নিউইয়র্ক ০৮:১৫ পূর্বাহ্ন, শুক্রবার, ২৭ ডিসেম্বর ২০২৪, ১৩ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

চাকরি ফিরে পেতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে রাস্তায় পুলিশ সদস্য

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৯:১১:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০২২
  • / ১৩২ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় টিপকাণ্ডে চাকরিচ্যুত পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল তারেক তার চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনার অপরাধে লতা সমাদ্দারের বিচার চান। ওই ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে তার সম্পূর্ণ সিসিটিভি ফুটেজ যদি থাকে সেটিও প্রচারের দাবি জানান তিনি।

এবার তার এ দাবি ও আন্দোলনের সঙ্গে আছেন তার স্ত্রী ও দেড় মাস বয়সী শিশুসন্তান। তার স্ত্রী বলছেন, দেড় মাসের শিশু নিয়ে এখন আমি রাস্তায় নেমেছি। আমার স্বামী কী করে খাবেন। কীভাবে সংসার চলবে। যদি সে অপরাধী হয় তবে সঠিক তদন্ত করে বিচার হোক। এসময় সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দেন নাজমুল।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) স্ত্রী ও দেড় মাসের শিশুসন্তান নিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ব্যানার লিখে এসব দাবি জানান নাজমুল তারেক। এসময় গণমাধ্যমকর্মীরা তার সঙ্গে আলাপ করতে গেলে তিনি এসব দাবি জানান।

নাজমুল তারেক সেদিনের পুরো ঘটনা তুলে ধরে বলেন, ‘আমি সেদিন বাসা থেকে সকাল ৮টার দিকে বের হয়েছিলাম। আমি সেজান পয়েন্ট হয়ে আনন্দ সিনেমা হলের রাস্তার দিকে যাওয়ার জন্য আসতেছিলাম। ওইদিন সরকারি নিয়োগ পরীক্ষা ছিল বলে রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিল। এজন্য আমি উল্টো রাস্তা দিয়ে আসতেছিলাম। উল্টো রাস্তায় আসার জন্য আমি দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’

‘আমি যখন আসতেছিলাম তখন অপর দিক থেকে এক নারীও আসছিলেন। আমি তাকে চিনি না। তিনি মোবাইলে কথা বলতে বলতে আসছিলেন। তখন সময় ছিল সাড়ে ৮টা থেকে ৮টা ৪০ মিনিট। তিনি যখন যাচ্ছিলেন, তখন আমার মোটরসাইকেলের সঙ্গে তার ধাক্কা লাগে। তখন আমি পুলিশের পোশাক পরা ছিলাম। তিনি তখন প্রথম ধাক্কাতেই প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আমাকে বলেন ‘এই বাস্টার্ড, তুই কি উল্টা যেতে পারিস’।

নাজমুল আরও বলেন, আসলে একজন মানুষ যখন দেখেন পুলিশ উল্টো রাস্তায় যায়, তখন প্রতিক্রিয়া জানানোই স্বাভাবিক। তিনি যখন উত্তেজিত হলেন, তখন আমি তাকে বলি ‘ম্যাডাম সরি’। আসলে আমি আপনার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না। একথা বলে যখন আমি আমার বাইকটা নিয়ে সামনের দিকে যাই, তখনও উনি আমার সঙ্গে চিল্লাপাল্লা করেন। তিনি তখন আমাকে বলেন, তুই কি বাইক নিয়ে উল্টো যেতে পারিস। তোকে দেখতে জামায়াতির মতো লাগে। তোকে দেখলে জঙ্গির মতো মনে হয়।

বিভিন্ন অযৌক্তিক কথা বলেন তিনি। একপর্যায়ে আমি সামনে এগিয়ে যাই। যদিও উনি মিডিয়ায় বলেছিলেন আমি নাকি দাঁড়িয়ে ছিলাম। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। রাস্তায় উল্টো গেলে তো দাঁড়িয়ে থাকার সুযোগ নেই। সোজা চলতে হয়। আমি যখন চলে যাচ্ছিলাম, তিনি তখন আমার ইউনিফর্ম ধরে টান দিয়ে আমাকে ফেলে দেন। আমি প্রমাণ ছাড়া কথা বলছি না। আমার ঘটনাস্থলে সাক্ষী আছে। যখন তিনি আমাকে ফেলে দেন, তখন আমার ‘ইমোশনালে’ লাগছে। একজন পুলিশ সদস্য কতটা অসহায় যে, একজন পাবলিক তাকে ফেলে দিলো। সূএ : জাগো নিউজ
হককথা/এমউএ

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

চাকরি ফিরে পেতে স্ত্রী-সন্তান নিয়ে রাস্তায় পুলিশ সদস্য

প্রকাশের সময় : ০৯:১১:৩০ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৩০ অগাস্ট ২০২২

