গণমাধ্যমের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় সবকিছু করবো: তথ্যমন্ত্রী

- প্রকাশের সময় : ০১:২৬:২৪ অপরাহ্ন, শনিবার, ৯ অক্টোবর ২০২১
- / ১৫৭ বার পঠিত
সম্পাদক ফোরাম নেতৃবৃন্দের সাথে তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদের বৈঠক
ঢাকা ডেস্ক: গণমাধ্যমের সমস্যা সমাধানে প্রয়োজনীয় সকল ব্যবস্থা গ্রহন করা হবে বলে জানিয়েছেন আওয়ামী লীগের যুগ্ম সাধারণ সম্পাদক এবং তথ্য ও স¤প্রচার মন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ। বৃহস্পতিবার (০৭ অক্টোবর) দুপুরে সম্পাদক ফোরামের আহŸায়ক দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিনের সম্পাদক রফিকুল ইসলাম রতনের নেতৃত্বে সংগঠনের সদস্যরা তথ্যমন্ত্রীর সঙ্গে বৈঠককালে তথ্যমন্ত্রী সম্পাদক ফোরাম নেতৃবৃন্দকে শুভেচ্ছা জানিয়ে প্রিন্ট মিডিয়ার বিদ্যমান সমস্যা সমাধানের প্রতিশ্রæতি দিয়ে এ কথা জানান।
বৈঠকে সম্পাদক ফোরামের অন্যতম উপদেষ্টা নাঈমুল ইসলাম খান ও বেলায়েত হোসেন এবং আহŸায়ক রফিকুল ইসলাম রতন সামগ্রিক পরিস্থিতি তুলে ধরে সা¤প্রতিক সময়ে মন্ত্রীর কতিপয় সাহসী পদক্ষেপের জন্য তাকে ধন্যবাদ ও অভিনন্দন জ্ঞাপন করেন।
বৈঠকে ফোরামের উপদেষ্টা আজিজুল ইসলাম ভূঁইয়া, সদস্য সচিব ফারুক আহমেদ তালুকদার, নির্বাহী সদস্য রিমন মাহফুজ, মফিজুর রহমান খান বাবু, দুলাল আহমেদ চৌধুরী ও মীর মনিরুজ্জামানসহ আরও অনেকে উপস্থিত ছিলেন।
ড. হাছান মাহমুদ বলেন, ক্লিনফিড বাস্তবায়ন সহজ কাজ ছিলো না। ১৫ বছরে এটি বাস্তবায়িত হয়নি। এর আগেও একবার আমরা উদ্যোগ নিয়েছিলাম। নানা অজুহাতে সেটি সম্ভব হয়নি। এবার স্থির সিদ্ধান্ত নিয়ে আগেভাগে গ্রাউন্ড ওয়ার্ক করে এবং যেসব জায়গা থেকে কথা উঠতে পারে তাদের অবহিত করে আমরা সিদ্ধান্ত বাস্তবায়ন করেছি। সুতরাং এ সিদ্ধান্ত থেকে আমরা একচুলও নড়বো না।
তিনি বলেন, আপনারা জানেন, সার্বিকভাবে গণমাধ্যমে শৃঙ্খলা আনার জন্য স¤প্রচার, প্রিন্ট ও অনলাইন মাধ্যমে আমরা এ ব্যাপারে উদ্যোগ নিয়েছি। সে উদ্যোগের অংশ হিসেবে এরইমধ্যে অনেকগুলো কাজ করেছি।
তথ্যমন্ত্রী বলেন, আপনাদের যে প্রস্তাব সেটার জন্য ধন্যবাদ জানাই। অন্তত প্রথমে ৫০টি পত্রিকা সম্ভব হলে ১০০টি পত্রিকার ক্ষেত্রে রিয়েলিস্টিক সার্কুলেশনের ভিত্তিতে ক্রম করা। আমি মনে করি, এটা অনেক ভালো প্রস্তাব। আমি এটা করতে চাই। আপনারা বলাতে আমার সুবিধা হলো।
বিজ্ঞাপনের বিষয়ে তিনি বলেন, বিজ্ঞাপনের ক্ষেত্রে ই-টেন্ডারিংয়ের জন্য বিজ্ঞাপন যাচ্ছে না, এটি আসলে কিছুটা জানতাম। তবে চিত্রটা যে এতো ভয়াবহ সেটা জানা ছিলো না। এ বিষয়ে আমরা সংশ্লিষ্ট মন্ত্রণালয়ের সঙ্গে কথা বলবো। ই-টেন্ডারিং হলেও যেন বিজ্ঞাপন যায়।
মন্ত্রী বলেন, আপনারা যে বকেয়ার কথা বলেছেন সেটা আমি জানি। অনেক পত্রিকার কয়েক কোটি টাকা করে বাকি আছে। কোর্টেও যে পড়ে আছে সেটা অবশ্য জানতাম না। এগুলা আমি জানলাম। দেশের মানুষ জানলেও মনে হয় ভালো হতো। কারণ এ বাকিটা তো থাকার কথা ছিলো না। বিজ্ঞাপনের টাকা প্রজেক্টের মধ্যে ধরা থাকে। বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই ধরা থাকে। কেন বাকি পড়ছে, এটা আসলে বিষয়।
তিনি বলেন, এ বিষয়ে তথ্য মন্ত্রণালয়ের পক্ষ থেকে এর আগে সব মন্ত্রণালয়কে তাগাদা দিয়েছিলাম। চিঠি দিয়ে তাগাদা দিয়েছিলাম। আমরা পুনরায় তাগাদা দিতে পারি। বকেয়ার বিষয়গুলো আপনারাও বড় বড় মন্ত্রণালয়, বিচারপতির নজরে আনেন। এটা করলে পড়ে আমার মনে হয়, প্রধান বিচারপতি একটা নির্দেশনা দেবেন।
হাছান মাহমুদ বলেন, ন্যায় ও ন্যায্যতার ভিত্তিতে কাজগুলো করার চেষ্টা করছি। এখন পর্যন্ত সেভাবে করার চেষ্টা করছি, সেটাই আমার কাজ। নিয়মনীতি প্রতিষ্ঠার চেষ্টা করছি। দীর্ঘদিন ধরে নিয়মনীতিহীনভাবে এ মাধ্যমটা চলতে পারে না। অনেক নিয়মনীতি আছে, কিন্তু যেগুলো নেই সেগুলোও প্রতিষ্ঠা করা প্রয়োজন। (দৈনিক স্বদেশ প্রতিদিন)