নিউইয়র্ক ১২:১৪ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ২৪ ডিসেম্বর ২০২৪, ১০ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপি কার্যালয় দেখে ক্ষুব্ধ রাজনীতিবিদরা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:৩৭:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২
  • / ২৩ বার পঠিত

রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শন করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা। এ সময় তাঁরা বলেন, সরকার দেশে যে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে, বিএনপি কার্যালয়ে তাণ্ডব তারই নমুনা। পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে যা করেছে, তা অকল্পনীয়। এর বিচার হওয়া উচিত।

মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শনে যান লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। বিএনপির সাবেক স্থায়ী কমিটির এই সদস্য প্রায় ১৬ বছর পর দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। এ সময় ভাঙচুর হাওয়া সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ছাড়াও দলের চেয়ারপারসন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের ক্ষতিগ্রস্ত কক্ষ ঘুরে দেখেন। ভেতরের চেয়ার-টেবিল, দলীয় প্রধানের ছবিও ভাঙচুর করা হয়। ভবনের অন্যান্য কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরের আলমারি, কম্পিউটার, সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়েছে।
কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, শত বাধা ও জুলুম-নির্যাতন চালিয়েও বর্তমান সরকার জনবিস্ম্ফোরণ ঠেকাতে পারেনি। আগামীতেও তাদের ন্যায়সংগত আন্দোলনকে দমাতে পারবে না। এ সরকারের পতন অনিবার্য। শুধু সময়ের ব্যবধান মাত্র।

তিনি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের মুক্তি দাবি জানান। একই সঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযানের নিন্দা জানান। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সসহ বিএনপি ও এলডিপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর দুপুরে সেখানে যান ২০ দলীয় জোটে থাকা বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতারাও। তাঁদের স্বাগত জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ছিলেন-জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, আহসান হাবিব লিংকন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ইসলামী ঐক্যজোটের অধ্যাপক আবদুল করিম প্রমুখ। তাঁরা কার্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে দেখেন।

এ সময় মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ক্ষমতাসীনদের বর্বরতা থেমে নেই। তাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে মোকাবিলা করতে হবে। এরই মধ্যে যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা হয়েছে। এ কর্মসূচি শুধু বিএনপির নয়, এটি সমগ্র জনগণের কর্মসূচি।

মামলার প্রস্তুতি: দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর, লুটপাট আর ক্ষতি সাধন করার অভিযোগ তুলে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। এ জন্য ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ তুলে ধরে ওইদিন অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স সমকালকে জানান, দলীয় কার্যালয়ের ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক চিত্র তৈরি করেছেন। দলের হাইকমান্ড থেকে সিদ্ধান্ত আসার পর পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।

Tag :

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপি কার্যালয় দেখে ক্ষুব্ধ রাজনীতিবিদরা

প্রকাশের সময় : ১১:৩৭:৪০ অপরাহ্ন, মঙ্গলবার, ১৩ ডিসেম্বর ২০২২

রাজধানীর নয়াপল্টনে পুলিশের অভিযানে ক্ষতিগ্রস্ত বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শন করে ক্ষুব্ধ প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা। এ সময় তাঁরা বলেন, সরকার দেশে যে ফ্যাসিবাদ কায়েম করেছে, বিএনপি কার্যালয়ে তাণ্ডব তারই নমুনা। পুলিশ বিএনপি কার্যালয়ে যা করেছে, তা অকল্পনীয়। এর বিচার হওয়া উচিত।

