এমপিরা আসতে পারেন
- প্রকাশের সময় : ১২:০০:৪০ পূর্বাহ্ন, বুধবার, ১৭ মে ২০২৩
- / ৪৪ বার পঠিত
বাংলাদেশ ডেস্ক : সংসদে প্রতিনিধিত্বকারী দলের সংসদ-সদস্যরা (এমপি) চাইলে তাদের নির্বাচনকালীন সরকারে নিতে কোনো আপত্তি নেই-এমন মন্তব্য করেছেন আওয়ামী লীগ সভাপতি প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমরা ‘ওয়েস্টমিনস্টার টাইপ অব ডেমোক্রেসি’ ফলো করি। ব্রিটেনে কীভাবে ইলেকশন হয়, তারা কীভাবে করে, আমরা সেভাবেই নির্বাচন করব। এর মধ্যে আমরা এটুকু উদারতা দেখাতে পারি, পার্লামেন্টে সংসদ-সদস্য যারা আছেন তাদের মধ্যে কেউ যদি ইচ্ছা প্রকাশ করেন যে, নির্বাচনকালীন সরকারে আসতে চান, আমরা নিতে রাজি আছি। এটুকু উদারতা আমাদের আছে, আগেও আমরা নিয়েছি। এমনকি ২০১৪ সালে খালেদা জিয়াকেও আমি আহ্বান করেছিলাম। তখন তো আসেনি। আর এখন তো তারা (বিএনপি) পার্লামেন্টেও নেই। কাজেই ওদের (বিএনপি) নিয়ে চিন্তারও কিছু নেই।
সোমবার সরকারি বাসভবন গণভবনে অনুষ্ঠিত সংবাদ সম্মেলনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী এসব কথা বলেন। সম্প্রতি তার জাপান, যুক্তরাষ্ট্র ও যুক্তরাজ্যে সাম্প্রতিক সফর নিয়ে শেখ হাসিনা এই সংবাদ সম্মেলন করেন। প্রায় দেড় ঘণ্টারও বেশি সময় ধরে চলা সংবাদ সম্মেলনে ত্রিদেশীয় সফর ছাড়াও দেশের সর্বশেষ রাজনীতি, অর্থনীতি, বিরোধী দলের আন্দোলনসহ নানা ইস্যুতে সাংবাদিকদের অসংখ্য প্রশ্নের স্বভাবসুলভ হাসিমুখে সবগুলোর উত্তর দেন। সংবাদ সম্মেলনে নির্বাচন নিয়ে বিএনপির সঙ্গে সংলাপ প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আলোচনায় কিসের জন্য ডাকতে যাব? তাদের ডিমান্ডই তো ঠিক নেই। এ বিষয়ে অপর এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যুক্তরাজ্যে যারা ছিলেন তখন বৃষ্টি নেমেছিল। আমি ভাবলাম বাংলাদেশের প্রবাসী তারা বৃষ্টিতে ভিজবে তার চেয়ে তাদের ডাকি, কী বলতে চায় শুনি। এখন ঢাকায় বা বাংলাদেশে যারা তাদের যদি বৃষ্টিতে ভেজা শখের মধ্যে থাকে তারা থাকুক।
নির্বাচন নিয়ে কোনো ভয় নেই : দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন প্রসঙ্গে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, নির্বাচন আসছে বলে ভয় পাব! কেন ভয় পাব? আমি জনগণের জন্য কাজ করেছি, জনগণ যদি ভোট দেয় আছি, না দিলে নাই। আমাদের টার্গেট বাংলাদেশের উন্নয়ন, মানুষের জীবনমানের অগ্রগতি। আজ বাংলাদেশ উন্নয়নশীল দেশের মর্যাদা পেয়েছে। বিএনপির আন্দোলন বিষয়ে শেখ হাসিনা বলেন, তারা মাইক লাগিয়ে আন্দোলন করেই যাচ্ছে। সরকার হটাবে! আমরা তো তাদের কিছু বলছি না। আমরা যখন অপজিশনে ছিলাম আমাদের কি রাস্তায় নামতে দিয়েছে? গ্রেনেড হামলা করে হত্যা করার চেষ্টা করেছে। আমাদের ২১ হাজার নেতাকর্মীকে হত্যা করেছে। আগুন দিয়ে পুড়িয়ে মানুষ মেরেছে। নির্বাচন ঠেকাতে ৫০০ স্কুল পুড়িয়ে দিয়েছে। সাড়ে তিন হাজার লোককে আগুনে পোড়ানো হয়েছে। তিন হাজার ৮০০ গাড়ি, ২৭টি রেল, ৯টি লঞ্চ, ৭০টি সরকারি অফিস পুড়িয়েছে। তারা তো জ্বালা-পোড়াওই করে গেছে।
