বাংলাদেশ ডেস্ক : আওয়ামী লীগের সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের সত্য কথা বলেছেন তার দলের লোকেরা কোটি কোটি টাকা পাচার করেছে। ওবায়দুল কাদেরকে ধন্যবাদ জানিয়ে বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর বলেন, তাদের দলের লোকগুলো দুর্নীতি করে টাকা লুট করেছে। এই ধরনের লোকগুলো তাদের দলে আছে। এ দলের এমপি-মন্ত্রীরা দেশের টাকা লুট করে দেশের অর্থনীতিকে ভঙ্গুর করে দিয়েছে।
গতকাল বিকালে ঠাকুরগাঁও সদর উপজেলার জগ্ননাথপুর ইউনিয়নের খাগড়াবাড়ি এলাকায় ২০১৪ সালের ৫ই জানুয়ারির জাতীয় সংসদ নির্বাচনে সহিংসতায় নিহত ও আহতদের পরিবারের মাঝে আর্থিক সহায়তা প্রদান শেষে সাংবাদিকদের সঙ্গে এসব কথা বলেন।
তিনি বলেন, ২০১৪ সালের জাতীয় সংসদ নির্বাচন কেমন হয়েছিল তা আপনারা দেখেছেন। জনগণ সেই নির্বাচনকে বর্জন করেছে। ১৫৪ জন সংসদ সদস্যকে বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় নির্বাচিত ঘোষণা করেছে। সে সময়ে নির্বাচনী সহিংসতায় এ এলাকায় দুইজন শহীদ হন ও একজন আহত হন। প্রতি বছরের ন্যায় আজকে তাদের পাশে দাঁড়ানোর জন্য আমরা এসেছি। এ সরকারের অধীনে নির্বাচন হওয়ায় আজকে এই অবস্থা। আগামীতে নিরপেক্ষ সরকারের হাতে ক্ষমতা দিয়ে নির্বাচন পরিচালনা করতে হবে
যাতে করে জনগণের ভোটের মাধ্যমে জনপ্রতিনিধিরা নির্বাচিত হয়ে আসতে পারে।
বাণিজ্যমন্ত্রী টিপু মুনশি নিজেই একজন বড় ব্যবসায়ী। বাংলাদেশের ব্যবসায়ীদের সম্পর্কে তার পরিষ্কার ধারণা থাকা উচিত ছিল। সরকারি মদতে আজকে ব্যবসায়ীরা সিন্ডিকেট করে দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধি করেছে। দ্রব্যমূল্য বৃদ্ধির কারণে বাণিজ্যমন্ত্রী ও সরকারকে পদত্যাগ করা উচিত। তারা পুরোপুরিভাবে বাংলাদেশকে একটা ব্যর্থ রাষ্ট্রে পরিণত করেছে। সর্বক্ষেত্রে দুর্নীতি, লুটপাট, স্বজনপ্রীতি ও ব্যর্থ রাষ্ট্র পরিচালনার দায়ে সরকারকে পদত্যাগ করা উচিত। বাংলাদেশের অবস্থা শ্রীলঙ্কার মতো হতে বাধ্য। শ্রীলঙ্কার মতোই বাংলাদেশের অর্থনীতি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। ঋণের বোঝা অনেক বেড়ে গেছে। ইতিমধ্যে এটি ৪৭২ ডলার হয়েছে। অতিশিগগিরই এ সমস্যাটি বাড়বে ও মুদ্রাস্ফীতি বেড়ে যাবে।
এ সময় জেলা বিএনপি’র সভাপতি তৈমুর হোসেন, সদর উপজেলার সাধারণ সম্পাদক আব্দুল হামিদ ও জেলা, স্থানীয় বিএনপি ও অঙ্গসংগঠনের নেতাকর্মীরা উপস্থিত ছিলেন। খবর মানবজমিন
হককথা/এমউএ