আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিন মাস পূর্ণ
কতটুকু বদলেছে বাংলাদেশ?
- প্রকাশের সময় : ১১:৫৯:৫৫ পূর্বাহ্ন, মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর ২০২৪
- / ১৭ বার পঠিত
নিউইয়র্ক: বাংলাদেশের কোটা সংস্কার আন্দোলনের শিক্ষার্থীদের দাবীর সমর্থনে জ্যাকসন হাইটসের ডাইভারসিটি প্লাজায় নিউইয়র্কের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষার্থীদের প্রতিবাদ সমাবেশ
ঝর্ণা মনি: শেখ হাসিনার নেতৃত্বে আওয়ামী লীগ সরকারের পতনের তিন মাস পূর্ণ হয়েছে আজ মঙ্গলবার, ৫ নভেম্বর। ১ জুলাই শুরু হওয়া কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নয় দফা দাবির দাবানল এক দফায় পরিণত হয়ে ছড়িয়ে পরে গোটা বাংলাদেশে। হতাহত হয় অনেক প্রাণ। আরো রক্তপাত কমাতে ছাত্রদের দাবি মেনে নিয়ে পদত্যাগ করে ভারতে চলে যান তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিন দিন সরকারবিহীন ছিল দেশ। ৮ আগস্ট নোবেলবিজয়ী অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূসের নেতৃত্বে শপথ নেয় অন্তর্র্বতী সরকার। বঙ্গবন্ধু কন্যাবিহীন গত তিন মাসে কতটুকু বদলেছে বাংলাদেশ- এমন হিসাব-নিকাশ করছেন সাধারণ মানুষ থেকে শুরু করে রাজনীতিবিদরা।
এদিকে শপথ নেয়ার পরই সংস্কারকে প্রাধান্য দিয়েছে অন্তর্র্বতী সরকার। রাষ্ট্র সংস্কার, অর্থনীতি পুনর্গঠন, আইনশৃঙ্খলা ও বিচার ব্যবস্থাসহ বিভিন্ন সেক্টরে সংস্কার শুরু করে নতুন সরকার। এছাড়া জুলাই ও আগস্টের হত্যাকান্ডের বিচারে জাতিসংঘের নেতৃত্বে তদন্ত করা, শহীদ ও আহত ব্যক্তিদের পূর্ণাঙ্গ তালিকা তৈরির উদ্যোগ, আহত ব্যক্তিদের দীর্ঘমেয়াদি চিকিৎসা এবং শহীদদের পরিবারের দেখাশোনার জন্য একটি ফাউন্ডেশন তৈরি, ব্যাংকগুলোকে বড় বড় ঋণখেলাপি ও লুটেরা ব্যবসায়ী গোষ্ঠীর দখল থেকে মুক্ত করে পরিচালনা পরিষদ পুনর্গঠন; দুর্নীতি ও অর্থ পাচারে অভিযুক্ত প্রভাবশালী দেড়শ ব্যক্তির তালিকা তৈরি ও অনুসন্ধান শুরু; ১৫ শতাংশ হারে আয়কর পরিশোধ করে অপ্রদর্শিত পরিসম্পদ অর্থাৎ কালোটাকা সাদা করার বিধান বাতিল; রাজনৈতিক উদ্দেশ্যে নেয়া প্রকল্প কিংবা জাতীয় অর্থনৈতিক পরিষদের নির্বাহী কমিটিতে (একনেক) যাওয়ার প্রক্রিয়াধীন আছে- এমন প্রকল্প পুনরায় যাচাই-বাছাই করার কাজ শুরু করেছে ড. ইউনূসের সরকার।
অন্যদিকে প্রধান উপদেষ্টা মুহাম্মদ ইউনূসের সঙ্গে আওয়ামী লীগ ও ১৪ দলীয় জোট ছাড়া অন্য সব রাজনৈতিক দলের প্রতিনিধিরা বৈঠক করেছেন। সেখানে বিএনপি, জামায়াতে ইসলামীসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের শীর্ষ নেতারা অংশ নেন। দলগুলোর প্রতিনিধিরা বৈঠকে রাজনীতিতে সংস্কার ও নির্বাচন নিয়ে তাদের বিভিন্ন প্রস্তাব তুলে ধরেন। দেশের সার্বিক পরিস্থিতি, সংস্কার এবং আগামী জাতীয় নির্বাচন নিয়েও আলোচনা চলছে রাজনৈতিক দলগুলোর সঙ্গে।
