ইসরায়েলি বাহিনীর অনুকরণে হাসপাতালে বিএনপির হামলা ন্যাক্কারজনক : তথ্যমন্ত্রী
- প্রকাশের সময় : ০৯:০৪:১৩ পূর্বাহ্ন, রবিবার, ২৯ অক্টোবর ২০২৩
- / ৪৭ বার পঠিত
বাংলাদেশ ডেস্ক : বিএনপির ২৮ অক্টোবরের সমাবেশের নামে হাসপাতাল, পথচারী, সাংবাদিক, পুলিশ এবং বিভিন্ন স্থাপনার ওপরে হামলাকে ইসরায়েলি বাহিনী ও একাত্তরে পাকিস্তানি হানাদারদের বর্বরতার সঙ্গে তুলনা করেছেন তথ্যমন্ত্রী ড. হাছান মাহমুদ।
রবিবার (২৯ অক্টোবর) সচিবালয়ে সাংবাদিকদের সঙ্গে মতবিনিময়কালে তিনি এসব কথা বলেন।
এ সময় তিনি বলেন, ‘ইসরায়েলি বাহিনী গাজায় হাসপাতালে হামলা চালিয়ে প্রায় ৮০০ মানুষকে হত্যা করার পরও বিএনপি এবং জামায়াত এই বর্বরতার বিরুদ্ধে একটি শব্দও উচ্চারণ করেনি। বরং ইসরায়েলি বাহিনীর অনুকরণে তারা শনিবার (২৮ অক্টোবর) হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে। আর একাত্তরে পাকিস্তানি সেনাবাহিনী রাজারবাগে হামলা চালিয়েছিল, একই দিন বিএনপি-জামায়াতও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে হামলা চালিয়েছে, ২০টির বেশি অ্যাম্বুলেন্স জ্বালিয়ে দিয়েছে। দেশের ইতিহাসে কোনও রাজনৈতিক দল এ রকম হাসপাতালে হামলা করেছে বলে আমার জানা নেই।’
সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘বিএনপি হামলা চালিয়ে একজন পুলিশকে পিটিয়ে পরে চাপাতি দিয়ে কোপ দিয়ে তার মৃত্যু নিশ্চিত করে। তাদের হামলায় আরও একশ’র বেশি পুলিশ সদস্য আহত, দুইজনের অবস্থা গুরুতর। আনসারের ২৫ জন এবং ২১ জন সাংবাদিক আহত হয়েছে, তারা প্রায় শতাধিক গাড়ি পুড়িয়েছে। শনিবার রাতে আমরা ঢাকা মেডিক্যাল ও রাজারবাগ পুলিশ হাসপাতালে গিয়েছি। দেখেছি বহু পুলিশ সদস্য যন্ত্রণায় ছটফট করছে। বিএনপির নেতারা বেশিরভাগ পুলিশের মাথায় আঘাত করেছে যাতে মৃত্যু হয় এবং যে পুলিশ সদস্যকে কুপিয়ে হত্যা করেছে তার খুলি নামিয়ে ফেলা হয়েছে মৃত্যু নিশ্চিত করার জন্য।’
দেশের ৫২ বছরের ইতিহাসে প্রধান বিচারপতির বাসভবনে কখনও এর আগে হামলা হয়নি উল্লেখ করে হাছান মাহমুদ বলেন, ‘শান্তিপূর্ণভাবে সমাবেশের কথা বলে বিএনপি সমাবেশ শুরুর আগেই প্রধান বিচারপতির বাসভবনে হামলা চালিয়েছে। প্রধান বিচারপতি কোনও রাজনৈতিক ব্যক্তিত্ব নন, প্রধান বিচারপতি একটি প্রতিষ্ঠান, বিচার বিভাগের প্রধান, তার বাসভবনে তারা হামলা চালিয়েছে এবং সেখানে ঢুকে পড়েছে। ইতিপূর্বে বিএনপির আইনজীবীরা প্রধান বিচারপতির খাস কামরায় লাথি মেরেছিল, সেটিও বিচার বিভাগকে তাদের তোয়াক্কা না করার প্রমাণ।’
এ দিন সাংবাদিকদের ওপর হামলার তীব্র নিন্দা জানিয়ে সম্প্রচারমন্ত্রী বলেন, ‘গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর যে হামলা বিএনপি জামায়াত চালিয়েছে আমি সেটির তীব্র নিন্দা জানাই। গণমাধ্যমকর্মীরা কোনও দলের পক্ষ হয়ে সেখানে যায়নি, নিউজ কাভার করতে গেছে এবং তারা বিএনপি বিটের সাংবাদিক, তাদের ওপর কেন হামলা হলো? গণমাধ্যমকর্মীদের ওপর হামলা গণমাধ্যমের ওপর হস্তক্ষেপের শামিল।’
তথ্যমন্ত্রী বলেন, ‘আমরাও সহিংসতার নিন্দা জানাচ্ছি। এবং আশা করবো, যারা পুলিশ মেরেছে, পুলিশের ওপর হামলা চালিয়েছে, যারা জাজেস কমপ্লেক্সে, হাসপাতালে, প্রধান বিচারপতির বাড়িতে হামলা চালিয়েছে, তাদের বিরুদ্ধেও মার্কিন ভিসানীতি প্রয়োগ হবে।’
বিএনপির নয়াপল্টন অফিসে শনিবার সন্ধ্যায় ‘জো বাইডেনের উপদেষ্টা’ হাজিরের গুজব নিয়ে সাংবাদিকদের প্রশ্নের জবাব দেন তথ্যমন্ত্রী হাছান। বলেন, ‘দেখুন একজন ব্যক্তি একটু ইংরেজি বলতে পারে তাও তিনি যে নেটিভ আমেরিকান নন, সেটা তার উচ্চারণে বোঝা যায়। তাকে নিয়ে গিয়ে তারা সেখানে সংবাদ সম্মেলন করিয়েছে এবং পরিচয় দিয়েছে ‘জো বাইডেনের উপদেষ্টা’। মার্কিন দূতাবাস বিবৃতি দিয়ে বলেছে সে সরকারের কেউ নয় এবং মির্জা ফখরুল সাহেবও বলেছে তার ব্যাপারে আমি কিছু জানি না। বিএনপি যে শুধু সন্ত্রাসী নয়, জালিয়াত রাজনৈতিক দল, এটি তারই প্রমাণ। তারা ইতিপূর্বে কংগ্রেসম্যানদেরসই জাল করে গণমাধ্যমে বিবৃতি পাঠিয়েছিল। সূত্র : বাংলা ট্রিবিউন
হককথা/নাছরিন