নিউইয়র্ক ০৯:৫৩ পূর্বাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ০৬ মার্চ ২০২৫, ২২ ফাল্গুন ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

এমডি তাকসিমসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১১:০৯:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩
  • / ৫০ বার পঠিত

বাংলাদেশ ডেস্ক : আইন লঙ্ঘন করে অর্গানোগ্রাম-বহির্ভূতভাবে দু’জন পরিচালক নিয়োগ দিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা ওয়াসার সাবেক চেয়ারম্যান, বর্তমান এমডিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নিয়োগ দুর্নীতির অনুসন্ধান প্রতিবেদনে ওই ১০ জনের নামে মামলার সুপারিশ করেছে অনুসন্ধান দল। দুদক সূত্রে জানা গেছে, কমিশনের আইন অনুবিভাগ অনুসন্ধান প্রতিবেদনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওই ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলার পক্ষে মত দিয়েছে। প্রতিবেদনটি কমিশনে উপস্থাপন করা হয়েছে। কমিশনের অনুমোদনের পর অভিযুক্তদের নামে মামলা হবে।

অভিযুক্ত ১০ জন হলেন– ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক প্রকৌশলী ড. মো. হাবিবুর রহমান, বোর্ড সদস্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব (বাজেট-২) সুধাংশু শেখর বিশ্বাস, দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস অব বাংলাদেশের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মু. মাহমুদ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী এ কে এম এ হামিদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হাসিবুর রহমান মানিক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলেয়া সারোয়ার ডেইজী, ঢাকা ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী তাকসিম এ খান, সাবেক পরিচালক (উন্নয়ন) আবুল কাশেম ও সাবেক পরিচালক (কারিগরি) এ কে এম সহিদ উদ্দিন।

দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে দুই সদস্যের বিশেষ অনুসন্ধান দলটি ঢাকা ওয়াসায় দুই পরিচালক নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করে। জানা গেছে, ঢাকা ওয়াসার সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক প্রকৌশলী ড. মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ ২৫২তম বোর্ড সভায় আট সদস্যের উপস্থিতিতে সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেমকে পরিচালক (উন্নয়ন) ও আরেক সাবেক প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম সহিদ উদ্দিনকে পরিচালক (কারিগরি) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁরা সাড়ে চার বছর বেতন-ভাতা বাবদ সরকারের তহবিল থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা বেআইনিভাবে তুলেছেন। সাবেক পরিচালক আবুল কাশেম ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল থেকে গত আগস্ট পর্যন্ত মোট ৯৯ লাখ ৫২ হাজার ২৭১ টাকা ও সাবেক পরিচালক এ কে এম সহিদ উদ্দিন ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল থেকে গত আগস্ট পর্যন্ত মোট ৯৯ লাখ ১৩ হাজার ৭০৯ টাকা বেতন-ভাতা নেন।

আরোও পড়ুন। বহুদলীয় গণতন্ত্রের শেষ সম্ভাবনাও হুমকিতে

অর্গানোগ্রাম পরিচালক উন্নয়ন ও কারিগরি পদ নেই

ওয়াসার অর্গানোগ্রামে উন্নয়ন ও কারিগরি বিভাগে পরিচালকের কোনো পদ না থাকলেও ওই দু’জনকে বেআইনিভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল আবুল কাশেম পরিচালক (উন্নয়ন) এবং এ কে এম সহিদ উদ্দিন পরিচালক (কারিগরি) পদে নিয়োগ পান। দ্বিতীয়বার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল ২০২০ সালের ৪ এপ্রিল। তৃতীয়বার মেয়াদ বাড়ানো হয় গত বছরের ৪ এপ্রিল। প্রথমবার পরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়ার কয়েক দিন পর এ কে এম সহিদ উদ্দিনকে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল।

গত বছরের ৪ এপ্রিল উভয়ের পরিচালক পদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গত ৭ সেপ্টেম্বর সহিদ উদ্দিনকে ডিএমডি (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) হিসেবে দুই বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই সময় আবুল কাশেমকেও ডিএমডি পদে নিয়োগের প্রস্তাব বোর্ড সভায় তোলা হলে তা নাকচ হয়। পরে গত ৮ সেপ্টেম্বর তাঁকে আবারও উপদেষ্টা হিসেবে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। বর্তমানে সহিদ উদ্দিন ডিএমডি (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) পদে করছেন। আবুল কাশেম এখন অবসরে আছেন।

দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজাম্মেল হক খান সমকালকে বলেন, ঢাকা ওয়াসার এমডির অবৈধ সম্পদ অর্জন, নিয়োগ-বাণিজ্য ও প্রকল্পে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ দুদকে এসেছে। এর মধ্যে কিছু অভিযোগ অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। বিশেষ করে দুই পরিচালক নিয়োগের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন অনুসন্ধানকারী দল জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনটি বিশ্লেষণ করে আইনি ব্যবস্থা নেত্তয়া হবে।

ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক প্রকৌশলী ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, দু’জন পরিচালকের নিয়োগের ব্যাপারে বোর্ডের সুপারিশ ও সভার রেজ্যুলেশন এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর আগেই ঢাকা ওয়াসা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ তাঁদের নিয়োগ দিয়েছিল। এ কারণে মন্ত্রণালয় ওই দুই পরিচালকের বেতন-ভাতা বন্ধ করতে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিল। চিঠি পাওয়ার পরও তাঁদের বেতন-ভাতা বন্ধ করা হয়নি। সূত্র : সমকাল
সুমি/হককথা

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

এমডি তাকসিমসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করবে দুদক

প্রকাশের সময় : ১১:০৯:১৫ অপরাহ্ন, বুধবার, ২৪ মে ২০২৩

বাংলাদেশ ডেস্ক : আইন লঙ্ঘন করে অর্গানোগ্রাম-বহির্ভূতভাবে দু’জন পরিচালক নিয়োগ দিয়ে সরকারি অর্থ আত্মসাতের অভিযোগে ঢাকা ওয়াসার সাবেক চেয়ারম্যান, বর্তমান এমডিসহ ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করতে যাচ্ছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নিয়োগ দুর্নীতির অনুসন্ধান প্রতিবেদনে ওই ১০ জনের নামে মামলার সুপারিশ করেছে অনুসন্ধান দল। দুদক সূত্রে জানা গেছে, কমিশনের আইন অনুবিভাগ অনুসন্ধান প্রতিবেদনটি পরীক্ষা-নিরীক্ষা করে ওই ১০ জনের বিরুদ্ধে মামলার পক্ষে মত দিয়েছে। প্রতিবেদনটি কমিশনে উপস্থাপন করা হয়েছে। কমিশনের অনুমোদনের পর অভিযুক্তদের নামে মামলা হবে।

অভিযুক্ত ১০ জন হলেন– ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক প্রকৌশলী ড. মো. হাবিবুর রহমান, বোর্ড সদস্য অর্থ মন্ত্রণালয়ের সাবেক অতিরিক্ত সচিব (বাজেট-২) সুধাংশু শেখর বিশ্বাস, দি ইনস্টিটিউট অব চার্টার্ড অ্যাকাউন্টস অব বাংলাদেশের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট মু. মাহমুদ হোসেন, ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশন বাংলাদেশের সাবেক ভাইস প্রেসিডেন্ট প্রকৌশলী মো. নুরুজ্জামান, ইনস্টিটিউশন অব ডিপ্লোমা ইঞ্জিনিয়ার্সের সাবেক সভাপতি প্রকৌশলী এ কে এম এ হামিদ, ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের ২৬ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর মো. হাসিবুর রহমান মানিক, ঢাকা উত্তর সিটি করপোরেশনের সংরক্ষিত ১২ নম্বর ওয়ার্ড কাউন্সিলর আলেয়া সারোয়ার ডেইজী, ঢাকা ওয়াসার এমডি প্রকৌশলী তাকসিম এ খান, সাবেক পরিচালক (উন্নয়ন) আবুল কাশেম ও সাবেক পরিচালক (কারিগরি) এ কে এম সহিদ উদ্দিন।

দুদকের প্রধান কার্যালয়ের উপপরিচালক সৈয়দ নজরুল ইসলামের নেতৃত্বে দুই সদস্যের বিশেষ অনুসন্ধান দলটি ঢাকা ওয়াসায় দুই পরিচালক নিয়োগে অনিয়ম-দুর্নীতির অভিযোগ অনুসন্ধান করে। জানা গেছে, ঢাকা ওয়াসার সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক প্রকৌশলী ড. মো. হাবিবুর রহমানের সভাপতিত্বে ২০১৮ সালের ২৯ মার্চ ২৫২তম বোর্ড সভায় আট সদস্যের উপস্থিতিতে সাবেক প্রধান প্রকৌশলী মো. আবুল কাশেমকে পরিচালক (উন্নয়ন) ও আরেক সাবেক প্রধান প্রকৌশলী এ কে এম সহিদ উদ্দিনকে পরিচালক (কারিগরি) পদে নিয়োগ দেওয়া হয়। তাঁরা সাড়ে চার বছর বেতন-ভাতা বাবদ সরকারের তহবিল থেকে প্রায় দুই কোটি টাকা বেআইনিভাবে তুলেছেন। সাবেক পরিচালক আবুল কাশেম ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল থেকে গত আগস্ট পর্যন্ত মোট ৯৯ লাখ ৫২ হাজার ২৭১ টাকা ও সাবেক পরিচালক এ কে এম সহিদ উদ্দিন ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল থেকে গত আগস্ট পর্যন্ত মোট ৯৯ লাখ ১৩ হাজার ৭০৯ টাকা বেতন-ভাতা নেন।