ক্ষতি আর করতে দেব না : প্রধানমন্ত্রী আরও বলেন, আমি বলে দিয়েছি, আন্দোলন করুক কোনো আপত্তি নেই। কিন্তু জ্বালা-পোড়াও যদি করতে যায়, কোনো মানুষকে যদি আবার এ রকম করে পোড়ায়, তাকে ছাড়ব না। মানুষের ক্ষতি আর করতে দেব না। তিনি বলেন, ২০০৮ সালের নির্বাচনে তাদের ২০ দলীয় ঐক্যজোট। সিট পেয়েছে মাত্র ২৯টি। তারা আবার বড় বড় কথা বলে। আর দালালি তো আছেই। কার পয়সায় আন্দোলন করছে, কোথা থেকে টাকা পাচ্ছে? বাংলাদেশের মানুষ কি এত অন্ধ হয়ে গেছে, চোখে দেখে না। তিনি বলেন, হাজার হাজার কোটি টাকা তো লুট করে নিয়েই গেছে। আর কাদের মদদে করছে সেটা (আন্দোলন) একটু খোঁজ নিন। এত লোক নিয়ে আসে আর প্রতিদিন মাইক লাগিয়ে বক্তৃতা দিচ্ছে, এগুলো তো বিনা পয়সায় হচ্ছে না। মানি লন্ডারিং তো খালেদা জিয়ার দুই পুত্রই করেছে। পাচারকৃত ৪০ কোটি টাকা ফেরত এনেছি। তাদের অনেক নেতার বিদেশের নানা ব্যাংকে পাচারকৃত টাকা আছে, অনেকগুলো জব্দ অবস্থায় আছে। তাদের আবার বড় বড় কথা!
আরোও পড়ুন । হঠাৎ নয়, রাজপথ থেকে বঙ্গভবনে গিয়েছি : রাষ্ট্রপতি
উন্নত দেশেও খাবার কেনা সীমিত করে দেওয়া হচ্ছে : স্যাংশনের বিষয়ে এক প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের কী কারণে স্যাংশন (নিষেধাজ্ঞা) দেবে? যাদের দিয়ে (র্যাব) আমরা সন্ত্রাস দমন করলাম, জঙ্গিবাদ দমন করলাম। হলি আর্টিজানের পর বাংলাদেশে আর তেমন কোনো বড় ঘটনা ঘটেনি। কারণ আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গোয়েন্দা নজরদারি এবং আরও কিছু ভালো কাজ করেছে। যার ফলে আর কিছু তেমন হয়নি। এরপরও স্যাংশন কেন? সেটাই আমাদের প্রশ্ন। তিনি বলেন, অর্থ মন্ত্রণালয়কে, কেনাকাটার বিষয়ে পরিকল্পনা মন্ত্রণালয়কে বলে দিয়েছি। এখন থেকে শর্ত থাকবে, যারা আমাদের স্যাংশন দেবে তাদের থেকে কোনো কিছু কেনাকাটা করব না। পরিষ্কার কথা। এখানে ভয়ের কী আছে? যেটা নিয়ে সমস্যা হয় সেটা আমরা উৎপাদন করে সমাধান করতে পারি।
তিনি আরও বলেন, বিশ্বব্যাপী মুদ্রাস্ফীতি, খাদ্যের অভাব। উন্নত দেশেও খাবার কেনা সীমিত করে দেওয়া হচ্ছে। যারা বড়লোক তাদের অসুবিধা নেই, সাধারণ মানুষের তো অনেক অসুবিধা হচ্ছে। সেদিক থেকে আমরা তো আমাদের মানুষকে প্রণোদনা দিয়েছি। রোজার সময় তো মানুষের হাহাকার শোনা যায়নি। প্রধানমন্ত্রী বলেন, রোজার সময় মানুষকে যথেষ্ট সাহায্য করেছি। আমাদের