নিউইয়র্ক ০২:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

চলে গেলেন সঙ্গীতশিল্পী জানে আলম

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩২:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মার্চ ২০২১
  • / ৫৭ বার পঠিত

ঢাকা ডেস্ক: চার দশকেরও বেশি সময় ধরে কণ্ঠের জাদুতে মাতিয়ে রাখা জনপ্রিয় পপ সঙ্গীতশিল্পী জানে আলমকেও কেড়ে নিল করোনা মহামারি। ‘একটি গন্ধমের লাগিয়া’, ‘ইশকুল খুইলাছে’, ‘বৈশাখে তোমার সাথে হইলো আমার পরিচয়’, ‘দিঘির জলে ঢিল মারিলে জলতরঙ্গ হইয়া যায়’, ‘কালি ছাড়া কলমের মূল্য যে নাই’, ‘মনে যারে চায় তারে কি ভুলিতে পারি’, ‘আমার অন্তরায় আমার কলিজায়’, ‘বাবা ভান্ডারী’ সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের এ শিল্পী বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (২ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নাল্লিাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)।
তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিডি চয়েসের কর্ণধার জহিরুল ইসলাম সোহেল জানান, জানে আলম এক মাস আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। এরপর করোনা নেগেটিভ হলেও নিউমোনিয়াসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সোহেল আরো বলেন, ‘হাসপাতালে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার জানে আলমকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। আলম ভাই চলে গেলেন। সারাক্ষণ হাসি-খুশি মানুষটা এভাবে হুট করে চলে যাবেন, ভাবতেও পারছি না।’
শিল্পী জানে আলমের জন্ম মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে। গানের শুরু স্বাধীনতার পরপরই। প্রথম অ্যালবাম ‘বনমালী’। পপশিল্পী আজম খানের স্নেহধন্য ছিলেন। পপ গানের মধ্যে ফোক ধাঁচ এবং আধ্যাত্মিক ধাঁচের গান করা তাঁর বৈশিষ্ট্য। তাঁর গাওয়া গানের সংখ্যা কয়েক ৪ হাজারের মতো। এছাড়াী তাঁর লেখা, সুর এবং পরিচালনা করা গানের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য স্টেজ শো করেছেন তিনি। তাঁর সর্বশেষে অ্যালবাম ২৫টি গানের ‘জনতার শেখ হাসিনা’।
এদিকে সঙ্গীত শিল্পী জানে আলম-এর ইন্তেকালে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন ফুলকলি ফাউন্ডেশন ইউএসএ’র প্রেসিডেন্ট বেলাল আহমেদ।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

চলে গেলেন সঙ্গীতশিল্পী জানে আলম

প্রকাশের সময় : ০৭:৩২:৫৩ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২ মার্চ ২০২১

ঢাকা ডেস্ক: চার দশকেরও বেশি সময় ধরে কণ্ঠের জাদুতে মাতিয়ে রাখা জনপ্রিয় পপ সঙ্গীতশিল্পী জানে আলমকেও কেড়ে নিল করোনা মহামারি। ‘একটি গন্ধমের লাগিয়া’, ‘ইশকুল খুইলাছে’, ‘বৈশাখে তোমার সাথে হইলো আমার পরিচয়’, ‘দিঘির জলে ঢিল মারিলে জলতরঙ্গ হইয়া যায়’, ‘কালি ছাড়া কলমের মূল্য যে নাই’, ‘মনে যারে চায় তারে কি ভুলিতে পারি’, ‘আমার অন্তরায় আমার কলিজায়’, ‘বাবা ভান্ডারী’ সহ অসংখ্য জনপ্রিয় গানের এ শিল্পী বাংলাদেশ সময় মঙ্গলবার (২ মার্চ) রাত সাড়ে ৯টায় শেষনিঃশ্বাস ত্যাগ করেন (ইন্নাল্লিাহি ওয়া ইন্না ইলাইহি রাজেউন)।
তাঁর মৃত্যুর খবর নিশ্চিত করে প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান সিডি চয়েসের কর্ণধার জহিরুল ইসলাম সোহেল জানান, জানে আলম এক মাস আগে করোনাভাইরাসে আক্রান্ত হন। এরপর করোনা নেগেটিভ হলেও নিউমোনিয়াসহ নানা জটিল রোগে আক্রান্ত হন। তিনি বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিব মেডিক্যাল বিশ্ববিদ্যালয় হাসপাতালে তিনি চিকিৎসাধীন ছিলেন।
সোহেল আরো বলেন, ‘হাসপাতালে তাঁর অবস্থার অবনতি হলে মঙ্গলবার জানে আলমকে লাইফ সাপোর্ট দেওয়া হয়। কিন্তু শেষ রক্ষা হলো না। আলম ভাই চলে গেলেন। সারাক্ষণ হাসি-খুশি মানুষটা এভাবে হুট করে চলে যাবেন, ভাবতেও পারছি না।’
শিল্পী জানে আলমের জন্ম মানিকগঞ্জের হরিরামপুরে। গানের শুরু স্বাধীনতার পরপরই। প্রথম অ্যালবাম ‘বনমালী’। পপশিল্পী আজম খানের স্নেহধন্য ছিলেন। পপ গানের মধ্যে ফোক ধাঁচ এবং আধ্যাত্মিক ধাঁচের গান করা তাঁর বৈশিষ্ট্য। তাঁর গাওয়া গানের সংখ্যা কয়েক ৪ হাজারের মতো। এছাড়াী তাঁর লেখা, সুর এবং পরিচালনা করা গানের সংখ্যা প্রায় ৩ হাজার। দেশ-বিদেশের বিভিন্ন স্থানে অসংখ্য স্টেজ শো করেছেন তিনি। তাঁর সর্বশেষে অ্যালবাম ২৫টি গানের ‘জনতার শেখ হাসিনা’।
এদিকে সঙ্গীত শিল্পী জানে আলম-এর ইন্তেকালে গভীর শোক ও সমবেদনা প্রকাশ করেছেন ফুলকলি ফাউন্ডেশন ইউএসএ’র প্রেসিডেন্ট বেলাল আহমেদ।