আরোও পড়ুন। বহুদলীয় গণতন্ত্রের শেষ সম্ভাবনাও হুমকিতে

অর্গানোগ্রাম পরিচালক উন্নয়ন ও কারিগরি পদ নেই

ওয়াসার অর্গানোগ্রামে উন্নয়ন ও কারিগরি বিভাগে পরিচালকের কোনো পদ না থাকলেও ওই দু’জনকে বেআইনিভাবে নিয়োগ দেওয়া হয়েছিল। ২০১৮ সালের ৪ এপ্রিল আবুল কাশেম পরিচালক (উন্নয়ন) এবং এ কে এম সহিদ উদ্দিন পরিচালক (কারিগরি) পদে নিয়োগ পান। দ্বিতীয়বার মেয়াদ বাড়ানো হয়েছিল ২০২০ সালের ৪ এপ্রিল। তৃতীয়বার মেয়াদ বাড়ানো হয় গত বছরের ৪ এপ্রিল। প্রথমবার পরিচালক পদে নিয়োগ দেওয়ার কয়েক দিন পর এ কে এম সহিদ উদ্দিনকে ভারপ্রাপ্ত এমডির দায়িত্বও দেওয়া হয়েছিল।

গত বছরের ৪ এপ্রিল উভয়ের পরিচালক পদের মেয়াদ শেষ হওয়ার আগেই গত ৭ সেপ্টেম্বর সহিদ উদ্দিনকে ডিএমডি (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) হিসেবে দুই বছরের চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। ওই সময় আবুল কাশেমকেও ডিএমডি পদে নিয়োগের প্রস্তাব বোর্ড সভায় তোলা হলে তা নাকচ হয়। পরে গত ৮ সেপ্টেম্বর তাঁকে আবারও উপদেষ্টা হিসেবে এক বছরের জন্য চুক্তিভিত্তিক নিয়োগ দেওয়া হয়। বর্তমানে সহিদ উদ্দিন ডিএমডি (অপারেশন অ্যান্ড মেইনটেন্যান্স) পদে করছেন। আবুল কাশেম এখন অবসরে আছেন।

দুদক কমিশনার (অনুসন্ধান) ড. মো. মোজাম্মেল হক খান সমকালকে বলেন, ঢাকা ওয়াসার এমডির অবৈধ সম্পদ অর্জন, নিয়োগ-বাণিজ্য ও প্রকল্পে দুর্নীতির মাধ্যমে অর্থ আত্মসাতের অভিযোগ দুদকে এসেছে। এর মধ্যে কিছু অভিযোগ অনুসন্ধানে উল্লেখযোগ্য অগ্রগতি হয়েছে। বিশেষ করে দুই পরিচালক নিয়োগের বিষয়ে একটি প্রতিবেদন অনুসন্ধানকারী দল জমা দিয়েছে। প্রতিবেদনটি বিশ্লেষণ করে আইনি ব্যবস্থা নেত্তয়া হবে।

ঢাকা ওয়াসা বোর্ডের সাবেক চেয়ারম্যান অধ্যাপক প্রকৌশলী ড. মো. হাবিবুর রহমান বলেন, দু’জন পরিচালকের নিয়োগের ব্যাপারে বোর্ডের সুপারিশ ও সভার রেজ্যুলেশন এলজিআরডি মন্ত্রণালয়ে পাঠানোর আগেই ঢাকা ওয়াসা ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষ তাঁদের নিয়োগ দিয়েছিল। এ কারণে মন্ত্রণালয় ওই দুই পরিচালকের বেতন-ভাতা বন্ধ করতে ব্যবস্থাপনা কর্তৃপক্ষের কাছে চিঠি পাঠিয়েছিল। চিঠি পাওয়ার পরও তাঁদের বেতন-ভাতা বন্ধ করা হয়নি। সূত্র : সমকাল
সুমি/হককথা