নিউইয়র্ক ০৪:২১ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২১ নভেম্বর ২০২৪, ৭ অগ্রহায়ণ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

গাজায় নির্বিচারে ইসরাইলের গুলিবর্ষণে নারী-শিশু ও সাধারণ মানুষ হত্যার প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে বিক্ষোভ

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:৩৯:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩
  • / ৮১ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : ইসরাইলী বাহিনী কর্তৃক ফিলিস্তিনের গাজায় মুসলমানদের উপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ, নির্যাতন ও নিষ্পাপ শিশুসহ সাধারণ মানুষ হত্যার প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার ১৭ অক্টোবর দুপুরে মৌলভীবাজার শহরের সৈয়দ শাহ মোস্তফা (র:) পৌর ঈদগাহ প্রাঙ্গণে জেলার শীর্ষ আলেমদের সংগঠন উলামা পরিষদের ডাকে বিক্ষোভ সমাবেশ সভাপতিত্ব করেন উলামা পরিষদের সভাপতি শায়খুল হাদীস মুফতি রশিদুর রহমান ফারুক।

জামেয়া দ্বীনিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম তরুণ আলেম মাওলানা সৈয়দ মাজদুদ আহমেদ রাফিদ, বরুণা মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা হিফজুর রহমান ফোয়াদ ও মাওলানা এনাম আহমদ এর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মূফতি সামছুজ্জোহা, রায়পুর মাদ্রাসার মুহতামিম ও উলামা পরিষদের সহসভাপতি মাওলানা গিয়াস উদ্দিন, উলামা পরিষদের সহসভাপতি মাওলানা আহমেদ বিলাল শেখবাড়ি জামেয়াল ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা আফজাল হামিদী, মাওলানা জিয়া উদ্দিন ইউসুফ, বছিরমহল মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুস সালাম তালুকদার, উলামা পরিষদের সহসভাপতি মাওলানা আব্দুল মুগ্নী, মাওলানা আব্দুল হাই উত্তরসুরী, রাজনগর ঘরগাও মাদ্রাসার মুহতামিম কারী সামসুল ইসলাম, কালিয়ারগাও মহিলা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুজাহিদ ও দারুল উলুম মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মুজাহিদুল ইসলাম ও বরুণা মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা সাইফুর রহমান প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে জেলার শীর্ষ আলেম বরুণার পীর শায়খুল হাদীস মুফতি রশিদুর রহমান ফারুক বলেন, ইসরাইলী বাহিনী মুসলমানদের নীর্বিচারে গুলি, নির্যাতন ও নিষ্পাপ শিশুদের হত্যা করে ফিলিস্তিনের গাজা ভুখন্ডকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিচ্ছে। আমরা যদি বেঁচে থাকি তাহলে ফিলিস্তিনিদের ভুমি ফিলিস্তিনিদেরই থাকবে ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, গাজার নারী-পুরুষ ও নিষ্পাপ শিশুরা আজ বড় অসহায়। অতচ বিশ্ব বিবেক এখন নিরব। এ অবস্থায় ৫৭টি মুসলিম রাষ্ট্রের সংগঠন ওআইসির দৃঢ় প্রদক্ষেপ দেখতে তিনি দাবী করেন।

সমাবেশে বরুণার পীর আরও বলেন, ইসরাইল ভুখন্ড জুড়ে গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস অপারেশন আল আকসা ফ্লাড নামে যে দুঃসাহসী অভিযান চালিয়েছে তা আলআকসা অপবিত্রতাকারীদের বিরুদ্ধে, নারী নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে, অসহায় নিরপরাধ মানুষদের মারার বিরুদ্ধে, হামাসের একদম যোগপযোগী অভিযান। ইসরাইলের নিরাপত্তা শক্তি বিশ্বের মধ্যে অন্যতম থাকার পরও হামাস তাদের বিরুদ্ধে একাই লড়ছে।