দশ সংস্কার কমিশন ও সার্চ কমিটি: রাজনৈতিক পটপরিবর্তনের পর ড. মুহাম্মদ ইউনূসের সরকার বিভিন্ন ক্ষেত্রে সংস্কারের জন্য ১০টি কমিশন গঠন করে। কমিশনগুলো হলো- নির্বাচন ব্যবস্থা, পুলিশ, বিচার বিভাগ, দুর্নীতি দমন কমিশন, জনপ্রশাসন, সংবিধান সংস্কার, স্বাস্থ্য, শ্রমিক অধিকার, নারী অধিকার ও গণমাধ্যম সংস্কার কমিশন। এছাড়া নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে সার্চ কমিটিও গঠন করেছে সরকার। সরকার বলেছে, এর মধ্য দিয়েই নির্বাচনমুখী যাত্রা শুরু করেছে তারা। নতুন নির্বাচন কমিশন গঠনে নাম প্রস্তাব করতে সুপ্রিম কোর্টের আপিল বিভাগের বিচারপতি জুবায়ের রহমান চৌধুরীর নেতৃত্বে ছয় সদস্যের সার্চ কমিটি গঠন করে দিয়েছেন রাষ্ট্রপতি। বিচারপতি জুবায়ের ছাড়াও এই কমিটিতে প্রধান বিচারপতি মনোনীত সদস্য হিসেবে
আছেন হাইকোর্ট বিভাগের বিচারপতি এ কে এম আসাদুজ্জামান। আইন অনুযায়ী, মহাহিসাব নিরীক্ষক ও নিয়ন্ত্রক মো. নূরুল ইসলাম এবং সরকারি কর্ম কমিশনের চেয়ারম্যান (পিএসসি) মোবাশ্বের মোনেম পদাধিকার বলে সার্চ কমিটির সদস্য হয়েছেন। আর রাষ্ট্রপতির মনোনয়নে সার্চ কমিটিতে এসেছেন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের আন্তর্জাতিক সম্পর্ক বিভাগের সাবেক অধ্যাপক ড. চৌধুরী রফিকুল আবরার এবং বাংলাদেশ সরকারি কর্ম কমিশনের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক জিন্নাতুন নেছা তাহমিদা বেগম।
অন্তর্র্বতী সরকার তিনটি ভালো কাজ করেছে বলে মন্তব্য করেছেন নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না। তিনি বলেন, রেমিট্যান্সের সংকট নিরসনে কাজ করে দেশের অর্থনীতি যেন ঘুরে দাঁড়াতে পারে সে ব্যবস্থা করেছে। ৩ বিলিয়ন ডলারের মতো বাংলাদেশ ব্যাংকের ঋণ শোধ করতে পেরেছে এবং দুবাইতে যারা আটক ছিলেন ড. ইউনূস এক ফোন কল দিয়ে তাদের মুক্ত করতে পেরেছেন।
রদবদলের রাজনীতি আর পণ্যমূল্যের ঊর্ধ্বগতি: শেখ হাসিনা সরকারের রেখে যাওয়া প্রশাসনে রদবদল, উল্লেখযোগ্য সংখ্যক কর্মকর্তাকে বাধ্যতামূলক অবসর, চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ বাতিল ও গত সরকারের আমলে বঞ্চিতদের পদোন্নতির সিদ্ধান্ত এসেছে একের পর এক। গত তিন মাসে শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান, আর্থিক প্রতিষ্ঠান, পুলিশ, আইন-আদালত, সশস্ত্র বাহিনী, হাসপাতাল ও সেবা খাত, জনপ্রশাসন সব জায়গায় পরিবর্তনগুলো হয়েছে এবং হচ্ছে। একদিনেই ২৫ জেলা প্রশাসক নিয়োগ দিয়েছে সরকার। তবে রদবদল অব্যাহত থাকলেও কাক্সিক্ষত গতি ফেরেনি প্রশাসনে। অন্যদিকে রাজধানী ঢাকাসহ সারাদেশে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতির অবনতি নিয়ে এক ধরনের উদ্বেগ তৈরি হয়েছে। প্রকাশ্য দিবালোকে ছিনতাই, ডাকাতি, হামলা, ধর্ষণসহ নানা ধরনের অপরাধমূলক কর্মকান্ডের ঘটনায় পুরো দেশের আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি উদ্বেগের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে। বিশেষত, ‘মব জাস্টিস’ তথা রাজনৈতিক প্রতিপক্ষের ব্যক্তিদের ওপর দলবদ্ধ হামলা