নিউইয়র্ক ১২:৩৬ অপরাহ্ন, বৃহস্পতিবার, ২৬ ডিসেম্বর ২০২৪, ১২ পৌষ ১৪৩১ বঙ্গাব্দ
বিজ্ঞাপন :
মঙ্গলবারের পত্রিকা সাপ্তাহিক হককথা ও হককথা.কম এ আপনার প্রতিষ্ঠানের বিজ্ঞাপন দিতে যোগাযোগ করুন +1 (347) 848-3834

একরামসহ সব হত্যার নির্বাহী তদন্ত হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

রিপোর্ট:
  • প্রকাশের সময় : ১২:৪২:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ জুন ২০১৮
  • / ৭৩৭ বার পঠিত

ঢাকা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে কক্সবাজারের টেকনাফের কাউন্সিলর একরামুল হকসহ দেশব্যাপী মাদক অভিযানে সব হত্যার তদন্ত হবে। বুধবার (৩০ মে) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজ দফতরে বাংলাদেশে দেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের সঙ্গে বৈঠক করেন। অপর দিকে বৈঠক শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট সাংবাদিক বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে নিহতের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।চলমান মাদক বিরোধী অভিযানের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলি চালিয়েছে আত্মরক্ষায়। প্রতিটি বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাই তদন্ত চলছে জানিয়ে অন্যায় হলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসও দেন তিনি।
যাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে, তাদের নাম সতর্কতার সঙ্গে যাচাই বাছাইয়ের দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা শুধু একটি গোয়েন্দা সংস্থা নয়, মোট পাঁচটি গোয়েন্দা সংস্থা দ্বারা এই তালিকা তৈরি করেছি। এ তালিকায় যে নামগুলো কমন পড়েছে সেই তালিকা নিয়ে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। এর সাথে আমরা ব্যাপকভাবে প্রচারের ব্যবস্থাও করেছি। যাতে করে মাদকের ডিমান্ড কমে যায়। মাদকবিরোধ অভিযানের পাশাপাশি সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার বন্ধেও উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান তিনি। এ ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা পেলেও মিয়ানমার কোনো সহযোগিতা করছে না বলেও জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমমন্ত্রী বলেন, আমি নিজে মিয়ানমারের সরকার প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা কোনো গুরুত্ব দেয়নি। প্রতিটি ঘটনাতেই মাদক কারবারিরা আগে গুলি চালিয়েছে। আর আত্মরক্ষায় চালানো পাল্টা গুলিতেই প্রাণ গেছে সন্দেহভাজন মাদক কারবারীদের। মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে খালি হাতে গেলে কেউ ফিরে আসবে না। এজন্য আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী অস্ত্র হাতে যান এবং সেখানে মাদক ব্যবসায়ীরা যখন ফায়ার করছে তখন উল্টো ফায়ার করলে এ ধরনের মৃত্যের ঘটনা ঘটছে।
বার্নিকাটের সঙ্গে বৈঠক সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এ অভিযানের প্রশংসা করেছেন, কিন্তু এভাবে মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি (বার্নিকাট)। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বার্নিকোট আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন এ ঘটনায় আরও কতজন লোক জেলে আছেন এবং কতজন লোক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আমরা তার পূর্ণ বিবরণ তাকে দিয়েছি। তিনি বলেছেন, মাদকের বিস্তার বন্ধ করতে হবে। তবে যারা মারা গেছেন তাদের বিষয়ে আরও একটু কেয়ারফুল (সতর্ক) হওয়ার জন্য আমাদেরকে বলেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা বার্নিকাটকে বলেছি, যেখানেই গানফায়ার হচ্ছে সেখানে একটি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থেকে তদন্ত করছে। কোনো জায়গায় অন্যায়ভাবে হত্যার ঘটনা ঘটলে আমাদের বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমাদের সরকার হত্যা করার জন্য কখনই আমাদেরকে নির্দেশ দেননি। কাউকে হত্যা করার জন্য আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করে না। সবাইকে শুধরানোর জন্য আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে। জঙ্গি এবং সন্ত্রাস যেভাবে আমাদের জনগণকে নিয়ে আমরা মোকাবেলা করেছি সেভাবেই আমাদের জনগণকে নিয়ে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। (দৈনিক ইত্তেফাক)

সোশ্যাল মিডিয়ায় খবরটি শেয়ার করুন

About Author Information

একরামসহ সব হত্যার নির্বাহী তদন্ত হবে : স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী

প্রকাশের সময় : ১২:৪২:২১ পূর্বাহ্ন, শনিবার, ২ জুন ২০১৮

ঢাকা: স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল জানিয়েছেন, নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেটের মাধ্যমে কক্সবাজারের টেকনাফের কাউন্সিলর একরামুল হকসহ দেশব্যাপী মাদক অভিযানে সব হত্যার তদন্ত হবে। বুধবার (৩০ মে) সচিবালয়ে নিজ দফতরে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে তিনি একথা জানান। এর আগে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী নিজ দফতরে বাংলাদেশে দেশে নিযুক্ত মার্কিন রাষ্ট্রদূত মার্শা বার্নিকাটের সঙ্গে বৈঠক করেন। অপর দিকে বৈঠক শেষে মার্কিন রাষ্ট্রদূত বার্নিকাট সাংবাদিক বলেন, মাদকের বিরুদ্ধে চলমান অভিযানে নিহতের ঘটনায় উদ্বেগ জানিয়েছে যুক্তরাষ্ট্র।চলমান মাদক বিরোধী অভিযানের ব্যাপারে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাবে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, প্রতিটি ঘটনায় আইনশৃঙ্খলা বাহিনী গুলি চালিয়েছে আত্মরক্ষায়। প্রতিটি বন্দুকযুদ্ধের ঘটনাই তদন্ত চলছে জানিয়ে অন্যায় হলে ব্যবস্থা নেয়ার আশ্বাসও দেন তিনি।
যাদের বিরুদ্ধে অভিযান চালানো হচ্ছে, তাদের নাম সতর্কতার সঙ্গে যাচাই বাছাইয়ের দাবি করে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, আমরা শুধু একটি গোয়েন্দা সংস্থা নয়, মোট পাঁচটি গোয়েন্দা সংস্থা দ্বারা এই তালিকা তৈরি করেছি। এ তালিকায় যে নামগুলো কমন পড়েছে সেই তালিকা নিয়ে আমাদের আইনশৃঙ্খলা বাহিনী কাজ করছে। এর সাথে আমরা ব্যাপকভাবে প্রচারের ব্যবস্থাও করেছি। যাতে করে মাদকের ডিমান্ড কমে যায়। মাদকবিরোধ অভিযানের পাশাপাশি সীমান্ত দিয়ে মাদক পাচার বন্ধেও উদ্যোগ নেয়ার কথা জানান তিনি। এ ক্ষেত্রে ভারতের সহযোগিতা পেলেও মিয়ানমার কোনো সহযোগিতা করছে না বলেও জানান তিনি।
স্বরাষ্ট্রমমন্ত্রী বলেন, আমি নিজে মিয়ানমারের সরকার প্রধানের সঙ্গে কথা বলেছি। তারা কোনো গুরুত্ব দেয়নি। প্রতিটি ঘটনাতেই মাদক কারবারিরা আগে গুলি চালিয়েছে। আর আত্মরক্ষায় চালানো পাল্টা গুলিতেই প্রাণ গেছে সন্দেহভাজন মাদক কারবারীদের। মাদক ব্যবসায়ীদের কাছে খালি হাতে গেলে কেউ ফিরে আসবে না। এজন্য আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী অস্ত্র হাতে যান এবং সেখানে মাদক ব্যবসায়ীরা যখন ফায়ার করছে তখন উল্টো ফায়ার করলে এ ধরনের মৃত্যের ঘটনা ঘটছে।
বার্নিকাটের সঙ্গে বৈঠক সম্পর্কে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, এ অভিযানের প্রশংসা করেছেন, কিন্তু এভাবে মানুষ মারা যাওয়ার ঘটনায় উদ্বেগ প্রকাশ করেছেন তিনি (বার্নিকাট)। স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী বলেন, বার্নিকোট আমাদের কাছে জানতে চেয়েছেন এ ঘটনায় আরও কতজন লোক জেলে আছেন এবং কতজন লোক মৃত্যুর ঘটনা ঘটেছে। আমরা তার পূর্ণ বিবরণ তাকে দিয়েছি। তিনি বলেছেন, মাদকের বিস্তার বন্ধ করতে হবে। তবে যারা মারা গেছেন তাদের বিষয়ে আরও একটু কেয়ারফুল (সতর্ক) হওয়ার জন্য আমাদেরকে বলেছেন।
স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী আসাদুজ্জামান খান কামাল বলেন, আমরা বার্নিকাটকে বলেছি, যেখানেই গানফায়ার হচ্ছে সেখানে একটি নির্বাহী ম্যাজিস্ট্রেট উপস্থিত থেকে তদন্ত করছে। কোনো জায়গায় অন্যায়ভাবে হত্যার ঘটনা ঘটলে আমাদের বিধান অনুযায়ী ব্যবস্থা নেয়া হবে। আমাদের সরকার হত্যা করার জন্য কখনই আমাদেরকে নির্দেশ দেননি। কাউকে হত্যা করার জন্য আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করে না। সবাইকে শুধরানোর জন্য আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী কাজ করছে। জঙ্গি এবং সন্ত্রাস যেভাবে আমাদের জনগণকে নিয়ে আমরা মোকাবেলা করেছি সেভাবেই আমাদের জনগণকে নিয়ে আমাদের নিরাপত্তা বাহিনী মাদকের বিরুদ্ধে কাজ করছেন। (দৈনিক ইত্তেফাক)