কোটা ও পেনশন স্কিম বাতিলের আন্দোলনে বিএনপির সমর্থন

- প্রকাশের সময় : ০৭:৫৩:৩৬ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ৬ জুলাই ২০২৪
- / ১০৫ বার পঠিত
সরকারি চাকরিতে কোটা পদ্ধতি বাতিলের দাবিতে শিক্ষার্থীদের চলমান আন্দোলনকে যৌক্তিক দাবি করে সমর্থন জানিয়েছে বিএনপি। একই সঙ্গে জাতীয় পেনশন স্কিম বাতিলের দাবিতে শিক্ষকদের আন্দোলনেও সমর্থন জানিয়ে তা প্রত্যাহারের আহ্বান জানিয়েছে দলটি।
শনিবার রাজধানীর গুলশানে দলের চেয়ারপারসনের কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর এ কথা জানান। তিনি বলেন, ‘প্রথম, দ্বিতীয়, তৃতীয় ও চতুর্থ শ্রেণি কোনো শ্রেণিতেই কোটা পদ্ধতি মেধা বিকাশে সহায়ক হতে পারে না। মেধাভিত্তিক বৈষম্যহীন জাতি ও সমাজ বিনির্মাণ মুক্তিযুদ্ধের অঙ্গীকারের সঙ্গে সাংঘর্ষিক।’
সংবাদ সম্মেলনে ফখরুল বলেন, ‘বর্তমান কর্তৃত্ববাদী সরকার বিচার বিভাগকে ব্যবহার করে জনগণের ন্যায্য দাবিগুলো দমিয়ে রাখার পুরোনো কৌশলে ছাত্রসমাজের যৌক্তিক আন্দোলনকে দমানোর অপচেষ্টায় লিপ্ত রয়েছে। একবিংশ শতাব্দীর এই সময়ে এসে প্রযুক্তি ও জ্ঞানভিত্তিক বৈশ্বিক ব্যবস্থায় টিকে থাকতে হলে মেধাভিত্তিক রাষ্ট্রব্যবস্থা প্রতিষ্ঠার কোনো বিকল্প নেই। এ জন্য সাধারণ ছাত্র সমাজের কোটা সংস্কার আন্দোলনের যৌক্তিক দাবির সঙ্গে আমরা একমত।’
সর্বজনীন পেনশন স্কিম সরকারের দুর্বল আর্থিক খাত মেরামতের একটা কৌশল—এমন মন্তব্য করে মির্জা ফখরুল বলেন, ‘রাষ্ট্রীয় কোষাগার প্রায় শূন্য, ব্যাংকিং খাত প্রায় দেউলিয়া। এ রকম লুটেরা তন্ত্রকে টিকিয়ে রাখার জন্য পেনশন স্কিমের মতো আরও স্কিম চালু করে জনগণের পকেট শূন্যে করতে চায় সরকার।’
তিনি বলেন, ‘সরকার তথাকথিত উন্নয়নের নামে জনগণের ঘাড়ে ব্যয়ের বোঝা চাপাচ্ছে। সরকারের উন্নয়নের বুলি যদি এতই শক্তিশালী হয়, তাহলে পেনশন বৃদ্ধি পাওয়ার কথা। জনগণ পেনশন স্কিমসহ সরকারের সব প্রকল্প প্রত্যাখ্যান করছে। আমরা বিশ্ববিদ্যালয় শিক্ষক ও কর্মচারীদের যৌক্তিক আন্দোলন সমর্থন করছি। অবিলম্বে পেনশন স্কিম প্রত্যাহারের আহ্বান জানাচ্ছি।’
এদিকে ব্রিটেনের নির্বাচনে নিরঙ্কুশ বিজয় এবং দেশটির প্রধানমন্ত্রী নির্বাচিত হওয়ায় লেবার পার্টির নেতা কিয়ার স্টারমারকে অভিনন্দন জানিয়েছে বিএনপি। সংবাদ সম্মেলনে বিএনপি মহাসচিব বলেন, ‘যুক্তরাজ্যে নির্বাচন হয়ে গেছে। সেই নির্বাচনে লেবার পার্টি জয় পেয়েছে। লেবার পার্টির প্রধান স্যার কিয়ার স্টারমার প্রধানমন্ত্রী নিযুক্ত হয়েছেন। ইতিমধ্যে আমাদের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান সাহেব টুইটারে তাঁকে অভিনন্দন জানিয়েছেন। দলের পক্ষ থেকে আবার আমরা তাঁকে অভিনন্দন জানাচ্ছি।’
বিএনপি মহাসচিব আশাবাদ ব্যক্ত করে বলেন, ‘যুক্তরাজ্যের যে ঐতিহ্য, গণতন্ত্রকে প্রাতিষ্ঠানিক রূপ দেওয়ার চেষ্টা করা তাঁদের যে অভিজ্ঞতা, সেই অভিজ্ঞতা কাজে লাগিয়ে যে সমস্ত দেশে গণতন্ত্রের সংকট রয়েছে, সেগুলোতে তাঁদের প্রভাব বিস্তার করার চেষ্টা করবেন। একই সঙ্গে এটাও আশা করব, তার নেতৃত্বে ব্রিটেনের যে অর্থনীতি-রাজনীতি যে সমস্যাগুলো সেগুলো তিনি সমাধানে নেতৃত্ব দিতে পারবেন।’