ও পিটিয়ে হত্যার কয়েকটি ঘটনা জনমনে আতঙ্ক সৃষ্টি করে। এছাড়া, নতুন সরকার দায়িত্ব নেয়ার পর বিভিন্ন শ্রেণিপেশার মানুষের সংগঠিত হয়ে দাবি-দাওয়া উত্থাপনের হিড়িক পরে। প্রায় প্রতিদিনই ব্যস্ত সড়কে অবস্থান নিয়ে মিছিল-সমাবেশে জনদুর্ভোগ সৃষ্টি হয়। তবে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি এখনো পুরোপুরি নিয়ন্ত্রণে আসেনি বলে মনে করেন বিশ্লেষকরা। পুলিশ অবশ্য বলছে, পাঁচ আগস্ট শেখ হাসিনা সরকারের বিদায়ের পর ব্যাপক হামলা, অনাস্থা আর আন্দোলনের সময় বিতর্কিত ভূমিকার জন্য পুলিশ কিছুটা চ্যালেঞ্জের মুখে পড়ায় কেউ কেউ সুযোগ নিয়ে আইনশৃঙ্খলার অবনতি ঘটিয়েছে। কিন্তু তারা এখন মনে করছেন, পুলিশ বাহিনী আবার ঘুরে দাঁড়িয়েছে এবং ঢাকাসহ সারাদেশে পুলিশি কার্যক্রম স্থিতিশীল হওয়ায় এখন পরিস্থিতির উন্নতি হবে। পুলিশ সদর দপ্তরের মুখপাত্র এনামুল হক সাগর বলেছেন, মাঠপর্যায়ে আইনশৃঙ্খলা পরিস্থিতি ঠিক রাখতে প্রয়োজনীয় নির্দেশনা সদর দপ্তর থেকে দেয়া হচ্ছে। আইজিপি নিজেই বিভিন্ন জায়গায় যাচ্ছেন। বাহিনী প্রধান হিসেবে পুলিশি কার্যক্রম গতিশীল করতে প্রচেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন। এর মধ্যে রাজশাহী ও রংপুর অঞ্চলে গিয়ে মাঠপর্যায়ে কর্মকর্তাদের সঙ্গে বৈঠক করেছেন। এমন নানা উদ্যোগ নিয়ে বাহিনীর কার্যক্রম স্বাভাবিক করা হয়েছে।
প্রতিশ্রæতি অনুযায়ী, রাষ্ট্রের সংস্কার দৃশ্যমান করার তাগিদ সরকারের মধ্যে লক্ষ্যণীয় হলেও পণ্যমূল্যে দিশাহারা সাধারণ মানুষ। গত কিছুদিন ধরেই গণমাধ্যম ও সামাজিক মাধ্যমে ব্যাপকভাবে আলোচনায় এসেছে ডিম আর কাঁচামরিচের দাম। পরিস্থিতি সামাল দিতে সরকার ডিম আমদানির জন্য সাতটি প্রতিষ্ঠানকে সাময়িকভাবে অনুমতি দিয়েছে। ইচ্ছামতোই বাড়ে কাঁচা মরিচের ঝাল। এক্ষেত্রে পিছিয়ে নেই পেঁয়াজের ঝাঁজও। আর তালমিলিয়ে বেড়েই চলছে সয়াবিন, সরিষার তেলের দাম। চালের বাজারও ঊর্ধ্বমুখী। যদিও দ্রব্যমূল্য স্থিতিশীল রাখতে এবং দৈনন্দিন দরকারি পণ্যের দাম যাতে যৌক্তিক পর্যায়ে থাকে সেজন্য বাজার তদারকি করতে জেলায় জেলায় বিশেষ টাস্কফোর্স করেছে সরকার, যা ইতোমধ্যেই কার্যকর হয়েছে বলে জানিয়েছে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়। তবে বিশ্লেষকরা বলছেন, বাজারে পণ্য সরবরাহ ঠিক রাখা ও দাম যৌক্তিক পর্যায়ে রাখার কার্যকর মেকানিজম বা কৌশল না থাকার সুযোগ নিয়ে দাম বাড়াচ্ছেন এক শ্রেণির অসাধু ব্যবসায়ী। এ সমস্যার ‘স্থায়ী বা দীর্ঘমেয়াদি’ সমাধান টাস্কফোর্স দিয়ে সম্ভব হবে বলে মনে করেন না তারা। ভোক্তা অধিকার নিয়ে কাজ করা সংগঠন কনজ্যুমারস অ্যাসোসিয়েশন অব বাংলাদেশ বা ক্যাবের সাধারণ সম্পাদক হুমায়ুন কবির ভূঁইয়া বলেছেন, বাজার পরিস্থিতি দেখে তাদের কাছে মনে হয়েছে- দাম বাড়াচ্ছে অসাধু ব্যবসায়ীরা।
