নিউইয়র্ক ০২:০৬ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৫ জুন ২০২৫, ১১ আষাঢ় ১৪৩২ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

করোনার টিকা নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ০৭:২২:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ ২০২১
  • / ১২৩ বার পঠিত

করোনার টিকা নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা ডেস্ক: করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) বিকেলে গণভবনে তিনি টিকা নেন। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ২৪ ফেব্রæয়ারী করোনার টিকা নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। এছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও করানোর টিকা নিয়েছেন।
এদিকে শেখ হাসিনা টিকা নেওয়ার সময় তাঁর পাশে ছোট বোন শেখ রেহানাও ছিলেন। শেখ রেহানা আগেই টিকা নিয়েছেন। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে গত ২৭ জানুয়ারী বাংলাদেশে বহু প্রতীক্ষিত টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী নিজেই সেদিন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।
অপরদিকে গত ২৭ ফেব্রæয়ারী প্রধানমন্ত্রী বিকালে তার কার্যালয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিজে টিকা নেবেন কী না-এমন এক প্রশ্নের জবাবে সরকার প্রধান বলেছিলেন, ‘আমি টিকা অবশ্যই নেব; কিন্তু তার আগে দেশের কত পার্সেন্ট মানুষ নিতে পারলে, কতজনকে দিতে পারলাম, সেটা আমি দেখতে চাই। কারণ আমার একটা টিকার জন্য যদি আরেকটা মানুষের জীবন বাঁচে…..সেটাই তো সবচেয়ে বড় কথা, তাই না? আমার তো বয়স ৭৫ হয়ে গেছে।’
আরও তিন কোটি ডোজ করোনার টিকা আমদানি করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পর্যায়ক্রমে সবাইকে টিকার আওতায় আনা হবে। দেশেও যাতে টিকা উৎপাদন করা যায়, সে ব্যবস্থাও সরকার নিচ্ছে। টিকা নিলেও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক পড়তে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মতে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশে টিকা দেয়ার শুরু (৭ ফেব্রæয়ারী) থেকে বুধবার (৩ মার্চ) পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন মোট ৩৪ লাখ ৬০ হাজার ১৫৯ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ২২ লাখ ২১ হাজার ২৬৯ জন ও নারী ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৮৯০ জন। টিকাগ্রহণকারীদের মধ্যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ৭৮৪ জনের।
রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতাল ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালসহ সারাদেশে মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম চলবে। রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতালে ২০৪টি ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালে দুই হাজার ১৯৬টি টিম কাজ করবে। মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪০০টিম কাজ করবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্য অনুসারে, গত ২৭ জানুয়ারী দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দিন টিকা দেওয়া হয় ২৬ জনকে। করোনা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে ২৮ জানুয়ারী রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে মোট ৫৪১ ব্যক্তিকে টিকা দেয়া হয়। আর ৭ ফেব্রæয়ারী সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এ দিনে সারাদেশে টিকা নেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ২৩ হাজার ৮৫৭ জন এবং নারী সাত হাজার ৩০৩ জন।
প্রথম দফায় ৭০ লাখ টিকা এনেছে সরকার। এর মধ্যে ভারতের উপহার হিসেবে ছিল ২০ লাখ। এরপর দ্বিতীয় চালানে আরো ২০ লাখ টিকা আনা হয়েছে। গত ২৭ জানুয়ারী গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

করোনার টিকা নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা

প্রকাশের সময় : ০৭:২২:০৯ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ৪ মার্চ ২০২১

