নিউইয়র্ক ০১:৫৪ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেল ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৫৯:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ মার্চ ২০২১
  • / ৭৮ বার পঠিত

ঢাকা ডেস্ক: বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বালেন্দা গ্রামে ১০০ বিঘা জমিতে ধানের চারা লাগিয়ে তৈরি করা ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি, যা ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘ক্রপ ফিল্ড মোজাইক’ বা শস্য চিত্র’ হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ ) ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ’-এর আহ্বায়ক আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এ তথ্য জানিয়েছেন।
বালেন্দা গ্রামে ১০৫ বিঘা জমিতে ধানের চারা লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি, যা ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় শস্য চিত্র। গত ৯ মার্চ গিনেস কর্তৃপক্ষের স্থানীয় দুই প্রতিনিধি শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহম্মদ এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমদাদুল হক চৌধুরী বালেন্দা গ্রামের প্রকল্প এলাকায় আসেন এবং স্থানটি ঘুরে যান। প্রতিনিধিদের রিপোর্টের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের একদিন আগেই এটিকে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র হিসেবে ঘোষণা দেয় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।
শস্য ক্ষেতে মধ্যে বঙ্গবন্ধুর অবয়ব ফুটিয়ে তোলার কার্যক্রম ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ার পথেই ছিল। ধানের চারায় জাতির পিতার চিত্র ফুটিয়ে তোলার এই কাজ চলে বগুড়ার শিবগঞ্জের শেরপুর উপজেলার বালেন্দা গ্রামে। এটি ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় শস্য চিত্র’ হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান করে নিতে পারবে বলে আশা করছিলেন আয়োজকরা।
‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ শস্যচিত্রটির আয়োতন ১০৫ বিঘা বা ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট। ২০১৯ সালে চীনের ফসলের মাঠে তৈরি শস্যচিত্রের আয়তন ছিল ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৬ বর্গফুট। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এই পুরো প্রকল্পের ভাবনা, নকশা এবং বাস্তবায়ন করেছে এক্সপ্রেসিভ কমিউনিকেশনস লিমিটেড। আর অর্থায়ন করেছে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার গ্রæপ।
আয়োজকরা জানান, শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান দিতে গত বছর থেকে কাজ শুরু হয়। চীন থেকে আমদানি করা হয় বেগুনি রঙের (এফ-১) ও দেশি সবুজ হাইব্রিড ধানের চারা। গত ১ ফেব্রæয়ারী থেকে ১৬ ফেব্রæয়ারী পর্যন্ত প্রতিদিন ১২০ থেকে ১৩০ জন নারী শ্রমিক এজন্য এই ক্ষেতগুলোতে কাজ করেছেন। তাদের সঙ্গে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন পুরুষ শ্রমিক ছিলেন। এ শস্যচিত্রের জন্য স্থানীয় কৃষকদের কাছে সাত মাসের জন্য ১০০ বিঘা জমি ইজারা নেওয়া হয়েছে। ফসল ওঠার পর মে মাসের দিকে জমিগুলো ফেরত দেওয়া হবে।
আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে আমাদের বিষয়টি (রেকর্ড) জানিয়েছে। তাদের ওয়েবসাইটে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর তথ্য প্রকাশ করেছে। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে আমাদের অভিনন্দন জানিয়েছে। এটি একটি বড় অর্জন। দেশের জন্য বড় অর্জন। বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে এটিও তার একটি মাইলফলক।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের প্রতিনিধি শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রকল্প পরিদর্শন শেষে প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহম্মদ বলেন, তারা সাক্ষী হিসেবে পরিদর্শনে এসেছেন। তারা কাজে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেতে সকল শর্ত পূরণ হয়েছে। চীনে শস্যচিত্র ছিল ৭৫ বিঘা জমিতে আর এখানে ১০০ বিঘা জমিতে। কোনও কৃত্রিমতা নেই। ১২শ’ বর্গমিটার জমিতে বঙ্গবন্ধু শস্যচিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
তবে গিনেস বুক ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের ওয়েবসাইটে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলেও সেখানে কোন ছবি রাখা হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক ফয়জুল সিদ্দিকী বলেন, ‘গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের ওয়েবসাইটে ছবি দেখা যাবে না। গিনেস কর্তৃপক্ষ ছবি আপলোড করে না। চূড়ান্তভাবে গিনেস কর্তৃপক্ষ শস্যচিত্র বঙ্গবন্ধুকে রেকর্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটিই এখন লার্জেস্ট ক্রপ ফিল্ড মোজাইকের বিশ্ব রেকর্ড।’
উল্লেখ্য, এর আগে এই রেকর্ড ছিল চীনের দখলে। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকেয়ার নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ’ দুই মাস আগে ১০৫ বিঘা জমিতে এই কাজের প্রস্তুতি শুরু করে। কোনো নেতার গিনেস বুকের ‘লার্জেস্ট ক্রপ ফিল্ড মোজাইক (ইমেজ)’ শাখার নতুন রেকর্ড এটি। এর আগের রেকর্ডটি চীনের দখলে। ২০১৯ সালে ৭৯ হাজার ৫০৫ দশমিক ১৯ বর্গমিটার আয়তনের জমিতে চার রঙের ধানের চারায় কাউ ফিশের ছবি ফুটিয়ে তোলে সাংহাইয়ের লেজিদাও টুরিজম ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিডেট ওই রেকর্ড গড়েছিল। (সূত্র: ইনকিলাব/সমকাল/সারাবাংলা.কম/বাংলা ট্রিবিউন.কম)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

গিনেজ ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেল ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’

প্রকাশের সময় : ১২:৫৯:৩২ অপরাহ্ন, বুধবার, ১৭ মার্চ ২০২১

ঢাকা ডেস্ক: বগুড়ার শেরপুর উপজেলার ভবানীপুর ইউনিয়নের বালেন্দা গ্রামে ১০০ বিঘা জমিতে ধানের চারা লাগিয়ে তৈরি করা ‘জাতির জনক’ বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি, যা ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় ‘ক্রপ ফিল্ড মোজাইক’ বা শস্য চিত্র’ হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেয়েছে। মঙ্গলবার (১৬ মার্চ ) ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ’-এর আহ্বায়ক আওয়ামী লীগের যুগ্ম-সাধারণ সম্পাদক ও আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম এ তথ্য জানিয়েছেন।
বালেন্দা গ্রামে ১০৫ বিঘা জমিতে ধানের চারা লাগিয়ে তৈরি করা হয়েছে বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের প্রতিকৃতি, যা ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় শস্য চিত্র। গত ৯ মার্চ গিনেস কর্তৃপক্ষের স্থানীয় দুই প্রতিনিধি শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহম্মদ এবং বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের অধ্যাপক এমদাদুল হক চৌধুরী বালেন্দা গ্রামের প্রকল্প এলাকায় আসেন এবং স্থানটি ঘুরে যান। প্রতিনিধিদের রিপোর্টের ভিত্তিতে বঙ্গবন্ধুর জন্মদিনের একদিন আগেই এটিকে পৃথিবীর সর্ববৃহৎ শস্যচিত্র হিসেবে ঘোষণা দেয় গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডস।