২০২১ সালের রমজান মাসে পবিত্র আলআকসা মসজিদে ইহুদিবাদী ইসরাইলী সেনারা প্রবেশ করে সেখানকার বিভিন্ন বয়সী মুসল্লীদের উপর গুলি চালায়। দুই বছরের মাথায় ইসরালী সীমান্তের লোহাড় বেড়া ভোলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে তাদের সৈন্যদের মেরে প্রতিশোধ নিয়েছে হামাসের সাহসী যোদ্ধারা। শুধু তাই নয়, তাদের ভুখন্ড থেকে আটক করে সৈন্যদের গাজায় নিয়ে আসা হয়। তাদের এই শক্তির মূল উৎস আল্লাহ। কারণ মুসলমান কাউকে ভয় পায় না। তাই আমরা জালিমদের সাথে কোন আতাত করতে চাই না। আমরা মজলুমদের পাশে আছি। মজলুমদের কান্না বৃথা যাবে না।

সমাবেশ শেষে দুপুর পৌনে ১টার দিকে শাহমোস্তফা সড়কের টাউন ঈদগাহ প্রাঙ্গণ থেকে ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এতে ইসরাইল নিপাত যাক ফিলিস্তিন মুক্তি পাক শ্লোগানে মুখর হয়ে উঠে পুরো শহর। মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ করে পশ্চিমবাজার এলাকায় গিয়ে ফের সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেন জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিপুল সংখ্যক কওমী মাদাসা শিক্ষার্থী-শিক্ষকসহ কয়েক হাজার সাধারণ মুসল্লীরা।

সূত্র : দৈনিক ইনকিলাব

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

গাজায় নির্বিচারে ইসরাইলের গুলিবর্ষণে নারী-শিশু ও সাধারণ মানুষ হত্যার প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে বিক্ষোভ

প্রকাশের সময় : ০৭:৩৯:১৮ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৭ অক্টোবর ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : ইসরাইলী বাহিনী কর্তৃক ফিলিস্তিনের গাজায় মুসলমানদের উপর নির্বিচারে গুলিবর্ষণ, নির্যাতন ও নিষ্পাপ শিশুসহ সাধারণ মানুষ হত্যার প্রতিবাদে মৌলভীবাজারে বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশ অনুষ্ঠিত হয়েছে।

মঙ্গলবার ১৭ অক্টোবর দুপুরে মৌলভীবাজার শহরের সৈয়দ শাহ মোস্তফা (র:) পৌর ঈদগাহ প্রাঙ্গণে জেলার শীর্ষ আলেমদের সংগঠন উলামা পরিষদের ডাকে বিক্ষোভ সমাবেশ সভাপতিত্ব করেন উলামা পরিষদের সভাপতি শায়খুল হাদীস মুফতি রশিদুর রহমান ফারুক।

জামেয়া দ্বীনিয়া মাদ্রাসার মুহতামিম তরুণ আলেম মাওলানা সৈয়দ মাজদুদ আহমেদ রাফিদ, বরুণা মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা হিফজুর রহমান ফোয়াদ ও মাওলানা এনাম আহমদ এর সঞ্চালনায় সমাবেশে বক্তব্য রাখেন, উলামা পরিষদের সাধারণ সম্পাদক মাওলানা মূফতি সামছুজ্জোহা, রায়পুর মাদ্রাসার মুহতামিম ও উলামা পরিষদের সহসভাপতি মাওলানা গিয়াস উদ্দিন, উলামা পরিষদের সহসভাপতি মাওলানা আহমেদ বিলাল শেখবাড়ি জামেয়াল ভাইস প্রিন্সিপাল মাওলানা আফজাল হামিদী, মাওলানা জিয়া উদ্দিন ইউসুফ, বছিরমহল মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা আব্দুস সালাম তালুকদার, উলামা পরিষদের সহসভাপতি মাওলানা আব্দুল মুগ্নী, মাওলানা আব্দুল হাই উত্তরসুরী, রাজনগর ঘরগাও মাদ্রাসার মুহতামিম কারী সামসুল ইসলাম, কালিয়ারগাও মহিলা মাদ্রাসার মুহতামিম মাওলানা মুজাহিদ ও দারুল উলুম মাদ্রাসার মুহাদ্দিস মাওলানা মুজাহিদুল ইসলাম ও বরুণা মাদ্রাসার শিক্ষক মাওলানা সাইফুর রহমান প্রমুখ।

