কারাবন্দীর নারীসঙ্গ : কাশিমপুরের জেল সুপারসহ ১১ জন বরখাস্ত

- প্রকাশের সময় : ০২:৩৬:৪৩ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ ফেব্রুয়ারী ২০২১
- / ৯৮ বার পঠিত
ঢাকা ডেস্ক: গাজীপুরের কাশিমপুর কেন্দ্রীয় কারাগার-১ এর সিনিয়র জেল সুপার, জেলার ও ডেপুটি জেলারসহ ১১ জনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। এ ছাড়া আরও সাতজনের বিরুদ্ধে বিভাগীয় নির্দেশ দেয়া হয়েছে। হল-মার্কের কারাবন্দী মহাব্যবস্থাপক তুষার আহমদ বিধি লঙ্ঘন করে এক নারীর সঙ্গে সময় কাটানোর ঘটনায় এ ব্যবস্থা নেয়া হয়েছে। বৃহস্পতিবার স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয় থেকে এ সংক্রান্ত চিঠি কারা অধিদপ্তরে পাঠানো হয়েছে। সিনিয়র জেল সুপার রতœা রায়, জেলার নূর মোহাম্মদ মৃধা এবং ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলায়েনকে বরখাস্ত করা হয়েছে। বরখাস্ত অন্যদের মধ্যে ছয়জন কারারক্ষী, একজন সহকারী প্রধান কারারক্ষী ও সার্জেন্ট ইনস্ট্রাক্টর রয়েছেন বলে জানা গেছে। এ ঘটনায় কারা অধিদপ্তরের গঠিত তদন্ত কমিটি বুধবার (৩ ফেব্রæয়ারী) স্বরাষ্ট্র মন্ত্রণালয়েরর সুরক্ষা বিভাগের সচিবের কাছে তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেয়। তদন্ত কমিটির প্রধান অতিরিক্ত কারা মহাপরিদর্শক কর্নেল আবরার হোসেন বলেন, ৪৯ পৃষ্ঠার একটি তদন্ত প্রতিবেদন জমা দেওয়া হয়েছে। যেখানে ১৮ কর্মকর্তা ও কারারক্ষীর বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেওয়ার সুপারিশ করা হয়েছে। তদন্ত কমিটির প্রতিবেদনটি পর্যালোচনা করে কমিটির সুপারিশ অনুযায়ী দায়ীদের বিরুদ্ধে বুধবার ব্যবস্থা নেওয়া হলো।
জানা গেছে, প্রতিবেদনে তদন্ত কমিটি মোট ২৫টি সুপারিশ করেছে। এর মধ্যে রয়েছে সাময়িক বরখাস্ত করা, চাকরিবিধি অনুযায়ী শাস্তিমূলক ব্যবস্থা, বিভাগীয় ব্যবস্থা গ্রহণ, কেন্দ্রীয় কারাগারের বদলে জেলা কারাগারে পদায়ন করা প্রভৃতি। তদন্ত কমিটি আরও অনেক অনিয়ম খুঁজে পেয়েছে। এ ছাড়া সারাদেশের কারাগারগুলোয় সিসি ক্যামেরা বসানো এবং তা তদারক করার সুপারিশ করা হয়।
উল্লেখ্য, গত ৬ জানুয়ারী দুপুর সাড়ে ১২টার দিকে আসমা নামের ওই নারী কারাগারের ভেতর ঢোকেন। বিকেল সাড়ে ৫টার দিকে বেরিয়ে যান। সিসি ক্যামেরায় পুরো সময়টা ধরা পড়েনি। এর মধ্যে নানা রহস্য লুকিয়ে রয়েছে। একটি অ্যাম্বুলেন্সে চড়ে তিনি কারাফটকে আসার পর ডেপুটি জেলার গোলাম সাকলায়েন ও সিনিয়র জেল সুপার রতœা রায় ওই নারীকে অন্য কর্মচারীদের সামনেই গ্রহণ করেন। এর জন্য মোটা অঙ্কের টাকা লেনদেন হয়েছে বলে জানা গেছে। ওই নারী তুষার আহমেদের সঙ্গে অন্তরঙ্গ সময় কাটান।