শস্য ক্ষেতে মধ্যে বঙ্গবন্ধুর অবয়ব ফুটিয়ে তোলার কার্যক্রম ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ড গড়ার পথেই ছিল। ধানের চারায় জাতির পিতার চিত্র ফুটিয়ে তোলার এই কাজ চলে বগুড়ার শিবগঞ্জের শেরপুর উপজেলার বালেন্দা গ্রামে। এটি ‘বিশ্বের সবচেয়ে বড় শস্য চিত্র’ হিসেবে গিনেস বুক অব ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান করে নিতে পারবে বলে আশা করছিলেন আয়োজকরা।
‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ শস্যচিত্রটির আয়োতন ১০৫ বিঘা বা ১২ লাখ ৯২ হাজার বর্গফুট। ২০১৯ সালে চীনের ফসলের মাঠে তৈরি শস্যচিত্রের আয়তন ছিল ৮ লাখ ৫৫ হাজার ৭৮৬ বর্গফুট। বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের জন্মশতবার্ষিকী উদযাপন উপলক্ষে এই পুরো প্রকল্পের ভাবনা, নকশা এবং বাস্তবায়ন করেছে এক্সপ্রেসিভ কমিউনিকেশনস লিমিটেড। আর অর্থায়ন করেছে ন্যাশনাল এগ্রিকেয়ার গ্রæপ।
আয়োজকরা জানান, শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর প্রতিকৃতি গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান দিতে গত বছর থেকে কাজ শুরু হয়। চীন থেকে আমদানি করা হয় বেগুনি রঙের (এফ-১) ও দেশি সবুজ হাইব্রিড ধানের চারা। গত ১ ফেব্রæয়ারী থেকে ১৬ ফেব্রæয়ারী পর্যন্ত প্রতিদিন ১২০ থেকে ১৩০ জন নারী শ্রমিক এজন্য এই ক্ষেতগুলোতে কাজ করেছেন। তাদের সঙ্গে প্রতিদিন ১৫ থেকে ২০ জন পুরুষ শ্রমিক ছিলেন। এ শস্যচিত্রের জন্য স্থানীয় কৃষকদের কাছে সাত মাসের জন্য ১০০ বিঘা জমি ইজারা নেওয়া হয়েছে। ফসল ওঠার পর মে মাসের দিকে জমিগুলো ফেরত দেওয়া হবে।
আ ফ ম বাহাউদ্দিন নাছিম বলেন, গিনেস বুক কর্তৃপক্ষ এরই মধ্যে আমাদের বিষয়টি (রেকর্ড) জানিয়েছে। তাদের ওয়েবসাইটে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধুর তথ্য প্রকাশ করেছে। জাতির পিতার জন্মশতবার্ষিকীতে আমাদের অভিনন্দন জানিয়েছে। এটি একটি বড় অর্জন। দেশের জন্য বড় অর্জন। বাংলাদেশ যে এগিয়ে যাচ্ছে এটিও তার একটি মাইলফলক।
গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসের প্রতিনিধি শের-ই-বাংলা কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সাবেক ভিসি প্রকল্প পরিদর্শন শেষে প্রফেসর ড. কামাল উদ্দিন আহম্মদ বলেন, তারা সাক্ষী হিসেবে পরিদর্শনে এসেছেন। তারা কাজে সন্তোষ প্রকাশ করে বলেন, গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডসে স্থান পেতে সকল শর্ত পূরণ হয়েছে। চীনে শস্যচিত্র ছিল ৭৫ বিঘা জমিতে আর এখানে ১০০ বিঘা জমিতে। কোনও কৃত্রিমতা নেই। ১২শ’ বর্গমিটার জমিতে বঙ্গবন্ধু শস্যচিত্র ফুটিয়ে তোলা হয়েছে।
তবে গিনেস বুক ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের ওয়েবসাইটে ‘শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু’ সম্পর্কে বিস্তারিত তথ্য তুলে ধরা হলেও সেখানে কোন ছবি রাখা হয়নি। এ বিষয়ে জানতে চাইলে শস্যচিত্রে বঙ্গবন্ধু কার্যক্রমের প্রধান সমন্বয়ক ফয়জুল সিদ্দিকী বলেন, ‘গিনেস ওয়ার্ল্ড রেকর্ডের ওয়েবসাইটে ছবি দেখা যাবে না। গিনেস কর্তৃপক্ষ ছবি আপলোড করে না। চূড়ান্তভাবে গিনেস কর্তৃপক্ষ শস্যচিত্র বঙ্গবন্ধুকে রেকর্ড হিসেবে স্বীকৃতি দিয়েছে। এটিই এখন লার্জেস্ট ক্রপ ফিল্ড মোজাইকের বিশ্ব রেকর্ড।’
উল্লেখ্য, এর আগে এই রেকর্ড ছিল চীনের দখলে। মুজিব শতবর্ষ উপলক্ষে ন্যাশনাল অ্যাগ্রিকেয়ার নামের একটি বেসরকারি প্রতিষ্ঠানের সহযোগিতা নিয়ে ‘বঙ্গবন্ধু জাতীয় পরিষদ’ দুই মাস আগে ১০৫ বিঘা জমিতে এই কাজের প্রস্তুতি শুরু করে। কোনো নেতার গিনেস বুকের ‘লার্জেস্ট ক্রপ ফিল্ড মোজাইক (ইমেজ)’ শাখার নতুন রেকর্ড এটি। এর আগের রেকর্ডটি চীনের দখলে। ২০১৯ সালে ৭৯ হাজার ৫০৫ দশমিক ১৯ বর্গমিটার আয়তনের জমিতে চার রঙের ধানের চারায় কাউ ফিশের ছবি ফুটিয়ে তোলে সাংহাইয়ের লেজিদাও টুরিজম ডেভেলপমেন্ট কোম্পানি লিমিডেট ওই রেকর্ড গড়েছিল। (সূত্র: ইনকিলাব/সমকাল/সারাবাংলা.কম/বাংলা ট্রিবিউন.কম)