সভাপতির বক্তব্যে জেলার শীর্ষ আলেম বরুণার পীর শায়খুল হাদীস মুফতি রশিদুর রহমান ফারুক বলেন, ইসরাইলী বাহিনী মুসলমানদের নীর্বিচারে গুলি, নির্যাতন ও নিষ্পাপ শিশুদের হত্যা করে ফিলিস্তিনের গাজা ভুখন্ডকে মাটির সাথে মিশিয়ে দিচ্ছে। আমরা যদি বেঁচে থাকি তাহলে ফিলিস্তিনিদের ভুমি ফিলিস্তিনিদেরই থাকবে ইনশাআল্লাহ। তিনি বলেন, গাজার নারী-পুরুষ ও নিষ্পাপ শিশুরা আজ বড় অসহায়। অতচ বিশ্ব বিবেক এখন নিরব। এ অবস্থায় ৫৭টি মুসলিম রাষ্ট্রের সংগঠন ওআইসির দৃঢ় প্রদক্ষেপ দেখতে তিনি দাবী করেন।

সমাবেশে বরুণার পীর আরও বলেন, ইসরাইল ভুখন্ড জুড়ে গাজার স্বাধীনতাকামী সংগঠন হামাস অপারেশন আল আকসা ফ্লাড নামে যে দুঃসাহসী অভিযান চালিয়েছে তা আলআকসা অপবিত্রতাকারীদের বিরুদ্ধে, নারী নির্যাতনকারীদের বিরুদ্ধে, অসহায় নিরপরাধ মানুষদের মারার বিরুদ্ধে, হামাসের একদম যোগপযোগী অভিযান। ইসরাইলের নিরাপত্তা শক্তি বিশ্বের মধ্যে অন্যতম থাকার পরও হামাস তাদের বিরুদ্ধে একাই লড়ছে।

২০২১ সালের রমজান মাসে পবিত্র আলআকসা মসজিদে ইহুদিবাদী ইসরাইলী সেনারা প্রবেশ করে সেখানকার বিভিন্ন বয়সী মুসল্লীদের উপর গুলি চালায়। দুই বছরের মাথায় ইসরালী সীমান্তের লোহাড় বেড়া ভোলডোজার দিয়ে ভেঙ্গে তাদের সৈন্যদের মেরে প্রতিশোধ নিয়েছে হামাসের সাহসী যোদ্ধারা। শুধু তাই নয়, তাদের ভুখন্ড থেকে আটক করে সৈন্যদের গাজায় নিয়ে আসা হয়। তাদের এই শক্তির মূল উৎস আল্লাহ। কারণ মুসলমান কাউকে ভয় পায় না। তাই আমরা জালিমদের সাথে কোন আতাত করতে চাই না। আমরা মজলুমদের পাশে আছি। মজলুমদের কান্না বৃথা যাবে না।

সমাবেশ শেষে দুপুর পৌনে ১টার দিকে শাহমোস্তফা সড়কের টাউন ঈদগাহ প্রাঙ্গণ থেকে ৩ কিলোমিটার দীর্ঘ বিক্ষোভ মিছিল শুরু হয়। এতে ইসরাইল নিপাত যাক ফিলিস্তিন মুক্তি পাক শ্লোগানে মুখর হয়ে উঠে পুরো শহর। মিছিলটি শহর প্রদক্ষিণ করে পশ্চিমবাজার এলাকায় গিয়ে ফের সংক্ষিপ্ত সমাবেশ ও মোনাজাতের মাধ্যমে শেষ হয়। বিক্ষোভ মিছিল ও সমাবেশে অংশ নেন জেলার বিভিন্ন উপজেলা থেকে বিপুল সংখ্যক কওমী মাদাসা শিক্ষার্থী-শিক্ষকসহ কয়েক হাজার সাধারণ মুসল্লীরা।

সূত্র : দৈনিক ইনকিলাব