করোনার টিকা নিলেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ছবি : সংগৃহীত
ঢাকা ডেস্ক: করোনাভাইরাসের টিকা নিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। বাংলাদেশ সময় বৃহস্পতিবার (৪ মার্চ) বিকেলে গণভবনে তিনি টিকা নেন। প্রধানমন্ত্রীর সহকারী প্রেস সচিব এম এম ইমরুল কায়েস বিষয়টি নিশ্চিত করেছেন। এর আগে গত ২৪ ফেব্রæয়ারী করোনার টিকা নেন বঙ্গবন্ধু শেখ মুজিবুর রহমানের ছোট মেয়ে শেখ রেহানা। এছাড়া বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীরসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারাও করানোর টিকা নিয়েছেন।
এদিকে শেখ হাসিনা টিকা নেওয়ার সময় তাঁর পাশে ছোট বোন শেখ রেহানাও ছিলেন। শেখ রেহানা আগেই টিকা নিয়েছেন। কুর্মিটোলা জেনারেল হাসপাতালের একজন নার্সকে করোনাভাইরাসের টিকা দেওয়ার মধ্য দিয়ে গত ২৭ জানুয়ারী বাংলাদেশে বহু প্রতীক্ষিত টিকাদান কার্যক্রম শুরু হয়। প্রধানমন্ত্রী নিজেই সেদিন কর্মসূচি উদ্বোধন করেন।
অপরদিকে গত ২৭ ফেব্রæয়ারী প্রধানমন্ত্রী বিকালে তার কার্যালয়ে ভার্চুয়াল বৈঠকে বাংলাদেশের উন্নয়নশীল দেশে উত্তরণ নিয়ে আয়োজিত এক সংবাদ সম্মেলনে নিজে টিকা নেবেন কী না-এমন এক প্রশ্নের জবাবে সরকার প্রধান বলেছিলেন, ‘আমি টিকা অবশ্যই নেব; কিন্তু তার আগে দেশের কত পার্সেন্ট মানুষ নিতে পারলে, কতজনকে দিতে পারলাম, সেটা আমি দেখতে চাই। কারণ আমার একটা টিকার জন্য যদি আরেকটা মানুষের জীবন বাঁচে…..সেটাই তো সবচেয়ে বড় কথা, তাই না? আমার তো বয়স ৭৫ হয়ে গেছে।’
আরও তিন কোটি ডোজ করোনার টিকা আমদানি করা হবে জানিয়ে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, পর্যায়ক্রমে সবাইকে টিকার আওতায় আনা হবে। দেশেও যাতে টিকা উৎপাদন করা যায়, সে ব্যবস্থাও সরকার নিচ্ছে। টিকা নিলেও সবাইকে স্বাস্থ্যবিধি মেনে চলতে হবে। মাস্ক পড়তে হবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের তথ্য মতে, প্রাণঘাতী করোনাভাইরাস প্রতিরোধে সারাদেশে টিকা দেয়ার শুরু (৭ ফেব্রæয়ারী) থেকে বুধবার (৩ মার্চ) পর্যন্ত টিকা নিয়েছেন মোট ৩৪ লাখ ৬০ হাজার ১৫৯ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ২২ লাখ ২১ হাজার ২৬৯ জন ও নারী ১২ লাখ ৩৮ হাজার ৮৯০ জন। টিকাগ্রহণকারীদের মধ্যে পার্শ্ব প্রতিক্রিয়া দেখা দিয়েছে ৭৮৪ জনের।
রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতাল ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালসহ সারাদেশে মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে টিকাদান কার্যক্রম চলবে। রাজধানী ঢাকায় ৫০টি হাসপাতালে ২০৪টি ও সারাদেশে ৯৫৫টি হাসপাতালে দুই হাজার ১৯৬টি টিম কাজ করবে। মোট এক হাজার পাঁচটি হাসপাতালে মোট ২ হাজার ৪০০টিম কাজ করবে।
স্বাস্থ্য অধিদফতরের হেলথ ইমার্জেন্সি অপারেশন সেন্টার ও কন্ট্রোলরুমের তথ্য অনুসারে, গত ২৭ জানুয়ারী দেশে টিকাদান কর্মসূচি শুরু হয়। প্রথম দিন টিকা দেওয়া হয় ২৬ জনকে। করোনা ভাইরাসের টিকাদান কার্যক্রমের দ্বিতীয় দিনে ২৮ জানুয়ারী রাজধানীর পাঁচ হাসপাতালে মোট ৫৪১ ব্যক্তিকে টিকা দেয়া হয়। আর ৭ ফেব্রæয়ারী সারাদেশে টিকা কার্যক্রম শুরু হয়। এ দিনে সারাদেশে টিকা নেন ৩১ হাজার ১৬০ জন। এদের মধ্যে পুরুষ ২৩ হাজার ৮৫৭ জন এবং নারী সাত হাজার ৩০৩ জন।
প্রথম দফায় ৭০ লাখ টিকা এনেছে সরকার। এর মধ্যে ভারতের উপহার হিসেবে ছিল ২০ লাখ। এরপর দ্বিতীয় চালানে আরো ২০ লাখ টিকা আনা হয়েছে। গত ২৭ জানুয়ারী গণভবন থেকে ভার্চ্যুয়ালি টিকাদান কর্মসূচির উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।