নেতাকর্মীরা করেছে। আমাদের দুশ্চিন্তার কী আছে? কথা নেই, বার্তা নেই, স্যাংশনের ভয় দেখাবে! আমরা ভয় পেয়ে বসে থাকব কেন? আমরা মুক্তিযুদ্ধ করে দেশ স্বাধীন করেছি। যারা আমাদের সপ্তম নৌবহরের ভয় দেখিয়েছিল, আমরা সেটি পার করে বিজয় অর্জন করেছি। সেটি ভুললে চলবে না, আত্মবিশ্বাস নিয়ে চলতে হবে। আমাদের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ, এটা-সেটা শুনতে হয়।
দেশেরই কিছু মানুষ দেশের বদনাম করে : প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমাদের দেশেরই কিছু মানুষ দেশের বদনাম করে। তারা যে দুর্নীতিসহ কত অপকর্মের সঙ্গে জড়িত সেগুলো আমাদের সাংবাদিকরা খুঁজে বের করে না। সাংবাদিকরা খুঁজলে অনেক তথ্য পাবে। আবার দেশে কিছু লেবার লিডার আছেন-ভালো গাড়িতে চড়ে ভালো খাবার খেয়ে আবার বিদেশে গিয়ে দেশের বদনাম করে আসে। এটাই হলো সবচেয়ে বড় দুর্ভাগ্য। বাংলাদেশের মাটি উর্বর, দেশের মানুষ শক্তিশালী। দেশের যুব-তরুণ-মায়েরা সবাই কাজ করেন। সবাই মিলে আমরা নিজেরা উৎপাদন করে নিজেরা খাব। স্যাংশন দিলে সেই দেশ থেকে কিছু কিনব না, এটি স্পষ্ট কথা।
রিজার্ভ নিয়ে কোনো দুশ্চিন্তার কিছু নেই : দেশে বর্তমানে যে পরিমাণ রিজার্ভ আছে, তা নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই বলে জানান প্রধানমন্ত্রী। এ সংক্রান্ত এক প্রশ্নের জবাবে তিনি বলেন, দেশে যে ডলার সংকট আছে তা কেটে যাবে। প্রধানমন্ত্রী বলেন, দেশে বর্তমানে ৩১ দশমিক ২২ বিলিয়ন রিজার্ভ রয়েছে। ২০০৬ সালে ছিল এক বিলিয়নেরও কম। সুতরাং রিজার্ভ নিয়ে দুশ্চিন্তার কোনো কারণ নেই। তিনি বলেন, কোনো দেশে তিন মাসের আমদানি ব্যয় মেটানোর মতো রিজার্ভ থাকলেই যথেষ্ট। সে হিসাবে আমাদের আরও বেশি রয়েছে। এজন্য রিজার্ভ কমে যাওয়াকে দুশ্চিন্তার কারণ হিসাবে দেখছে না সরকার।
বিশ্বের কেউ পেইন্টিং চাইতে পারেন : প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা তার যুক্তরাষ্ট্র সফরের সময় বিশ্বব্যাংকের প্রেসিডেন্ট ডেভিড ম্যালপাসের কাছে পদ্মা বহুমুখী সেতুর একটি পেইন্টিং তুলে দেন। সেটি সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে বেশ সাড়া ফেলেছিল। দুর্নীতির অভিযোগ এনে এই বিশ্বব্যাংকই পদ্মা সেতু নির্মাণে অর্থায়ন বন্ধ করে দিয়েছিল। সরকার চ্যালেঞ্জ দিয়ে সেই স্বপ্নের পদ্মা সেতু নির্মাণ করে। এ বিষয়ে সাংবাদিকরা জানতে চাইলে প্রধানমন্ত্রী বলেন, পেইন্টিংটা আমরা এজন্য নিয়ে গেছি যে, আমাদের দেশে যে খুব ভালো পেইন্টার আছে, তারা খুব চমৎকার পেইন্টিং করতে পারেন। সেটা জানানোর জন্য। বিশ্বের কারও যদি পেইন্টিং প্রয়োজন হয়, আমাদের কাছে চাইতে পারবেন। আর পেইন্টিংয়ের বিষয়বস্তুটা হচ্ছে, বাংলাদেশের মানুষের সবচেয়ে প্রিয় জায়গাটা-পদ্মা সেতু। এটাই, আর কিছু নয়।
