাসের
বাংলাদেশে নিযুক্ত আমেরিকার রাষ্ট্রদূত পিটার হাসের সঙ্গে বৈঠক করেছেন জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান জিএম কাদের। এ সময় দলটির চেয়ারম্যানের উপদেষ্টা মাশরুর মাওলা উপস্থিত ছিলেন। জানতে চাইলে মাশরুর মাওলা আমাদের সময়কে বলেন, বুধবার বিকাল ৩-৪টার দিকে আমেরিকার রাষ্ট্রদূতের বাসায় জাতীয় পার্টির চেয়ারম্যান সৌজন্য সাক্ষাৎ করতে যান। এ সময় আমি সঙ্গে ছিলাম। কী বিষয়ে আলোচনা হয়েছে জানতে চাইলে মাশরুর মাওলা বলেন, সৌজন্য সাক্ষাৎ। সূত্র : আমাদের সময়।