মঙ্গলবার সকাল ১১টার দিকে বিএনপির নয়াপল্টনের কেন্দ্রীয় কার্যালয় পরিদর্শনে যান লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টির (এলডিপি) প্রেসিডেন্ট কর্নেল (অব.) অলি আহমদ। বিএনপির সাবেক স্থায়ী কমিটির এই সদস্য প্রায় ১৬ বছর পর দলটির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে যান। এ সময় ভাঙচুর হাওয়া সাবেক রাষ্ট্রপতি জিয়াউর রহমানের ম্যুরাল ছাড়াও দলের চেয়ারপারসন, ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান ও মহাসচিবের ক্ষতিগ্রস্ত কক্ষ ঘুরে দেখেন। ভেতরের চেয়ার-টেবিল, দলীয় প্রধানের ছবিও ভাঙচুর করা হয়। ভবনের অন্যান্য কক্ষের দরজা ভেঙে ভেতরের আলমারি, কম্পিউটার, সিসি ক্যামেরা ভাঙচুর করা হয়েছে।
কর্নেল (অব.) অলি আহমদ বলেন, শত বাধা ও জুলুম-নির্যাতন চালিয়েও বর্তমান সরকার জনবিস্ম্ফোরণ ঠেকাতে পারেনি। আগামীতেও তাদের ন্যায়সংগত আন্দোলনকে দমাতে পারবে না। এ সরকারের পতন অনিবার্য। শুধু সময়ের ব্যবধান মাত্র।

তিনি বিএনপির মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ও স্থায়ী কমিটির সদস্য মির্জা আব্বাসের মুক্তি দাবি জানান। একই সঙ্গে বিএনপির কেন্দ্রীয় কার্যালয়ে অভিযানের নিন্দা জানান। এ সময় বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান ও দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্সসহ বিএনপি ও এলডিপির নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন।

এরপর দুপুরে সেখানে যান ২০ দলীয় জোটে থাকা বিভিন্ন দলের শীর্ষ নেতারাও। তাঁদের স্বাগত জানান বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য নজরুল ইসলাম খান, ভাইস চেয়ারম্যান আহমেদ আযম খান, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন আলাল, সাংগঠনিক সম্পাদক অ্যাডভোকেট আবদুস সালাম আজাদ প্রমুখ।

২০ দলীয় জোটের শীর্ষ নেতাদের মধ্যে ছিলেন-জাতীয় পার্টির (কাজী জাফর) মোস্তফা জামাল হায়দার, আহসান হাবিব লিংকন, বাংলাদেশ কল্যাণ পার্টির মেজর জেনারেল (অব.) সৈয়দ মুহাম্মদ ইবরাহিম, লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান ইরান, বাংলাদেশ জাতীয় দলের অ্যাডভোকেট সৈয়দ এহসানুল হুদা, বাংলাদেশ এলডিপির শাহাদাত হোসেন সেলিম, এনপিপির ড. ফরিদুজ্জামান ফরহাদ, ইসলামী ঐক্যজোটের অধ্যাপক আবদুল করিম প্রমুখ। তাঁরা কার্যালয়ের বিভিন্ন কক্ষ ঘুরে দেখেন।

এ সময় মোস্তফা জামাল হায়দার বলেন, ক্ষমতাসীনদের বর্বরতা থেমে নেই। তাদের বিরুদ্ধে জাতীয় ঐক্য গড়ে তুলে মোকাবিলা করতে হবে। এরই মধ্যে যুগপৎ আন্দোলনের ঘোষণা হয়েছে। এ কর্মসূচি শুধু বিএনপির নয়, এটি সমগ্র জনগণের কর্মসূচি।

মামলার প্রস্তুতি: দলীয় কার্যালয়ে ভাঙচুর, লুটপাট আর ক্ষতি সাধন করার অভিযোগ তুলে মামলা করার প্রস্তুতি নিচ্ছে বিএনপি। এ জন্য ক্ষয়ক্ষতির বিবরণ তুলে ধরে ওইদিন অভিযানে নেতৃত্ব দেওয়া আইনশৃঙ্খলা বাহিনীর শীর্ষ কর্তাদের বিষয়ে খোঁজখবর নেওয়া হচ্ছে। দপ্তরের দায়িত্বে থাকা সাংগঠনিক সম্পাদক সৈয়দ এমরান সালেহ প্রিন্স সমকালকে জানান, দলীয় কার্যালয়ের ক্ষয়ক্ষতির প্রাথমিক চিত্র তৈরি করেছেন। দলের হাইকমান্ড থেকে সিদ্ধান্ত আসার পর পরবর্তী করণীয় নির্ধারণ করা হবে।