সামরিক স্বৈরশাসকদের সময়ে ঢাকার নদী-খাল ভরাট করা হয়েছে, আওয়ামী লীগ সরকার ক্ষমতায় এসে কিছু উদ্ধার করেছে উল্লেখ করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, কারা নদীখেকো তাদের খুঁজে বের করতে হবে। সরকারি চাকরির বয়সসীমা বাড়ানো হবে কিনা-এমন প্রশ্নের জবাবে প্রধানমন্ত্রী বলেন, বয়সসীমা বাড়ানো নয়, যারা কোভিডের কারণে চাকরির পরীক্ষা দিতে পারেনি, তাদের ক্ষেত্রে শিথিল করা হয়েছে। তাদের অনেকে চাকরি পেয়েও গেছেন। তিনি বলেন, বয়সসীমা নিয়ে একটা কথা বলি, এটা নিয়ে আন্দোলন হলো। পরে একটা হিসাব নিলাম। ২৪-২৫ বছর বয়সের ছেলেমেয়েরা যখন পরীক্ষা দেয়, তার যে রেজাল্ট আসে, ৩০ বছর পর্যন্ত চাকরি দিলেও, ৩০ বছর বয়সে যে পরীক্ষা দেয়, সে কিন্তু বেশিরভাগ ফেল করে। তার ওই রেজাল্ট আসে না। আমি পুরো চার্ট বের করে নিয়ে এসেছিলাম। কম্পিটিশন করার, কাজ করার একটা দক্ষতা থাকতে হবে। পাশ করার একটা সময় থাকে।
মহার্ঘ ভাতার বিষয়ে প্রধানমন্ত্রী বলেন, যেহেতু ইনফ্লেশন কিছু বৃদ্ধি পেয়েছে, আমরা সেই জায়গায় আবার কতটুকু পর্যন্ত সুযোগ দেওয়া যায় সেই চিন্তাভাবনা করছি। কমিশন কর, এটা কর, সেটা কর, এতে খুব বেশি লাভ হয় না। কিছু লোক বঞ্চিত হয়ে যায়, আর কিছু লোক লাভবান হয়। এজন্য প্রতিবছরের হিসাব মতো ইনফ্লেশন যত বাড়বে তার সঙ্গে সামঞ্জস্য রেখে আমরা বেতন বাড়াব। আওয়ামী লীগের নির্বাচনি ইশতেহার ‘স্মার্ট বাংলাদেশ’ হবে বলে জানান শেখ হাসিনা। তিনি বলেন, আমাদের আগামী নির্বাচনের ইশতেহার হবে স্মার্ট বাংলাদেশ। যদিও এটা আগেই বলে দিয়েছি। কিন্তু এটাই হবে, বাংলাদেশকে আমরা স্মার্ট বাংলাদেশ হিসাবে গড়ব।
সাংবাদিকদের উদ্দেশে প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা বলেন, বঙ্গবন্ধু এক সময় সাংবাদিকতা করেছেন। কাজেই আপনারা জানেন, আপনাদের প্রতি সব সময় আমার আলাদা এক সহানুভূতি আছে। আন্দোলন সংগ্রামে আপনারা পাশে ছিলেন, আমরাও ছিলাম। তবে মালিকদের সঙ্গে কী করণীয় সেটা আপনারা করেন। আমরা আপনাদের পাশে আছি। তিনি বলেন, যারা পত্রিকার মালিক তারা সবাই অর্থশালী ও বিত্তশালী। তাই সাংবাদিকদের ভালো-মন্দ দেখা তাদের দায়িত্ব ও কর্তব্য। সংবাদপত্রের সব মালিক বড়লোক। তাদের ব্যবসা আছে। কিন্তু করোনার সময় প্রণোদনার সুযোগটা কিন্তু তারা নিয়েছেন। আপনাদের দাবিটা আপনাদের আদায় করতে হবে। এটা হলো কথা।