বাংলাদেশ ডেস্ক : রাজধানীর ফার্মগেট এলাকায় টিপকাণ্ডে চাকরিচ্যুত পুলিশ কনস্টেবল নাজমুল তারেক তার চাকরি ফিরে পাওয়ার দাবি নিয়ে রাস্তায় নেমেছেন। একই সঙ্গে তার বিরুদ্ধে মিথ্যা অভিযোগ আনার অপরাধে লতা সমাদ্দারের বিচার চান। ওই ঘটনার সত্যতা যাচাইয়ে তার সম্পূর্ণ সিসিটিভি ফুটেজ যদি থাকে সেটিও প্রচারের দাবি জানান তিনি।

এবার তার এ দাবি ও আন্দোলনের সঙ্গে আছেন তার স্ত্রী ও দেড় মাস বয়সী শিশুসন্তান। তার স্ত্রী বলছেন, দেড় মাসের শিশু নিয়ে এখন আমি রাস্তায় নেমেছি। আমার স্বামী কী করে খাবেন। কীভাবে সংসার চলবে। যদি সে অপরাধী হয় তবে সঠিক তদন্ত করে বিচার হোক। এসময় সেদিনের ঘটনার বর্ণনা দেন নাজমুল।

মঙ্গলবার (৩০ আগস্ট) স্ত্রী ও দেড় মাসের শিশুসন্তান নিয়ে জাতীয় প্রেস ক্লাবের সামনে ব্যানার লিখে এসব দাবি জানান নাজমুল তারেক। এসময় গণমাধ্যমকর্মীরা তার সঙ্গে আলাপ করতে গেলে তিনি এসব দাবি জানান।

নাজমুল তারেক সেদিনের পুরো ঘটনা তুলে ধরে বলেন, ‘আমি সেদিন বাসা থেকে সকাল ৮টার দিকে বের হয়েছিলাম। আমি সেজান পয়েন্ট হয়ে আনন্দ সিনেমা হলের রাস্তার দিকে যাওয়ার জন্য আসতেছিলাম। ওইদিন সরকারি নিয়োগ পরীক্ষা ছিল বলে রাস্তায় অনেক জ্যাম ছিল। এজন্য আমি উল্টো রাস্তা দিয়ে আসতেছিলাম। উল্টো রাস্তায় আসার জন্য আমি দেশের মানুষের কাছে ক্ষমা চেয়ে নিচ্ছি।’

‘আমি যখন আসতেছিলাম তখন অপর দিক থেকে এক নারীও আসছিলেন। আমি তাকে চিনি না। তিনি মোবাইলে কথা বলতে বলতে আসছিলেন। তখন সময় ছিল সাড়ে ৮টা থেকে ৮টা ৪০ মিনিট। তিনি যখন যাচ্ছিলেন, তখন আমার মোটরসাইকেলের সঙ্গে তার ধাক্কা লাগে। তখন আমি পুলিশের পোশাক পরা ছিলাম। তিনি তখন প্রথম ধাক্কাতেই প্রতিক্রিয়া জানিয়ে আমাকে বলেন ‘এই বাস্টার্ড, তুই কি উল্টা যেতে পারিস’।

নাজমুল আরও বলেন, আসলে একজন মানুষ যখন দেখেন পুলিশ উল্টো রাস্তায় যায়, তখন প্রতিক্রিয়া জানানোই স্বাভাবিক। তিনি যখন উত্তেজিত হলেন, তখন আমি তাকে বলি ‘ম্যাডাম সরি’। আসলে আমি আপনার সঙ্গে এ বিষয়ে কথা বলতে চাচ্ছি না। একথা বলে যখন আমি আমার বাইকটা নিয়ে সামনের দিকে যাই, তখনও উনি আমার সঙ্গে চিল্লাপাল্লা করেন। তিনি তখন আমাকে বলেন, তুই কি বাইক নিয়ে উল্টো যেতে পারিস। তোকে দেখতে জামায়াতির মতো লাগে। তোকে দেখলে জঙ্গির মতো মনে হয়।

বিভিন্ন অযৌক্তিক কথা বলেন তিনি। একপর্যায়ে আমি সামনে এগিয়ে যাই। যদিও উনি মিডিয়ায় বলেছিলেন আমি নাকি দাঁড়িয়ে ছিলাম। এটা সম্পূর্ণ মিথ্যা। রাস্তায় উল্টো গেলে তো দাঁড়িয়ে থাকার সুযোগ নেই। সোজা চলতে হয়। আমি যখন চলে যাচ্ছিলাম, তিনি তখন আমার ইউনিফর্ম ধরে টান দিয়ে আমাকে ফেলে দেন। আমি প্রমাণ ছাড়া কথা বলছি না। আমার ঘটনাস্থলে সাক্ষী আছে। যখন তিনি আমাকে ফেলে দেন, তখন আমার ‘ইমোশনালে’ লাগছে। একজন পুলিশ সদস্য কতটা অসহায় যে, একজন পাবলিক তাকে ফেলে দিলো। সূএ : জাগো নিউজ
হককথা/এমউএ