‘গণতন্ত্রের জন্য আমাদের অন্যের কাছ থেকে সবক নিতে হবে না’

- প্রকাশের সময় : ০২:১৬:১৮ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৩০ মার্চ ২০২৩
- / ৪৬ বার পঠিত
বাংলাদেশ ডেস্ক : পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. এ কে আব্দুল মোমেন বলেছেন, গণতন্ত্রের জন্য আমাদের অন্যের কাছ থেকে সবক নিতে হবে না। কারণ, আমরাই একমাত্র দেশ যারা গণতন্ত্রের জন্য, ন্যায় বিচারের জন্য, মানবিকতার জন্য ৩০ লাখ মানুষ প্রাণ দিয়েছে। এটা অনেকে ভুলে যান। বুধবার (২৯ মার্চ) পররাষ্ট্র মন্ত্রণালয়ে সাংবাদিকদের মুখোমুখি হয়ে তিনি এসব কথা বলেন। স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের প্রেসিডেন্ট জো বাইডেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনাকে লেখা চিঠিতে গণতন্ত্র-নির্বাচন প্রসঙ্গ এনেছেন। এ বিষয়ে জানতে চাইলে পররাষ্ট্রমন্ত্রী আব্দুল মোমেন বলেন, ভূ-রাজনৈতিক কারণে আমাদের মান-ইজ্জত বেড়েছে। সবাই এখন আমাদের সঙ্গে সম্পর্ক বাড়াতে চায়, ব্যবসা বাড়াতে চায়। আমরা চাই, স্বচ্ছ ও সুন্দর নির্বাচন হোক। যুক্তরাষ্ট্রও চায়। তাদের দেশে গণতন্ত্র নিয়ে সমস্যা। গত নির্বাচনে অন্য দল বিশ্বাসই করে না আমেরিকার নির্বাচন স্বচ্ছ হয়েছে।
পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, তাদের দেশে গণতন্ত্র দুর্বল। তাই তারা গণতন্ত্রকে আরও স্বোচ্চার করার জন্য দেশে-বিদেশে চেষ্টা করছে। আমরাও চেষ্টা করছি। এসব যদি তারা বলেন, নাথিং রং। গ্রহণযোগ্য নির্বাচন হওয়ার জন্য আমরা স্বচ্ছ ইনস্টিটিউশনাল তৈরি করেছি। স্বচ্ছ ব্যালেট বাক্স তৈরি করেছি, ছবিযুক্ত ভোটার আইডি করেছি। ড. মোমেন আরও বলেন, দেশের গণতন্ত্র অত্যন্ত পরিপক্ক। শেখ হাসিনার কারণে বাংলাদেশের গণতন্ত্র আরও শক্তিশালী হয়েছে। বিএনপি সরকারের আমল তথা ২০০১-২০০৬ শাসন আমলে দেশে গণতন্ত্র ছিল না বলেও অভিযোগ করে তিনি বলেন, ২০০১-২০০৬ সালে গণতন্ত্র ছিল না। তখন জিহাদী ছিল, সন্ত্রাসী ছিল। পররাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, গত ১৪ বছরে শেখ হাসিনা সরকারে অধীনে অনেক নির্বাচন হয়েছে, সেগুলো স্বচ্ছ হয়েছে। এক হাজারের মধ্যে পাঁচটা হয়তো প্রশ্নবিদ্ধ, আর সব স্বচ্ছ হয়েছে। আমরা আশা করি, আগামীতেও আমাদের নির্বাচন স্বচ্ছ ও সুন্দর হবে, গ্রহণযোগ্য হবে। শেখ হাসিনা সরকার বদ্ধ পরিকর সুন্দর ও স্বচ্ছ নির্বাচন করতে।
আরোও পড়ুন। মহান স্বাধীনতা দিবস উপলক্ষে বাংলাদেশ সোসাইটির আলোচনা ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠিত
তিনি বলেন, স্বচ্ছ ও গ্রহণযোগ্য নির্বাচন করা সরকারের একার দায়িত্ব নয়। যারা ভোটার তাদের দায়িত্ব, বিভিন্ন সরকারি কর্মচারী যারা নেতৃত্বে থাকবেন তাদের দায়িত্ব। আরও বড় দায়িত্ব হলো রাজনৈতিক দলের। যুক্তরাষ্ট্র থেকে স্বাধীনতা দিবসের শুভেচ্ছা বার্তায় গণতন্ত্র ও নির্বাচন উল্লেখ থাকার পরিপ্রেক্ষিতে সরকার চাপ অনুভব করছে কিনা এমন প্রশ্নের জবাবে ড. মোমেন বলেন, আমরা চাপ অনুভব করি না। আপনারা মিডিয়া চাপ অনুভব করতে পারেন। দেশের মানুষের জন্য যেটা ভালো, আমরা সেটাই করি। আমরা দেশের মানুষকে বিশ্বাস করি, বিদেশি কে মাতব্বরি করল, সেটা আমাদের…। সৌদি আরবে ওমরা পালন করতে গিয়ে বাস দুর্ঘটনায় মারা যাওয়া বাংলাদেশিদের মরদেহ দেশে ফেরানো নিয়ে আরেক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, সরকারতো সবার মরদেহ নিয়ে আসে। যারা অস্বচ্ছল তাদের মরদেহও সরকার দেশে নিয়ে আসে।ওমরা পালন করতে গিয়ে মারা যাওয়াদের মরদেহ সরকারি ব্যবস্থায় ফেরানোর প্রসঙ্গে পররাষ্ট্রমন্ত্রী ড. মোমেন বলেন, এটা আমি এখন বলতে পারব না। আমাকে জেনে জানাতে হবে। সাধারণত বিদেশে মারা গেলে অস্বচ্ছলদের আমরা সরকারি খরচে মরদেহ নিয়ে আসি। সূত্র : ঢাকা মেইল
সুমি/হককথা