এর আগে বক্তব্যের শুরুতে ঘূর্ণিঝড় মোখার ক্ষয়ক্ষতি থেকে বাংলাদেশকে রক্ষার জন্য সৃষ্টিকর্তার শুকরিয়া আদায় করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, আমরা ক্ষয়ক্ষতি হ্রাসে যথেষ্ট প্রস্তুতি গ্রহণ করেছিলাম। আমি নিজে সার্বক্ষণিক খোঁজখবর নিয়েছি, নানা নির্দেশনা দিয়েছি। আমরা উপকূলীয় ১৩ জেলায় ৭ হাজার ৪০টি আশ্রয়কেন্দ্র খুলেছিলাম। আশ্রয়কেন্দ্রগুলোতে সাড়ে সাত লাখেরও বেশি মানুষ আশ্রয় নিয়েছিল। ক্ষতিগ্রস্ত এলাকায় দ্রুত পুনর্বাসন কার্যক্রম গ্রহণের জন্য নির্দেশনা দেওয়া হয়েছে।
সংবাদ সম্মেলনে প্রধানমন্ত্রীর পাশে মূলমঞ্চে আওয়ামী লীগ সাধারণ সম্পাদক ওবায়দুল কাদের, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য ও সংসদ উপনেতা বেগম মতিয়া চৌধুরী, সভাপতিমণ্ডলীর সদস্য শেখ ফজলুল করিম সেলিম, ইঞ্জিনিয়ার মোশাররফ হোসেন, পরিকল্পনামন্ত্রী এমএ মান্নান এবং প্রধানমন্ত্রীর বেসরকারি বিনিয়োগবিষয়ক উপদেষ্টা সালমান এফ রহমান উপস্থিত ছিলেন। এছাড়া দেশের শীর্ষস্থানীয় গণমাধ্যমের প্রধানসহ জ্যেষ্ঠ সম্পাদক-সাংবাদিকসহ আওয়ামী লীগের জ্যেষ্ঠ নেতা, মন্ত্রিসভার সদস্য, সংসদ-সদস্যরাসহ সামরিক-বেসামরিক ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তারা উপস্থিত ছিলেন। সংবাদ সম্মেলন সঞ্চালনা করেন প্রধানমন্ত্রীর প্রেস সচিব ইহসানুল করিম।
উন্নয়নের ধারা অব্যাহত রাখতে আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করুন : বাসস জানায়, দেশের অব্যাহত উন্নয়নের ধারা যাতে ব্যাহত না হয়, সেই লক্ষ্যে দেশপ্রেম ও আন্তরিকতার সঙ্গে কাজ করার জন্য বিসিএস ক্যাডারের নতুন কর্মকর্তাদের নির্দেশ দিয়েছেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। তিনি বলেছেন, ‘২০০৯ থেকে ২০২৩ সাল-এই ১৪ বছরে অবকাঠামোগত উন্নয়ন, খাদ্য উৎপাদন, শিক্ষা ও ডিজিটাল পদ্ধতির ব্যবহার এবং অন্যান্য খাতে ব্যাপক অগ্রগতি হয়েছে। দেশ অনেক এগিয়েছে। উন্নয়নের এই ধারা অব্যাহত রাখতে হবে। এজন্য আপনাদের দেশপ্রেম ও নিষ্ঠার সঙ্গে কাজ করতে হবে।’
সোমবার রাজধানীর শাহবাগে বিসিএস প্রশাসন একাডেমিতে প্রশাসন ক্যাডারের ১২৭তম, ১২৮তম ও ১২৯তম আইন ও প্রশাসন প্রশিক্ষণ কোর্সের সার্টিফিকেট প্রদান এবং সমাপনী অনুষ্ঠানে দেওয়া বক্তব্যে তিনি এ কথা বলেন। প্রধানমন্ত্রী বলেন, ‘সংবিধানের ২১(২) অনুচ্ছেদ অনুযায়ী সরকারি কর্মচারীরা জনগণের সেবা করতে বাধ্য। তাই আমি চাই, আপনারা (নতুন কর্মকর্তারা) জনগণের সেবক হিসাবে কাজ করুন।’ তিনি বলেন, ‘আমি নিজেকে কখনোই প্রধানমন্ত্রী ভাবি না। আমি নিজেকে জনগণের সেবক মনে করি। তাদের সেবা করাই আমার একমাত্র দায়িত্ব।’ অনুষ্ঠানে প্রধানমন্ত্রী জয় বাংলা (১২৭তম), রঙিন বাংলাদেশ (১২৮তম) ও গর্বিত বাংলাদেশ (১২৯তম) শীর্ষক তিনটি স্মারক এবং প্রধানমন্ত্রীর কার্যালয়ের (পিএমও) তত্ত্বাবধানে সম্পন্ন একটি গবেষণাপত্রের মোড়ক উন্মোচন করেন। সূত্র : যুগান্তর
বেলী/হককথা