জনগণের প্রত্যাশার প্রতিফলন ঘটেনি: অন্তর্র্বতী সরকার রাষ্ট্র পরিচালনায় দেশের জনগণের চাহিদার প্রতিফলন ঘটাতে পারেনি বলে মনে করেন বিএনপিসহ বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতারা। তারা বলেছেন, বিভিন্ন সময় তাদের নানা বেফাঁস ও আবেগী কথাবার্তায় তাদের লক্ষ্য ও উদ্দেশ্য সম্পর্কে জনমনে বিভ্রান্তির সুযোগ তৈরি হয়েছে। তাদের কিছু পদক্ষেপ ও ঘোষণা বিতর্কের জন্ম দিয়েছে। বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য আমীর খসরু মাহমুদ চৌধুরী জাতীয় ঐক্যের মাধ্যমে রাষ্ট্র সংস্কার করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, যেখানে ঐকমত্য হবে সেখানে সংস্কার করতে হবে। জাতীয় স্বার্থে সবাইকে ঐকমত্যে বিশ্বাসী হতে হবে। প্রতিটি বিষয়ে ঐকমত্য সৃষ্টি করতে হবে। নির্বাচনী ব্যবস্থা সংস্কার, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচনের ব্যাপারে কারো দ্বিমত নেই।
নাগরিক ঐক্যের সভাপতি মাহমুদুর রহমান মান্না বলেন, নির্বাচনী ব্যবস্থার সংস্কার দরকার। মানুষ যেন নিজেদের পছন্দমতো ভোট দেয়। সরকারের প্রথম কাজ থাকবে দ্রæততার সঙ্গে নির্বাচন দেয়া। এতে যত সময় লাগবে সব দলের সে সময়টুকু এ সরকারকে দেয়া দরকার।
সরকারের কোনো কোনো কর্মকর্তার বেফাঁস ও আবেগী কথাবার্তায় জনমনে বিভ্রান্তির সুযোগ তৈরি হয়েছে উল্লেখ করে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সাধারণ সম্পাদক সাইফুল হক বলেন, অন্তর্র্বতী সরকারের সদিচ্ছার ঘাটতি না থাকলেও তাদের মধ্যে রয়েছে সমন্বয়হীনতা, শ্লথগতি, সরকার পরিচালনায় অনভিজ্ঞতা ও দূরদর্শিতার অভাব। তিনি বলেন, সরকারের সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ কাজ হচ্ছে জাতীয় মতৈক্যের ভিত্তিতে জরুরি সংস্কারগুলো সম্পন্ন করে সম্ভব স্বল্পতম সময়ের মধ্যে অবাধ ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন অনুষ্ঠান এবং নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তর করে মর্যাদার সঙ্গে বিদায় নেয়া। পণ্যমূল্যের লাগামহীন ঊর্ধ্বগতি মানুষকে নাজেহাল করে তুলছে। জনজীবনে রয়েছে উদ্বেগজনক নিরাপত্তাহীনতা। আইনশৃঙ্খলা রক্ষা বাহিনীসহ প্রশাসনকে এখনো পেশাদারি দক্ষতায় কার্যকরী করা যায়নি। এসব বিষয়ে কার্যকর পদক্ষেপ নেয়ার দাবি জানাই। এছাড়া আমাদের মধ্যে ঐক্য বাড়ছে না বরং সন্দেহ ও বিভাজনের নানা দোলাচল বাড়ছে। তাই রাজনৈতিক দলগুলোর মধ্যে বোঝাপড়া বাড়িয়ে ঐকমত্য গড়ে তুলতে হবে। ছাত্রদের নানা দাবি নিয়ে চারদিকে বিভ্রান্তি শুরু হয়েছে। সরকারের নিরপেক্ষ জায়গা প্রশ্নবিদ্ধ হলে নির্বাচন পিছিয়ে যেতে পারে, সরকারের দড়ি ছিঁড়ে যেতে পারে।
গণসংহতি আন্দোলনের প্রধান সমন্বয়ক জোনায়েদ সাকি বলেন, গণঅভ্যুত্থান চাইলেই ঘটানো যায় না। দীর্ঘ সংগ্রামের ধারাবাহিকতায় ছাত্র-জনতার ঐক্যবদ্ধ আন্দোলনে ঐতিহাসিক অভ্যুত্থান হয়েছে। এখন আমাদের যে লক্ষ্যের জায়গা, সেখানে ফ্যাসিবাদবিরোধী সব শক্তিকে একমত হতে হবে। আমাদের লক্ষ্য অর্জন বাধাগ্রস্ত হয়, এমন কাজ না করার জন্য সবার প্রতি আহবান জানাই। (ভোরের কাগজ)